নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের প্রত্যাশাহীন এই শহরে থেকে যাক কিছু খুচরো কথা...

পদ্মপুকুর

একজন শভেনিস্ট ও স্মৃতিকাতর মানুষ

পদ্মপুকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগের আবহাওয়া একটু শান্ত হইছে মনে লয়, আহেন, আমরাও একটু বান্দরবানের পাহাড় থেইক্যা ঘুইরা আহি... শেষ পর্ব

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩২


বান্দরবানে ভোর হচ্ছে

প্রথমপর্ব এখানে

পাহাড়ে দ্রুত অন্ধকার নামে। তাছাড়া বিবিধ কারণে পাহাড়ের বিভিন্ন দিকে যেতে বিভিন্নরকম সময় মেনে চলতে হয়। আমরা যেহেতু পথে কোথাও না থেমে একেবারে নাফাখুমে গিয়ে রাতযাপন করবো, তাই পরদিন ভোর সাড়ে চারটায় আল্লাহর নাম নিয়ে থানচির পথ ধরলাম। তবে যদি কেউ থানচি বা রেমাক্রিবাজারে রাতযাপন করতে চান, সেক্ষেত্রে তার সময়-পরিকল্পনা অন্যরকম হবে।

নাফাখুমে যেতে মোট তিন যায়গায় রিপোর্ট করতে হয়। দলে যত বেশি সদস্য থাকবে, তত বেশি সময় লাগবে। এ কারণে আপনার দেরি হওয়া মানে অন্য গ্রুপের আগে চলে যাওয়া। তাই বান্দরবান থেকে যত দ্রুত বের হতে পারবেন, ততই এগিয়ে থাকবেন। আমরা এত ভোরে বের হয়েও চিম্বুকের কাছে একটা আর্মি ক্যাম্পে প্রথম রিপোটিংয়ের যায়গাটায় এসে দেখি আমাদেরও আগে তিনটা গ্রুপ উপস্থিত!! এখানে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা ওখানে সকালের নাস্তা সেরেছি।

এরপর নীলগীরি। নীলগীরি একটা পাহাড়ের চুড়ায় আর্মি নিয়ন্ত্রণাধীন একটা রিসোর্ট। চাইলে আপনি ওখানে থাকতেও পারেন। সাধারণ ট্যুরিস্টদের জন্য ওখানে ঢুকতে ৮০ টাকা করে টিকেট লাগে প্লাস গাড়ি পাকিংয়ের জন্য ৩০০ টাকা লাগে। আদতে পার্কিংয়ের কোনো যায়গা নেই, সামনের রাস্তাতেই রাখতে হয়।

থানচির রাস্তায় প্রচুর বাইকার ছিলো

পরবর্তী রিপোর্টিং ছিলো নীলগীরি পার হয়ে এসে একটা বিজিবি ক্যাম্পে। খুবই সুন্দর এবং সাজানো গোছানো একটা ক্যাম্প। এখানে রিপোর্টিংটা বিস্তারিত এবং আগে থেকে আনা ফর্মে চলবে না। সবকিছুই ওদের প্রেসক্রাইবড ফর্মে লিখতে হয়। সময় লাগে। ওই সময়টাতে এখানকার ক্যাফেটেরিয়া থেকে নাস্তা খেতে পারেন বা জুসবার থেকে বিশুদ্ধ ফল বা জুস চেখে দেখতে পারেন, সুভ্যেনির শপ থেকে কিছু কিনতেও পারেন। এখানে ফটোকপির মেশিন আছে। ফটোকপি করা লাগলে এখান থেকে সারতে পারেন। এখানে রিপোর্টিং শেষে একটা ফিরতি ফর্ম দেয় যেটা ফেরার সময় পথের আর্মি ক্যাম্পে জমা দিয়ে যেতে হয়।

এরপরের গন্তব্য সোজা থানচি বাজার। আমাদের নাফাখুম যাওয়ার গাইড এখান থেকে আমাদের সাথে যুক্ত হয়। এখানে আবার প্রতি ১৫ জনে একজন গাইড নিতে হয়। থানচি উপজেলা শহর। তাই এখানে মোটামুটি জনসমাগম আছে। বাজারটা খুবই জমজমাট। এখান থেকে অন্য একটা রাস্তা আলীকদম-লামা হয়ে চকোরিয়ায় এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইয়ের সাথে মিশেছে। আমরা ফেরার সময় এই পথে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। এই পথেই ডিমপাহাড় আর্মিক্যাম্পের পরের রাস্তাটা সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তা। একজন সেনাসদস্য বললেন এটা ২২০০ ফিট উপরে।

থানচিবাজারে পাহাড়ি পণ্য আনা বোটগুলো

থানচি বাজারে বাঙালিসহ বিভিন্ন আদিবাসীগোষ্ঠীর মানুষের রং, চেহারা, গঠন, চরিত্র আর ভাষা মিলেমিশে নতুন একটা সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে। পাহাড়ি নারী কি পুরুষ, সবাই অত্যন্ত পরিশ্রমী হওয়ার কারণে তাঁদের শরীর সম্পূর্ণ মেদহীন এবং হাত-পায়ের মাসলগুলো শক্তিশালী, লোহার মত শক্ত। গঠন দেখে খুব সহজেই পাহাড়ি আর সমতলের মানুষদেরকে আলাদা করা যায়। ও ভালো কথা, থানচির পর আর কোনো মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। থানচি পর্যন্ত আমাদের চাঁন্দের গাড়ির ভাড়া ছিলো ৬৫০০ টাকা।

