![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য সকলকে স্বাগতম। কোন পুরানো পোষ্টেও নির্দ্বিধায় মন্তব্য করতে পারেন; সাড়া পাবেন।
সমাজের কেউ কেউ নিজেদের সুশীল সমাজের সদস্য বলে ডাকে, পরিচয় দিতে পছন্দ করে। আমরাও কাউকে সুশীল বলি। প্রথম ক্ষেত্রে বক্তার সুশীল শব্দটার ব্যবহার ইতিবাচক অর্থে আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একই সুশীল শব্দের ব্যবহার নেতিবাচক অর্থে; তবে এখানে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, ঠাট্টাচ্ছলে ইতিবাচক শব্দটা ব্যবহারের কারণে অর্থ হয়ে গেছে নেতিবাচক। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই সুশীল শব্দটা গালাগালির শব্দ নয়।
কাউকে খারাপ বলা যেমন গালাগালি নয় তেমনি কাউকে সুশীল বলাও গালাগালি নয়, হওয়ার কোন কারণ নাই। এবং অবশ্যই শব্দটা ‘খারাপ’ শব্দের মতই নেতিবাচক। পাঠক নিশ্চয় মানবেন, নেতিবাচক শব্দ আর গালাগালির মধ্যে একটা বড় ফারাক আছে; মনের ভাব প্রকাশের জন্য কখনও আমাদের নেতিবাচক শব্দের দরকার হয়, দরকার আছে। এতে পাঠক-শ্রোতাও বক্তার মনের ভাব বুঝতে পারে ও মেনে নেয়; কিন্তু একই কথা গালাগালি শব্দ দিয়ে বললে বুঝতে পারে বটে, কিন্তু মানতে, শুনতে গিয়ে পাঠক-শ্রোতা একটা অস্বস্তিতে ভুগে। তাই অপছন্দ করে।
‘সুশীল’ আমাদের ভাষার জগতে ঘোরতর ইতিবাচক শব্দ, শব্দের অরিজিন হিসাবেও এর অর্থ ইতিবাচক; এর অর্থ - ভাল রকমভাবে শালীন, ভদ্র ইত্যাদি। কিন্তু গত তিন বছরে বাংলাদেশ যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে তাতে আমাদের ভাষার জগতে সুশীল শব্দটা মুলত ইতিবাচক হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক ভাষা হিসাবে অর্থ দাড়িয়েছে নেতিবাচক। কারণ বিদেশী স্বার্থের সাথে নিজের চিন্তায় গাঁটছাড়া বেধে মঈন-ফকুরুদ্দিনের সরকারের স্থানীয় প্রকাশ্য সমর্থক হিসাবে সমাজের কিছু ব্যক্তি-এলিমেন্ট নিজেদেরকে নামকরণ করেছিল সুশীল সমাজ, ইতিবাচক অর্থেই; দাতাদের ডকুমেন্টে যাকে ইংরাজীতে সিভিল সোসাইটি বলা আছে ওটার বঙ্গকরণ করে এরা নিজেদেরকে আমাদের কাছে নিজেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বলে দাবি করেছিল, এখনও করে। অন্যদিকে এই ‘সুশীল’ ভাবনার যারা ক্রিটিক তাঁরাও একইভাবে সুশীল শব্দ ব্যবহার করে কিন্তু বুঝিয়ে দেয় এরা বাংলাদেশের জন্য খারাপ, নেতিবাচক, ক্ষতিকর চিন্তা।
কেন ক্ষতিকর? কারণ একটা সমাজে সুশীল চিন্তার সবচেয়ে বিপদজনক দিকটা হল এরা রাজনীতিবিমুখ। এরা সমাজের জন্য বিপদজনক এপলিটিক্যাল এলিমেন্ট হয়ে থাকতে চান এজন্য রাজনীতিবিমুখ বলা। আমার রাজনীতিবিমুখ কথাটার মুল পয়েন্ট হলো যারা রাজনৈতিক পার্টি বিমুখ। আরও ব্যাখ্যা করে বললে, সমাজে রাজনৈতিক চিন্তা চর্চায় সামাজিক রাজনৈতিকতার (polity) মাত্রা বাড়িয়ে সচেতন সক্রিয় রাজনৈতিক দলে সংগঠিত হয়ে ক্ষমতা দখল করে - এটা তাদের পথ নয়। ক্ষমতা ধরতে গেলে, সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ধারণ করতে চাইলে রাজনৈতিক দল বা পার্টি লাগবেই, এর বিকল্প নাই; ঐ দল আবার রাজনৈতিকভাবে চিন্তায় সংগঠিত হবার জায়গাও বটে, সক্রিয় রাজনৈতিকতায় সংগঠিত। কোন দল সক্রিয় চিন্তা চর্চার কেন্দ্র না হওয়ার মানে আওয়ামী বিএনপির মত একটা দলবাজীর দল হবে হয়ত কিন্তু সক্রিয় চিন্তা চর্চার রাজনৈতিক দল হবে না, র্যাডিক্যাল বিপ্লবী কোন রাজনৈতিক দল হওয়া অনেক দুরের কথা। এই কষ্টকর পথ সুশীলদের নয়। সুশীলদের পথ রাজনীতিবিমুখতার, সক্রিয় রাজনৈতিক দলের ছায়া মাড়াতেও তাঁরা রাজি নয়; এই অর্থে এটা রাজনীতিহীনতার পথও বটে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই রাজনীতিবিমুখতাও নিজে একটা রাজনীতি, রাজনৈতিক ধারা – তবে দল বা পার্টি ছাড়া; পার্টিবিহীন থেকে এরা এই রাজনীতি করতে চায়। আবার, ক্ষমতাকে ছুয়ে থাকবার ওদের আকাঙ্খাও থাকে পরিপূর্ণ।
সমাজে অনেকেই রাজনৈতিক অর্থে সক্রিয় থাকে না, স্বাভাবিক। কিন্তু আমি সুশীলদের রাজনীতিবিমুখতাকে নেতিবাচক, ক্ষতিকর চিন্তা বলছি কেন? অথবা সমাজে এসব রাজনীতিবিমুখ এলিমেন্ট জাগবার শর্ত কখন কেন তৈরি হয়?
