![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা শহরে আওয়ামী লীগের সরকার পরিচালনায় সাফল্য তুলে ধরে অনেক বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এটা নিয়ে যথারীতি বিপক্ষে সমালোচনা শুরু হয়েছে, আর আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এর যথার্থতা তুলে ধরছেন। নিজের সাফল্য তুলে ধরায় দোষ নেই, গ্লানিও নেই। কিন্তু এই সাফল্য প্রচারের একটা উল্লেখযোগ্য দিক আমার কাছে ধরা পড়েছে, সেটা হচ্ছে শাসকরা রাষ্ট্র পরিচালনা বলতে কী বোঝেন? এবং তাদের সাফল্য বলতে তাঁরা কী বোঝেন? উনারা উনাদের কর্তব্য বলে যেটা মনে করেছেন এবং সাফল্য বলতে যা বুঝেছেন সেটাই বিলবোর্ড গুলোতে তুলে ধরা হয়েছে বলেই আমি ধরে নিচ্ছি। সেই আলোকে আসুন আমরা দেখি উনারা উনাদের কর্তব্য বলে যেটাকে ধরে নিয়েছেন এবং সাফল্য বলেতে যেটা বুঝিয়েছেন সেটা উনাদের কর্তব্য ছিল কিনা এবং সেগুলো সাফল্যের মাপকাঠি হতে পারে কিনা?
জনগন একটা দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ করে। রাষ্ট্র সেই ভূখণ্ডের জনগনের সামাজিক চুক্তির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এই রাষ্ট্র দুটো মুল কাজ করে,
১/ কিছু সামাজিক সেবা নিশ্চিত করে, যেমন, আইন শৃঙ্খলা, সামাজিক নিরাপত্তা, জনসেবা, সম্পদের কল্যাণমুখী পুনর্বিতরণ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ।
২/ প্রাক পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরো অগ্রসর এবং প্রগতিশীল পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় রুপান্তর।
প্রথমটাকে বলা হয় সার্ভিস ডেলিভারি মডেল আর দ্বিতীয়টাকে বলা হয় ট্রান্সফরমেসন মডেল। রাষ্ট্র বিজ্ঞান বলে যে, সার্ভিস ডেলিভারি মডেলের সাফল্য নির্ভর করে রাষ্ট্র ট্রান্সফরমেসন মডেলে কতটুকু সফল। তাহলে এটা বলা যেতেই পারে, সাফল্য মুলত নির্ভর করে ট্রান্সফরমেসন মডেলে কে কতটা ভালো করছে তার উপর। বাংলাদেশের মুল রাজনৈতিক দলগুলো যখন ভোট চায় তখন তাঁরা বলার চেষ্টা করে শেখ মুজিব বা জিয়ার মডেলে এই ট্রান্সফরমেসন মডেলে সাফল্য আসবে। সেই চিন্তাকে তাঁরা তাদের প্রয়াত নেতার স্বপ্ন বলে একটা বিমূর্ত ধারণা দেয়। এবং তাদের নেতার মডেল তাঁরা কখনো সহজভাবে এবং স্পষ্টভাবে ভোটারদের বুঝিয়ে দেয়না। এবার আমরা যদি সাফল্য বলতে আওয়ামী লীগ যা যা বোঝাতে চাইছে সেটা দেখি তাহলে লক্ষ্য করবো উনারা সার্ভিস ডেলিভারি মডেলের সাফল্যকেই উনাদের সাফল্য বলে ধরে নিয়েছেন। এই সার্ভিস ডেলিভারি মডেলগুলো আসলে রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানটির একটি ধারাবাহিক সাফল্য, সরকারের নয়। রাষ্ট্রের সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট বা সামাজিক চুক্তির যদি কোন পরিবর্তন না ঘটে তবে সেই ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়না। ধরা যাক, সাদ্দাম হোসেনের সময় একটা স্মাজিক চুক্তির অধীনে ইরাক রাষ্ট্রটি চলতো, সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করে একটা নতুন সামাজিক চুক্তির অধীনে ইরাক চলছে। এই ক্ষেত্রে সাদ্দাম হসেন রেজিমের রাষ্ট্র উৎখাত হওয়ার কারণে সেই সার্ভিস ডেলিভারির ধারাবাহিকতা থাকবেনা। এই বিষয়টা নিশ্চয় আমরা লক্ষ্য করছি।
