নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখা এসে ভর করলেই কি তবে লেখা হয়?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮



অহরহ এমন হয় যে খুব লিখতে চাচ্ছি, কিন্তু কোনো লেখা আসছে না। কি নিয়ে লিখবো, কিভাবে শুরু করবো, ভাবতে ভাবতেই পার হয়ে যাচ্ছে প্রহর, দিনের পর দিন। এটাকেই বোধহয় রাইটার্স ব্লক বলে। আবার অনেক সময় এমন হয় যে কোনো একটা লেখা শুরু করলাম কিন্তু কিছুটা লেখার পর আর কোনোভাবেই শেষ করা হয়ে ওঠে না। তখন ‘সহজ কথা লিখতে আমায় কহ যে/সহজ কথা যায় না লেখা সহজে’র প্যাচ নিয়ে শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসে পথ আটকে দেন। এ রকম অসংখ্য লেখার ভ্রুণ শেষ পর্যন্ত আর পূর্ণতা পায়নি। হিমঘরে থাকতে থাকতে একসময় তা অ্যাবর্শন করে ফেলে দিতে হয়েছে। কদাচিৎ এমন হয়েছে যে হিমঘর থেকে কোনো লেখার ভ্রুণ নতুন করে জন্ম নিতে পেরেছে!

এর বাইরে মাঝে মধ্যে লেখা এসে ভর করে। কোত্থেকে কি হয় বলা যাবে না কিন্তু একটা ঘোরের মত ব্যাপার হয়। তখন লেখার জন্য বিশেষ কোনো টপিকের প্রয়োজন হয় না। কি দিয়ে শুরু করবো; তা নিয়ে কালক্ষেপন হয় না। হয়তো অফিস ফিরতি রাস্তায় ড্রাইভ করছি, পেছন থেকে অনর্গল হর্নের শব্দ, পাশে রিকশার টুংটাং, পথচলতি মানুষের ক্যাওয়াজ, অবধারিত জ্যাম, কিছুই আমাকে ছুঁতে পারছে না, আমি মাথার মধ্যে লাইনের পর লাইন বুনে যাচ্ছি... অথবা রাতে ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে থাকতে চোখ ব্যথা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঘুম আসছে না। কারণ ওই একই, মাথার মধ্যে লেখারা এসে ভর করে আছে। সে লেখা বের না হওয়া পর্যন্ত এই চক্র শেষ হয় না, ঘুমও আসে না। হয়তো এমনও হয়েছে যে সে অবস্থায় ঘরের আলো জ্বেলে নতুন করে কম্পিউটার অন করে সে লেখা শেষ করে তবেই ঘুমুতে পেরেছি।

কিন্তু সবার এমন হয় না, আমি নিশ্চিত। যেমন আমার একজন প্রিয় ব্লগার রাজীব নুর। তিনি শক্তিমান লেখক, চাইলেই লিখতে পারেন। যখন ইচ্ছে তখন। প্রায়ই আমি অবাক হয়ে ভাবি যে এত লেখার সময় তিনি পান কিভাবে? যেখানে সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও এক মাসে আমার পোস্ট হয় মোটে ৮টা সেখানে রাজীব নুরের গড় লেখার পরিমাণই দিনপ্রতি ১.৫টি।

আমি রাজীব নুরের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিতে চেষ্টা করি। কারণ অভিজ্ঞতা খুবই মূল্যবান। তাছাড়া সৃজনশীলতার জগতে গুরুর কাছে শিক্ষা নেবার নজীর বিরল নয়। ফরাসী লেখক গুস্তাভ ফ্লবেয়রের কাছে ছোটগল্পের রাজা মোপাসাঁর লিখতে শেখার গল্পটা সর্বজনবিদিত। সে শিক্ষা আর আপন প্রতিভাবলে মোপাসাঁ হয়ে উঠেছিলেন ফরাসী সাহিত্যের সবচেয়ে নিপুণ গদ্য লেখক।

অবশ্য আমার ক্ষেত্রে রাজীব নুরের অভিজ্ঞতা কোনো কাজে আসছে না। প্রতিভার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অথবা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সৃজনশীল লেখালেখির বিষয়ে যা বলেছিলেন, আমার ক্ষেত্রে হয়তো সেটাই কাজ করে। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে তিনি লিখেছিলেন- কোনো লেখক থেকে অনুপ্রেরণা পেলেও তাঁকে অনুসরণ করা যাবে না। অনুকরণ তো নয়ই। অনুসরণ কখনো মূলকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।