সমাজে সামাজিক রাজনৈতিকতার মাত্রা, চিন্তা-চর্চা খুবই করুন দশায় থাকার আর এক অর্থ হল, ঐ সমাজে রাজনৈতিক দল বলতে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ধরণের দলবাজীর রাজনৈতিক দলই দেখা যাবে, যেটা সক্রিয় রাজনৈতিক চিন্তা চর্চার কেন্দ্র হিসাবে দল নয়। এই পরিস্থিতির আর এক গুরুত্ত্বপূর্ণ প্রকাশ হল ব্যাপক রাজনীতিবিমুখ শহুরে মধ্যবিত্ত দেখা দিবে। সমাজে রাজনীতিবিমুখ এলিমেন্ট জাগবার প্রথম শর্ত এটা। সমাজে সক্রিয় রাজনৈতিক চিন্তা চর্চার কেন্দ্র হিসাবে কোন দল নাই বরং আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ধরণের দলবাজীর রাজনৈতিক দল দেখে এর কাজকারবার ও এর দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলে এরা একে নিজের রাজনীতিবিমুখতার রাজনীতির পক্ষে থাকার একটা বড় অজুহাত মনে করে। অথচ সমাজে সামাজিক রাজনৈতিকতার মাত্রা, চিন্তা-চর্চা বাড়াবার, কেন্দ্র গড়ার কর্তব্য তাঁরও কম নয়। দলবাজীর রাজনৈতিক দল ও এদের দুর্নীতি তাঁর জীবনকে দুর্বিষহ, কষ্টসাধ্য করে তোলার কারণ – কিন্তু উল্টা এই পরিস্থিতিটাকেই সে ব্যবহার করে নিজের রাজনীতিবিমুখতার রাজনীতির পক্ষে থাকার একটা ন্যায্যতা হিসাবে। এটাই সমাজে সুশীল চিন্তা জাগবার মৌলিক দিক। মধবিত্তের বিরুদ্ধে আমার কোন ক্ষোভ নাই। সমাজের রাজনৈতিকতার(polity) কোন পরিস্হিতিতে মধবিত্ত কী রকম আচরণ করে সেদিকে নজর ফেলার চেষ্টা করছি আমি। ভিন্ন এক পরিস্হিতিতে এই একই মধ্যবিত্ত হয়ত বড় ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারে।
আমাদের উপস্হিত পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত সুশীল চিন্তার ভুমিকা সমাজের জন্য খুবই বিপদজনক, রাষ্ট্রের জন্য এক ভালনারেবল দুস্থ অবস্থা। কারণ, প্রথম শর্ত পূরণ করে মধ্যবিত্ত সুশীল চিন্তা নিয়ে সমাজে হাজির থাকলে এরপর রাষ্ট্রের বাইরের কোন স্বার্থ দাতাদের সহযোগিতায় রাজনীতিবিমুখ শহুরে মধ্যবিত্তের সাথে খুব সহজেই একটা শ্রেণী সমঝোতা গড়ে নিতে পারে, এই অর্থে এটা বিপদজনকভাবে পোটেনশিয়াল; এতে রাষ্ট্রের বাইরের ঐ স্বার্থ রাজনীতিবিমুখ শহুরে মধ্যবিত্তের কাছে নাজিল হয় ত্রাতার ভুমিকায়। উপস্থিত রাষ্ট্রের দলবাজির শাসনে অতিষ্ঠ শহুরে মধ্যবিত্তে নিষ্পেষিত জীবনের কারণে দিক-বেদিক না বুঝে ত্রাতার ভুমিকাকে বরণ করেও নেয়। এবার, শক্তি পেয়ে রাজনীতিবিমুখ শহুরে মধ্যবিত্ত কেবল ভোকাল হতে চায়। ভোকাল সরব হওয়াটা দোষের নয়। কিন্তু সক্রিয় রাজনৈতিক চিন্তা চর্চার কেন্দ্র হিসাবে কোন দল গড়ার কর্তব্য ছাড়া এই সরব ভুমিকা কাউন্টার প্রডাকটিভ। সুশীল কেউ কেউ তাকে ভোটার আইডি কার্ড ঠিক নাই কিংবা দলবাজ রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির করছে বলে এসবের বিরুদ্ধে ভোকাল সোচ্চার হবার তাগিদ, নিরুপদ্রব দলবিহীন কার্যকলাপ বলে মধ্যবিত্ত তা পছন্দ করে। পাঠক, ২০০৬ সালে CPD এর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এধরণের সুশীল তৎপরতার কথা মনে করে দেখুন।
ঠিক এই ঘটনাটাই ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১/১১ বা ১১ জানুয়ারিতে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাকে দড়ি লাগিয়ে কর্ত্বত্ত্বের দড়ির অপর প্রান্ত বাইরের কারও হাতে আর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক শহুরে মধ্যবিত্ত এই বিদেশী ক্ষমতার সমর্থক - সবকিছু রাজনীতিবিমুখ স্হানীয় সুশীল সমাজের হাতের মুঠোয়, তাদের দাপটে – এমন একটা অবস্থায় তখন তৈরি হয়েছিল।
শহুরে মধ্যবিত্ত, সুশীল সমাজ, আর বিদেশী স্বার্থ - এদের সম্মিলিত এক ব্যাপক এবং বিপদজনক শ্রেণী এলায়েন্স। কারও পক্ষে যাবার আমাদের যো ছিল না; একদিকে গেলে - দলবাজীর রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির সহযোগী বলে কাদা লাগে, মনে হয় মাইনাস থিওরির বিরোধিতা করা মানে সুশীলদের বি-রাজনীতিকরণের, সমাজের যেটুক রাজনৈতিকতাকে (Polity) আছে একে নির্বংশ উতখাতের বিরোধিতা নয়, যেন হাসিনা, খালেদার দুর্নীতির পক্ষে দাঁড়ানো; অন্যদিকে গেলে বিদেশী স্বার্থের পক্ষে সুশীল হতে হয়। মাঝখানে থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পক্ষে, আমাদের জনগোষ্ঠির পক্ষে দাঁড়ানো এক প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল; ধুলায় গড়াগড়ি গিয়েছিল খোদ রাষ্ট্র স্বার্থ, কর্ত্বত্ত্ব। সেই জের শেষ হয় নাই, এখনও চলছে। অথচ দলবাজীর দমবন্ধ রাজনৈতিক পরিস্হিতি থেকে যদি বাঁচতে চাই তবে রাজনৈতিক চিন্তা চর্চায় সামাজিক রাজনৈতিকতার (polity) মাত্রা বাড়ানো, সচেতন সক্রিয় রাজনৈতিক দলে সংগঠিত হওয়া এবং সেই ধারক পাত্র রাজনৈতিক পার্টি দিয়ে ক্ষমতা দখল - এভিন্ন আর কোন ভাবে সর্টকাটে আমাদের দলবাজী বা সুশীল রাজনৈতিক পরিস্হিতি বদলাবার আর কোন পথ নাই।
উপরে শহুরে মধ্যবিত্ত বলেছি বটে এটাকে মাস পিউপলের জনসমর্থন বলতে যা বুঝায় সেই চাঙ্ক সমর্থন এদের থেকে এসেছে – এই অর্থে বুঝাতে ব্যবহার করেছি। তবে রাজনীতিবিমুখ শহুরে মধ্যবিত্তই শুধু নয়, যেসব রাজনৈতিক ছোট দল নিজেদেরকে কমিউনিষ্ট মনে করে এরাও এক অদ্ভুত কম্বিনেশনে দাতাস্বার্থের সাথে নিজের ‘কমিউনিষ্ট’ স্বার্থের এক শ্রেণী এল্যায়েন্স হতে দেখেছিলাম আমরা। এরাও সুশীলদের হাতে হাসিনা খালেদার দলবাজীর রাজনৈতিক দলের নাকানিচুবানিটাই কেবল দেখেছিল, খুশি হয়ে সুশীল রাজনীতির সমর্থক হয়েছিল; কিন্তু খোদ রাষ্ট্রেরও নাকে যে দড়ি পড়েছিল এই নাকানিচুবানিটা চোখে পড়েনি। সাধারণভাবে চাঙ্ক সমর্থক যে শহুরে মধ্যবিত্তের কথা বলেছি এর সাথে এই ‘কমিউনিষ্টদের’ ফারাক এখানে এতটুকু যে একই মধ্যবিত্ত এখানে 'কমিউনিষ্ট' বা 'সমাজতান্ত্রিক' দল বলে দলের নামে সংগঠিত; চিন্তায়, মনোগাঠনিক দিক থেকে এরা রাজনীতিবিমুখ শহুরে মধ্যবিত্তের মতই। এজন্য সুশীল সমাজের সাথে এরা চিন্তার ঐক্য খুজে পেয়েছিল।
আজকের কালে, বিদেশী স্বার্থ রাজনীতিবিমুখ স্থানীয় সুশীল সমাজের সাথে এল্যায়েন্স করে নিচ্ছে কেন? অথবা একই কথা অন্যভাবে বললে, নিজের পছন্দসই কোন দলবাজ ধরণের রাজনৈতিক দলের বদলে একটা রাজনীতিবিমুখ সুশীল সমাজ খাঁড়া করে নিতে বিদেশী স্বার্থ পছন্দ করতে শুরু করল কেন?