থানচিতে আবারও যথাক্রমে পর্যটন, থানা ও বিজিবি, তিন যায়গায় রিপোর্টিং করতে হবে। এখানে রিপোর্টিংয়ের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা লাগে। পর্যটনের রিপোর্টিংটা ওদের নিজস্ব ফর্মে সারতে হয়। সব ফর্মালিটিজ সেরে ইঞ্জিন বোটে উঠে বসুন। এই বোটগুলোর আকৃতি অন্যরকম। লম্বায় পনেরো ফিটের উপরে কিন্তু প্রস্থে টেনেটুনে ৪ ফিট হবে না। প্রতিবোটে ৪জন প্যাসেঞ্জার নেয় এরা।

এরকম লম্বা লম্বা ইঞ্জিনচালিত বোট নাফাখুমে যায়

আমরা ট্যুরের আলোচনার সময়ে কেনো বোটে আরও বেশি মানুষ নেবে না, অথবা দুজন মাঝি কেনো লাগবে, এগুলো নিয়ে একটু বিদ্রোহী ছিলাম, কিন্তু বাস্তবতা হলো- নদীতে প্রচুর পাথর থাকায় গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বোটের সামনে এবং পেছনে দুজন মাঝি না থাকলে এই বোট চালানো সম্ভব নয়। আবার ৪ জনের বেশি উঠলেও বোট চলবে না, নিচে পাথরে আটকে যাবে। তবে নদীতে পানি বেশি থাকলে হয়তো আরও দুয়েকজন বেশি ওঠা যায়। আমাদের বোটভাড়া ছিলো যাওয়া এবং আসা প্রতি বোট ৪৫০০ টাকা এবং প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক লাইফজ্যাকেট প্রতি ৫০ টাকা। এছাড়া গাইডের জন্য ২ হাজার টাকা।

সবকিছু সেরে, পরিকল্পনার চেয়ে আধাঘন্টা এগিয়ে থেকে আমরা বোটযাত্রা শুরু করতে পেরেছিলাম ১২টার দিকে এবং রেমাক্রিবাজারে পৌঁছুতে সময় লাগলো ৩ ঘন্টার কাছাকাছি। পানি বেশি থাকলে আরও কম সময় লাগার কথা। মাঝখানে একটা বিজিবি ক্যাম্পে কিছু ফর্মালিটিজ আছে, এগুলো গাইডই করবে। সময় বাঁচানোর জন্য আমরা দুপুরের খাবার প্যাকেট করে বোটে নিয়ে নিয়েছিলাম।

সাঙ্গুনদীর এরকম বিশালাকার পাথরের মাঝ দিয়েই যেতে হয়েছে

সাঙ্গুনদীটা মূলত বিভিন্ন পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারার সমন্বিত একটা রূপ। এ কারণে শুষ্ক সময়ে এসেও যথেষ্ঠই খরস্রোতা এই নদী। পুরো পথটাই নুড়ি থেকে শুরু করে ২০ ফিট চওড়া পাথরে ভরা। বিভিন্ন যায়গায় বোট এসব বড়বড় পাথরের ভেতরে সংকীর্ণ গলিপথ দিয়ে কোনোক্রমে পার হয়ে এসেছে।

রেমাক্রিবাজার বাংলাদেশের পাহাড়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধার শেষ নিদর্শন। এখানে সম্প্রতি একটা রিসোর্টও গড়ে উঠেছে। নাফাখুম থেকে ঝিরির যে ধারাটা রেমাক্রিতে এসে সাঙ্গুর সাথে মিলেছে, এসময় ওটা শুকনো বললেই চলে। এ কারণে বোটযাত্রার এখানেই ইতি। তবে ভরামৌসুমে বোট নাফাখুমের আরও কাছে যায় বলেই শুনেছি। রেমাক্রি পর্যন্ত আসতে কয়েকটা বসতি দেখা গেল।

রেমাক্রি থেকে নাফাখুম মোটামুটি আড়াইঘন্টার হাটাপথ। পথ বলতে কখনও পানির মধ্যে দিয়ে, কখনও পাহাড়ের গা বেয়ে, কখনও ঝিড়ির পাড় ধরে...। দুরত্ব হয়তো ৫-৬ কিলোমিটারের বেশি হবে না। যদি নাফাখুমে থাকতে না চান, তাহলে আপনি রেমাক্রিবাজারে রাত কাটাতে পারেন, পরদিন ভোরে ভোরে নাফাখুম রওনা দিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে আবার দিনে দিনেই ফেরত আসতে পারেন।

রেমাক্রিবাজার। একটু দুরে ডানদিকে দেখা যাচ্ছে গড়ে ওঠা রিসোর্ট। এখান থেকে বাঁ দিকের পথে নাফাখুম

এ এলাকার পাহাড়গুলোও সবই পাথুরে। তবে তার মধ্যেও সবুজের সমারোহ। প্রচুর গাছ। বেশিরভাগই কাঠের। এর মধ্যেই বিভিন্ন যায়গায় পাহাড় পুড়িয়ে জুমচাঁষের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আসন্ন বর্ষায় এসব যায়গায় চাঁষাবাদ শুরু হবে। বান্দরবানের পাহাড়ি এ এলাকাগুলোতে মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গাদের বসবাস রয়েছে। এছাড়া মায়ানমার সংলগ্ন হওয়ায় আরাকানিসহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীগ্রুপগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে। তবে ট্যুরিস্টদের আনাগোনা যত বাড়ছে, পাহাড়িসহ এইসব বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আরও গহীনে চলে যাচ্ছে। এখানকার আদিবাসীরা মূলত মাতৃতান্ত্রিক। ছেলেমেয়েতে কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই সমান পরিশ্রমী।

