![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শামীম-লীনার পাঁচ বছরের প্রেম। কলেজ লাইফ থেকে তাদের পরিচয়। এক সময় মন দেয়া-নেয়া। পাঁচ বছর লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় নিজ নিজ পরিবার কে জানানোর। প্রথমে যথারীতি দুই পক্ষের অভিভাবকদের প্রবল আপত্তি। কিছুতেই তাদের প্রেমের সম্পর্কে মেনে নেবে না তাদের পরিবার। ছেলে পক্ষের ধারণা, তাদের ছেলে বিরাট গুণী, মেয়ের অভিভাবক রা তাদের কম গুণী মেয়েকে ছেলের পেছনে লাগিয়ে তাকে রাজী করিয়েছে। মেয়ে পক্ষের ধারণা, তাদের মেয়ের জন্য লন্ডনের রাজপরিবারের কেউ অপেক্ষা করে আছে। এই ছেলে, তাদের মেয়ের কাছে কিছুই না।
যাই হোক, শামীম আর লীনা নানা রকম বুদ্ধি বের করে তাদের অভিভাবকদের কে রাজী করানোর। দুজনের কেউই চায় না তাদের কারণে তাদের বাবা-মায়েরা দুঃখ পাক বা তাদের সম্মানহানী হয়। বহুদিনের চেষ্টার পর দুই পক্ষই কোনরকম গররাজী হবার মত করে রাজী হয়। কিন্তু মনে মনে পরস্পরের পরিবারের প্রতি ক্ষুব্ধ, ছেলে-মেয়েদের কে নিয়ে তাদের বিকল্প স্বপ্ন-সুযোগগুলো নষ্ট হবার জন্য।
তবে প্রেমের বিয়ে ছাড়াও পারিবারিকভাবে বিয়ের সময় ও নীচের ঘটনাগুলো প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায় আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির ভেতরে।
ছেলে-মেয়ের অভিভাবকেরা আলোচনায় বসে বিয়ের দিন-ক্ষণ ঠিক করতে। দিন-ক্ষণ ঠিক হয়।
ঝামেলা টা বাঁধে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর সময় থেকে। সেটা হতে পারে, এনগেজমেন্ট, পানচিনি, গায়ে হলুদ, কলেমা-কাবিন বা বৌভাতে।
অঞ্চলভেদে ক্যাচাল লাগার উপকরণ গুলি আলাদা আলাদা হতে পারে। তবে সচরাচর ক্যাচাল বাধার উপকরণগুলো নিম্নে দেয়া হলো
১। বিয়ের দেনমোহর
বহু বিয়ের আলোচনা ভেঙে যেতে শুনেছি, দেনমোহর নিয়ে বনিবনা না হওয়ায়।
২। পরস্পর পক্ষের কত জন অতিথী আসবে
এখানে একটা প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা দেখা যায়। ছেলেপক্ষ যদি বলে বিয়েতে ৮০ জন বরযাত্রী আসবে, মেয়ে পক্ষ বলে ১০০ জন আসবে বৌভাতে--এই রকম। এই নিয়ে কথা চালাচালি-বাকবিতণ্ডা-মন কষাকষি।
৩। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কি কি উপহারের আদান-প্রদান হলো।
সাধারণতঃ হলুদের দিনে ছেলের বাড়ীতে ছেলের জন্য জামা-কাপড়, পাঞ্জাবী, কসমেটিকস ইত্যাদি এবং ছেলের খুব কাছের আত্মীয় (মা, ফুফু, চাচী) দের জন্য শাড়ী ইত্যাদি পাঠানো হয়। আর মেয়ের বাড়ীতেও এইসকল জিনিষ সাথে বিয়ের গহনা পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আমার দেখা মতে এইটাই ক্যাচাল লাগার সবচেয়ে সেন্সিটিভ ইস্যু। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন পক্ষেরই উপহারের কোয়ালিটি পছন্দ হয় না। আত্মীয়-স্বজনেরা নানা রকম টীপ্পনি কাটা শুরু করেন---
উদাহরণঃ
মেয়ের চাচীঃ এইটা কি শাড়ী দিয়েছে। এইরকম শাড়ী তো আমার কাজের বুয়াও পরে না।
ছেলের ফুফুঃ ছি ছি দেখি লাক্স সাবান দিয়েছে। আমরা পাঠালাম বিদেশী সাবান, এরা দেখি লাক্স সাবান পাঠিয়েছে। একেবারে ছোটলোক। কোথায় আত্মীয়তা করছিস রে ছোটন।
এই রকম তুচ্ছাতিতুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা। এর পরের সাক্ষাতে সরাসরি প্রতিক্রিয়া।
৪) বিয়ের দিনে
সাধারণঃত বিয়ে পড়ানো হয়ে গেলেই খাবার-দাবার পরিবেশন করা হয়। খাবার কোয়ালিটি, পরিবেশন এইগুলো নিয়ে বরপক্ষের লোকের সাথে কনেপক্ষের লোকদের প্রায়ই কথা চালচালি করতে দেখা যায়।