উপরে কম কথায় বলবার সুযোগ নিতে ‘বিদেশী স্বার্থ’ বলেছি, এখন ‘বিদেশী স্বার্থ’ কথাটা ভেঙ্গে বলতে হবে। ‘বিদেশী স্বার্থ’ মানে কেবল সুনির্দিষ্ট কোন এক বা একাধিক বিদেশী অপর রাষ্ট্র নয়। সাধারণভাবে বললে, ক্রমশ গ্লোবাল হয়ে উঠা পুঁজির স্বার্থ এটা; বিভিন্ন ক্ষমতাবান রাষ্ট্রের ক্ষমতা ব্যবহার করে, বিশ্বব্যাঙ্ক ও আইএমএফের মত গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য দিয়ে যা প্রকাশিত। তবে মুলত সব ধরণের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, রাষ্ট্রসীমানার উর্ধে গ্লোবাল পুঁজির বিচরণ, অস্তিত্ত্ব - এর এক সাম্রাজ্য বা এমপায়ার। এভাবে সে স্বস্তিবোধ করে; কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা, রাষ্ট্রসীমানাকে সে নিজের বিকাশ আত্মস্ফীতির পক্ষে বড় বাধা মনে করে। নিজের এই গ্লোবাল রাষ্ট্রবিহীন এমপায়ার স্বভাব খাসিলত হওয়ার কারণে আগেকার মত স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র, বিশেষ করে আমাদের মত প্রান্তদেশে কোন শক্তিশালী রাষ্ট্রের সে দেখতে চায় না। নিজ কর্তৃত্ত্বসম্পন্ন কোন রাষ্ট্রের বদলে রাষ্ট্র মানে একটা "গভর্নেস" বা সুশাসন ব্যবস্হা - এই অধপতিত অর্থে আমাদের মত প্রান্তদেশে নামেই এক রাষ্ট্র দেখতে চায় সে; এটাই গ্লোবাল পুঁজির নিজের রাষ্ট্রবিহীন এমপায়ার স্বভাবের সাথে সামজ্ঞস্যপূর্ণ।
ফলে রাষ্ট্রের অর্থ নামিয়ে এনে কেবল একটা ‘গভর্নেস’ বা ‘সুশাসন’ বলে মানে করতে চায় সে। অথচ রাষ্ট্র মানে এক পৌর ব্যবস্থাপনা নয়, মেয়রগিরি নয়। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্ষমতা, কত্বর্ত্ত্ব, স্বাবর্ভৌমত্ত্ব, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি বলে ব্যাপার আছে। যার মধ্যে ‘গভর্নেস’ বা ‘সুশাসন’ ডেলিভারী ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনার মত একটা বিষয় মাত্র।
গ্লোবাল পুঁজি সাম্রাজ্যের এমপায়ার নিজের ইচ্ছা স্বার্থ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের বদলে "গভর্নেস" বা সুশাসন ব্যবস্হার ধারণা পপুলার করতে বাস্তবায়ক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বেছে নিয়েছে গ্লোবাল এনজিও সংগঠনকে। গ্লোবাল পুঁজির এই নীতি সহজেই বুঝা সম্ভব যদি আমরা খতিয়ে দেখি গেল পাঁচ বছরে বাংলাদেশে এনজিওগুলোর নেয়া কর্মসুচিতে কোন খাতে সবচেয়ে বেশি টাকা এসেছে। দেখা যাবে এই খাতের নাম ‘গভর্নেস’ বা ‘সুশাসন’ কর্মসুচি। এই কর্মসূচিতে এদেশে টাকা বিতরণের মূল এজেন্ট সংগঠন হল 'মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন" নামের এনজিও। ওয়েব সাইটে এই সংগঠনের কর্মসূচি তৎপরতার খবর, কারা এর এক্সিকিউটিভ মেম্বার, পরিচালক; ‘গভর্নেস’ বা ‘সুশাসন’ নামে কী তাদের রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা ইত্যাদি - এগুলো জানা যেতে পারে।
এ তো গেল একদিকের কথা, অন্যদিকে আমাদের রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিরক্ষার দশা দেখুন। শান্তিমিশনের নামে অপর মুরুব্বী রাষ্ট্রের ভাড়া খেটে সেই বাহিনী দিয়ে নিজ রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা করব – আমরা এই বকোয়াজীর মধ্যে পড়ে আছি! নিজ রাষ্ট্রের প্রশাসনিক সংস্কার এমনকি রাষ্ট্রের আইন বিভাগের সংস্কারের নামে রাষ্ট্রের কর্ত্বত্ত্ব বিশ্বব্যাঙ্কের হাতে সঁপে দিয়ে এই রাষ্ট্র নিজের বলে দাবি করার মত হাস্যকর এক কারবারে আমরা জড়িয়ে আছি। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বলে দিক থাকে কিন্তু তাই বলে রাষ্ট্র কারখানার মত গ্লোবাল পুঁজির মুনাফা কামানী প্রতিষ্ঠান নয়; রাষ্ট্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র মানেই রাজনৈতিক রাষ্ট্র; একদিকে বাইরের স্বার্থ, হাত থেকে নিজের ক্ষমতা ও কর্ত্বত্ত্ব রক্ষা করা; আবার আভ্যন্তরীণভাবে, স্বার্থ বিরোধ লড়াই মীমাংসার চেষ্টা করা আর এর অমীমাংসেয়তার ফলাফল –এই হল রাষ্ট্র।