জুমচাঁষের জন্য পাহাড়ের নির্দিষ্ট এলাকা পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে

নাফাখুম যেতে যেতে আমরা কদাচিৎ মানুষ দেখেছি। আমরা একটু দেরিতে যাওয়ায় এবং শবে বরাতের ছুটির একটা ফ্যাকড়া বেঁধে যাওয়ায় ট্যুরিস্ট সংখ্যাও কিছুটা কম ছিলো। এই দীর্ঘসময়ে যে প্রাকৃতিক নির্জনতা, তা শুধুই উপলব্ধীর বিষয়, বর্ণনা নয়। রেমাক্রিবাজার থেকে মিনিট চল্লিশ হাটার পর এক মারমা তরুণীর অস্থায়ী দোকান পাওয়া গেলো। এ পথে যারাই যাচ্ছে, এখানে বসে চা, বিস্কিট, কলা ড্রিংকস সেরে নিচ্ছে, বেচাকেনা খারাপ না। এদের সাথে কথা বললে এদের সরলতাটুকু বোঝা যায়, একইসাথে পাহাড়ের মানুষেরা একরোখা এবং প্রতিবাদী। কোনো অপ্রিয় কথা বা আচরণের কঠিন জবাব দিতেও দ্বিধা করে না।

নাফাখুম যেতে এরকম পাহাড়ি পথে উঠতে হবে

এভাবে পাহাড়ি বেয়ে হেঁটে হেঁটে আমরা বিকেলের দিকে নাফাখুম পৌঁছুলাম। এমনিতেই পাহাড়ে অন্ধকার নামে আগে আগে। তাই মোটামুটি পুরো রাস্তাটাই আরামদায়ক শীতলতা ছিলো। আমাদের গরমে কোনো কষ্ট হয়নি।

নাফাখুমের পাশেই একটা ত্রিপুরা পাড়া তৈরী হয়েছে, বছরদুয়েক আগেও যেটা ছিলো না। ইদানিং ট্যুরিস্ট আগমন বেশি হওয়াতেই সম্ভবত এই পাড়াটা তৈরী হয়েছে। এখানে ট্যুরিস্টদের থাকার জন্য বাঁশ ও কাঠ মিলিয়ে রুম তৈরী করা আছে, সাথে তোষক বেডশীট, বালিশ ইত্যাদি। ব্যবস্থাটা একেবারে খারাপ না। একেকটা রুমে বিশজনও থাকা যাবে বলে মনে হলো। মাথাপিছু ২০০ টাকা। আলূভর্তা, ডাল, মুরগী, সবজির মত সাধারণ খাবারদাবার পাওয়া যায়, আগে থেকে বলে রাখতে হবে। ১৫০ টাকা করে লাগে।

নাফাখুম ঝর্ণার সাথেই সম্প্রতি গড়ে ওঠা ত্রিপুরা পাড়া। এখানে অবশ্য লেখা নাফাকুং...

নাফাখুমে অনেককেই পেলাম যারা বেশ রাত করে পাড়ায় আসছে। এরা আরও দুরের অমিয়খুম গিয়ে সেখান থেকে ফিরছে। আমাদের গন্তব্য এ পর্যন্তই ছিলো। পরদিন সকালে আলো ফোটার সাথে সাথেই ফিরতি পথে রওনা হয়ে রেমাক্রিবাজারে এসে নাস্তা করেছি।

এখন জৌলুসহীন হলেও বর্ষায় নাফাখুম থাকে প্রমত্ত

ফিরতি যাত্রার বর্ণনা দেয়ার কিছু নেই। তবে কিছু বিষয় জানা থাকা ভালো।
১. পাহাড় ভ্রমণে লাগেজ ভারি না করাই ভালো। স্রেফ একটা ব্যাকপ্যাকই যথেষ্ঠ, যেহেতু এখানে নিজের ব্যাগ নিজেকেই কাঁধে করে টানতে হবে। তাছাড়া এখানে ফটোশেসনের সুযোগ নেই সেরকম।
২. কেডস এর চেয়ে স্ট্রাইপ দেয়া স্যান্ডাল উত্তম। সবচে ভালো হয়- থানচি থেকে একটা প্লাস্টিকের জুতা কিনে নিলে, এখানে ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে পানিতে হাটার জন্য কাস্টমাইজ এক ধরনের জুতা পাওয়া যায়, ওইটাই সবচে ভালো।
৩. যারা আসবেন, আগের পর্বে দেয়া ফরম্যাট অনুযায়ী তথ্য প্রিন্ট করে ন্যাশনাল আইডির ফটোকপিসহ ৭/৮ সেট নিয়ে আসবেন, কাজে লাগবে।
৪. বান্দরবান এলাকায় ফোনের নেটওয়ার্ক নিয়ে সমস্যা আছে। শহরের বাইরে টেলিটক এবং এয়ারটেল এর নেটওয়ার্ক বেশিদুর পর্যন্ত রয়েছে। তাই টিমে কয়েকটা এ রকম সিম থাকা ভালো। থানচির পর কোনো ফোনেরই নেটওয়ার্ক নেই।
৫. নাফাখুমপাড়ায় ওদের বেডশিট ব্যবহার করতে না চাইলে সাথে করে নিয়ে যাওয়াটাই সমাধান।
৬. প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী, অডোমস এবং সানস্কিন ক্রিম সাথে রাখতে পারেন। মশার কামড় খেলে ম্যালেরিয়া হওয়ার চান্স আছে।
৭. কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন খেজুর, বাদাম এগুলো সাথে রাখা ভালো।
৮. হাটার সময় পর্যাপ্ত পানি সাথে নেয়া দরকার। পথে পানি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
৯. সন্ধ্যার পর পাহাড়ে অন্ধকারে চলাফেরা করাটা নিরাপদ। আগের পোস্টে ব্লগার চাঁদগাজীর প্রতিমন্তেব্যে একবার বলেছি, তবুও তবুও এখানে বলে রাখি। এখানে ট্যুরিস্টরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। ট্যুরিস্টদের আগমনের ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ঘটছে, নিজেদের স্বাতন্ত্র্যবোধে অটুঁট থেকেও তাই এই ইন্টারফেয়ারকে তারা মেনে নিচ্ছে। সাধারণত গাইডের মাধ্যমে স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রধানদের সাথে একটা যোগাযোগ স্থাপিত হয়, তাই তারা সব পর্যটকের আগমন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে। ঝামেলা হয় মূুলত রাজনৈতিক কারণে।
১০. পাহাড়ে দলবদ্ধভাবে যাওয়াটাই উত্তম। কষ্ট কম লাগে।
১১. ২০২০ সালে ঢাকা ট্রিবিউনের একটা নিউজ দেখলাম, গত ৬ বছরে নাফাখুমে ১১জন ট্যুরিস্ট পানিতে ডুবে মারা গেছেন এবং কমপক্ষে ২০০ জন আহত হয়েছেন। সুতরাং, সাধু সাবধান।