তবে বিয়ে পড়ানোর আগেই প্রধানতঃ আত্মীয়-স্বজনদের বাকা কথা, বিদ্রূপ, কোন তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিয়ের আসরেই বেঁধে যেতে পারে হট্টগোল। হলুদের অনুষ্ঠানের পরপর ই, এই বিয়ের দিনে হট্টগোল লাগার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। এইরকম পরিস্থিতিতে বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে যায়।
ভীলেন হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে ছেলে-মেয়ের বড় ভাবী, দুলাভাই, চাচী-মামী।
আমি একটি বালকের দুষ্টুমির মাধ্যমে শুরু হয়ে বয়স্কদের হাতাহাতি পর্যন্ত করতে দেখেছি বিয়ের অনুষ্ঠানে। বলা বাহুল্য এটা ছিল দুটি শিক্ষিত পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠান।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসমস্ত তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে শুরু হয় কথা কাটাকাটি, ঝগড়া, মনোমালিন্য, অপমানজনক আচরণ, এমনকি মারামারি এবং সর্বোপরী বিয়ে ভন্ডুলের মত বেদনাদায়ক ঘটনা।
এই রকম তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে জীবনের শুরুটাই হয় একটা অপ্রত্যাশিত ঝামেলার মাধ্যমে যার রেশ দুজনকেই টানতে হয় ক্রমাগত লাঞ্ছনা-গঞ্জনার মধ্য দিয়ে। অনেক ক্ষেত্রে শামীম-লীনার মত দুটি তরুন-তরুণীর স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যায় চিরতরে।
বেদনায় নীল হয় দুটি হৃদয়।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২১
পড়শী বলেছেন: হু কিছু নিজের দেখা, কিছু অন্যের নিকট থেকে শোনা।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৪
নীলতিমি বলেছেন:
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৪
পড়শী বলেছেন: কিসের ইমো এইডা?
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮
নগত টাকা বলেছেন: সামনে বিয়ে করব , কাজে লাগবে
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫
পড়শী বলেছেন: আপনার জন্য এই লেখাটা মুখস্থ করা দরকার।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: :-< :-< :-<
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৬
পড়শী বলেছেন: ঘুমাইয়া যাওনের আগের অবস্থার ইমো? ইমোর ব্যাপারে নিতান্তই মূর্খ।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪০
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ভাই, আপনার কথা শুনে ভয় লাগতাসে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২
পড়শী বলেছেন: ভয় পাইয়েন না। যারা শীঘ্রই বিয়ে করতে যাচ্ছেন, ফলো আপ পোস্টে তাদের এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেবার ইচ্ছা আছে।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২
ধ্বংসমানব বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম।
এক্সপেরিয়েন্স কামস্ ফ্রম গুড জাজমেন্ট, এ লট অব হুইচ কামস্ ফ্রম ব্যাড জাজমেন্ট।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৫
পড়শী বলেছেন: দারুণ লাগল আপনার উদ্ধৃতি। আগে কখনো শুনি নাই। ধন্যবাদ।
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫০
ধ্বংসমানব বলেছেন: 'মেশিনিস্ট' সিনেমার ডায়লগ। আপনাকেও ধন্যবাদ!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫২
পড়শী বলেছেন: কথাটা খুব প্র্যাক্টিক্যাল।
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৬
তাশা বলেছেন: এরা শিক্ষিত নামের কলঙ্ক.......... টাকার গন্ধ শুঁকলে যাদের লেঞ্জা বের হয়া যায় তাদের শিক্ষিত বলা যায় না...........
