নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পিনাকীর ব্লগ

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য

পিনাকী ভট্টাচার্য

চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।

পিনাকী ভট্টাচার্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন সরকারের সন্ধানে

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৫

(আবু সাইয়ীদ ভাইয়ের যে লেখাটার কথা ফেসবুক স্ট্যাটাস এ উল্লেখ করেছিলাম)



প্রথম অধ্যায়

ক।

জনগণের মধ্য থেকে, জনগণ দ্বারা, জনগণের জন্য সরকার, বহুল উচ্চারিত এই উদ্ধৃতিটা আব্রাহাম লিংকনের, গণতন্ত্র পদ্ধতিতে যাদের আস্থা নেই বা যে সমস্ত রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নয়, তারাও ‘জনগণের জন্য সরকার’, অন্তত এই উচ্চারণের বাইরে নয়। আর গণতান্ত্রিক দেশে তো জনগণই সব। শুধু জনগণের জন্য সরকারই নয়, জনগণের মধ্য থেকে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার। আর তাই জনগণই ক্ষমতার উৎস, জনগণের জন্য কাজ করছি, জনগণই এর জবাব দেবে, জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, সর্বদা জনগনের পাশে আছি, এই অন্যায়ের বিচার জনগণের কাছে দিচ্ছি, জনগণকে সাথে নিয়ে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে, জনগণই শক্তি, জনগণ আমাদের পাশে আছে ইত্যাদি, আমাদের দেশের সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাসহ সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিদিনের উচ্চারণ।

একানব্বই সাল থেকে আমাদের দেশে নির্বাচনের গণতান্ত্রিক ধারার শুরু হয়। কখনো কখনো নির্বাচনে সূক্ষ্ম বা মোটা দাগের কারচুপির অভিযোগ, টুকটাক নির্বাচন আচরণ বিধির লঙ্ঘন, টাকার খেলা, পেশি শক্তির প্রভাব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের লম্বা শাসন, এসব বাদ দিলে মোটামুটি ভাবে জনগণের দ্বারা সরকার এই প্রক্রিয়াটা অব্যাহত রয়েছে। সুতরাং বাই দি পিপল আমাদের দেশে মোটামুটি ভাবে প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে বা হতে চলেছে বলেই ধরে নেয়া যায় একারণেই যে, জনগণ কিছুটা অথবা পুরোটা প্রভাবিত হয়েই হোক আর সম্পুর্ন নিজের ইচ্ছেতেই হোক অন্তত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে এবং সেই ভোটে সরকার গঠিত হচ্ছে।

বাই দি পিপল নিয়ে যখন আমাদের কিছুটা সন্তুষ্টি তখন ফর দা পিপল এর কি অবস্থা? এ কথা তো সত্যি যে বাই দি পিপলের কোন অর্থই থাকে না, যদি না তা ফর দা পিপল হয়। আমাদের এই নির্বাচিত সরকারগুলো কি ফর দা পিপল? এ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক, কিছুটা-আনেকটা, ব্যর্থতা-সফলতা, আংশিক সফল-সম্পুর্ন সফল, আংশিক ব্যর্থ-সম্পুর্ন ব্যর্থ, স্বৈরাচারী-গণতান্ত্রিক ইত্যাদি, ইত্যাদি। এবং তা চা স্টলে, বাসে-ট্রেনে, অফিস-আদালতে, চারদেয়ালে-খোলাপ্রান্তরে, টকশোতে, কোথায় না?