নিজেগো বদন দেখানোর একটা ইচ্ছে ছিলো, সামু বলছে- আমার নাকি ছবি দেয়ার কোটা শেষ, কি আর কইতাম.... X((



ফটোগ্রাফার ফনিক্স হাসান ও ফটোগ্রাফার সালমান রহমান অনিক এর তোলা প্রথম দুটি ছবি উইকি থেকে নেয়া। বাকি ছবিগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা মারগুবুল্লাহ, রুপন, আবুসাইদ

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৮

নজসু বলেছেন:



প্রিয় ভাই, ভালো আছেন আশা করি।
প্রকৃতি অশান্ত হয়ে উঠেছে। কালবৈশাখী হতে পারে।
ভাই, আমি লেখাগুলো পাঠ করিনি। অপূর্ব সুন্দর ছবিগুলো অপলক দৃষ্টিতে দেখেছি।
ছবিগুলো ছবির মতোই সুন্দর। দারুণ। প্রথম লাইক।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক সময় ছবি লেখার চেয়ে বেশি বলে।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঐ এলাকার পাহাড়ী ও বাংগালীদের মাঝে সম্পর্ক কি রকম? কি কি শষয় চোখে পড়লো?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: মাত্র দুইদিনের ট্যুরে এত গভীরভাবে দেখার চোখ আমার হয়নি। তবে আমাদের গাইড বাঙালি ছিলো এবং রেমাক্রিবাজারে বাঙালির পরিমাণ যথেষ্ঠ। আসা যাওয়ার পথে যদ্দুর দেখেছি- সৌহার্দ্যপূর্ণ বলেই মনে হয়েছে। আর পাহাড়িদের সাধারণ ব্যবহার কিরকম, তা উপরেই লিখেছি। এখন খরার সময়, শস্য বিশেষ কিছু দেখিনি। বেশ কয়েক যায়গায় দেখলাম জুমচাঁষের জন্য পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



গরু, ছাগল পালন করছেন লোকজন? বানর চোখে পড়েছে?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: গরুছাগল পালন করতে দেখিনি, তবে পাড়াগুলোতে শুওর চড়তে দেখেছি। প্রত্যেক বাড়ির নিচে শুওরের থাকার যায়গা আছে।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর সচিত্র বর্ণনার জন্য একটা প্লাস নিন। সাথে এই কমেন্টটা ফ্রি।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ফ্রি জিনিস নেওনের স্বভাব নাইক্যা। এই ছোট্ট মন্তব্যও নিমু না। এইডারে বাদ্দিয়া বড়সড় মন্তব্য দ্যান, নাইলে ক্যাচাল লাগায়া দিমু কিন্তুক...

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহাড়ীদের দেখলে বন্ধুত্বপুর্ণ মনে হয়?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: না সেটা মনে হয় না। সবার ভেতরেই একটা দুরত্ব বজায় রাখার প্রবণতা আছে। এখানকার ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকজন কথাবার্তা বলার বিষয়ে অতটা আগ্রহী নয় বলেই মনে হলো। তবে মারমারা বেশ মিশুক। কিন্তু এর আগে আমি সাজেকে গিয়েছিলাম, ওখানকার স্থানীয় মিজোরা আবার খুবই মিশুক বলে মনে হয়েছিলো।

হয়তো যতবেশি বাঙালি আসবে এবং ইন্টারেকশন হবে, ততই বোঝাপড়া বাড়বে এবং সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: বান্দরবানের অনেক স্থানে যাওয়া হয়েছে । রেমাক্রি দিয়ে দালিয়ান পাড়ার দিকে গিয়েছে কয়েক ফেব্রুয়ারিতে । কিন্তু নাফাখুমের দিকে এখনও যাওয়া হয় নাই । ছবি গুলো ভালু হয়েছে । আরও কিছু ফটু এড করতেন ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৫১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আরও কয়েকটা ছবি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সামু বলছে যে আমার ফটো যুক্ত করার কোটা নাকি শেষ...