আমার মত আরও যারা আছেন, কম লিখতে পারেন, তাদের করণীয় সম্পর্কে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ওই লেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক রোনাল্ড সুকেনিক এর বরাতে লিখেছিলেন- প্রথম কথা, যদি লিখতে চাও, পড়তে হবে। দ্বিতীয় কথা, যদি লিখতে চাও, জীবনটাকে জানতে হবে। আর তৃতীয় কথা, লেখালেখির নিয়মগুলো প্রথমে নিজের মতো আয়ত্ত করে নিয়ে পরে প্রয়োজনমত ভাঙতে হবে। এরপর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম যোগ করেছিলেন, চতুর্থ একটি কথা হতে পারে, কোনো লেখক থেকে অনুপ্রেরণা পেলেও তাঁকে অনুসরণ করা যাবে না। অনুকরণ তো নয়ই। অনুসরণ কখনো মূলকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। সুকেনিক মাথা নেড়ে তাতে সম্মতি জানিয়েছিলেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষাবসর কাটাতে যে কর্মতালিকা তৈরী করেছিলেন, তা দিয়ে লিখেছিলেন ‘বর্ষাযাপন’ কবিতা। সোনার তরী কাব্যের এ কবিতায় দেখা যায়, কবি বর্ষাবন্দী কলকাতা শহরে জানালা পথে পাশের দালানগুলোকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন, বিজলী চমক, বৃষ্টি-পতন দেখে আকাশ-পাতাল ভাবছেন, নিঃসঙ্গতা কাটাবার জন্য খুলে বসছেন কালিদাসের ‘মেঘদূত’, গোবিন্দদাসের পদাবলী খুলে পড়ছেন বর্ষা অভিষার- বিহব্বল হচ্ছেন একাকীনি রাধার বেদনায়, পড়ছেন গীতগোবিন্দ। তাই লেখার জন্য প্রচুর পড়ার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণও অতীব জরুরী।

লেখা সম্পাদনাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপির মধ্যেই সম্পাদনার বহু চি‎‎হ্ন দেখা গেছে। সৈয়দ শামসুল হকও গল্পের কয়েকটি খসড়া করতেন বলে জানা যায়। তাঁর বিখ্যাত কাব্যনাটকের সবগুলোই তৃতীয়বারের লেখা। একইভাবে কবিতাও সম্পাদনা করতেন অসংখ্যবার। পৃথিবীর খ্যাতিমান সব লেখকের জীবনের ঘটনাগুলোই কমবেশি এরকম। সম্পাদনা লেখালেখিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাশ্চাত্যের প্রকাশকরা পেশাদার সম্পাদকদের মাধ্যমে সম্পাদনা ছাড়া কোন লেখা প্রকাশ করেন না। তা সে নোবেলজয়ী লেখকই হন না কেনো।

লেখার জন্য প্রয়োজন গবেষণাও। আপনি যদি পুরোনো প্রেক্ষাপটের কোনো গল্প লিখতে চান তাহলে সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিত, সামাজিক অবস্থা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তা না হলে লেখার মেরিট কমে যায়। প্রচলিত আছে যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসটি লেখার জন্য বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বহু বছর ঘুরেছেন, লোকজনের সাথে মিশে সেখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছেন।

এত কিছুর পরও দেখবেন মাঝে মধ্যে লেখার মুড চলে যাবে, প্রথমেই যেটা বলেছি। এ সময় লেখা আমাদের সাথে অগণতান্ত্রিক সরকারের মত বিমাতাসুলভ ব্যবহার করতে থাকে। কোনোভাবেই আয়ত্বে আসতে চায় না। এটা নতুন কিছু নয়, পৃথিবীর তাবড় তাবড় লেখকরাও এরকম সময় পার করেছেন। শুধু লেখক কেনো, খেলোয়াড়, গায়ক, অভিনেতা, সবাইকেই এ অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এ সময় একজন সত্যিকার যোদ্ধা অবশ্যই মাঠ ছেড়ে যায় না, বরং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আবার ফর্মে ফেরত আসে। আমাদের মুশফিক এর এক সত্যিকারের উদাহরণ। গতকালও ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। এ রকম কঠিন সময়ে তাই লেখকদেরও লেখার টেবিলে ঝুলে থাকতেই হবে।