সরকারী ও বিরধীদল এবং এদের সমর্থক অথবা বিরোধী, সুশীল সমাজ বা সাধারণ জনতা যাই হোক না কেন সাফল্য ও ব্যর্থতার দাবীতে সুস্পষ্ট মতবিরোধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক, যদিও অনেক সময় তা নগ্নতার পর্যায়ে চলে যায়। তবে বিতর্কের খাতিরে যে যাই বলুক না কেন একটি বিষয় প্রমাণিত যে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল ক্ষমতায় আসার পর শেষ পর্যন্ত তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি বরং বেশ অজনপ্রিয় হয়েছে। একারণেই এখন পর্যন্ত কোন দলই দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে পারেনি। বিরোধী দল পরবর্তি সরকার গঠন করেছে, আর এর কৃতিত্ব যতটা না বিরোধী দলের, তারও অধিক সরকারী দলের, অর্থাৎ জনসাধারণ সরাকারি দলের প্রতি অনাস্থা আনতেই বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকে পরেছে। বিরোধী দলের কোন কর্মসূচির প্রতি অকৃষ্ট হয়ে বা বিরোধীদলের সাংগঠনিক দক্ষতা এই পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করেনি। আর একারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া যেতেই পারে যে সরকার ফর দা পিপল নয়, হলেও অংশত। মূলত নির্বাচিত হবার পর উভয় দলই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে সন্ত্রাস, দুর্নীতিসহ বিবিধ অভিযোগে আক্রান্ত হয়ে। নির্বাচিত হবার পর, সরকারী দলের নেতা ও কর্মি বাহিনী সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহণে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, তারা ভুলেই যাচ্চেন যে, সরকার জনগণের জন্য, রাজনীতি কোন বাণিজ্যিক মাধ্যম না। গনতন্ত্রের যে চিরায়িত ত্রুটি সমূহ, তার সবই আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য প্রযোজ্য। আর এ কারণেই সর্বসাধারণ রাজনৈতিক দল, নেতা কর্মী তথা রাজনৈতিক সকল কর্মের প্রতি সকল প্রকার নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছে, এমন কি অশ্লীল শব্দ প্রয়োগে তাদের ক্ষোভ প্রকাশে কুণ্ঠিত হয় না। এমন কি একটি রাজনৈতিক দল অন্য একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি কুরুচিপুর্ন বিদ্বেষ অহরহ প্রকাশ করে যাচ্ছে। বর্তমানে রাজনৈতিক পেশা ব্যতিত অন্য কোন পেশায় এমনটা পরিলক্ষিত হয় না। কোন কবি অন্য কোন কবিকে, কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন অন কোন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে, এমন কি কোন আলু পটলের ব্যাবসায়ী অন্য কোন আলু পটলের ব্যবসায়ীকে এমন ভাষায় সমালোচনা বা গালগালাজ করে থাকে না।

খ।

সাধারণত সরকার গঠনের প্রথম চারটি বছরের তুলনায় শেষ বছরের চিত্র অনেকটা ভিন্ন হয়। কিছুটা সংযত হয়ে শেষ বছরটায় সরকার, সরকারী দল ও নেতাকর্মীরা অনেকটাই জনবান্ধব হবার চেষ্টা করে। যা আগের সরকারগুলো এবং বর্তমান সরকারের কর্মকান্ড থেকে স্পস্ট হয়ে ওঠে। বর্তমান সরকারের বিগত কিছুদিনের কয়েকটি ঘটনাকে আমরা উদাহরণ হিসাবে দেখতে পারি।

১) কিছুদিন আগে চট্রগ্রামে এক টেন্ডারবাজিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের গোলাগুলিতে এক শিশুসহ দুইজন মারা যায়। এই ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই মামলা হয় এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা কর্মীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করা হয়। সরকারের শেষ বছরের ঘটনা না হলে এমনটা হবার সম্ভাবনা কম ছিল, হয়ত বিভিন্ন বিবৃতি পাল্টা বিবৃতে বিষয়টিকে ধোয়াশে করে তোলা হত।

২) কয়েকদিনের আগে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে একটা ছোটখাট আন্দোলন হয়ে গেল। সরকার তথা পিএসসি দাবী দ্রুতই মেনে নেয়, পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফলাফল প্রকাশ পায়। দু’দিন বছর আগে হলে হয়তো এত সহজে বিষয়টা নাও মিটতে পারত।

৩) লিমনের ঘটনাটি দেশের একটি আলোচিত ঘটনা। অনেক ঘটনাই ঘটে গেল, রাষ্ট্র একটি নিঃস্ব কিশোরের মুখোমুখি, শেষ পর্যন্ত সরকার লিমনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৪) সম্প্রতি সাংসদ রনির গ্রেফতারও নির্বাচনের বছরকেই মনে করে দেয়। দুই বছর আগে রনি সাংবাদিকে প্রহার করলে এতটা দ্রুত গ্রেফতার নাও হতে পারতেন। অবশ্য নেপথ্যে অন্য কোন কারণ থাকলে ভিন্ন কথা।

৫) সরকারী মন্ত্রীদের অসংলগ্ল কথাবার্তা বলা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে, কমে গেছে দাম্ভিকতাও।