এবার দেখা যাক সার্ভিস ডেলিভারি মডেলের যে সাফল্য গুলো দাবী করা হয়েছে সেগুলোর জন্য সরকারের নেতৃত্ব কতখানি ভুমিকা রেখেছে? এমন কয়েকটা ক্ষেত্রে সাফল্য দাবী করা হয়েছে যেগুলো খুবই হাস্যকর এবং এক্সটারন্যাল ফ্যাক্টর যেখানে সরকারের কোন ভুমিকা থাকেনা। অ্যাট লিস্ট সেই ঘটনাটা ঘটানোর ক্ষেত্রে কোন কৃতিত্ব সরকারকে দেয়া যায়না। তবে কৃতিত্ব দেয়া যায় যে সরকার বাধা দেয়নি, সেটা ঘটতে দিয়েছে। যেমন ধরা যাক থ্রি জি মোবাইল সেবা চালু। এটা তো যে কোন সরকার থাকলেই হতো, এটা টেকনলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট। আরেকটা সুচকের সাফল্য দাবী করা হয়েছে, যেমন, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়া। সারা পৃথিবীতে এটা বেড়েছে, তৃতীয় বিশ্বে এটা দ্রুত গতিতে বাড়ছে, বাংলাদেশে বাড়তেই হবে।
মাক্রো-ইকোনোমিক অনেকগুলো সূচকের ক্ষেত্রে ‘রিজিম চেঞ্জ’ বা ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন-এর তেমন কোন সম্পর্ক নেই। যেমন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার, মাথাপিছু আয়, দারিদ্র দূরিকরণ হার, সরাকরি আয-ব্যয় (বাজেট), শিশু এবং মাতৃ মৃত্যুর হার.......এগুলোর ক্ষেত্রে সবসময়ই একটা অগ্রগতি থাকবে। এসব ক্ষেত্রের অগ্রগতি কেউ কখনো এককভাবে দাবি করতে পারে না। সুতরাং এগুলো নয, বরং একটা দল বা জোট ৫ বছরের জন্য নতুন নতুন কি বিশেষ কর্মসূচি/প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, সেগুলি কতটা জনপ্রিয হচ্ছে বা হয়েছে, গেুলির সুফল মানুষ কতটা পাচ্ছে.......এগুলি হলো সাফল্যের মাপকাঠি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অবশ্য অর্থনতির অগ্রগতির মূল মাপটাঠি হবে আর্থক থাতের শৃংখলা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ। ধরুন, আপনি দেখালেন যে জিডিপি একটি বিশেষ রিজিম-এ খুব ভালো, তাবে দুর্ণতি খুব বেশি। সাধারণ মানুষ কিন্তু দুর্নীতির অবস্থা বিবেচনা করেই রিজম-এর ব্যর্থতা মেপে ফেলবে, জিডিপি নিয়ে মাথা ঘামাবে না। সে হযতো জানে না, কিন্তু আমি -আপনি জানি যে, দুনীতি মারাত্মক আকারে থাকলেও জিডিপি বাড়তে পারে। একই রকম সত্য হলো মাথাপিছু জাতীয় আয়ের ধারণা। এটাতো একটা গড়। আর এ ধরণের ম্যক্রো-ইকোনোমিক সূচকগুলোর অগ্রগতি ঘটে ধীর লযে............অনেক ধরণের উদ্যোগ, পরিসি ও বিনিযোগ-এর কিউমিলিটিভ ইফেক্ট হিসেবে। সুতরাং এগুলোকে কখনোই একটি বিমেষ রিজিম-এর সাফল্যের সুচক হিসেবে হাজির করা হয় না
দাবী করা হয়েছে জি ডি পি বেড়েছে। সন্দেহ নাই সেটা বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জি ডি পি বাড়তে শুরু করেছে ১৯৯০ থেকে এবং এই ধারাবাহিক উন্নয়ন কোন সরকারের আমলেই কমেনি। গ্রাফ দেখুন।
শিশু মৃত্যুর হার কমেছে বলে দাবী করা হচ্ছে; সেটা ২০০০ সাল থেকেই ক্রমাগত কমছে। গ্রাফ দেখুন।
এটা না কমলেই বরং আশ্চর্য হতে হতো। শিশু মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা এই অঞ্চলে মাত্র আফগানিস্তান আর পাকিস্থানের চাইতে একটু এগিয়ে, অন্যরা আমাদের চাইতে ভালো অবস্থায় এমনকি নেপাল, ভূটান ও আমাদের চাইতে এগিয়ে। তবে আমরা যদি বলতে পারতাম যে আমরা ভারতের চাইতে এগিয়েছি সেখানে হয়ত আমরা সরকারকে কৃতিত্ব দিতে পারতাম। শিশু মৃত্যুর হারের দিক থেকে আমরা বিশ্বের শীর্ষ ৫০ টি দেশের মধ্যে একটি। এটা কোন গর্বের অবস্থান হতে পারেনা।
দাবী করা হচ্ছে দারিদ্র কমেছে। মানলাম কমেছে, কিন্তু এই কমাটা শুরু হয়েছে কবে থেকে? ২০০৪ সাল থেকে। গ্রাফ দেখুন।
সেই সময়ের পর থেকে তো তিনটা সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল। এই কৃতিত্ব আসলে কোন বিশেষ সরকারের নয়, এই কৃতিত্ব রাষ্ট্র নামের সেই প্রতিষ্ঠানের যার মালিক জনগন।