এখন লেখা এসে ভর করুক বা না করুক, লেখা চালিয়ে যেতেই হবে। আর এর মধ্য দিয়েই হয়তো আমিও রাজীব নুর হতে পারবো একদিন।

উৎসর্গ: ব্লগার রাজীব নুর
কিছুটা কৃতজ্ঞতা: মুহাম্মাদ মিনহাজ, টেক অ্যালার্মবিডি

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি নিজেই মহাকাব্য লিখে ফেললেন আর বলছেন লিখতে পারেন না তা কি করে হয়?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: ওই যে মাঝে মধ্যে লেখা এসে ভর করে....

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি লিখতে থাকুন, চোখে যা দেখেন তাই লিখতে থাকুন। সমস্যা হলো আমি লিখার মত চোখে কিছু দেখিনা তাই লিখতে পারিনা। আপনি পারবেন, আপনি পীর ধরেছেন। পীর না ধরলে নাকি কেউ মাওলা হাসিল করতে পারেনা। সাহিত্যের বেলায়ও ঠিক তাই, হয়ত।
শুভ কামনা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: পীর ধরার কথা আমি শুরু করিনি, মোপাসাঁ শুরু করেছিলেন। :-B এখন মহাত্মা মোপাসাঁর হইলে আমরো হইতে পারে বটে!

ভাই আপনার নামের শেষে ব্রাকেটবন্দীব্রাকেটবন্দী শব্দযুগল শব্দযুগল নিয়ে আমার একটা লেখায় কিছু প্রশ্ন ছিলো... দেখেছিলেন কি?

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কখন কি ভাবে হায়লাইট হয়ে গেছেন নিজেও বুঝবে না
চমৎকার লেখেছেন রাজীব দা------------

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: :-B

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার লেখা হলো সস্তা টাইপ লেখা। মূল্যহীণ।
তবে এটা সত্য আমার লেখার বিষয়ের অভাব নেই। এখন ৭ টা লেখা লিখে রেখেছি। আপাতত ড্রাফট হিসেবে আছে।

আমার জীবনে আনন্দ বলতে লেখা এবং পড়া। সবচেয়ে বড় কথা আমার লেখা লেখালেখির মান বিচারে যাই হোক, আমি নিজেই লিখে আনন্দ পাই। এই আনন্দ আমার আকছে অনেক বড়।
স্যার সৈয়দ নজরুল ইসলাম গুনী ও জ্ঞানী লোক।

আপনি অল্প লিখলেও ভালো লিখেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২২

পদ্মপুকুর বলেছেন: চাকুরির প্রস্তুতিপর্বে আমরা ক্যাম্পাসের কয়েকজন ফ্রেন্ড ইংলিশ স্পিকিং শিখতে গিয়েছিলাম। ওখানে এক ফ্রেন্ড ছিলো রুবেল নামে। স্পিকিং শেখার একটা কমন মেথড হলো বেশি বেশি বলতে হবে, ভুলভাল, সস্তা-দামী যাই হোক না কেনো।

কিন্তু রুবেলের থিওরি ছিলো- আমি সস্তা বাক্য বলবো না, বললেই দামী কথা বলবো..... আর আমার থিওরি ছিলো, বলতেই থাকবো, সস্তা হোক, ভূল হোক, যখন যা মনে আসে। দিনশেষে এখন যেটা হয়েছে যে আমি এখন ফ্লুয়েন্টলি ইংলিশ বলতে পারি, আর রুবেল এখনও আগের মতই আছে... তবে ও এখন বাংলাদেশ কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার আর আমি....

সুতরাং সস্তা টাইপ, মূল্যহীন ভাবার কোনো কারণ নেই স্যার।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। আমি লেখক না তাই আমার কোনো রাইটার ব্লক নাই হাহাহাহা। তবে রাজীব ভাইয়ার লেখা আমারও খুব পছন্দ। উনি প্রচুর লিখতে পারেন। এবং আপনিও লিখে ফেলেছেন। আপনার লেখা ভালো লাগে। প্লিজ চেষ্টা করবেন নিয়মিত লিখতে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার লেখা ভালো লাগে, কি বললেন এটা, এ মণিহার আমায় নাহি সাজে/এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে..

ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য।
শুভ ব্লগিং।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। আর যেটা বলেছি, সেটা আমি বিশ্বাস করি বলেই বলেছি।

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রাজীব নুর ভাইয়ের বই কি এবারের বইমেলায় এসেছে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: যদ্দুর জানি, এবার তাঁর বই আসেনি।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

প্রিয় পদ্মপুকুর ,
আপনি বরং কবিতা লেখা শুরু করুন !! :)
মজা করলাম আরকি।
আপনার প্রতিটা লেখা অনেক ভালো। মাঝে মাঝে ভাবি , আপনি খুব সহজে অনেক গভীর লেখা লিখে ফেলেন কিভাবে ?
এই পোস্টটা কিন্তু উদাহরণ হতে পারে।

ব্লগার রাজীব নূর ভাই হচ্ছেন অনন্য প্রতিভা। ওনার লেখা চলতেই থাকে। ছোট ছোট অনুভূতি গুলো যেন চলমান গল্পের কথা বলে। কোন ক্লান্তি নেই। কি সহজ সরল উপস্থাপন !

ভালো থাকবেন আপনারা। অনেক শুভকামনা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: অগত্যা কবিতাই লিখতে হবে.....
গত বছরের বইমেলাতে 'লেখক বলছেন' এ রকম নামের একটা প্রোগ্রামে সলিমুল্লাহ খান বলছিলেন, (কিছুটা রসিকতা করে) আমি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম, পারিনি, তারপর গদ্যকার হতে চেয়েছিলাম, পারিনি এখন ভাবছি গল্পকার হবো....
আমিও 'লেখা এসে ভর না করলে' অগত্যা কবিতাই ট্রাই করতে হবে :-B

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২

শের শায়রী বলেছেন: আমি নিজেও কিছু লিখতে শিখি নি, এখনো যে শিখেছি তাও না, এই যেমন আপনার এই লেখাটা দেখে এক ধরনের ঈর্ষা কাজ করছে, কি দারুন লিখছেন! আমি কেন পারি না, আমি যা করি তা হল জোড়া তালি দিয়ে একটা কিছু দাড়া করা, এগুলো লেখা বলা যায় না।

আহ যদি লিখতে পারতাম আপনাদের মত। সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না, আমাকে দিয়ে না হয় লেখা লেখি না হল।

দারুন লেখা। আপনি আসলেই দারুন লেখেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আহা হা, এই প্রশংসাগুলো মাস কয়েক আগে পেলেতো এবারে মেলায় একটা বই বের করেই ফেলতাম!! B:-)
এই জাতি বুঝলো না যে সে কি হারালো.. :P B-)

আপনাকে আমি নিজেই হিংসে করি, আপনি আসছেন উল্টা গল্প নিয়ে। আপনার নাম্বার পেয়েছি। খুব শীঘ্রই আমি আপনাকে ফোন দেবো। আর চিটাগাংয়ে নয়, আমি ঢাকাতে থাকি।

ধন্যবাদ, শুভ ব্লগিং।

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পারিবারিক শিক্ষা থেকেই
একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে।
যে পরিবারে বড়দের সম্মান ও ছোটদের
স্নেহ এবং গুনীদের শ্রদ্ধা করেনা তারা
পরিবার থেকেই সে শিক্ষা পায় নি।
আপনাকে ধন্যবাদ গুনীদের সম্মান
জানানোর জন্য। রাজীব নূর খান একজন
গুনী মানুষ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: গুণী এবং সহনশীল মানুষ।

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: রাজিব নূর ভাইর ব্যাপারটা আমারো অবাক লাগে। একটা মানুষের পড়ার প্রতি লেখার প্রতি কতটা নেশা থাকলে এতটা লিখতে এবং পড়তে পারে সে সংজ্ঞা আমারো জানা নেই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: রাজীব নুর আমাকে বলেছেন যে তিনি বাসে চলতে চলতে মোবাইল ফোনে লেখেন!!!! অথচ আমি মোবাইল ফোনে ব্লগই পড়তে পারি না...