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

ব্লগে আমাদের ভোর হয়। সেই ভোরকে প্রাণবন্ত করে রাখার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ ;)

স্ট্রাইপ দেওয়া সেন্ডেলের সুবিশার পূর্ণ জ্ঞানটা পেয়েছিলাম হামহামের পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া কালে। এরপর থেকে আর কোন মিস্টেক হয় নাই। বড্ড ইচ্ছে ছিল ওখানকার কোন ভালো রিসোর্ডে থাকবো আর পাহাড়ি ললনাদের দেখবো। সেই সাথে পাহাড়ি পাড়ার মানুষগুলোর সাথে একটু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করবো। এমন সুযোগ কি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন!

প্রথম ছবিটা মনে হয় সেখানকার সবচেয়ে উঁচুতে থাকা রিসোর্ট? সেটায় থাকার ব্যবস্থা কেমন?
আরে ভাই, এতো দেখি আমি আপনার ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করেছি B:-/ । আসলে ভ্রমণব্লগগুলো এতোই মুগ্ধকর যে, অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু জানার জন্যও ভেতরে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়৷


২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকে আদিবাসীপাড়াগুলোতে থাকার জন্য সময় নিয়ে যায়। সেভাবে গেলে আপনিও তাঁদের সাথে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার সুযোগ পাবেন। আর প্রথম ছবিটা নীলগীরি রিসোর্টের।

ইন্টারভিউয়ে কোনো আপত্তি নেই স্যার, যদি আপনার কাজে লাগার মত কোনো ইনফরমেশন দিতে পারি তো খুশিই হবো। ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৪

সোহানী বলেছেন: এটা জেনে ভালো লাগছে যে পাহাড়িরা আমাদেরকে মেনে নিয়েছে। আগেতো এ নিয়ে মারাত্বম ঝামেলা চলতো।

রিসোর্ট যেহেতু হচ্ছে তারমানে আরো মানুষের ভীড় হবে সামনে। ভয় হয় সবকিছুর মতো এ সুন্দর প্রকৃতিকে না নষ্ট করি! আমরাতো বেশিদিন ভালো কিছু রাখি না X((

যাবার ইচ্ছে আছে। কিন্তু সমস্যা দেশে যখন যাই তখন এতো সময়ের টানাটানিতে থাকি যে বাড়তি কিছু করার সুযোগ মিলে না কিছুতেই।

আর ঘুরান্টি টিমের কানাডা শাখা খুলেন। এ সুযোগে আমিও যোগ দিবো ;) । কত কিছু যে দেখার আছে এখানে। খুব ইচ্ছে নর্থান লাইট দেখার। কিন্তু সত্যি বলতে খুব কঠিন সে যাত্রা। আর বয়স হয়েছে, মাইলের পর মাইল পাহাড়ে হাটা কঠিন আমার জন্য। তাই বাতের রোগী হবার আগেই দেখতে চাই B:-/

চমৎকার গাইড সহ ছবি ব্লগে ভালোলাগা।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: রিসোর্ট যেহেতু হচ্ছে তারমানে আরো মানুষের ভীড় হবে সামনে। ভয় হয় সবকিছুর মতো এ সুন্দর প্রকৃতিকে না নষ্ট করি! আমরাতো বেশিদিন ভালো কিছু রাখি না X(( ।

এই ভয়টা আমিও করি। এক্ষেত্রে আমাদের ঐতিহ্য কিংবদন্তীতূল্য!

আর আপনার এমনিতেই যে পরিমাণ ঘোরার বাতিক, বাতের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই আপা। ভালো থাকবেন।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৭

ওমেরা বলেছেন: অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন, সাধারণ ট্যুরিস্টদের জন্য ওখানে ঢুকতে ৮০ টাকা করে টিকেট লাগে প্লাস গাড়ি পাকিংয়ের জন্য ৩০০ টাকা লাগে। আদতে পার্কিংয়ের কোনো যায়গা নেই, সামনের রাস্তাতেই রাখতে হয়
এখানে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ।
ছবি গুলো অপূর্ব সুন্দর ।বাংলাদেশে এত সুন্দর জায়গা আছে আমি তো কল্পনাই করতে পারি না। হয়ত কখনো যাওয়ার সুযোগ হবে না কিন্ত আপনার দেয়া ছবিগুলো দেখে আমার মন ভরে গেল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আমাদের পাহাড়ি এলকাগুলো আসলেও সুন্দর। যদি এই সৌন্দর্যের ক্ষতি না করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করা যায় তো অসাধারণ ট্যুরিস্ট স্পট হবে এগুলো।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৪

করুণাধারা বলেছেন: এই নিয়ে তিনবার পোস্টে আসলাম, ছবিগুলোই বারবার দেখছি, লেখা প্রথমবারে পড়েছি।

পোস্টের শেষে দরকারি কিছু তথ্য দিয়েছেন, অনেকেরই কাজে লাগবে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা দেখে ভয় পেলাম, আশাকরি সবাই এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন।

দেশ ঘুরান্টির জয় হোক, নতুন নতুন জায়গায় যাক, আপনি নিয়ে আসুন নতুন নতুন পোস্ট!