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৯
পড়শী বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।
আসলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কে শিক্ষিত বলা উচিৎ না। অন্য নামে ডাকা যেতে পারে। যেমন ধরুন, 'বিদ্যিত' যিনি শুধু বিদ্যাই অর্জন করেছেন, কিন্তু শিক্ষা অর্জন করেন নি।
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১২
চানাচুর বলেছেন: আমি আমার এক কাজিনের বিয়ের ক্ষেত্রে দেখেছিলাম সেইরকম ক্যাঁচাল। ছেলেপক্ষের অভিযোগ ছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদেরকে ঠিকভাবে আপ্যায়ন করা হয়নি!
এই সমস্ত ব্যাপার নিয়েই কাজিনটাকে ঐ বাড়ির মহিলাগুলো যথেষ্ট পরিমাণে যন্ত্রণা দিয়েছিল।
পরে তো কাজিনটা দেশের বাইরে চলে গেল হাজবেন্ডের সাথে। একদিন হঠাত সে স্মৃতিচারণের জন্য বিয়ের ভিডিওটা দেখছিল... ঐ সময় তার হাজবেন্ড-ও দেখছিল। খাওয়া দাওয়ার সময় তো সবাইকেই ভিডিও করা হয়। ঐ সময়ই হঠাত তার হাজবেন্ডের চোখে পড়লো যারা যারা অভিযোগ করেছিল যে কনেপক্ষের অসামাজিকতার জন্য তারা ঠিকভাবে খেতে পারেনি বা কনেপক্ষ খেতে দেয়নি সেই সমস্ত লোকের ছবি আচ্ছা খাওয়া খাচ্ছে!! এরপর তার ভুল ভাংলো!!
তার আগে সে তার বউকে রীতিমতো তিরস্কার করেছে এসব নিয়ে।
বিয়ে সাদীর সময় অনেক শিক্ষিত মানুষের অনেক অনেক ছোটলোকী দেখা যায়। কিন্তু কিছুই বলা যায় না সুখ-শান্তি যাতে বিনষ্ট না হয় আর তিক্ততা যাতে তৈরি না হয়
তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারা বেশি ঘাপলা পাকায়
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৬
পড়শী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
" বিয়ে সাদীর সময় অনেক শিক্ষিত মানুষের অনেক অনেক ছোটলোকী দেখা যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারা বেশি ঘাপলা পাকায়। "
সহমত।
আসলে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কে 'শিক্ষিত' বলা উচিৎ না। অন্য নামে ডাকা যেতে পারে। যেমন ধরুন, 'বিদ্যিত' যিনি শুধু বিদ্যাই অর্জন করেছেন, কিন্তু শিক্ষা অর্জন করেন নি।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৮
রাফাত নুর বলেছেন: বিয়া করাই উছিত না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০০
পড়শী বলেছেন: হা হা হা---বিয়ার উপ্রে রাগ ক্যান? ভাবী চেঁচামেচি করে?
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:০৭
নিশাচর ভবঘুরে বলেছেন: আমি নিজে এমন কোন একটা ঘটনার শিকার। প্রথমটার শেষ পর্যন্ত পাঁচ বছরের প্রেম এর পরিণতি বিয়েতেই গড়িয়েছে। তার অন্য একজনের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৭
পড়শী বলেছেন: ঘটনাটা কি আরেকটু বিস্তারিত বলা যায়? অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য জানতে চাওয়া আর কি।
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১০
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: এসব ক্ষেত্রে যার বিয়ে তার চাইতে অন্যদের বেশি গরজ দেখা যায়
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৮
পড়শী বলেছেন: সহমত। বিয়ের সময় মানুষজন অনেক সময় স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ ও হারিয়ে ফেলে--এটা খুব আশ্চর্য ব্যাপার।
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৮
শামীম আরা সনি বলেছেন: পোস্টে+ এবং প্রিয়তে।
ইচ্ছে সিনেমাটার কথা আবার মনে পড়লো।
আমার পক্ষে যদি সম্ভব হয়, এ টপিক কে ঘিরে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোকে কেন্দ্র করে পোস্ট দিবো, সেটা আজ থেকে ৫ বছর বা ২৫ বছর পর হলেও।
প্লিজ পোস্ট টা ডিলিট বা ড্রাফট করবেন না কখনো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২৭
পড়শী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নিজের জীবনে এরকম ঘটেছে বলে দুঃখিত।
৫ বছর পরে কেন, তাড়াতাড়িই শেয়ার করুন। এতে অনেকের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে, আরেকজনের জীবনে হয়তো আপনার জীবনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
আমার এ ব্যাপারে ভালই অভিজ্ঞতা হয়েছে এ পর্যন্ত। মানুষের মনস্তত্ত্ব খুব জটিল। অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষও, সময়ে সময়ে এত বেশি ইরাশন্যাল আচরণ করে, যে ভাবতে অবাক লাগে।
পোস্ট ডিলিট বা ড্রাফট করবো না।
১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৩৭
নীলতিমি বলেছেন: লেখক বলেছেন: " বিয়ে সাদীর সময় অনেক শিক্ষিত মানুষের অনেক অনেক ছোটলোকী দেখা যায়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারা বেশি ঘাপলা পাকায়। "
------------
চিরন্তন কিছু সত্য কথার মধ্যে এটি একটি !