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি যে লিংক দিয়েছেন সে লিংকের আর্টিকেলে আমার ব্যাপারে যে আলোকপাত করেছেন তা সত্য। ধন্যবাদ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি ইদানিং একটু অনিয়মিত। পরিচিত ব্লগারদের না দেখলে কিছুটা অস্থির লাগে।

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার। আর যেটা বলেছি, সেটা আমি বিশ্বাস করি বলেই বলেছি।

বিশ্বাসে অনড় থাকবেন আশা করি।
সাধারনত হয় কি- সময়ের সাথে সাথে মানুষের বিশ্বাস উঠা নামা করে।
সব কিছুরই পরিবর্তন হয়, এমনকি বিশ্বাসেরও।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রমাণিত ইকোয়েশনের বিজ্ঞানই পাল্টে যায় সময়ের সাথে, আর বিশ্বাসতো এমনিতেই টালমাটাল বস্তু... :D

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা কথা,
কথায় আছে, গাইতে গাইতে গায়েন
তেমনি হয়তো একদিন লিখতে লিখতে লেখক হওয়া সম্ভব।

কাজেই আমি মনে করি প্রতিটা ব্লগারের প্রচুর পড়তে হবে, প্রচুর লিখতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পড়লে এমনিতেই ভালো লিখা যায়।

তবে একথাও সত্য-
চাকরি এবং সাহিত্য দুটো একসঙ্গে হয় না।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালোইতো ছিলো, কিন্তু শেষে এসে দিলেন তো সব উল্টিয়ে.... তাইলে কি চাকরি ছেড়ে দেবো? না কি লেখা?

১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার সৃষ্টি, পাঠে মুগ্ধ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: একজন ব্লগার আমাকে বললেন, এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি আমাকে সুক্ষ্মভাবে অপমান করেছেন।
জীবনে বহুবার অপমানিত হয়েছি। তবে আমি কাউকে কোনো দিন অপমান করি নি। করবোও না।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: দুঃখিত, যিনি আপনাকে এ কথা বলেছেন, তিনি ভূল বলেছেন। এখানে সুক্ষ্ম-স্থুল কোনোভাবেই কাউকে অপমান করার চেষ্টা করা হয়নি। তারপরও আপনি যদি আহত হয়ে থাকেন, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৩

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: Rajib Noor, Nur Mohammad and Chandgazi are prolific writers, each with a unique style. Not sure whether you have noticed, but
(1) Rajib often repeats topics, although not obtusely, hence he never runs out of topics. This is the key: observe and repeat subtly.
(2) Nur Mohammad, a paragon of productive writing. As long as there are famous people in the world and they are born and die and have anniversaries, he would always have an overwhelming number of resources to write on.
(3) Be like Chandgazi. Never be afraid of attacking others. Never feel ashamed of racism, slander, libel, and ludicrous contradictions in your writing. In this way you would always have something to poke your nose and keyboard onto, ultimately something to write on.

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এ সময়ের তিনজন প্রোডাকটিভ ব্লগারকে মূ্ল্যায়ন করেছেন। মনে হচ্ছে আরো অনেকের মত আপনিও চাঁদগাজীর উপর ক্ষুব্ধ। প্রবীণ ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু যথেষ্ঠ পরিশ্রম করেন, যেহেতু দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্ম ও মৃত্যুদিবস প্রায় প্রতিদিনই থাকে। আর রাজীব নুর সম্পর্কে পুনরাবৃত্তির কথা যেটা বললেন সেটা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। তবে এ কথা ঠিক যে তাঁরা তিনজনই নিজেদের লেখায় একটা স্বাতন্ত্র্য ধারা সৃষ্টি করেছেন।

ধন্যবাদ, তবে বাংলা ব্লগে বাংলায় মন্তব্য করলে আরও ভালো হতো।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,




লেখা এসে ভর করলেই "লেখা" হয়না। তা সে প্রবন্ধ-নিবন্ধ-গল্প-উপন্যাস-কবিতা বা ছড়া যাই-ই হোকনা কেন।
ইন্দ্রিয়সমূহের বিপুল ও সচেতন বিস্তারে অদৃশ্যকে দেখে দেখে, অশ্রুতকে শুনে শুনে , সব গরল আত্মসাৎ করে-- তবেই না হৃদয়ে লেখার ঝাঁপিটি খুলতে হবে । যখন ইচ্ছে তখনই সে ঝাঁপ খোলা যাবেনা তাতে অশুদ্ধ বাতাস এসে হামলে পড়তে পারে।
লিখতে পারাটা কারো জন্যে কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন, তা।