৬) সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের সংযত হবার প্রবনতা।

ইত্যাদি।

গ।

সরকার বা রাজনৈতিক কর্মকান্ড মানেই নেতিবাচক এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। আর এমনটা ভাবলে বা হলে জনসাধারণের দাঁড়াবার কোন জায়গাও থাকে না। সরকার জনগণের জন্য কিছু করেনা এমনটাও মনে করার কোন কারণ নেই। তবে সরকার জনগণের জন্য কিছু করছে এটাই স্বাভাবিক, এটা সরকারের দায়িত্ব, এজন্যই তারা নির্বাচিত, দুঃশাসনের জন্য নয়। সরকারী দায়িত্ব পবিত্র দায়িত্ব, কলুষতার সুযোগ সেখানে নেই। আর এই যে ব্যর্থতা তা কি শুধু বর্তমান সরকারের জন্যই শুধু প্রযোজ্য? তা অবশ্যই নয়, আগের সরকারগুলোও দায় এড়াতে পারেনা, আবার ভবিষ্যৎ সরকারও কোন গ্যারান্টি দিতে পারেনা সুশাসনের। নতুন সরকার তা যে দল বা জোটই গঠন করুক না কেন, আবার নতুন করে লুটেপুটে খাবে। আর এসবইতো রাজনৈতিক নেতাদেরই কথা, একে অপরকে এভাবেই সমালোচনা করে থাকেন, একে অপরকে বড় দুর্নিতিবাজ আখ্যায়িত করে থেকেন।

ঘ।

সম্প্রতি ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে, যদিও এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, মোটামুটি একটা জনমত প্রতিফলিত হল, বিগত সংসদ নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়ী আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। এই নির্বাচনের পুর্বে আওয়ামীলীগের অজনপ্রিয় হবার কোন প্রামাণিক তথ্য ছিল না, যা ছিল তা অনুমান নির্ভর। সুতরাং এই ৫টি নির্বাচন সরকারী দল, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ তথা সাধারণ জনগণের কাছে এক প্রামাণিক বার্তা নিয়ে এসেছে। এমন বার্তা পাবার সুযোগ নির্বাচন ছাড়া ছিল না। আর আজকের যে সরকারের মধ্যে বিনয়য়ের ভাব বা কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত, তার অন্যতম কারণ হয়তো এই নির্বাচনী বার্তা। আর এমন বার্তা পাবার সুযোগ যদি একটি বছর অন্তর অন্তর থাকতো, তাহলে হয়তো লিমনকে এমন ভোগান্তিতে পরতে হত না, ছাত্রলীগ-যুবলীগ এমন বেপড়োয়া হতনা, দুর্নিতি, স্থল ও জল দস্যুবৃত্তিতা এমন পর্যায়ে যেত না। আর তাই সরকারকে ঘন ঘন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারলে হয়তো অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত, আর নির্বাচনই কেবল সরকারকে জনগণের মুখোমুখি করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে আমেরিকার প্রতিনিধি সভার মত প্রতি বছর পুরো সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব না, এবং তা বাস্তবসম্মত না। তবে প্রতি বছরই সরকার এবং রাজনৈতিক দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যাবার পথ খুঁজে বের করতে হবে, ভোটারের মুখোমুখি করতে হবে সরকারকে এবং তা সম্ভব হলে সঠিক পথে এগুচ্ছে কি না তার বার্তা পেয়ে যাবে সরকার। পাঁচ বছর পর পর একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির মধ্য দিয়েই হোক আর অন্য পদ্ধতির মধ্য দিয়েই হোক, এ যে কোন সুফল বয়ে আনছে না তা আজ প্রমাণিত। খুঁজতে হবে নতুন বিকল্প নির্বাচন পদ্ধতি, নতুন সরকার পদ্ধতি যা প্রতিনিয়ত সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

ঙ।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে নিম্নরূপ একটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, আবার আমেরিকান সিনেটের মত প্রতি দুই বছর অন্তর একতৃতীয়াংশের নির্বাচন অথবা অন্য কোন পদ্ধতি বিবেচনায় আনা যেতে পারে যা জনবান্ধব সরকার গঠনে সহায়ক হবে। প্রস্তাবিত পদ্ধতি অনুসারে বর্তমান জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনকে ৫টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রতিটি গ্রুপে আসন সংখ্যা হবে ৬০টি।