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
পড়শী বলেছেন:
১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪১
শামীম আরা সনি বলেছেন: নাহ এখন এসব কিছু শেয়ার করার আপাতত কোন ইচ্ছা নাই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৮
পড়শী বলেছেন: আচ্ছা। সময় করে আপনার কথাগুলি শেয়ার কইরেন। অপেক্ষায় রইলাম।
১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৭
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: সবাই লাভ ম্যারেজের হাজারটা খুত ধরতে ওস্তাদ কিন্তু আমার কাছে এই লাভ ময়ারেজের দোষের চেয়ে এরেন্জ ম্যারেজের দোষ হাজার গূণে বেশী ধরা পড়ে। এর প্রথম ধাপটাই তো বিদঘুটে। আট্মীয় স্বজনের কাছে নিজেকে পরীক্ষায় পাশ করানো।
সৌদি বহুবিবাহ আর ইন্ডিয়ান বিয়ের খাওয়াদাওয়া, গয়ণাগাটি আর যৌতুকের মত খারাপ গূণগুলোই শুধু বাঙ্গালী আত্মস্থ করতে পেরেছে আর কোন ভালো কিছু আমি অন্তত খুজে পাইনা। এই সিস্টেমে সুন্দর স্বাভাবিক বিয়ে হওয়া সম্ভব না।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৯
পড়শী বলেছেন: "সৌদি বহুবিবাহ আর ইন্ডিয়ান বিয়ের খাওয়াদাওয়া, গয়ণাগাটি আর যৌতুকের মত খারাপ গূণগুলোই শুধু বাঙ্গালী আত্মস্থ করতে পেরেছে আর কোন ভালো কিছু আমি অন্তত খুজে পাইনা "
সহমত।
তবে প্রেমের বিয়েতে ও অনেক ভেজাল লাগে। বিশেষ করে অপরিণত বয়সের প্রেম হলে ভেজাল আরো বেশি।
১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হা হা হা হা , , , , , দারুণ জিনিষ তুলে ধরেছেন।
চানাচুর বলেছেন: বিয়ে সাদীর সময় অনেক শিক্ষিত মানুষের অনেক অনেক ছোটলোকী দেখা যায়। কিন্তু কিছুই বলা যায় না সুখ-শান্তি যাতে বিনষ্ট না হয় আর তিক্ততা যাতে তৈরি না হয়
তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারা বেশি ঘাপলা পাকায়
সহমত!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৫০
পড়শী বলেছেন: ধন্যবাদ কুনোব্যাঙ ভাই।
১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫০
আলো খোঁজে বলেছেন: ছুটো লুকের কাজ কারবার আর কি
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৫১
পড়শী বলেছেন: হা হা হা। মানুষ এমন করে কেন তার কোন মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারলে ভালো হতো।
১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:১৪
আধারের কবি বলেছেন: কাজে লাগবে :পি