আর লেখা সম্পাদনার উপর আপনি যে জোর দিয়েছেন তার স্বপক্ষে এটুকু বলি হেমিংওয়ের কথাতে - "যিনি যত নির্মম ভাবে তার নিজের লেখা কাটতে পারেন, ছিঁড়তে পারেন, ঘসে ঘসে সাফ-সুতেরো করতে পারেন , তিনি তত বড় লেখক । নিজেকে বাতিল করতে না পারলে , প্রতি মূহুর্তে নিজেকে পেরিয়ে যেতে না পারলে ; সে মানুষ কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা । যে সৃষ্টিধর্মী লেখক নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও শ্লাঘা জন্মিয়েছেন, নিজ মস্তিষ্কের অনবধানে হলেও; সেটুকুই তার কবর খোঁড়ার জন্যে যথেষ্ট ।"

আপনার এ লেখাটিও কিন্তু সুচারূভাবে লিখিত।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: উপায় থাকলে এই মন্তব্যে দুইবার লাইক দিতাম। দুর্ভাগ্য যে তা করা যাচ্ছে না। আমি আমার মত করে সাধারণ কিছু কথা বলতে চেয়েছি, আপনি তার অ্যাকাডেমিক আলোচনা মন্তব্য করেছেন। তবে অশুদ্ধ বাতাস এসে হামলে পড়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখেও মাঝে মধ্যে লেখা এসে ভর করলে ভালোই হয়, অন্তত আমার জন্য।
তবে একেবারে শেষে এসে যেটা বলেছেন 'যে সৃষ্টিধর্মী লেখক নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও শ্লাঘা জন্মিয়েছেন, নিজ মস্তিষ্কের অনবধানে হলেও; সেটুকুই তার কবর খোঁড়ার জন্যে যথেষ্ট ।" এটা চরম সত্য।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সব মিলিয়ে ভালো লাগল । :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমারও :-B

২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: হায় হায় এতো দেখি আপনি আমার কথা লিখলেন :P । আমি মনে মনে যাই চিন্তা করি তাই তো দেখি সব লিখে ফেললেন.........।

আমিও মাঝে মাঝে রাজিন নুর আর চাঁদ গাজি ভাই এর একটার পর একটা পোস্ট দেখে ভাবি আসলে উনারা কিভাবে সময় বের করেন B:-) । আমিতো মাসে কেন কয়েক মাসে একটা পোন্ট লিখে উঠতে পারি না।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টে 'আমলা-কামলা' বলে একটা সিস্টেম চালু আছে। মোটামুটিভাবে প্রত্যেক স্টুডেন্টেরই একজন সিনিয়র আমলা থাকে, যার কাজে সে হেল্প করবে, আবার তার জুনিয়র একজন কামলা থাকবে যে তাকে তার প্রজেক্টে হেল্প করার মাধ্যমে কাজ শিখবে... একটা চেইন আর কি। এখানেও বিষয়টা এ রকমই ধরে নেন। আপনি তো আমার ক্যাম্পাসের সিনিয়র!

তবে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: কোনো লেখার কথা মাথায় আসলে ফেলে রাখবেন না, তা ব্লগের জন্য ক্ষতিকারক!! :D

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

২১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৩

এমজেডএফ বলেছেন: যারা কমবেশি লেখালেখি করে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে খুব সুন্দরভাবে লিখেছেন। আপনার নিজের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী মানুষের রেফারেন্সসহ যা লিখেছেন তার সাথে সহমত।

যখন ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেও কোনো লেখা আসে না (রাইটার্স ব্লক) তখন সময় নষ্ট না করে লেখার চেষ্টা না করাই ভালো। আর যখন লেখার কোনো নতুন ভাবনা পেয়ে যাবেন তখন লেখার মান যাই হোক না কেন সাথে সাথে লিখে ফেলতে হবে। কারণ স্মৃতি প্রতারণা করে। সাথে সাথে না লিখলে কয়েকদিন পর সে ভাবনা হারিয়ে যাবে। কোনো ভাবনা বা বিষয় একবার লেখা হয়ে গেলে তা প্রয়োজনে একাধিকবার সম্পাদনা করে মানোন্নয়ন করা যায়।

যারা খুব তাড়াতাড়ি নতুন নতুন লেখার বিষয় খুঁজে পায়, একাধিকবার সম্পাদনের প্রয়োজন হয় না বা প্রয়োজন মনে করে না এবং হাতে যথেষ্ট সময় আছে তাদের লেখার পরিমাণ বেশি। আর যাদের অবস্থা সম্পূর্ণ এর উল্টো তাদের লেখার পরিমাণ কম।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫০