সুশীল চিন্তা কাছে, রাষ্ট্র মানে নেহায়েতই গ্লোবাল পুঁজির খেদমতের জন্য লাগসই একটা ‘গভর্নেস’ বা ‘সুশাসন’ ডেলিভারী ব্যবস্থা, যেন এক পৌর ব্যবস্থাপনার মেয়রগিরি। এজন্য সে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক রাষ্ট্র - এই সব অর্থে রাজনীতিবিমুখ এবং গ্লোবাল অর্থনৈতিক অর্ডারের এক বিশ্বস্ত তাঁবেদার।
কাজেই "সুশীল" মানে রাষ্ট্রবিহীন, রাজনৈতিক দলবিহীন গ্লোবাল অর্থনৈতিক অর্ডারের স্বার্থে এক রাজনীতি। বাংলাদেশের আজ অথবা আগামী যে কোন রাষ্ট্রের জন্য যা ক্ষতিকর। এই পুরা ঘটনার প্রতীকি শব্দ হল "সুশীল"। "সুশীল" কোন গালাগালি শব্দ তো নয়ই।
বাংলাদেশের কোন র্যাডিক্যাল রাজনৈতিক চিন্তা, দলই শুধু নয়, আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মত দলবাজ রাজনৈতিক দলকেও "সুশীল" চিন্তা পছন্দ করে না। কারণ দলবাজ, দুর্নীতিগ্রস্হ হলেও শেষ বিচারে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির রাজনৈতিক দল; apolitical সুশীল চিন্তার সাথে সংঘাতের ফোকাস এখানেই।
শেষ কথা:
"সুশীল" নিয়ে এখানে পোষ্ট লিখতে বসার কারণ হলো, পাহাড়ী রাজনৈতিক ইস্যুতে ফজলে এলাহীর এক পোস্টে Click This Link এলাহীর চিন্তাকে আমি "সুশীল" পরামর্শ বলে মন্তব্য করেছিলাম। এটা দেখে ব্লগের কিছু বন্ধু আপত্তি তুলেছে যে আমি এলাহীকে "সুশীল" বলে গালাগালি করেছি। এর জবাব লিখতে গিয়ে আমার মনে হলো, প্রসঙ্গটার গুরুত্ত্ব বিচারে এবং দীর্ঘ জবাব নিজেই একটা আলাদা পোষ্ট হতে পারে। এটাই এই পোষ্টের জন্মসুত্র।
ফজলে এলাহী নিজে "সুশীল" বলার বিরুদ্ধে কোন কিছু প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমার নজরে পড়েনি। ফজলে এলাহীকে আমি একজন মনোযোগী পাঠক, চিন্তা করে এমনই একজন ব্লগার হিসাবেই দেখেছি। ব্যক্তি ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই, প্রশ্নই উঠে না। আমার বিশ্বাস এলাহী বুঝবে তাঁর উপরে "সুশীল" রাজনৈতিক চিন্তার প্রভাব পড়েছে - কেবল এটাই আমার কথার মূল বিষয়। এমনকি এলাহী - CPD, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ষ্টার বা প্রথম আলো মিডিয়া গ্রুপ, সুজন নামের এনজিও ইত্যাদি সুশীলদের প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনভাবে জড়িত কি না সেটাও একেবারেই গৌণ বিষয়। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানে কোনভাবে জড়িত না হওয়া সত্ত্বেও কেউ সৎ সরল বিশ্বাসে সুশীল" রাজনৈতিক চিন্তায় নিজে প্রভাবিত হতে পারে। ফজলে এলাহীর চিন্তা 'সুশীল" রাজনৈতিক চিন্তায় আচ্ছন্ন - এটাই আমার সার কথা।
২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ কিরিটি রায়।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২
শ।মসীর বলেছেন: সুশীল বললে এখন কেন জানি - বাস্তবতাকে পাশ কাটানো, সর্বদা নিজের ব্যক্তিগত ধান্দায় থাকা , নানা মুখরোচক কথা বলে মাতিয়ে রাখা, ব্যক্তিজীবনে সফল বর্তমানে অবসর জীবন কাটানো.......ঝড় বুঝে ছাতা ধরার মত কৌশলী .........একটা শ্রেনীর কথা মনে পড়ে ,যারা খুব ভীষন বাকপটু, কিন্তু গন মানুষ বিচ্ছীন্ন..........কোন ধরনের গন আন্দোলন যাদের দিয়ে সম্ভব নয় ।
আসলে এক কথায় যাদের কথার কোন মূল্যনাই .......।
২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬
পি মুন্সী বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন, গণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতে হলে সক্রিয় রাজনৈতিক চিন্তা চর্চায় গড়া দলের প্রয়োজনের কথা স্বীকার করতে হবে, ভাবতে হবে। নইলে সমর্থনগুলো জড়ো করব কোথায়?
সুশীল চিন্তা ভাবনা এই কারণে নেতিবাচক ও সমাজ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৯
মেরিনার বলেছেন: এরকম আরেকটা শব্দ - শুরুতে ইতিবাচক অর্থবহন করতো, তারপর এক সময় নেতিবাচক হতে হতে গন্ধ ছড়াতে শুরু করলো - এখন আর খুব একটা ব্যবহৃত হতে দেখি না। আপনাদের মনে আছে? শব্দটা হচ্ছে: সংস্কৃতমনা - সময়ের বিবর্তনে যার অর্থ হয়ে দাঁড়িয়েছিল "কলাবতী ..শ্যা"!!