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৫২
পড়শী বলেছেন: শীঘ্র বিবাহ করার সম্ভাবনা থাকলে এইগুলি মাথায় রাইখেন। কাজে লাগবে।
২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১৫
রবি কিরণ বলেছেন: "সৌদি বহুবিবাহ আর ইন্ডিয়ান বিয়ের খাওয়াদাওয়া, গয়ণাগাটি আর যৌতুকের মত খারাপ গূণগুলোই শুধু বাঙ্গালী আত্মস্থ করতে পেরেছে আর কোন ভালো কিছু আমি অন্তত খুজে পাইনা "
মনের কথা বলেছেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১৮
পড়শী বলেছেন: ঠিক। পৃথিবীর যাবতীয় ভালগুলিকে সযত্নে এড়িয়ে, খারাপগুলিকে অনুকরণ করতে আমাদের জুড়ী নেই।
২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৩
বাঘ মামা বলেছেন: দেন মহর সম্পর্ক ধরে রাখে বা রাখায় যাদের বিশ্বাস তারা আজ পৃথিবী থেকে শত বছর পিছিয়ে আছে,অনেক জানা শোনা শিক্ষিত উচ্চ শ্রেনীর মানুষদের মুখেও দেন মোহরে সুফল শুনেছি।তাদের জন্য তাদের সম্পর্কের গাথুনীর নরবড়তা দেখে করুনাই হয়েছে।
একটা মধ্যে শ্রেনী পরিবারের মোহরানা বড় জোর ৫ থেকে ১০ লক্ষ হয়ে থাকেন মনে হয়,আমার প্রশ্ন একটা সম্পর্ক যখন ভেঙে যেতে বসে তখন কি এই মোহরানা অংকে জন্য ঠেকে থাকে?একটা পুরুষের পক্ষে অতি সহজেই এই টাকা যোগাড় করে তা মিটিয়ে ফেলা খুব বেশি কঠিন কি?
আর যদি সত্যি এর জন্য ঠেকেই থাকে তাহলে সেটা কি আদৌ সম্পর্ক ?
দেনমোহরে নয় মনের জরে টিকে থাকুক সম্পর্ক গুলো আমাদের।
শুভ কামনা সব সময়
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৬
পড়শী বলেছেন: আমিও এই রকম ই ভাবি। দেনমোহরে বিশাল অঙ্ক লিখে দিলেই সম্পর্ক শক্তিশালী হয় না। সত্যিকারের ভালবাসা থাকলে এক টাকা দেনমোহরের বিয়েও সারাজীবন টিকে থাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০০
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একটা সহজ ব্যাখ্যা করি।
চাচী আম্মা কেন এই রকম করে ?
চাচী আম্মা শাশুড়ি আম্মাকে জীবনভর হিংসা করে এল। (এটা একটা মেয়েলি হিংসা - যার কারণ ব্যাখ্যাতীত) এখন শাশুড়ি আম্মার মেয়েটার ভালো ঘরে বিয়ে ঠিক হল। চাচী আম্মার তো গা জ্বলে যাচ্ছে। সুতরাং বিয়ের সময় যতভাবে গণ্ডগোল পাকানো যায় সবই করবেন চাচী আম্মা।
প্রথমত চাচী আম্মাকে ছেলে পক্ষ বাজারের সবচেয়ে ভালো শাড়িটা দিল। চাচী আম্মা বলল, এই রকম কম দামী শাড়ি জীবনেও পড়ি নাই। (শাশুড়ি আম্মাকে) তর মাইয়ারে কুন ফকিন্নির পুতের লগে বিয়া দেস ?