পদ্মপুকুর বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি না বলতে পারবো না, আসলে আমি তাই করি (লিখি) ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
তবে সম্পাদনার প্রয়োজন সবারই হয় বলেই আমি মনে করি। বিখ্যাত সব লেখকই সম্পাদনা করেছেন। কেউ যদি সম্পাদনার বিষয় এড়িয়ে যান, সেক্ষেত্রে লেখার মানহীনতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

২২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লেখার ভিতরে না গিয়েই ফিরে যেতে চেয়েছিলাম এ মনে করে যে রাজিব ভাইকে নিয়ে বুছি ট্রল করতে আসছে এই ব্যাক্তি। কিন্তু ভেতরে যে এমন তাযপূর্ণ লিখা দাঁড় করিয়েছেন তা কে জানে। ভালো লাগল আপনার পোস্টটি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ যে আপনি ভূল ধারণা নিয়ে ফিরে যাননি।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং

২৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুনেছি জ্বীন, ভুত, পেত্নী ভর করে; লেখাও কি ভর করে?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: কলিযুগে আরও কত কি যে এসে ভর করবে, উপরওয়ালাই ভালো জানবেন!!

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

২৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

আমার মনে হয় এটা সবারই হয় যে- মাঝে মাঝে কি লিখবে তা বুঝে উঠতে পারেনা বা খুঁজে পায় না। আবার কখনো কখনো এত ভাবনা, লাইন, গল্প, কবিতা, শব্দ, বাক্য মাথায় ভর করে যে লিখে শেষ করা যায় না।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শুধু লেখালেখি করে অর্থ উপর্জাণ করে বেঁচে থাকা অল্প কয়েকজন বাদে দুঃস্বপ্ন। মারাত্নক ভুলও বটে।


+++

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। একদম মিলে গেছে আমার সাথে। যেহেতু লেখালিখির উপার্জনের মাধ্যমে বেঁচে থাকা কষ্টকর, সেহেতু মানুষ লেখালিখি নিয়ে আগের মত পাগল হচ্ছে না, এখন কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী ছাড়বে না লেখার জন্য, সৃষ্টিশীলতার জন্য। এর একটা খারাপ দিকও রয়েছে, তা হলো সে রকম লেখকও আসছে না।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

২৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার উপর এই লেখাটি ভাল ভাবেই ভর করেছে পড়ে মনে হল। রাজীব নূর অত্যান্ত গুণী ব্লগার। তার গুন হল তিনি লিখে আনন্দ পান। এই গুন সবার থাকে না।

আপনার কলমে উপর ওয়ালা আরো বরকত দিন।
পোষ্টটি ভাল লাগল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমিন।

২৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,





সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
বলেছেন - "তবে অশুদ্ধ বাতাস এসে হামলে পড়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখেও মাঝে মধ্যে লেখা এসে ভর করলে ভালোই হয়, অন্তত আমার জন্য।"
আমিও আপনার সাথে একমত । আমাদের মতো আনপড়, নবীস, কাঁচা ব্লগারদের এছাড়া উপায়ও নেই। লেখার যখন সুঁড়সুড়ি ওঠে তখন আমাদেরকে লিখতেই হয়। এই লিখতে লিখতেই একসময় লক্ষ নচ্ছার বাঁদরের বছর ধরে টাইপরাইটারে ইচ্ছেমতো টাইপ করা কোনও একটা লাইন যেমন হঠাৎ করেই পুরো শুদ্ধ একটা বাক্য হয়ে যেতে পারে তেমনি হতে পারে আমাদেরটাও। তবে খেয়াল রাখতে হবে, নিজেকে সব সময় ছাড়িয়ে যাবার।

আমাদের মতো লেখকদের তো আর অর্থনৈতিক ক্ষমতা থাকেনা কারন আমরা তো চেক লিখিনে, রাজনৈতিক ক্ষমতাও থাকেনা কারন আমরা তো আর নিয়মকানুন তৈরী করিনে, কিন্তু আমাদের অফুরান সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে, রয়েছে মানুষের বোধকে নাড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা। সেটাকে মাথায় রেখেই অশুদ্ধ বাতাস থেকেও শুদ্ধ অক্সিজেনটুকু টেনে নিতে হবে, এই যা............