২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
পি মুন্সী বলেছেন: সংস্কৃতমনা বলতে "আধুনিকের" সাথে তুল্য বিচারে মফস্বলের গন্ধ যার গেছে - এমন একটা মানে হত সেকালে। পরে পত্রিকায় পাত্রপাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে ভালই জায়গা পেত। এখন আধুনিকতারই বাজার নাই, সেখানে সংস্কৃতমনারও আর জায়গা কোথায় থাকে।
ধন্যবাদ মেরিনার।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫
মেরিনার বলেছেন: ও একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, তাই আবার ফিরে আসলাম। "বাংলাদেশপন্থী" বাংলাদেশীরা নীচের লেখাটি পড়ে দেখুন:
www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29120379
২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
পি মুন্সী বলেছেন: সময় করে দেখব।
ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯
সুমন রহমান বলেছেন: পি মুন্সী, গ্লোবাল পুঁজির চলাচলকে নির্বিঘ্ন রাখতে সমাজের যে শ্রেণিটি ভূমিকা রাখে, বা ভূমিকা রাখবে বলে ভাবা হয়, তাকে "সুশীল" বলছি আমরা। আপনি লিখেছেন:
"দলবাজীর রাজনৈতিক দল ও এদের দুর্নীতি তাঁর জীবনকে দুর্বিষহ, কষ্টসাধ্য করে তোলার কারণ – কিন্তু উল্টা এই পরিস্থিতিটাকেই সে ব্যবহার করে নিজের রাজনীতিবিমুখতার রাজনীতির পক্ষে থাকার একটা ন্যায্যতা হিসাবে। এটাই সমাজে সুশীল চিন্তা জাগবার মৌলিক দিক।"
এই ভাবনার সঙ্গে আমার দ্বিমত নাই। তবে ভাবছি, বিদ্যমান রাজনীতির যে দুর্বৃত্তায়ন, তাতে মধ্যবিত্তের "রাজনৈতিকতা" এছাড়া আর কিভাবে নির্ধারিত হতে পারত? আওয়ামি লীগ-বিএনপি-জামাতসহ ছোটবড় প্রায় সব রাজনৈতিক দলও কিন্তু সুশীলদের মতই গ্লোবাল পুঁজির পাহারাদার এবং কমিশন এজেন্ট হতে চায়। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, কিংবা ক্ষমতা স্রেফ তাদের কাছে বুলি ছাড়া কিছু নয়। এক/এগার-র পরে কিন্তু এই লাইনের আগাচ্ছে আমাদের গ্লোবাল পুঁজির চলাচল নিশ্চিত রাখার রাজনীতি!
ফলে "সুশীল" শব্দটি এখন নানান তরফে গালি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে দেখছি। কিন্তু প্রায়শই দেখি, এই গালিটা যিনি দিচ্ছেন তার সুস্পষ্ট একটা রাজনৈতিক এফিলিয়েশন থাকে। বিষয়টাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:১৭
পি মুন্সী বলেছেন: আগেই বলেছি মধ্যবিত্তের বিরুদ্ধে কোন ক্ষোভ ঝাড়ার জন্য মধ্যবিত্ত শব্দটা আনিনি। বলেছি দলবাজীর রাজনৈতিক দল ও এদের দুর্নীতি মধ্যবিত্তের জীবনকে দুর্বিষহ, কষ্টসাধ্য করে করার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ দ্রোহ যদি সুশীলদের উস্কানি পায় তবে এটা বিপদজনক। মঈন-ফকুরুদ্দিনরা ক্ষমতা যে ঐশী জায়গা থেকে পেয়ে নাজিল হোক না কেন টিকে থাকতে গেলে ওর সে আভ্যন্তরীণ কোন একটা শ্রেণীর মাস সমর্থন দরকার এটাই জুগিয়েছিল শহুরে মধ্যবিত্ত। কিন্তু মধ্যবিত্তের ঐ ক্ষোভ দ্রোহকে যদি সামাজিক রাজনৈতিকতা তৈরিতে রুপান্তর করে নেয়া যেত তবে ওটাই হয়ে উঠতে পারত শত্রুর বিরুদ্ধে গণমানুষের শক্তি।
মধ্যবিত্তের "রাজনৈতিকতা" বলে আলাদা কিছু আমি ভাগ করে দেখি না। সামগ্রিকভাবে সামাজিক রাজনৈতিকতার মাত্রার সাথে এটা সম্পর্কিত, যেটা সমাজে এখন অনুপস্হিত। এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রথমত দরকার এটা অনুভব করা যে কাজটা রাজনৈতিক, রাজনৈতিক পার্টি গড়ার - কোন সুশীলীয় কারবার নয়। এরপর একটা রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হয়ে সংগঠিত আত্মপ্রকাশ।
দলবাজ চোরা রাজনৈতিক দলের গ্লোবাল পুঁজির পাহারাদার এবং কমিশন এজেন্ট হতে চাওয়ার বাজার ক্রমশ নাই হয়ে যাচ্ছে। এজন্যই সুশীলের দিকে নজর, ‘গভর্নেস’ বা ‘সুশাসন’ এর কর্মসূচিতে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালা।
এক/এগার তে গ্লোবাল পুঁজির রাজনৈতিক লাইন গৃহিত হয়েছিল এখনকারটা সে কাজেরই একটু দম নেবার সময়কাল। এর পরের স্টেজ সাজানো হচ্ছে খুব সম্ভব এরশাদের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে যা বেরিয়ে এসেছে এটা তারই অংশ।
সবচেয়ে ঘোরতর দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক দল বা ওর নেতা সুশীলের বিরোধী হতে বাধ্য। কারণ শেষ বিচারে দুর্নীতিবাজ হলেও ওটা রাজনৈতিক দল। বিপরীতে "সুশীল" দল গড়ার প্রয়োজন দেখে না। ফলে ঐ গালির মধ্যে ইতিবাচক কিছু থাকলে এর সার অংশ দল বনাম দলহীনদের লড়াই। দল বানানোর ঝামেলা কষ্ট বনাম দলহীনের আরাম, এনজিওর টাকা।
এজন্যই রাজনৈতিক এফিলিয়েশন দেখেছেন আপনি। বিদেশীদের লুটের চেয়ে তুলনায় দেশের চোর কিন্তু পেশাদার দক্ষ লোক ভাল। আপনি বিদেশী লুটপাটের চেয়ে পেট্রোবাংলাকে দিয়ে এক্সপ্লোর করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওকে বিনিয়োগ ও টেকনোলজিতে সমৃদ্ধ করার কথা ভাবতে পারেন। এতে এখানেও দুর্নীতির ব্যাপার থাকবে যেটা শক্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাত্রা দিয়ে ক্রমশ ঠিকঠাক করার কথা ভাবতে পারেন। দুনীতি থাকলেও আখিরাতে এর ফল ভাল।
সব জায়গাতেই রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার চর্চা একটা রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হয়ে গড় উঠা একমাত্র সমাধান।
৬| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আবাব বলেছেন: মানুযের মাথা খারাপ হইলে পাগল, আর পাগল এর মাথা খারাপ হইলে বুদ্ধিজীবি(সুশীল)।
২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:২৩
পি মুন্সী বলেছেন: এখনকার বুদ্ধিজীবি দলবাজীতে জিতার প্রয়োজনে দলের নামে জিন্দাবাদ দেয়। আর সুশীলের সে বালাই নাই, সবই বিলাতি।
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
জাতিষ্মর বলেছেন: [ব্লগার রিফাত হাসান] কে ঘাটতে গিয়ে পেয়ে যাওয়া একটা কবিতার টাইটেলকে ইষৎ পরিবর্তিত করে দিলাম
খোদার কসম, এই রোদ্দুরে 'রেডিক্যাল' হতে চাওয়া কাজের কথা নয়। বরং আমরা সুবিধামতো 'সুশীল' থাকি।
২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:২০
পি মুন্সী বলেছেন: ভাল লাগল। ভুলে গিয়েছিলাম এরকম একটা লাইন রিফাত লিখেছিল।
আবার মনে করিয়ে দেয়া ও উপযুক্ত ব্যবহার দেখিয়ে দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জাতিষ্মর।
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৩৮
রাগ ইমন বলেছেন: খোদার কসম, এই রোদ্দুরে 'রেডিক্যাল' হতে চাওয়া কাজের কথা নয়। বরং আমরা সুবিধামতো 'সুশীল' থাকি। ---- দুর্দান্ত !