তাহলে কৃতিত্ব দাবী করা যেত কোথায়? করা যেত ট্রান্সফরমেসন মডেলে, যার মাধ্যমে একটা পুঁজিবাদী রাষ্ট্র “অরগানাইজার অব কন্সেন্ট” বা জনগনের হেজিমনি তৈরির দায়িত্ব নেয়। হেজিমনির অর্থ হচ্ছে সেই আদর্শবাদ বা ভ্যালু সিস্টেম যেটা সমাজের প্রগতিশীল রুপান্তরে জনগণের আদর্শিক বন্ধন এবং নৈতিক সম্মতি নিশ্চিত করে। রাষ্ট্রীয় ক্যাপাসিটি তৈরি করা সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। রাষ্ট্রের আদর্শিক কর্তৃত্ব বা হেজিমনি তৈরি হয়েছে কিনা সেটা চারটা প্যারামিটার দিয়ে বোঝা যায়। ১/ সমাজে পেনিট্রেট করার সক্ষমতা। ২/ সামাজিক সম্পর্কগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। ৩/ রিসোর্স এক্সট্রাক্ট করার ক্ষমতা (কর সংগ্রহ) ৪/ নির্ধারিত পথে সেই সংগৃহীত সম্পদের ব্যবহার। এই ক্ষেত্রে সরকার কী করেছে সেটা জানাতে পারলে কৃতিত্ব নেবার বিষয়টি এবং দেবার বিষয়টি স্পষ্ট হতো।
তবে আওয়ামী লীগের কি দাবী করার মতো কৃতিত্ব নেই? সেই কৃতিত্বের বিষয়টা হাজির করতে হবে তাদেরই যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। সেই কাজটি তো জনগন করে দেবেনা। জনগন এখন পরীক্ষক। উত্তর আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে। যে উত্তর দেয়া হচ্ছে সেটার দুর্বলতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া পরীক্ষকের কর্তব্য, উত্তর বলে দেয়া নয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: ধন্যবাদ হায়দার সুমন মতামতের জন্য।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
ফুরব বলেছেন: সরকার উন্নয়ন ফিরিস্তির সাথে সাথে তাদের ব্যার্থতাও তুলে ধরতে পারত কিন্তু তাদের সেই সাহস নেই। ব্যার্থতা গুলো জনতার মুখে মুখে।।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: কেউ নিজের ব্যর্থতা বলে না। সেই আশাও করিনা। তবে নিজের কর্তব্য বলে কোনটাকে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছে সেটা এই প্রচারণায় বোঝা যায়। ফুরব।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
উদাস যুবক বলেছেন: যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে অসাধারন লিখেছেন। শুধু প্লাস দিতেই লগিন করলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: ধন্যবাদ উদাস যুবক, আশা করি শেয়ার করবেন।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
মাহবুব মাসুম বলেছেন: আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ( বা নির্বাচন কমিশন হতে পারে) আরপিসি সংশোধন করে সাংসদদের কাছ থেকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তদারকির কর্তৃত্ব আর নির্বাচনে সেগুলোর প্রতিশ্রুতি দেয়ার ক্ষমতা অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল। কারণ সাংসদের কাজ আইন প্রণয়ন করা। এর বিরুদ্ধে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল একাট্টা হয়ে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করে দেয়। তো বাংলাদেশের রাজনীতি আবর্তিত হয় প্রায় ৫০ ভাগ মানুষকে নিয়ে যারা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। তাই আপনি যে হিসাব দেখালেন তা যতই যৌক্তিক হোক না কেন যেখানে জনগণ পরীক্ষক সেখানে পরীক্ষাটার দেশীয় কায়দাটাই তো মানতে হবে নাকি ? তারপরও বলছি আপনার লেখায় আপনি যেভাবে সরকারের সাফল্য দাবিকে তাত্ত্বিক যুক্তিতে বাতিল করেছেন তা প্রশংসনীয়। আশা করি বিএনপির রাজনীতিতেও আপনার এসব যুক্তি সচল থাকবে। আর হেফাজত-জামাত যে হেজিমনি তৈরি করতে চায় তাতে এসব কেতাবি হিসেবনিকেশ বগলদাবা করে হিজরত করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০২
