![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।
কোটা পদ্ধতির পক্ষে বিপক্ষে নানা বিতর্ক চলছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সামাজিক বিতর্ক স্বাস্থ্যকর। তবে যেহেতু এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন গড়ে উঠেছে তাই এই পদ্ধতির ত্রুটি আর আন্দোলনকারীদের দুর্বলতা একাকার হয়ে কোটার মুল দাবী থেকে সবার দৃষ্টি অন্যদিকে সরে যাচ্ছে।
কোটা কি থাকা উচিৎ? বা থাকলেই বা কেন থাকবে, কার জন্য থাকবে, কতটুকু থাকবে?
একটি রাষ্ট্রের কম অগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধায় কোন তরফেরই আপত্তি থাকার কথা নয়। অনেকে বলেন, কোন জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা, বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী। কারন সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের জন্য সকল নাগরিকের সমান সুযোগ আছে। আবার ২৮(৪) অনুচ্ছেদে এটাও বলা হয়েছে যে, ''নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না''। ফলে কোটা ব্যবস্থা সংবিধানের মুল মর্ম বানীর সাথে সাংঘর্সিক নয়।
কিন্তু বিশেষ সুবিধা যদি হয় ৫৫% ভাগ তবে সেই ব্যবস্থা যে অসুস্থ সেটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ৫৫% নিয়ে চলে বিপুল দুর্নীতি আর অনিয়ম। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত।
তবে যে অনগ্রসর অংশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা সমাজের সেই অনগ্রসর অংশ বছরের পর বছর ধরে অনগ্রসর থেকে যাবে কেন, সেই প্রশ্ন নিশ্চয়ই করা যেতে পারে, এবং এই ব্যবস্থা যারা বজায় রেখেছেন তারা এর উত্তর দিতে বাধ্য। বিশেষ ব্যবস্থার পরেও যদি সেই জনগোষ্ঠী অনগ্রসর থেকে যায় তবে কোটা ব্যবস্থা এই অবস্থা থেকে উত্তরণে কোন ভুমিকাই রাখতে পারেনি সেটাই তো ধরে নিতে হয়। যদি বিশেষ ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন হয় তবে সেই ব্যবস্থার মূল্যায়ন, কোটার পুনর্বিন্যাস এবং পুনর্বিবেচনা নিয়মিত বিরতিতে করা জরুরী। যেটা আমাদের দেশে কখনো হয়নি।
এবার আসা যাক মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের কোটা প্রসঙ্গে। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বলেছেন, “মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করবার জন্য এবং জনগণের মুক্তির জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাছিলো। কোন পুরস্কার এর জন্য নয়। জনগনের চাইতে বেশী সুযোগ পাওয়ার জন্য নয়। কোটার জন্য নয়। কোটা আমাদের জন্য কোন পুরস্কার নয়। জনগনে্র ভালোবাসা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার। “স্বাধীন বাংলাদেশ” সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভাড়াটিয়া যোদ্ধা নই, দেশপ্রেমিক যোদ্ধা । ৩০লাখ মানুষের জীবন আর ৩ লাখ নারীর সম্ভ্রম এর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের সকল সন্তানদের জন্য। নতুন প্রজন্মের জন্য। মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা বিভাজন নয় । সকলের সমান অধিকার চাই। ৪২ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা রাখার কোন যুক্তি নাই। প্রায় সকল যোদ্ধার সন্তানদের বয়স অতিক্রান্ত। চাকুরি বিহীন দরিদ্র জীবন যাপন করছে। সে খবর কে রাখে না মানুষ, না রাষ্ট্র!! যদি কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এখনো চাকুরি বিহীন থাকে তবে তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় চাকুরী দেয়া যায় । মুক্তিযোদ্ধার দোহিত্র এর জন্য কোটা আমি সমর্থন করতে পারিনা।“
তাহলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আর নতুন প্রজন্মকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিল কোন ডিপ পলিটিক্স?