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: এখনতো শুকনোর সময়, ছবিগুলোও একটু রঙহীন। বর্ষার পরপর, শরতের দিকে গেলে অসাধারণ ল্যান্ডস্কেপিং দেখা যায়। আর হ্যঁ, দেশঘুরান্টির জয় হোক।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, " হয়তো যতবেশি বাঙালি আসবে এবং ইন্টারেকশন হবে, ততই বোঝাপড়া বাড়বে এবং সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। ধন্যবাদ আপনাকে। "

-এটা ভুল, আগে ওদের ঘরে গিয়ে বসে খেয়ে এসেছি; এখন ওরা কথা বলে না।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩১

পদ্মপুকুর বলেছেন: হবে হয়তো। আমিতো মাত্র কয়েকবার গেলাম।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৩

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন:

দারুণ চমৎকার সব ছবি । আপনার লেখা পড়ে আমার যেতে খুব ইচ্ছে করছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ। নেক্সট সিজনে চলে যান। রবীঠাকুর তো বলেই গেছেন- দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া....

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: করোনার ঢেউ পাহাড়ী এলাকায় কেমন । পাহাড়ী এলাকায় যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে উপজাতি এটাকে কেমন দেখছে বলে মনে হয়

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: পাহাড়ে করোনার কোনো ছায়া নেই। আর উন্নয়নকে কিভাবে দেখছে বলা মুশকিল। উন্নয়নের অগ্রযাত্রার বিপরীতে পুরোনোদের মধ্যে আরও গহীনে চলে যাওয়ার প্রবণতা আছে।

তবে বর্তমান প্রজন্ম, যারা আধুনিক সুযোগ সুবিধার ছোঁয়া পাচ্ছে, তারা ভবিষ্যতে পশ্চাদপসারণের এই ধারা আর অক্ষুণ্ন রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। নাফাখুম পাড়ায় আমি 'আকাশ ডিটিএইচ' টিভি অ্যান্টেনা দেখেছি। ওই বোকাবাক্সের মধ্য দিয়ে যে জগত তারা দেখছে, সেটাকে অগ্রাহ্য করা কঠিন।

ধন্যবাদ স্যার।

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৬

Smart বলেছেন: আসুন জেনে নি ইমান শক্ত করার উপাই:- ক্লিক করুন

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার জন্য ফেসবুক যথার্থ স্থান।

১৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে চোখ আরাম পেলো।
আপনার পোষ্ট দেখে, এখন আমার ইচ্ছা করছে- আমার বান্দরবনের পুরোনো ছবি গুলো দিয়ে একটা ছবি ব্লগ পোষ্ট দেই।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি তো মাঝে মধ্যে ছবিব্লগ দেন, ওখানে ছবি দিতে গিয়ে কি কখনও আটকে গেছেন? আজ আমি প্রথমবারের মত এতগুলো ছবি দিলাম, হঠাৎ আমাকে নোটিশ দিলো যে আমার ছবি আপলোড করার কোটা শেষ....

১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি।
প্রথম ছবিটায়। এখানে আমি আর সুরভি এক ঘন্টা বসে ছিলাম। চার পাশের পরিবেশ এখানে বসে উপভোগ করেছি।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমরা খুব সামান্য সময় ছিলাম। সময়ে কুলায় না, নাহলে ওই রিসোর্টে একদিন থাকতে পারলে ভালো লাগতো।

১৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এতো জীবন্ত সব ছবি।
ভ্রমণের বিবরণ পড়ে মনে হলো আমি আপনার সাথে নীলগিরি ঘুরে বেড়াচ্ছি। আপনার ভ্রমণ পোস্ট আরো পড়তে চাই। বান্দরন যাবো, সবকিছু স্বাভাবিক হলে। এতো সুন্দর একটি দেশ থাকতে আমরা গাঁটের পয়সা খরছ করে দূর দেশে যাই। আগে দেশটা দেখা হোক।

ভালো থাকুন, প্রিয়।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই। নিশ্চয় দেশটা দেখবেন এবং এরকম কোনো একদিন নিশ্চয় কোনো এক নৈসর্গিক পরিবেশে দেখা হবে আপনার সাথে... আপনার চেহারা তো আমি চিনি, আমিই চিনে নেবো। :D

১৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভ্রমণ বয়ান। তথ্যগুলিও কাজে লাগবে যারা যেতে চাইবে পরে তাদের।
আমরা নানান জটিলতার কারণে থানচি থেকে সকালে রওনা হয়ে নাফাখুম গিয়ে সেদিনই আবার থানচিতে ফিরে এসেছিলাম। পরে যদি আবার কখনো যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে নাফাখুম আর রেমাক্রিতে এক রাত করে থাকার ইচ্ছে আছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভ্রমণ বয়ান..... হা হা হা, ভালো হয়েছে শব্দবন্ধ। থানচি থেকে যদি নাফাখুম গিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসতে চান, তাহলে সময়ের টানাটানি পড়ে যাওয়ার কথা। নেক্সট টাইম ওদিকে গেলে আমি বলবো- নাফাখুম নয়, একেবারে অমিয়খুম পর্যন্ত গিয়ে থাকবেন। অমিয়খুমের কিছু আগে থুইসাপাড়া বলে একটা পাড়া আছে, ওখানে থাকা যায়।

১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: চমৎকার সব ছবিও বর্ণনা। তবে মনে হচ্ছে বর্ষাকালে নাফাকুমের আসল সৌন্দয্য । ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: বর্ষাকালেই আসল সৌন্দর্য্য, শুধু সৌন্দর্য্য নয়, ভয়ংকরও বটে। নাফাখুম তখন উপচে পড়া পানি আর সাঙ্গু প্রখর স্রোতস্বীনি। দুটোই দুর্ঘটনা ঘটাতে ওস্তাদ।

২০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা খুব সামান্য সময় ছিলাম। সময়ে কুলায় না, নাহলে ওই রিসোর্টে একদিন থাকতে পারলে ভালো লাগতো।