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: মাহবুব মাসুম আমি আওয়ামী লীগের দাবীকে বাতিল করিনি। আমি দেখাতে চেয়েছি রাষ্ট্র পরিচালনায় আওয়ামী লীগের দায়িত্ব, সাফল্য আর কর্তব্য হিসেবে কোনটাকে গুরুত্ব দেয়। সেটা থেকে তাদের চিন্তার সীমা বোঝার চেষ্টা করেছি। খেয়াল করে দেখবেন শুধু হেফাজত আর জামাত যে ধর্মের হেজিমনি তৈরি করতে চায় যে সেটা কিন্তু ঠিক নয়। আওয়ামী লীগ এবং বি এন পি দুই দলই ধরমকে হেজিমনিক টুল হিসেবে ব্যবহার করে। সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে থাকল।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৭
তিক্তভাষী বলেছেন: সরকার সব সফলতার কৃতিত্ব দাবী করবে। বিরোধীরা সরকারের ব্যর্থতার লম্বা ফিরিস্তি দেবে। সুশীলরা সমালোচনা, নিন্দা, মতামত জানাবেন। সবশেষে, জনগন সবই যাচাই-বাছাই করে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। এ সবই স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবে বিলবোর্ডগুলো জবর দখল করা হলো, সেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক লেগেছে। অবশ্য আপনি এটাকে অস্বাভাবিক ভাবেন কিনা জানিনা , পোস্টে সেরকম কিছু দেখলাম না।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: তিক্তভাষী বলেছেন: সরকার সব সফলতার কৃতিত্ব দাবী করবে। বিরোধীরা সরকারের ব্যর্থতার লম্বা ফিরিস্তি দেবে। সুশীলরা সমালোচনা, নিন্দা, মতামত জানাবেন। সবশেষে, জনগন সবই যাচাই-বাছাই করে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।
>> স হ ম ত
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৪
মিত্রাক্ষর বলেছেন: আহ দিলেন তো লুঙ্গী খুলে।
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বিশ্লেষণটি সুন্দর এবং সরল।
“উনারা সার্ভিস ডেলিভারি মডেলের সাফল্যকেই উনাদের সাফল্য বলে ধরে নিয়েছেন। এই সার্ভিস ডেলিভারি মডেলগুলো আসলে রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠানটির একটি ধারাবাহিক সাফল্য, সরকারের নয়।”
আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটি আমার ভালো লেগেছে। সরকারও বিষয়টি এভাবে দেখলে তা জনগণের জন্য কল্যাণকর হতো।
-ধারাবাহিক সাফল্য বললেও সরকারের কৃতীত্ব আছে ‘ধারাবাহিকতাকে’ অটুট রাখার ক্ষেত্রে।
-শিক্ষা, কৃষি, দারিদ্র বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিবেচনা করলে, আমি মনে করি: ‘সারভিস ডেলিভারি’ এবং ‘ট্রান্সফোরমেশন’ উভয় ক্ষেত্রেই এসরকার যেকোন সরকারের চেয়ে বেশি কিছু করেছে।
-সমস্যা হলো, জনগণ সেগুলো বুঝে কম। জনগণ যা বুঝে, তাতে সরকার শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। দৃষ্টান্ত: শেয়ারবাজার, পদ্মাসেতু, ব্যাংক কেলেংকারি ইত্যাদি।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: মইনুদ্দিন মইনুল, "শিক্ষা, কৃষি, দারিদ্র বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি বিবেচনা করলে, আমি মনে করি: ‘সারভিস ডেলিভারি’ এবং ‘ট্রান্সফোরমেশন’ উভয় ক্ষেত্রেই এসরকার যেকোন সরকারের চেয়ে বেশি কিছু করেছে। "
আমিও সেটা দেখতে চাই, কিন্তু আওয়ামী লীগ কী তার বিলবোর্ডের মাধ্যমে সেটা দেখাতে পেয়েছে?