শাহবাগ জাগরনের পর তরুন প্রজন্মের সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের গড়ে উঠতে থাকা বন্ধন যেন নতুন মাত্রা না পায় সেই চেষ্টা সবসময় ছিল। শাহবাগ ছিল সেই জমিন যেখানে ৭১, ৯০ আর ২০১৩ র প্রজন্ম একসাথে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে। সেজন্যই সেই জমিনেই ডান হাতের সাথে বাম হাতের পাঞ্জা লড়িয়ে দুই হাতকেই পঙ্গু করে দেয়ার ডিপ পলিটিক্সের মহড়া চলল কয়েকদিন।
গড়ে ওঠা আন্দোলনের মধ্যে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণে আগুন, সহিংসতা এই সব আচরণ জামায়াতে ইসলামীর কর্মি ও সমর্থকদের সাম্প্রতিক অতীতের সাথে অদ্ভুতভাবে মিলে যায়। দুঃখজনক ভাবে আন্দোলনের উদ্যোক্তারা সঠিক সময়ে এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীলদের মনে দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছে, এই আন্দোলনের নেতৃত্ব কার হাতে? আন্দোলনের মধ্যে অলক্ষ্যেই বেতালের ভুত ঢুকেছে, সেই ভুত তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলনের ঘাড়ে চেপে বসেছে।
সরকার এবং তাঁদের সমর্থক ছাত্র সংগঠনের আচরণও নিন্দনীয়। সরকারের নিবর্তন মুলক আচরণ কোন যৌক্তিক দাবীকেই নিসচুপ করিয়ে দিতে পারেনি, কখনো পারবেওনা। ছাত্রলীগের যদি কোটার স্বপক্ষে যুক্তি থাকে সেটা সবাইকে জানানো যেত; কিন্তু তার বদলে আন্দোলনকারীদের উপরে ছাত্রলীগের পাল্টা আক্রমন জনমতকে আক্রান্তের দিকেই ঠেলে দেবে।
পি এস সি নতুন ফলাফল ঘোষণা করেছে, কিন্তু যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়ে গেল, সেই বৈষম্য সেই আগের মতই থাকল। বদলাল না কিছুই। ডিপ পলিটিক্সের কারিগররা আসলে তো কিছুই বদলাতে চায়না। কিন্তু তারা যেটা চেয়েছিল সেটা পেয়েছে কিনা এই সমীকরণ হয়ত এখুনি মিলবে না।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
রাকীব হাসান বলেছেন: Click This Link
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোটা বিরোধী আন্দোলন? নাকি ভেতরে অন্য কিছু?
Click This Link
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২
চিন্তিত আমি বলেছেন: Click This Link
আপনার মতামত জানালে খুশি হবো
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
চিন্তিত আমি বলেছেন: বিষয়টা হলো ৫৬% কোটা নিয়ে । কিন্তু বলদ গুলোর ফোকাস ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দিতেও ছাড়তেসে না । আন্দোলন হওয়া উচিত কোটা পদ্ধতির রিঅ্যারেঞ্জ নিয়ে, কোটা বাতিলের জন্য নয়
২। যাদের কোটা নাই তারা সবাই মেধাবী এটা কে বললো?
৩। রাজাকারের পোলা, শিবির কর্মী, জামাতি আদর্শ ধারণ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, নুনুর আগা কাটা থাকায় মধ্যপ্রাচ্য তথা পাকিস্তানীগো ভাই মানে, পাকিস্তানের খেলার দিনে পাকিস্তানের পতাকা নিয়া বাংলাদেশের মাঠে যায় এমন পোলাপাইন দের চিহ্নিত করা হোক যেন তারা সরকারী চাকরিতে ঢুকতে না পারে ।
৪। মুক্তিযোদ্ধা কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত ঠিক আছে । কিন্তু দাদা বা নানা সুত্রে কোটা সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নই আমি ।
৫। শাহবাগের অবস্থান যেন জামাত শিবিরের পোলাপানের হাতে না চলে যায় , সাধারণ শিক্ষার্থীরা খেয়াল রাখেন ।
৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: চাকরীর ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অযৌক্তিক। কোন জিনিষ সংবিধান হোক আর মহাভারত হোক- অযৌক্তিক হইলে তা মেনে নিতে হবে কেন?
পিছিয়ে পরা জনগোষ্টির কথা বিবেচনা করলেতো কাওমী মদ্রাসার পোলাপাইনদের জন্যেও একটা ৫% কোটা রাখা দরকার ছিল। কোটা সিসটেম সর্বোজ্জ কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত থাকতে পারে। চাকুরীর ক্ষেত্রে কেন? কোটা পদ্ধতি কেউ বাতিল করবে না, কারন বিএনপি/আওয়ামীলীগ এই অছিলায় নিজ নিজ কুসন্তান গুলারে এস্টাব্লিশ করবে যাতে করে জনগনের মাথায় দীর্ঘদিন লবন রেখে বড়ই খাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
মোঃ_হাসান_আরিফ বলেছেন: পুরাই অস্থির
Click This Link