![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার কথা বলি। বিবেকের বিচার মানি। অপরাধীর বিরুদ্ধে বলি সে যেই হোক, ডান বাম, মোল্লা মিষ্টার, সরকারী দল বিরোধী দল।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হলো। কিন্তু টিভি সেটে বসে একটি দিনও খেলা দেখিনি। হয়ত নেটে একটু স্কোরটা দেখলাম মাঝে মাঝে। অথচ খেলার প্রতি দুর্বলতা যে নেই তা কিন্তু নয়। না দেখার দুটি প্রধান কারন হলো এক. কাজের ব্যস্ততা, দুই. খেলা হলো আনন্দ উল্লাস হাসি তামাশা ঠাট্ট্রা মশকরা বিনোদনের একটা মাধ্যম। যেই মুহুর্তে মানুষ চলাচল করতে পারছেনা, কেউ ঘরেও থাকতে পারছে না, ব্যবসা খারাফ, চাকুরী চলে যায়, পড়ালেখা নষ্ট, আয় রোজগারে কষ্ট, অভাব, অনটন, হাহাকার, চিৎকার, পেট্রোল বোমায় পুড়ে অঙ্গার, ক্রসফায়ার, হত্যা, খুন, গুম, পঙ্গুত্ব, যন্ত্রনা, বেদনা, নিরপরাদ মানুষের কারাবাস এই চিত্র সামনে নিয়ে বিনোদন করতে সত্যি মন চাইছিলোনা।
যাক আসল কথায় আসা যাক এই বিশ্বকাপে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে যা হলো সবই সবাই দেখেছেন, আমার কাছে যেটি ভালো লেগেছে সেটি হলো অন্যায় দেখার পর পুরো জাতির এক হয়ে যাওয়া, একক চিন্তার বর্হিপ্রকাশ। এই এক হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে যদিও খেলার ফলাফল পাল্টেনি তবু যালেম শাসক ও বিচারকের অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভতো প্রকাশ করা গেছে। মানুষের এই গর্জে ওঠা কিন্তু অন্যায় কারী, যুলুমবাজদের জন্য সতর্কবার্তা। কারন আমরা খারাফ খেলে হেরে যাব এতে আমাদের দু:খ নেই, কিন্তু ভালো খেলেও ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হওয়া বেশি দু:খজনক। আম্পায়ার রা হলো নিরপেক্ষ বিচারক তারা যদি পক্ষপাতিত্ব করে, তারা যদি অন্যায় সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে আর যাবইবা কোথায়। সরকার যেভাবে পছন্দমত কোর্ট পাল্টায়, বিচারক পাল্টায় তেমনি আইসিসি কর্তৃপক্ষ তারা যদি একজনের পক্ষ নিয়ে মাঠ পাল্টায়, পিচ পাল্টায় তাহলেতো দুর্বলদের জন্য করার কিছুই থাকেনা। আর থার্ড আম্পায়ার যিনি স্বাক্ষী দিবেন তিনিও যদি রিপ্লেতে দেখেন যে মাহমুদ উল্যাহ ৬ মেরেছে, ক্যাচ হয়নি। লাইনে পা লেগেছে, তবুও তিনি সঠিক স্বাক্ষ্য না দেন, কোন ব্যক্তি যে এলাকায় কোনদিনও যায়নি অথচ তাকে ঐ এলাকায় গনহত্যার জন্য ফাঁসি দেওয়া হলো, তাহলে দর্শকরা কি সঠিক বিষয়টা ধরতে পারবেনা। পারবে। বিচারকের রায়ের মত আম্পায়ারের রায়ও পরিবর্তনযোগ্য নয়, সেটাই আইন। আইনের দৃষ্টিতে ভূল রায়ের ভিত্তিতে কাউকে ফাঁসি দিলেও আম্পায়ারের কিছু হবেনা। ।কারন বাংলাদেশ ফিরে পাবেনা তার সেমিফাইনালে ওঠার কোন সুযোগ কিন্তু দর্শক আইনের বিচার মেনে নিলেও কিন্তু ন্যায় বিচার না হওয়ায় তারা অন্তর থেকে ধিক্কার জানাবেই্। কারন বিচারকদের আইনরে শাসনে অন্যায় রায় হলে মেনে নিতে বাধ্য হলেও ঐ আম্পায়ারদের ঘৃনা করতে, আইসিসি সরকারকে প্রতিবাদ করতে পুরো জাতির এক হয়ে যাওয়া সত্যিই যালেমদের জন্য সতর্কবার্তা। আইসিসি ও আম্পায়ারদের ষড়যন্ত্র ও ভূলরায়ে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি হয়ত, কিন্তু সারা দুনিয়াতে বাংলাদেশ যে ভালোবাসা সহমমির্তা পেয়েছে, আর আইসিসি ও আম্পায়াররা যেই ঘৃনা পেয়েছে, কোনটির প্রভাব বেশি সেটা ইতিহাসই বলে দিবে, যেমনিভাবে ভূলরায়ে ফাঁসি হওয়া ব্যক্তিকে ফিরে পাবনা, কিন্তু সারা দুনিয়ায় যে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি এবং মানুষের যে ক্ষোভ ঘৃনা যালেমের প্রতি তার বিচারও ইতিহাস একদিন করবে। এটুকুই প্রমান হলো আইনের শাসন আর ন্যায়ের শাসন একনয়।
©somewhere in net ltd.