২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:১১
পি মুন্সী বলেছেন: তাহলে আর কী কোথায় কী প্রসঙ্গে রিফাত কবিতাটা লিখেছিল দেখে আসতে পারেন।
৯| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৫৩
রাগ ইমন বলেছেন: প্রশ্নটা সামান্য অপ্রাসঙ্গিক ঠেকতে পারে, তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।
বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশের তরুণ সমাজ , যারা কিছু বিশেষ নেতার প্রেমে অন্ধ নয় আবার বর্তমানের নেতৃত্বের সীমাহীন " বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে যায় এমন " সিদ্ধান্তগ্রহনকারী লোভী ও দেশদ্রোহী মনভাবের লেজুড় বনতে চায় না; এই ভাসমান ভোটাররা ভীষণ রকম সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে । আমিও একজন। আমি ভোট দেওয়ার লোক খুঁজে পাই না । ফেরেস্তা দরকার নাই, অন্তত টাকা পয়সা ভিতর থেকে মেরে বাইরে পাঠায় না বরং উল্টটা করে , এমন মানুষও দেখি না।
তো এই পরিস্থিতিতে, এই যে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় আরোহনে ভাগ্যনির্ধারনকারী তরুণ ভোটার সমাজ- এরা যদি আজ রাজনীতির অঙ্গনকে বদলাতে চায়, আপনার কি মনে হয় কোন পথে আগানো উচিত?
আমি জানি আপনি বাংলাদেশের ভিতরের ও বাহিরের সব কয়টা অনুকূল ও প্রতিকূল শক্তিকে বিবেচনায় রেখে উত্তরটা দিতে সক্ষম , তাই জিজ্ঞাসা,
১। কোন প্রতিষ্ঠিত দলে যোগ দিয়ে দলকে ভেতর থেকে বদলানোর চেষ্টা ?
২। তৃতীয় কোন দল গড়ার চেষ্টা ?
৩। নিজ নিজ এলাকায় ( ধরুন ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ এলাকা) স্বতন্ত্র প্রার্থী বা নেতৃত্ব তৈরীতে মনযোগ দেওয়া? ( শুরুতে দল নাই থাকলো)
আমার বয়সের কাছাকাছি এখন অনেক মানুষ বাংলাদেশে আছে যারা অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা শেষ করেছেন। উপার্জন করছেন বা খাওয়া পরার জন্য রাজনীতির উপর নির্ভরশীল না হলেও চলবে । রাজনৈতিক ভাবে সচেতন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন চান । বাংলাদেশের সমস্যা গুলোর সমাধানে যেই " আপ টু ডেট" শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান দরকার , তা তাদের আছে । এখন দরকার শুধু কাজে লাগানোর পথ। এই অযুত সম্ভাবনাকে কি ভাবে কাজে লাগানো যায়, তার জন্য এই প্রশ্নের উদ্ভব।
২৭ শে মার্চ, ২০১০ রাত ২:০০
পি মুন্সী বলেছেন: আপনার জবাব এড়িয়ে যাইনি। শক্ত জবাব নরম ও সহজ করে হাজির করার চেষ্টা করছি, একটু সময় চেয়ে নিচ্ছি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:১৫
পি মুন্সী বলেছেন: ১। কোন প্রতিষ্ঠিত দলে যোগ দিয়ে দলকে ভেতর থেকে বদলানোর চেষ্টা ?
না এটা করার কোন কারণ নাই। ভষ্মে ঘি ঢালা হবে সেটা। আর
দলে সংগঠিত হওয়া বলতে আমি বর্তমানের আ. লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা জামাত এগুলো বুঝাইনি। নতুন রাজনৈতিক চিন্তায় গড়ে উঠা কিছুকে বুঝিয়েছি।
২। তৃতীয় কোন দল গড়ার চেষ্টা ?
সেই অর্থ তৃতীয় দল গড়া বটে।
তবে, আমি মনে করি দল গড়ার আগে কিছু কথা আছে। আমাদের বড় সমস্যা নতুন দল গড়া বা পুরানো দল নয়। মুল সমস্যা হলো, ঐ ঈষ্পিত দলের রাজনীতি কী হবে, কেমন হবে, কেনই বা সফল হবে সেই রাজনীতিটাই আগে ঠিক করা। চিন্তায় স্বচ্ছ একটা রাজনৈতিক দাঁড় করানোর কাজটা আগের। এটা করার জন্য একটা গ্রুপ দিয়ে শুরু করা।
দল বা সংগঠন বলতে আমরা যা বুঝি তা এধরণের সিরিয়াস রাজনৈতিক চিন্তা সমাজে থাকুক আর নাই থাকুক এটা জনগণ তাদের ডে টু ডে নানান সমস্যায় পরে তৈরি করতেই থাকবে। কিন্তু কী করলে সে মুক্তি পাবে সে জানে না। ফলে শুরুতে আমরা উদ্যোগ নিয়ে সংগঠিত করি আর নাই করি সমাজে বহু প্রতিবাদী সংগঠন হয়েছে, আরও হবে, হতে থাকবে। কিন্তু বারবার মার খাবে, যদিও তা আবার সংগঠিত হওয়া বন্ধ হবে না। এমনকি ওটা আমরা কিছু সৎ লোকেরা সংগঠিত করতে গেলেও একই ঘটনাই হবে।
মুল বিষয়টা হলো, একটা স্বচ্ছ রাজনৈতিক চিন্তা, সক্রিয় চর্চার ভিতর দিয়ে একটা নতুন রাজনীতি হাজির করা। এটা হাজির করতে পারলেই বা হাজির হলে তবেই ঐ প্রতিবাদগুলো কার্যকর পরিবর্তন আনার জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এই নতুন চিন্তার একটা বিশেষ লক্ষণ হলো, সমাজের উপস্হিত চিন্তাগুলোকে সে পরাজিত করতে পারবে। নতুন চিন্তা পোরানো সব চিন্তাকে চিন্তায় শাসন করতে পারতে সক্ষম হতে হবে। শেষ বিচারে সমাজকে রুল করে একটা অগ্রসর চিন্তা, যে চিন্তা অন্য পুরানো সব চিন্তাকে নাকচ করতে পারে, শাসক চিন্তা হবার সব গুণ তাকে অর্জন করে দেখাতে হয়। নতুন চিন্তার শাসন কায়েম হলে বাকী থাকে ঐ নতুন পক্ষে বলপ্রয়োগের দিকটা।