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: জ্বী স্যার, দিনশেষে এটাই সত্যি যে আমাদের অফুরান সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে, রয়েছে মানুষের বোধকে নাড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা।

ধন্যবাদ আবারও আসার জন্য।

২৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা কথা, কথায় আছে, গাইতে গাইতে গায়েন তেমনি হয়তো একদিন লিখতে লিখতে লেখক হওয়া সম্ভব। স হ ম ত। তবে এইজন্য একজন নবীন প্রচুর কষ্ট করতে হবে। সবচেয়ে জরুরী হলো পড়তে হবে। জানা কোন শেষ নেই। জ্ঞানের কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
রাইর্টাস ব্লক মাঝে মাঝে সবারই ভর করে। আমি মনে সব লেখকদেরই এটা পজেটিভলি নেয়া উচিত।
উপরের ম ন্তব্য ১৮ এবং ২১ দারুন লেগেছে। আমি আর তাই রিপিট করলাম না।
তবে আমি মনে করি একজন লেখকের একটা লেখা শেষ ক রার পর সেটা একজন ভালো পাঠক হিসেবে নিজেরই পড়া উচিত। এত ভুলগুলি সহজেই বের হয়ে আসে।
ধন্যবাদ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা কথা, কথায় আছে, গাইতে গাইতে গায়েন তেমনি হয়তো একদিন লিখতে লিখতে লেখক হওয়া সম্ভব। স হ ম ত।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি পারবেন, আপনি পীর ধরেছেন। পীর না ধরলে নাকি কেউ মাওলা হাসিল করতে পারেনা। সাহিত্যের বেলায়ও ঠিক তাই, হয়ত।

আমি আর কি কমু!

২৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

মহসিন ৩১ বলেছেন: যুগের ধর্ম বলে কিছু কথা। লেখার আইটেম প্রাণান্তকর চেষ্টার ফলস্বরূপ উদ্ভাসিত কিছু হলেও হতে পারে , আপত্তিটা কেন ! টেকটনিক যুগ ছিল। ধারনার বুক চিরে ফুঁড়ে মানব সম্পদ ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে গেছে। তারপর আপনাকে চিনবার প্রয়াস। এখন এতে বাধ সেধেছে টেকনিক্যাল সুদ্ধটা। তাই লেখার ম্যান জাই হক না কেন , সেটা বড় কথা নয়। কে পরছে সেটাই হচ্ছে আসল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপত্তিতো কিছু নাই!

২৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি লেখক না পাঠক এখন ও বুঝে উঠতে পারিনা;
তবে ভর করা ব্যাপার টা কিছুটা খাটে আমার বেলায় ছয় মাস আগে একসাথে ছয়টা কবিতা লিখেছিলাম।আর এ ক' মাসে ছয় লাইন ও না।
অবিরাম লিখতে পারা মানুষ গুলো কে আমি ঈর্ষার চোখে দেখি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার কি কোনো বই বেরিয়েছে এ বছর বা আগে? উত্তর বোধহয় 'না'। আমারও বের হয়নি, এজন্যই এত মিল আপনার সাথে।
আপনার মত আমিও অবিরাম লিখতে পারা মানুষ গুলোকে ঈর্ষার চোখে দেখি।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

৩০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশ আগে আমি লিখতে বসলেই গড় গড় করে লিখে ফেলতে পারতাম।তারপর না লিখতে লিখতে ও লেখা থেকে কিছুটা দূরে সরে যাওয়ার কারনে এখন লিখতে বসলেও কিছু লিখতে পারিনা।দু লাইন লিখলেই মনে হয় আরে কিচ্ছু হচ্ছে না।
আপনি ভাল লেখেন,লিখতে থাকুন শুভ কামনা রইল।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকে এখন কম দেখছি। ভালো আছেন আপনি?

৩১| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: রাজীব নূর প্রচুর লেখেন, অন্যদের পোস্টেও প্রচুর মন্তব্য করেন। ব্লগের প্রতি তার ভাল লেভেলের ডেডিকেশন আছে।

৩২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

আরাফাত আবীর বলেছেন: আপনি রাজীব নূর হবেন কেন? আপনি পদ্মপুকুর থাকবেন। আমাদের দুইজনের লেখাই দরকার।

৩৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

সুমন কর বলেছেন: আহ.......দারুণ লিখেছেন। প্রচুর চর্চা অব্যাশক।
+।

৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ২:০৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সবাই সস্থা জনপ্রিয়তা চায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.