আসল ঘটনা হল, চাচী আম্মার হিংসার আগুনে ঘি পড়েছে। তার নিজের ছেলেও এত দামী শাড়ি তাকে কোন দিন কিনে দেয় নি।
মেয়েলি এই ঈর্ষার আপাত কোন কারণ নাও থাকতে পারে। পরশ্রীকাতরতাকে আমি একটা কঠিন মানসিক রোগ বলেই মনে করি।
কিভাবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবেন :
বিয়ে মানুষ জীবনে একবারই করে। সুতরাং ভালো আর্থিক প্রস্তুতি ছাড়া বিয়ে করা উচিত না। শালা শালী থেকে শুরু করে সবাই কিন্তু বর বা বধুকে হেয় করতে চেষ্টা করতে পারে।
আর সব কথারই প্রতিক্রিয়া করতে নাই। অনেক কথা সহ্য করাও কিন্তু একটা ভালো গুণ।
উপহারের ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলাটা একটা ছোটলোকী । যে উপহার দেয়, তার সামর্থ অনুযায়ী দেয়। সুতরাং যা পেয়েছেন, সেটা নিয়ে শোকর করাটা অত্যন্ত ভালো গুণ। ছোটলোকরা কখনও শোকর করে না।
নিজের সম্পর্কে অতি হামবড়া ভাব দাম্পত্য জীবনকে বিষিয়ে তোলে। অহংকার পতনের মূল। তাই দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভালোবাসা দরকার, অহংকার নয়।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৩
পড়শী বলেছেন: দারূন বলেছেন শামীম ভাই। প্রতিটা কথার সাথে একমত। শুধু একটা বাদে।
"ভালো আর্থিক প্রস্তুতি ছাড়া বিয়ে করা উচিত না" --এটা মানতে পারলাম না ১০০%।
ইদানিং ছেলেরা ৩০-৩৫ এর আগে বিয়ে করতে ভয় পায় সম্ভবতঃ আপনার কথাটি মাথায় রেখেই। কিন্তু এই বয়সে মানুষের রোমান্টিকতা, ভালবাসার তীব্রতা যায় কমে। ফলে সংসার সুখের হলেও শান্তির হয় না অনেক সময়। সুখ আর শান্তি কে আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি জিনিষ মনে করি। সুখ বা স্বাচ্ছন্দ্য কিছুটা নির্ভর করে আপনার কত টাকা আছে তার উপর। শান্তি অন্য জিনিষ যা সম্পদ- টাকা দিয়ে পাওয়া যায় না।
শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক গঠন বিবেচনা করে, একটা ছেলের বিয়ের সঠিক বয়স ২১-২৮ বলে আমি মনে করি। এই বয়সে ছেলের পক্ষে 'ভাল' আর্থিক প্রস্তুতির কোন প্রশ্নই ওঠে না, যদি না কোটিপতি বাবা-মায়ের সন্তান হয়।
২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৩
বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: কি আর কমু ?
থাক পরে কমু। এহন এট্টু দৌড়ের উপ্রে আছি।
চ্রম পুষ্ট।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৪
পড়শী বলেছেন: কইয়া যাইয়েন কিন্তু।
২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৯
রিয়াজ মোরশেদ বলেছেন: রবি কিরণ-এর সাথে একমত। আর সমাজের কিছু বেহুদা বিষয়কে পূজা করতে করতে আজ এই অবস্থা।। মুখে প্রগতিশীল না হয়ে আমরা যদি অন্তরে প্রগতিশীল হই তবে অনেক ভালো কিছুই সম্ভব।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৫
পড়শী বলেছেন: ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ।
২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
আহমেদ রশীদ বলেছেন: ২০১৩ সালে প্রথম মাসে আমার বিয়ে , আমাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে তবে আমাদের বিয়ের পূর্বে এসব বাস্তব দৃষ্টান্তগুলো তুলে ধরতে হবে। ধন্যবাদ
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৫
পড়শী বলেছেন: পারলে বিয়ের দুই পক্ষের সাথে এইসব ব্যাপারে আগে থেকে পরিষ্কার আলোচনা করে নেবেন।
২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৭
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
ও সুজুকা আই অয়ানা মেরি উওওওওওউ :!> :!> :!> :#> :#> :!> :!> :!>
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৬
পড়শী বলেছেন: দেইখেন ক্যাচালে পইড়েন না। আপনার আর সুজুকার জন্য শুভকামনা।
২৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৬