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৮
রণতা বলেছেন: -2 (মাইনাস টু) ফর্মুলা যে, কেন বাস্তবায়িত হয়না তা আমার বুঝে আসেনা.
১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সার্ভিস ডেলিভারি মডেলের যে সাফল্য গুলো দাবী করা হয়েছে সেগুলোর ঘটানোর ক্ষেত্রে কোন কৃতিত্ব সরকারকে দেয়া যায়না!
এমন কয়েকটা ক্ষেত্রে সাফল্য দাবী করা হয়েছে যেগুলো খুবই হাস্যকর এবং এক্সটারন্যাল ফ্যাক্টর যেখানে সরকারের কোন ভুমিকা থাকেনা। অ্যাট লিস্ট সেই ঘটনাটা ঘটানোর ক্ষেত্রে কোন কৃতিত্ব সরকারকে দেয়া যায়না! যেমন ধরা যাক থ্রি জি মোবাইল সেবা চালু। এটা তো যে কোন সরকার থাকলেই হতো, এটা টেকনলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট.
না, মানতে পারলাম না।
যে কোন সরকার থাকলেই এটা হত?
তাহলে ১৯৯২ এ ইন্টানেট কানেক্ট হলাম না কেন?
১৯৯২ এ যখন বিনা মুল্যে আন্ত-মহাদেশিয় ফাইবার অপটিক অফার করা হয়েছিল, ভারত ও বার্মা কানেক্ট হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কানেটক্ট হয়নি এই যুক্তিতে যে দেশে এত কম্পুটার নেই ও অপব্যবহার হবে।
১৯৯৭ এ ৩টি বেসরকারি টিভি কে লাইসেন্স দেয়া হল (একটি টেরিষ্ট্রিয়াল ও ২টি সেটেলাইট চ্যানেল)
সিটিসেলের মনপলি ভেঙ্গে উম্মুক্ত করে দিয়ে ৩টি বেসরকারি মোবাইল কম্পানিকে লাইসেন্স দিল। টেলি জোন ভেঙ্গে একটি জোন হল।
এ সব কি যে কোন সরকার থাকলেই হত?
উপরের দুটি সিদ্ধান্ত নেয়ার কারনে দেশের চেহারা আমুল পাল্টে গিয়েছিল।
মাত্র ২ টি সিদ্ধান্তে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছিল।
এ সব যে কোন সরকার থাকলেই হত না।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী, আমার লেখা থেকেই উধৃত করছি, "অ্যাট লিস্ট সেই ঘটনাটা ঘটানোর ক্ষেত্রে কোন কৃতিত্ব সরকারকে দেয়া যায়না। তবে কৃতিত্ব দেয়া যায় যে সরকার বাধা দেয়নি, সেটা ঘটতে দিয়েছে।"
থ্রি জির ক্ষেত্রে সরকারের কৃতিত্ব এটাই যে সরকার বাঁধা দেয়নি। সেটাই বা বলি কীভাবে, টেলিটকের মনপলি নিশ্চিত করা হয়েছে, প্রতিযোগিতা শুন্য করে ফেলা হয়েছে। এবং একটা অতি দুর্বল থ্রি জি সার্ভিস উপহার দেয়া হয়েছে।
১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
রাহুল বলেছেন: আশা করি বিএনপির রাজনীতিতেও আপনার এসব যুক্তি সচল থাকবে। আর হেফাজত-জামাত যে হেজিমনি তৈরি করতে চায় তাতে এসব কেতাবি হিসেবনিকেশ বগলদাবা করে হিজরত করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
মানিক হাসান বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী- এ সরকার এবার ১৬টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে সাথে বেশ কয়েকটি রেডিও। এই হিসাবের গ্রাফটা কিন্তু অনেক উপরের দিকে...
