![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে আমার জীবনের একটি সত্যি কাহিনী আপনাদের সাথে share করি, অনেকদিন ধরে পুরনো স্মৃতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে ।
ইংরেজি ২০০২ সালের পহেলা বৈশাকের কথা। ডাক পেলাম নববর্ষ উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে ২টি একক এবং একটি দলীয় (এসো হে বৈশাখ...) রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে হবে। অষ্টমশ্রেণী পড়ুয়া এই বালকটির দরকার পড়ল আব্বুর অনুমতি, বাকি সব ready ছিল অনেক আগেই। বেশ একটা টান টান উত্তেজনা ভিতরে ভিতরে কাজ করলেও ভীত ছিলাম আব্বুর অনুমতি পাব কিনা এইভেবে । মেজ ভাইয়ের প্রচন্ড উত্সাহ আমাকে আমার প্রতিভা (আমি কিন্তু সত্যি সত্যি গাইতে পারি ) প্রমানের একটি সুযোগ তৈরী করে দিয়েছিল বলে সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চায়নি, তারউপরে উন্মুক্ত মঞ্চে প্রথম মঞ্চস্ত নিজ অভিজ্ঞতার প্রথম কোনো পরীক্ষা ।
অনুমতি নিতে অতি উত্সাহে আব্বুকে বললাম। আমার উত্সাহ দেখে আব্বুর নিরব সম্মতিসূচক অনুমতি পেলেও ছেলের এই মঞ্চস্তর ব্যাপারে কোনো উত্সাহ প্রকাশ করলেন না বিধায় আমি কিছুটা মনক্ষুন্ন হলাম। আব্বুকেও অনুষ্ঠানে আসার জন্য বলতে লাগলাম, কিন্তু বাবা আমার কোনো কথা না বলে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরলেন।
পরের দিন (পহেলা বৈশাখ), খুব সকালে কবি কবি লেবাসে (পাঞ্জাবি ও চাদর পড়ে) মেজভাইয়ের সাথে চলে গেলাম অনুষ্ঠানে। একের পর এক গীত ও কবিতা আবৃতির পর এলো আমার পালা, মঞ্চে উঠিয়ে ভাইটি আমার সামনের দর্শকের সবচেয়ে আরামদায়ক চেয়ারটায় বসে অনুজ গায়ক ভাইয়ের জন্য গর্বে বুকফুলিয়ে দিক ওদিক চাইলেও ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হবার অবস্থা ... সাথের হারমোনিয়াম আপু আমাকে অভয় দিলে চোখ বন্ধ করে আমার সবচেয়ে প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত ( "যায় দিনও শ্রাবণ দিন যায় " ) গানটি গাওয়া শুরু করলাম। এক তৃপ্তিকর অনুভবে গেয়ে চললাম প্রিয় গানটি, প্রতিটা স্পন্দনে অনুভব করছিলাম গানটির ভাবার্থ ও মর্মার্থ। গানটি শেষ করে যখন চোখ খুললাম, তখন দর্শকদের করতালিতে শরীরের প্রতিটা লোম খাড়া হলো , তারচেয়েও বিশ্বয়কর মুহূর্ত অপেক্ষা করছিল সামনে ।
মঞ্চের দুরের সারিতে চেয়ার না পাওয়ায় যারা দাড়িয়ে ছিলেন (এবং যারা পরে জড়ো হলেন ) সেইসকল দর্শকের সংখ্যাও ছিল অনেক। গান শেষ করে স্বভাবতই যখন সমান্তরালে সামনে দূর দৃষ্টিতে তাকালাম, তখন সবার পিছনের পিছনে এক দর্শককে দেখে আমার চোখে পানি চলে আসে, উনি ছিলেন আমার আব্বু, যিনি এতক্ষুন দাড়িয়ে আমার গান শুনছিলেন , যেই মানুষটার তার ছেলের দর্শক হবার জন্য কোনো নামিদামি চেয়ার এর প্রয়োজন পরেনি, নিরব একজন সাধারণ দর্শক হয়ে কিছু না বলা চোখে একজন গায়কের গান শুনে নিরবে স্থান পরিত্যাগ করাকেই যিনি যথার্থ মনে করেছিলেন । আজও ভুলিনি আব্বু ... এই ফিনল্যাণ্ড এর জীবনে আজও বাবার স্বপ্ন পূরণে স্বপ্নের পিছে ভাগছি .... জানিনা ,কতটুকু সফল হতে পারব এই মানুষটার মুখে হাসি ফুটিয়ে।
ভাবতেসি তাড়াতড়ি বিয়ে করা দরকার, দাদার সাহসী কাহিনী ছেলে মেয়েদের না শুনলে কি চলে নাকি ...
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
নাজমুল পিন্টু বলেছেন: যতবার পড়ি পুরনো স্মৃতিতে চোখ ভিজে যায় আমারও... ধন্যবাদ
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
চলতি নিয়ম বলেছেন: +
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
নাজমুল পিন্টু বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে +++++... ধন্যবাদ
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
মুহিব বলেছেন: প্রতিভার সাথে বিয়ে আসল কেমনে? গান গেয়ে যান। অন্যরকম এক প্রতিভা। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক যখন একদিকে তাকিয়ে থাকে তখন বুঝি কত বড় এক যোগ্যতা নিয়ে তারা এসেছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
নাজমুল পিন্টু বলেছেন: না মানে , ইদানিং আমার আব্বুও আমার লেখাগুলো পরে তো , তাই ছেলের বিয়ের ব্যপারে উনাকে একটু সচেতন করে দিলাম , ডাইরেক্ট তো আর বলতে পারছি না ... আপনার এই অনুপ্রেরণা আমাকে অনুপ্রেরিত করলো .. ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন:
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
নাজমুল পিন্টু বলেছেন:
...
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
আহলান বলেছেন: সিম্পলি চোখে অশ্রু ঝরিয়ে দিলেন .....