ঐ রিসোর্টে থাকতে হলে, ঢাকা থেকেই বুকিং দিতে হয়। অন্যথায় রুম খালি পাওয়া যায় না। আর খরচও অনেক বেশী।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের মত সাধারণ মানুষের নীলগীরি রিসোর্টে যায়গা পাওয়াটা খুবই রেয়ার কেস।

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

মা.হাসান বলেছেন: রিসর্টের কথা শুনে মনটা কেমন যেনো করে উঠলো। :`>
গাইড হওয়ার যোগ্যতা কি? দশ বা পনেরো জনের জন্য এক জন গাইড নিলে, গাইডের জন্য আলাদা নৌকা নিলে খরচ তো বেড়ে যায়। নিজে নিজেকে গাইড বলে পরিচয় দিলে খরচটা কিরপিনের জন্য বেঁচে যায়। :P

আমরা যারা শুকরের গন্ধে অনভ্যস্ত, গন্ধটা নাকে বেশ ধাক্কা দেয়, আপনার কেমন লেগেছে জানি না।

একা ঘোরার স্বাদ গ্রুপে ঘুরে পাই না। পাহাড়ের বেশিরভাগ স্পটই এমন, একা যাওয়া কঠিন।
অসাধারণ সব ছবি।

যত খুশি ছবি দেয়ার দুটা উপায়।
১) কোটা শেষ দেখালে ২য় একটা 'নতুন ব্লগ লিখুন' অপশনে ক্লিক করে তাতে নতুন ছবি আপলোড করে সেই লিংক মূল পোস্টে দিতে পারেন।
২) ইমেজারে (imgur.com) ছবি আপলোড করুন। পোস্টে লিংক এভাবে দিন [img| এর পর ইমেজারের ছবির লিংক (https:...) এবং এর পর .jpg]
২য় পদ্ধতিটা বেশি ভালো কেনোনা এতে ছবি সামুর সার্ভারে লোড হয়ে থাকে না, সামুর সার্ভারে শুধু লিংকটা থাকে। ইমেজারের সার্ভার সামুর সার্ভারের চেয়ে ফাস্ট বলে ছবি লোড হয় অপেক্ষাকৃত দ্রুত। আনলিমিটেড ছবি অ্যাড করতে পারবেন। আর ইমেজারে ছবি আপলোডের সময়ে যে কোন এডিটর দিয়ে রিজোলিউশন একটু কমিয়ে দিলে ছবি অনেক ফাস্ট লোড হবে। যারা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করেন তাদের জন্য সুবিধা হয়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: গাইডের খরচ বাঁচিয়ে কিরপিন হওয়া লোকটা নাকি একা একা ঘুরবে..... :)
একা ঘুরতে খরচ কম হয় না বেশি...!

২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: মা হাসান যেটা বলেছে সেটার থেকেও সহজ পদ্ধতি বলি । পোস্টে এক সাথে প্রথমে দশটা ছবি এড করা যায় । প্রথমে সেই ছবি এড করবেন । এরপর নিচে গিয়ে পোস্ট টি ড্রাফট করুন ক্লিকে চাপ দিবেন । পোস্ট সেভ হয়ে গেলে আবারও আরও দশটা ছবি এড করতে করতে পারবেন । এরপর একই ভাবে ড্রাফট করে আরও দশটা এড করতে পারবেন ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি বোধহয় প্রথমবারের মত এতগুলে ছবি দিলাম । এ কারণে যে মেসেজটা পেলাম ওটা সম্পর্কে আগে কিছুই জানতাম না। ধন্যবাদ আপনি এবং মা হাসান ভাইকে।

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

শোভন শামস বলেছেন: দেশ ঘুরান্টির জয় হোক, নতুন নতুন জায়গায় যাক, আপনি নিয়ে আসুন নতুন নতুন পোস্ট
থানচি থেকে নৌকায় পাথরের রাজ্য ঘোরা যায়, সেই পথে মদক পর্যন্ত এক সময় চলাচল হত, এখন আরও দূর যাওয়া যায় কিনা জানি না। এর পর মিয়ানমার সিমান্ত।
সুন্দর ভ্রমন ব্লগ

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: সাঙ্গুতে পানি বেশি থাকলে আরও অনেক দুর পর্যন্ত যাওয়া যায়।

২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যদি কুনদিন যাইতে পারি তখন না হয় তথ্য নিয়ে চিন্তা করবো। আপাতত ছবি তেই মন ভেজাই।
আহা কবে যাবো পাহাড়ে ...
আহারে .........

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: পাহাড় আমায় ডাকে, আয়রে ছুটে আয়...

২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১২

উম্মে সায়মা বলেছেন: ছবি ব্লগে ভালো লাগা। প্রথম ছবিটা এত স্নিগ্ধ। দেখেই মনে হচ্ছে একটু এখানে গিয়ে বসি।কবে যে যেতে পারব!

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: নীলগীরির ওই ছবিটা আমাদের তোলা না, ওটা উইকি থেকে নেয়া। সম্ভবত বর্ষার সময়ে তোলা। কাঠাল গাছের নিচে মাটি বৃষ্টিভেজা মনে হচ্ছে।

২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর ,




মন ছুটে যাওয়ার মতো ছবি! সাথের বর্ণনা নাফাখুমের ঝর্নার মতোই বয়ে গেছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৮

মেহবুবা বলেছেন: এত বেশী চলাচল করলে জুতো ছিড়ে যাবে !
( আঙুর ফল কি টক হয় না!!)।

থানচিতে আমাদের সাথের এক বন্ধুর বাড়ি, ৩দিন হেটে পৌছুত ! চট্টগ্রাম না বান্দরবন থেকে বলেছিল মনে নেই!
এখন কত ভাল ব্যবস্থা ।
নীলগিরি পর্যন্ত গিয়েছি।
কি দারুণ!
ছবিগুলোর জন্য মাইনাস!