১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
এসব যেকোন সরকার থাকলেও এমনি এমনি হত
২০১১-১২ এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছিল ৯৩ শতাংশ
২০১০-১১ অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ছিল ৯২ শতাংশ,
২০০৯-১০ অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ছিল ৯১ শতাংশ
বিম্পি আমলে এই হার ছিল ৫০ থেকে ৬০ এর মধ্যে।
তখন এমনি এমনি ৯০% হল না কেন?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: হ্যারিয়ার টু আপনি বলেছেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার কে এই সরকাররের সাফল্য হিসেবে দেখাচ্ছেন। এটা এখন ৯০% এর ওপরে। একই সাথে বলছেন, বিএনপি’র সময়ে এটা নাকি ৫০-৬০% এ ছিল। প্রথম তথ্যটা সত্য, দ্বিতীয়টা নয়। আমার ধারণা, উনি তর্ক-এ জেতার জন্য ঐ তথ্য দিয়েছেন। কথাটা এই কারণে বলছি, যে বাংলাদেশে এডিপি বাস্তবায়ন-এর হার কখনোই কোনদিন ৫০-৬০% এ নামেনি। একবার মাত্র হয়েছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরে, সেটা ছিল ৫৬%। আশাকরি বিএনপি’র সমর্থকরা বগল বাজাবেন না !! কারণ, সালটার দিকে খেয়াল রাখুন। তখন খালেদা জিয়া নয়, স্বয়ং জেনারেল জিযাও যদি ক্ষততায় থাকতেন, এডিপি বাস্তবায়নের হার ওরকমই হতো। আর আওয়ামী বন্ধুকে বলি, এডিপি বাস্তবাযনের হারকে যদি সাফল্যের সূচক হিসেব বিবেচনা করেন, তাহলে সে বিবেচনায়ি গড়ে বিএনপি কিন্তু আপনাদের চেয়ে এগিয়ে। আর আপনাদের দুজনের চেয়ে এগিয়ে আছে জনাব এরশাদ সাহেব। এগুলো সরকারি তথ্য। আইএমইডি’র ওয়েভ সাইটে পাবেন, ওদের পাবলিকেশনগুলোতেও এসব কথা লেখা আছে। শুনলে আবাক হবেন, এরশাদের আমলে এডিপি বাস্তবায়নের হার ২বার রেকর্ড ব্রেক করেছিল: ১০১ % (৮৮-৮৯) এবং ১১২% (৮৯-৯০)। জেনারেল জিয়ার শাসনামলেও কিন্তু আবারো দু’বার এধরণের রেকর্ড ব্রেক হয়েছিল- ১০৪% (৭৭-৭৮) এবং ১০০% (৮০-৮১)। বাংলাদেশে এই বাস্তবায়নের হার সব সময়েই ৮৫-৯৫% এর ভেতরে ছিল।
যে কথাগুলো কয়েকদিন ধরে বলছি, আবারো তার পুনরাবৃত্তি করছি। সাফল্যের সূচক হিসেবে রাজনৈতিক প্রচারণার কাজে এগুলো খুব জুতসই ইস্যূ না। তাছাড়া এই এডিপি বাস্তবায়ন হার নিযেও আছে নানা ঝামেলা। টাকা খরচ হলেই কি এডিপি বাস্তবায়ন হযেছে, বলা যায়? যে কোন অর্থ বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখ দিবাগত রাতে, মাত্র এক রাতেই কত % এডিপি বাস্তবায়িত হয়ে যায়, সে হিসাব কি কেউ কোনদিন নিয়েছেন?
১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
তূর্য০০৭ বলেছেন: impressive presentation.....
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
কিচু বলতে চাই বলেছেন: একটা সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, আর সেটা পুরন করার কারনে কেউ যদি নিজেকে সফল মনে করে তাহলে এর চাইতে হাস্যকর আর কিছুই হতে পারে না।
১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
আিম এক যাযাবর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। পোস্টে +++++, ফেসবুকে শেয়ার করলাম কিন্তু.....
১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
মন্জুরুল আলম বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষণ.... আপনার পোস্ট অনুসরনে রাখলাম....
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২১
হায়দার সুমন বলেছেন: তথ্য ও যুক্তি নির্ভর ............... পোষ্ট