গ্রুপ ১ আসন নং ১, ৬, ১১, ১৬, ২১....................................২৯৬

গ্রুপ ২ আসন নং ২, ৭, ১২, ১৭,২২.....................................২৯৭

গ্রুপ ৩ আসন নং ৩, ৮, ১৩, ১৮,২৩....................................২৯৮

গ্রুপ ৪ আসন নং ৪, ৯, ১৪, ১৯,২৪.....................................২৯৯

গ্রুপ ৫ আসন নং ৫, ১০, ১৫, ২০, ২৫.................................৩০০

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে একটি গ্রুপের ৬০টি আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ বছরে ৫টি গ্রুপের ৩০০টি আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর ৬ষ্ঠ ও ৭ম বছরে ১ম ও ২য় গ্রুপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ভাবে প্রতি বছরের ডিসেম্বরে একটি গ্রুপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কখনোই সংসদ বিলুপ্ত হবে না। প্রতি বছর ডিসেম্বরে ৬০ জন সাংসদের পরিবর্তন ঘটবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, আগামী কয়েক বছরের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিম্নরূপ হতে পারে। এতে বর্তমান সংসদের ৬০ জন সদস্য অতিরিক্ত ৬ মাস এবং ১২০ জন সদস্য অতিরিক্ত ১ বছরের জন্য সংসদ সদস্য থাকবেন। এবং পরবর্তিতে ১ নং গ্রুপের নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ ৩ বছরের জন্য এবং ২ নং, ৩ নং এবং ৪ নং গ্রুপের সদস্যগণ ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। ৬ বছর পর থেকে এই জটিলতা আর থাকবে না।

সময় গ্রুপ

১। ডিসেম্বর ২০১৩ ১+২

২। জুলাই ২০১৪ ৩

৩। ডিসেম্বর ২০১৪ ৪+৫

৪। ডিসেম্বর ২০১৫ ১

৫। ডিসেম্বর ২০১৬ ২

৬। ডিসেম্বর ২০১৭ ৩

৭। ডিসেম্বর ২০১৮ ৪

৮। ডিসেম্বর ২০১৯ ৫

৯। ডিসেম্বর ২০২০ ১

১০। ডিসেম্বর ২০২১ ২

১১। ডিসেম্বর ২০২২ ৩

১২। ডিসেম্বর ২০২৩ ৪

১৩। ডিসেম্বর ২০২৪ ৫

১৪। ডিসেম্বর ২০২৫ ১

ইত্যদি..................

নির্বাচনের এই পদ্ধতিতে প্রতি বছরই সরকার গৃহীত কর্মসুচি জনমত যাচাইয়ের সুযোগ থাকছে। প্রতিনিয়ত সরকারকে জনগণের কাছে যেতে হচ্ছে বলে সরকার জনকল্যাণমুখী হবার ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবে। এটি একটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা। বিচার বিশ্লেষণ করে সম্মিলিত ভাবে চূড়ান্ত প্রস্তাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে। আজকের সামগ্রিক বাস্তবতায় আমাদের দেশের নির্বাচন ও সরকার পদ্ধতি পরিবর্তনের অপরিহর্যতা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, বিভিন্ন আলোচনা সভায় বিদগ্ধজনেরা এমনটাই বলছেন। আর তাই বিদগ্ধজনের পাশাপাশি সাধারণকেও ভাবিয়ে তুলছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমাদের দেশের মতো অগ্রসরমান গণতন্ত্রের দেশে Anti-incumbency Factorটি বেশি কাজ করে। সরকার বেশি ক্ষমতাদর, তাই মানুষের অনুকম্পা কম। বিরোধীদল যতই অন্যায় করুক, পুলিশ তাতে লাঠিচার্জ করলে সরকারের দোষ!

তবে অনির্বাচিত সরকার, সে যতই সৎ এবং নির্দলীয় হোক না কেন, একটি দেশে স্থায়িভাবে চলতে দেয়া যায় না। তাতে রাজনীতির ওপর মানুষের আস্থা যে নেই, তা আরও সত্য হয়। এপ্রেক্ষিতে আপনার প্রস্তাবটি বেশ প্রাসঙ্গিক এবং বিবেচনার দাবি রাখে।

গণতন্ত্রের সমস্যা কেবল ‘অধিক গণতন্ত্র’ দিয়েই সমাধান করা যায়। জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা কোন ভাবেই গণতন্ত্রের পরিচায়ক হতে পারে না।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

রওশন জমির বলেছেন: প্রস্তাবটি মন্দ নয়। গণতান্ত্রিক ধারাকে সচল রাখতে হলে সুনির্দিষ্ট কোনো উপায়েই তুষ্ট থাকলে হবে না। নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে। দেখা যাক, তরুণরা, যারা সুশাসনের প্রত্যাশী, তারা কী রেসপন্স করে।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

নাহিদ তানভীর বলেছেন: কৌতূহলজনক প্রস্তাব ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.