সক্ষম শাসক চিন্তার পক্ষে আগেই হয়ে থাকা নানান সংগঠন দাড়িয়ে যাওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ ঐ নতুন চিন্তাটা নানান সামাজিক সংগঠনকে সমাধানটা কী এই আলো হয়ে হাজির হয়। ফলে সেই নতুন চিন্তা ঐ সংগঠনের চিন্তা, রাজনীতি হয়ে দাড়ায়।
তাহলে ভাগ করে বললে, চিন্তা দাঁড় করানোর প্রথম কাজটা এই সক্রিয় সিরিয়াস রাজনৈতিক গ্রুপ হিসাবে শুরু হতে পারে। চিন্তা বা রাজনীতির রূপটা চর্চায় স্বচ্ছ হয়ে দাড়িয়ে গেলে এরপরের কাজ ওর স্বপক্ষে গণসমর্থন সামিল করানো। এটাকেই আমরা সংগঠন গড়া বলতে বুঝি। তবে বুঝতেই পারছেন, একটা স্বচ্ছ রাজনীতি দাঁড় করানোর কাজটা আগে।
আপনার প্রশ্নটা পুরানো রাজনীতি একটা আছে এটা ধরে নিয়ে একটা সংসদ নির্বাচনের "ভাল"আমাদের সমস্যা ভাল লোকের চেয়ে নতুন সক্ষম রাজনীতি হাজির করার। সমস্যাটা ভাল এথিকসের নয়, ভাল স্বচ্ছ নতুন রাজনীতির।
১০| ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৫৩
সুমন রহমান বলেছেন: "এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রথমত দরকার এটা অনুভব করা যে কাজটা রাজনৈতিক, রাজনৈতিক পার্টি গড়ার - কোন সুশীলীয় কারবার নয়। এরপর একটা রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হয়ে সংগঠিত আত্মপ্রকাশ।"
-- শ্রেণিগত সুবিধাবাদিতার কারণেই মধ্যবিত্ত এটা না অনুভব করতে বাধ্য। আমি পার্টি গড়ার প্রসঙ্গে বলছি। পার্টি না-গড়েও একটা রাজনৈতিক গোষ্ঠী হয়ে আত্মপ্রকাশ করার প্রণোদনা থেকেই বোধ হয় "সুশীল সমাজ" নামক বায়বীয় সংগঠনের আবির্ভাব। গোড়া থেকেই এই সমাজের বাউন্ডারি এত ফ্লুইড যে, যে কোনো মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মানুষই চাইলে নিজেকে এই গোষ্ঠীর বলে ভেবে নিতে পারে। মূলত এটাই ছিল সুশীল সমাজের গজিয়ে ওঠার প্রেরণা।
"বিদেশীদের লুটের চেয়ে তুলনায় দেশের চোর কিন্তু পেশাদার দক্ষ লোক ভাল। "
-- একমত। এখান থেকে বোধ হয় মধ্যবিত্তের রাজনৈতিক বিবমিষাকে মোকাবেলা করা যায়।
২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:১৯
পি মুন্সী বলেছেন: তবু আমি মনে করি মধ্যবিত্ত মুল সমস্যা নয়। মুল সমস্যা সময় মত সুশীল সমাজের রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি নাই। আমাদের রাজনৈতিক চিন্তায় আমরা সবল সংগঠিত নই। চ্যালেঞ্জ করতে পারলে সুশীল সমাজকে মধ্যবিত্ত থেকে দূরে রাখা সম্ভব হত, ক্লাস এলায়েন্সটা ঘটত না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কাছে থেকে দেখেছি ১/১১ এর ক্ষমতা দখলে কোর অফিসার ছাড়া রাঙ্কফাইলের কেউ আগ্রহী ছিল না। কিন্তু একবার মাঠে নামিয়ে দেবার পর যখন ফালু লালুদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স দেখিয়ে প্রচারে যাওয়া হলো তখন একজন স্বল্প সীমাবদ্ধ বেতনের মধ্যবিত্ত মেজরের মনে প্রশ্ন আসলো, ফালুর ১০০ কোটি টাকা থাকলে আমার নাই কেন? এই শ্রেণী ঘৃণা বাস্তব, জাগাটাও সঠিক। এই মধ্যবিত্ত (ঈর্ষা)বোধকে আপনি আমি কী বলে মিথ্যা প্রমাণ করব? কিন্তু এটা শেষ কথা নয়, একমাত্র বাস্তবতা নয়, শেষ উপলব্দিও নয়।
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩০
জিপিএস বলেছেন: সুশীল সমাজের হেজিপেচি থেকে হোমরাচোমরা বেবাকতে সেকুলার মধ্যবিত্ত থেকে আসল কেন? এটারও তো একটা ব্যাখ্যা থাকন দারকার।
২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৩
পি মুন্সী বলেছেন: কথা সত্য। তবে আমার প্রসঙ্গ সীমার বাইরে চলে যেতে হবে।
ধন্যবাদ জিপিএস।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৪৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই আমার মত গোমূর্খের জন্য কঠিন হয়ে যায়। একাধিকবার পড়তে হবে।
২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০২
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ তায়েফ আহমাদ, সময় নিয়ে পড়েন। তবে কঠিন অংশটা উল্লেখ করলে আরও বিস্তারিত করার চেষ্টা করব।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ২:৫৬
মুনশিয়ানা বলেছেন: জাতিষ্মর বলেছেন: [ব্লগার রিফাত হাসান] কে ঘাটতে গিয়ে পেয়ে যাওয়া একটা কবিতার টাইটেলকে ইষৎ পরিবর্তিত করে দিলাম
খোদার কসম, এই রোদ্দুরে 'রেডিক্যাল' হতে চাওয়া কাজের কথা নয়। বরং আমরা সুবিধামতো 'সুশীল' থাকি।
আহা রিফাত হাসান...
