![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'সালাম' শব্দের অর্থ 'শান্তি' আর "অস্সালামুয়ালায়কুম" বাক্যের অর্থ "আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হোক" , কথাগুলোর মর্ম একটু অনুধাবন করা যাক :-
আমাদের পরিবারে পারিবারিকভাবেই পরিবারের সদস্যদের পরস্পরকে সালাম দেবার প্রচলন নেই / ছিল না :- নিজের মানুষদেরকে "সালাম কেন দিতে হবে" কিংবা "ঘরের মানুষকে সালাম দিতে লজ্জা লাগে" এরকম একটি ধারা কালক্রমে জন্মে যায় । কারো প্রতি শান্তির প্রত্যাশা কিংবা শান্তি বর্ষণের জন্য প্রার্থনা যদি করতেই হয় তবে এর সবচেয়ে বড় হকদার হলো নিজের পরিবারের মানুষ, যেহেতু তারা আমাদের অতি আপনজন এবং তাদেরকে নিয়েই আমাদের সুখের-শান্তির নিবাস ।
তাই সম্ভবত :- আব্বুকে আর আম্মুকে কিছুদিন আগে যখন ফোনে প্রথম "সালাম" দিলাম, সেইদিন তাদের দুইজনেরই কন্ঠের আশ্চর্য বা বিশ্বয় হবার মত ভাব দেখে / হাসির শব্দ শুনে নিজে যেমন একটু লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পরেছিলাম, সেইসাথে বুঝে ছিলাম যে :- এই সালামের মাধ্যমেই আসেপাশের পরিবেশকে প্রাথমিকভাবে পবিত্রতায় ভরপুর করে দেওয়া যায়, এটা এমন এক ব্যাধি যা একজন দিলে অন্তত জরসরভাবে বসে থাকা সবাইকেই উত্তর দেওয়াতে সংক্রমিত করে ।
আপন কোনো মানুষকে যদি আপনি বলেন "আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি", তাহলে যেমন একদিকে তার/আপনার সারাটা দিন ভালো যেতে পারে :- অনুরূপভাবে দেখা যায় , এই কথা দ্বারাই আপনি কারো সারাটা দিন মাটি করে দিতে পারেন । কথার গুরুত্ব এতবেশি যে, এই কথার খই ফুটিয়েই এক একটা স্বাধীন বিপ্লব বা সামাজিক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দেওয়া সম্ভব । "সালাম" এর মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্তটাও কিন্তু এরকম - "অন্যের জন্য শান্তি কামনা করা " আর সামনের মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধা আর পবিত্র একটি ভাব ফুটিয়ে তোলা।
প্রতিটা মানুষই অন্যকে অভিবাধন বা শুভেচ্ছামূলক বাণী শুনিয়ে তাদের দিন বা আলাপচারিতা শুরু করে :- আর 'সালাম' এর মাধ্যমে অন্তত আপনি সামনের মানুষটাকে প্রাথমিকভাবে বুঝিয়ে দিলেন "কথায় আমার সাথে তোমার পবিত্রতা ভাব বজায় রাখিতে হইবে" ।
তাই আপনাদের সবার প্রতি বিধাতার শান্তি বর্ষণের কামনা রইলো অন্তর থেকে:- অস্সালামুয়ালায়কুম
©somewhere in net ltd.