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: এইজন্যেই তো কমদামী জুতা নিয়েছি, ছিড়লেও যেনো বেশি চিন্তা না করতে হয়।

থানচি যেতে ৩দিন হাটতে হতো....!!!! :(( কতদিন আগের কথা এটা? এখন তো বান্দরবান থেকে সুন্দর রাস্তা রয়েছে, আবার ওদিকে চকোরিয়া থেকে লামা-আলীকদম হয়েও সুন্দর রাস্তা...

২৮| ২০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ধারা বর্ণনা! ছবিগুলোও খুব সুন্দর। শিরোনামের ছবিটা থেকে চোখ ফেরানো দায়! এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে আপনার একটা হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেখতে পেলে আরো ভাল লাগতো। :)

মেহবুবা এর মত আমিও ঐ নীলগিরি পর্যন্তই গিয়েছি। তাও প্রায় বার বছর আগে। এখন নিশ্চয়ই সবকিছুই আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।

করুণাধারা এর "পোস্টের শেষে দরকারি কিছু তথ্য দিয়েছেন, অনেকেরই কাজে লাগবে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা দেখে ভয় পেলাম, আশাকরি সবাই এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন" এ কথাটার সাথে আমিও একমত।

পোস্টে ভাল লাগা + +।

২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: গুণে গুণে দেখলাম আমার রিসেন্ট ৭টা পোস্টে আপনি ধারাবাহিক মন্তব্য দিয়েছেন। যদিও পুরোনো পোস্টে প্রতিমন্তব্য দিলেই লেখাটা আবার 'সাম্প্রতিক মন্তব্য' ক্যাটেগরিতে উঠে আসে, বিধায় প্রতিমন্তব্য দিতে ইচ্ছে করেনা, তবুও আপনার এতগুলোর মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য না দেয়াটা নিতান্তই অসৌজন্যতা, অভদ্রতা।

আজকালকার দিনে খুঁটে খুঁটে লেখা পড়ার মানু্ষ কমে যাচ্ছে; তার বদলে সেখানে দায়সারার প্রবণতা চলে আসছে। সেক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম পাঠকের তালিকার প্রথমদিকেই থাকবে আপনার নাম। উপরন্তু, পুরোনো পোস্ট পড়ার মত দুরহ কাজেও আপনি অগ্রগণ্য। আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

২৯| ২১ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৪

মেহবুবা বলেছেন: সে বলেছিল অবশ্যই ১৯৯৪ সনের বা তার আগের অভিজ্ঞতা ।
ওর জীবনটাও চমকপ্রদ ।
ওকে মিশনারিরা নিয়ে এসে লেখা পড়া শেখায় ।
ও এখন খ্রিস্টান এবং বেশ ভাল সম্মানজনক অবস্থানে আছে।
ওরা কোটায় কিছু সুবিধা পায় লেখাপড়ার জন্য আর পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থার শুভদৃষ্টি পেয়ে ধন্য ।
তবে ঐ ছেলেটাকে দেখেছি কি ভীষন সরল এবং সত্যবাদী; পাহাড় আর অরণ্য এর অবদান।

২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার বিষয়টা কি, বলেন তো? ব্লগে তো আছেনই, তাইলে পোস্ট টোস্ট দেননা ক্যান?

৩০| ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সব শেষেরটাতে প্রতিমন্তব্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রশংসায় প্রীত।
কিন্তু আপনার পুরনো পোস্টে আমার মন্তব্য করাটা আপনি পছন্দ করছেন না্কি অপছন্দ করছেন, সেটা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম না। অপছন্দ হলে অবশ্যই জানাবেন, তদনুযায়ী ভবিষ্যতে মন্তব্য করার আগে ভেবে দেখবো।

২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: না না, অপছন্দ করার কোনো কারণই তো নেই স্যার, বরং ভালোই লাগে। আমি বলেছি প্রতিউত্তর দিলেই সেটা প্রথম পাতায় চলে আসে, তখন সময়ের কারণে অনেক অপ্রাসঙ্গিকতা তৈরী হয়। ভালো থাকবেন।

৩১| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



নিজেগো বদন দেখানোর একটা ইচ্ছে ছিলো, সামু বলছে- আমার নাকি ছবি দেয়ার কোটা শেষ, কি আর কইতাম.... X((


তথ্য প্রমাণ ছাড়া বললেই হবে , সামু যে বলেছে কোটা শেষ এটার রেফারেন্স কোথায় :)
রেফারেন্স দিতে না পারলে তথ্য ভিত্তিহীন । তাহলে ছবি চাই ।

বান্দরবান অনেক পছন্দের একটা জায়গা । এই ছবিগুলো দেখে আমাদের সেই ট্রিপের কথা মনে পড়ে গেলো ।
জানিনা আবার কখনও যাওয়া হবে কিনা ।


৩২| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন সব ছবি ও দুর্দান্ত বর্ননা। এই রুমা খাল আর ছরা ধরে আমি একবার হেটে গিয়েছিলাম তাজিনডং অব্দি(রুমা বাজার থেকে)।

সেদিনের স্মৃতি মনে পড়ে গেল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.