![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার কথা বলি। বিবেকের বিচার মানি। অপরাধীর বিরুদ্ধে বলি সে যেই হোক, ডান বাম, মোল্লা মিষ্টার, সরকারী দল বিরোধী দল।
মানুষের জান মালের হেফাজতের দায়িত্বে থেকেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও টাকার বিনিময়ে বহু লোককে হত্যা করেছেন। ধরে নিয়ে কোটি কোটি টাকার চাঁদা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। সব অপকর্মের প্রধান হোতা শ্যালক। আর নাটের গুরু তথা গডফাদার হলেন শশুর মশাই।
মিডিয়ার ব্যাপক ভূমিকার কারনে হাইকোর্টের নির্দেশে বহু ধানাই পানাই করার পর গ্রেফতার হলেও মহাসমাদরেই আছেন জামাই বাবু। মন্ত্রীর জামাই বলে কথা। ছেলে এবং মেয়ে জামাই ঘটনার ঘটিয়েছে, তারা নাকি পরিবারের সদস্য নয়? বাহ পরিবারের সঙ্গাই পাল্টে গেল নাকি। এতবড় ঘটনার পর পদত্যাগ করা লাগেনা।
হাইকোর্টের নির্দেশনার সময় ভারপ্রাপ্ত এটর্নি ছিলেন এমকে রহমান, খুনিকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের নির্দেশনার সময় দায়িত্বে অবহেলার কারনে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাহলে সরকার কি চাচ্ছে?
গুম খুনের প্রতিবাদে সংসদ ভবনের সামনে বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিরিহ কর্মসূচী মানববন্ধন করতে না দিয়ে সরকার গুম খুনকে উস্কে দিচ্ছেন কি?
এতবড় ঘটনার একজন এজাহারভূক্ত আসামী গ্রেফতার হয়নি। আহা আমাদের পুলিশ কত দুর্বল।
লক্ষ্মীপুর ও লাকসামের দুটি পরিবার মামলা ও সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের পিতা স্বামী সন্তান হত্যার জন্য এই কিলার জামাই বাবুকেই দায়ী করেছেন।
এই কিলাররাই এমন একজনকে বাসায় ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে বাজারে জোর প্রচার আছে, তিনি হলেন লক্ষ্মীপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক, যিনি অন্তত ৫লক্ষ মানুষের উপকার করেছেন, তার মধ্যে কমপক্ষে আওয়ামীলীগরেই হবে ৫০হাজার। চিকিৎসা করেছেন, ওষধ দিয়েছেন, বিনামূল্যে/কমমূল্যে হাসপাতাল সেবা ও অন্যান সেবা দিয়েছেন, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা, মসজিদ, মক্তব, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যুব কর্মসংস্থান করে লক্ষ্মীপুরের লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের প্রশাসনের কর্তা, রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক, শিক্ষক বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজের সবার নিকট ছিলেন স্বচ্ছ ইমেজের একজন ব্যক্তিত্ব। আর গরীব দু:খী মানুষকে দান করতেন উদার হস্তে। দান করতে এমনভাবে করতেন যেন সে কিছু করে খেতে পারে, যেমন রিকসা কিনে দেয়া, পানদোকান চা দোকান সেলাই মেশিন দেয়া। তার মৃত্যুতে দল মত নির্বেশেষে সব মানুষ দু:খ করেছে। আওয়ামীলীগ নেতারাও অনেক দু:খ পেয়েছেন, কারন এই লোকটি তাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের চিকিৎসক ছিলেন, যখন চরম কষ্টে কাউকে পাওয়া যেতনা তখন গভীর রাতে মানুষের ডাকে ছুটে যেতেন মানব সেবায়।
শুনেছি যুদ্ধক্ষেত্রেও ডাক্তারকে হত্যা করা হয়না, বরং ধরে নিয়ে নিজেদের আহতদের চিকিৎসা করানো হয়। হায় এমন কোন দেশে বাস করছি যেখানে এমন একজন মানুষকে কোন অপরাধ ছাড়াই হত্যা করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.