২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০০
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ মুনশিয়ানা। তবে ফাঁকি মারলেন।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:১৮
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: প্রিয়তে
২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০০
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ মানিক।
১৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:০৪
ঘোর-কলিযুগ বলেছেন: ''সুশীলতা'' চর্চার জন্য একটা শক্ত অর্থনীতিক বুনিয়াদ যে বিগত কয়েক দশকে গড়ে উঠছে সেই দিকে বিশেষ যান নাই। ফলে এই শ্রেণীর শিকড় হাটু কোমর কোথায় কিভাবে কাজ করে সেটার হদিস আসে নাই। অন্যপক্ষে অভ্যন্তরীণ পার্টি(রাষ্ট্র) ক্ষমতার ভিতর দিয়ে অর্জিত, নিশ্চিত অর্থনীতিক বুনিয়াদের হেরফেরটাও আলোচনায় গর হাজির।
ফল দাঁড়াইছে, 'মধ্যবিত্ত' পদের মধ্যে সব কিম্ভূতকিমাকার হইয়া গেছে। সুশীল মধ্যবিত্ত আর শাসকশ্রেণীর আহাল-মধ্যবিত্তের মধ্যে একটা স্বার্থ ও সম্পর্কগত ভিন্নতা আছে। সময়ে সেটা বিরোধ পর্যন্ত গড়ায়...। সেটারে এক কইরা ফেললে কনক্রিট পাওয়ার ব্যালেন্সটা আর অনেকেই ধরতে পারেন না। নজির @সুমন রহমান। তখন মুখস্ত বুলি আর পেটি মরালিটির অধিক কিছু পাওয়া যায় না।
২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৪২
পি মুন্সী বলেছেন: আমার প্রসঙ্গ মধ্যবিত্তের ব্যবচ্ছেদ নয়, তাই এত গভীরে যাই নি।
১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩৪
জাতেমাতাল বলেছেন: একটা সমাজে সবাই একই মাত্রার রাজনীতি সচেতন হবে না, কথাটা আপনিও মানেন... ফলে সমাজ নিয়ে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করে এমন কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠি যদি রাজনৈতিক পার্টি বিমুখ হয়েই যান, তবে তা সমাজের জন্য কেন ক্ষতিকর হবে? রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না হয়েও সমাজ প্রগতিতে অবদান রাখা কি অসম্ভব?
এক্ষেত্রে উদাহরন হিসাবে আনু মোহাম্মদের নাম যদি তুলতে চাই, যতদুর জানি তিনিও সচেতন সক্রিয় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন, এক্ষেত্রে তাকেও কি আপনি সুশীল বলবেন?
কোন একটা সমাজে বিপ্লবী পরিস্থিতি যেখানে বিরাজ করছে না, সক্রিয় ভাবে জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল দলও যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে সমাজের সচেতন বুদ্ধিজীবিদের একটা অংশ সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে কি দাঁড়াতে পারে না। হোক না সেটা একটা নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের সদিচ্ছায়। বাংলাদেশের মত সমাজে তার কি কোন পজেটিভ ভুমিকা নাই?
২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৩৪
পি মুন্সী বলেছেন: আপনার কী মনে হয় আনু মুহাম্মদ সুশীল?
সুশীলরা রাজনৈতিক দল করে না। তাই বলে দল করে না এমন ব্যক্তি মাত্রই সুশীল নয়। আপনি কথা উল্টা করে ফেলেছেন।
রবীন্দ্রনাথ আর ছাগলের দুজনের দাড়ি আছে। এখন রবীন্দ্রনাথ মানে ছাগল তা তো নয়।
সুশীলরা বাইরের স্বার্থের সাথে স্হানীয় মধ্যবিত্তের শ্রেণী এলায়েন্স গড়ার এজেন্ট হয়েছিল - এই হল সারকথা। এজেন্ট হয়ে উঠার জন্য সুশীলরা সব সময় পোটেনশিয়াল হয়ে থাকছে। ফলে আগামীতেই হতে পারে।
১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৫২
হুমায়ুন_কবির_হাকিম বলেছেন: আমি তেমন কিছু বুঝলাম না, তবে পড়তে থাকি। অভ্যাস হয়ে গেলে মন্তব্য করার চেষ্টা করব। বড় লেখকের লেখা একেকবার একেক অর্থ চলে আসে। ভাল বুঝতে পারি না।
২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৪৭
পি মুন্সী বলেছেন: আপনি যদি কষ্ট করে কঠিন লাগা অংশটা আপনার প্রশ্নসহ আমাকে পাঠান তবে আরও ব্যাখ্যা করে ঐ অংশ আবার লেখার চেষ্টা নিতে পারি।
১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:১৪
সায়েম মুন বলেছেন: কি বড় পোষ্ট! ধীরে সুস্হে পড়তে হবে!
২৬ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:০৪
পি মুন্সী বলেছেন: পড়েন, ধীরে সুস্হে হলেও পড়েন। প্রতিক্রিয়া জানায়েন।
১৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৩
রাগ ইমন বলেছেন: আপনার উত্তরের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
প্রচলিত রাজনীতিতে অংশ গ্রহন বলতে আমি অবশ্য কেবল রাজনৈতিক নেট ওয়ার্ক্টাকে কাজে লাগানোর কথা বলেছিলাম। আপনি যেই সচেতনতার কথা বললেন, কিংবা আমিও যার বর্ননা দিলাম , তার সীমানা আমার মনে হয় শিক্ষিত এবং চিন্তাশীল ভোটাদের পর্যন্ত। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো আবেগ তাড়িত ভোটের সংখ্যা কম নয়। মার্কা দেখে ভোট দেয় বলতে যা বুঝি আর কি।
তারপরেও, আপনার পরামর্শ মাথায় রাখছি । ফ্লোটিং ভোট যোগ্য নেতৃত্বের খোঁজে আছে , এইটা বুঝলেও হয়ত পরিবর্তন আসতে পারে।
নতুন রাজনীতির যে ধারা তৈরী করার কথা বললেন, এইটা আমি দুই পরিস্থিতিতেই অবশ্যম্ভাবী ধরে নিয়েছিলাম। আমরা পুরনো নেট ওয়ার্ক ব্যবহার করি আর নতুন নেট ওয়ার্কজ তোইরী করি না কেন , আসল উদ্দেশ্য হলো , প্রচলিত রাজনীতি বদলে জনমুখী , কল্যানমুখী রাজনীতি চালু করা । সবচেয়ে বড় কথা , যেই দলই সরকারে থাকুক, পলিসি মেকিং পদ্ধতিতে জনগণের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৭
পি মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ রাগ ইমন।
যেই দলই সরকারে থাকুক, পলিসি মেকিং পদ্ধতিতে জনগণের "প্রতিনিধিত্ত্ব" ওতে নিশ্চিত থাকতে হবে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে দলও ভিন্ন বৈশিষ্টের হবে।
উপরের বাক্যটা মূলত আপনার হলেও কিছু শব্দে আমি একে ভিন্ন করে সাজিয়েছে। একটু দেখবেন এতে, আপনার চোখে নতুন কোন মানে ধরা পরে কী না।
২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
এতো অনেক আগের পোস্ট !
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০
কিরিটি রায় বলেছেন: জয় গুরু জয় গুরু...
নমস্কার।
দারুন। প্রিয়তে...