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: খুব শিগ্রই বিয়ে করবো কিন্তু এইসব দেখলে আর বিয়া করতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু যেহেতু না করেও উপায় নেই, আমি ঠিক করেছি খুব ছোট করে বিয়ের অনুস্ঠান করবো। কে কি মনে করলো তাতে আমার কিছু যায়-আসেনা। বিশাল বিয়ের অনুস্ঠান করে কখনো জাতে ওঠা যায়না, বা ছোট অনুস্ঠানে কারো জাত চলে যায়না। বিয়ের কার্ডেই লিখে দেবো কোন প্রকার উপহার গ্রহন করা হবেনা, উপহার কেনা নিয়ে গেস্টদের দু:শ্চিন্তায় ফেলতে চাইনা, বা উপহার দেখে একেকজন যা-তা মন্তব্য করুক সেটাও চাইনা।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০০
পড়শী বলেছেন: এটা খুবই সুন্দর একটা আইডিয়া।
আপনার কথাগুলির সাথে সম্পূর্ণ একমত। প্রত্যেকেরই এরকম করে চিন্তা করা উচিৎ। শুধু শুধু লোক দেখানোর জন্য বিরাট অনুষ্ঠান করতে গিয়ে একটা বাজে পরিস্থিতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা। এতে কারো কোন উপকারও হয় না। সবাই হৈ-হুল্লোড় করে খেয়ে দেয়ে বদনাম করতে করতে বাড়ী যায়।
ছোট করে একটা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান করাটাকে আমি মনে-প্রাণে সমর্থন করি।
আপনার জন্য শুভকামনা।
২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২
তোমোদাচি বলেছেন: ছোটলোকেরাই উপহারের দাম নিয়ে কথা বলে!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০২
পড়শী বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু ছোটলোকী ব্যাপারটাই দেখি বেশীর ভাগ মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। শিক্ষা-দীক্ষা তাদের মন-মানসিকতা কে পরিবর্তন করতে পারে না।
২৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪২
মুনকির নাঈম সানি বলেছেন: এরেঞ্জ ম্যারেজ ব্যাপারটাই ঘেন্না লাগে ।
১। দেনমোহরকে তো বলা চলে টাকা দিয়ে মেয়ে কেনার মত ব্যাপার । আমার চোখে দেনমোহর মেয়েদের জন্য অসম্মানজনক একটা ব্যাপার, যেমনটা যৌতুক ছেলেদের জন্য । ধর্ম মেয়েদের জন্য একটি স্বীকৃত উপহারের ব্যবস্থা করে গেছে (ইসলাম ধর্ম অনুসারে যার পরিমান হবে ছেলের সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার) । আমার মত একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ছেলের পক্ষে উপহার নিশ্চয় ৫ লাখ টাকা হতে পারে না । আথচ একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত / মধ্যবিত্ত পরিবারে এখন দেনমোহর ধরা হয় কম পক্ষে ৫ লাখ । ২ লাখের নিচে হলে তো মেয়ে নাকি লজ্জায় বিদগ্ধ হয় !! ভাই, আমি তো বিয়ে না করেই আমার জান্টু কে ডায়মন্ডের রিং (ইদানিং ২৫০০০ টাকার মধ্যেই মোটামুটি মানের পাওয়া যায় ) উপহার দিয়েছি । কিন্তু তাই বলে আমার তো সামর্থ্য নেই যে বিয়েতে দেনমোহর হিসেবে ৫ লাখ টাকা বা ২ লাখ টাকা উপহার দিব। দেনমোহরের অঙ্কটা হবে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার সুলভ । by forced হয়ে তো না। কিন্তু সমাজ এখন দেনমোহরকে abuse করে মেয়েদের জন্য যৌতুক হিসেবে নিচ্ছে ! হায়রে সমাজ ! আরে ভাই, টাকা দিয়ে কি ভালবাসা আর বিশ্বাসের নিশ্চয়তা দেওয়া যায় ? আমি যদি মেয়ে হতাম আর আমার হাজবেন্ড যদি আমাকে কখনো ছেরে যেত তবে তার দেওয়া দেনমোহরের বিশাল অঙ্কের টাকা খেতে আমার রুচিতে বাধত । কারণ, যে আমার প্রতি আন্তরিক না তার টাকা আমি কেন নিব ? আমরা কেউ কি বা-মার কাছ থেকে কোন কিছু নিতে যেম্ন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি তেমটা কি আত্নিয়দের কাছ থেকে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য পাই ? দেনমোহর নিতে কি মেয়েদের লজ্জা লাগে না । আমি মেয়ে হলে জীবনেও নিজেকে দেনমোহর নামক টাকার কাছে বিক্রি করতাম না। আমার সংসার জিবনে বউকে যত খুশি উপহার , সম্পত্তি দিব বাট by forced দেনমোহর দিয়ে তাকে ছোট করতে পারব না । আমার হবু বউ-এর ও ব্যাপারটা রুচিতে বাঁধে ।
২। বিয়েতে একটা অনুষ্ঠান হবে তা চাই এবং তা হবে একটি যেদিন বিয়েটা হবে । চৌদ্দটা অনুষ্ঠান করা একটা হিন্দু ধর্মীয় আচার যা যুগ যুগ ধরে পালিত হওয়ায় আমাদের সমাজের সাংস্কৃতিক আচারে পরিণত হয়েছে । ধর্মীয় কারণে নয়, ব্যাক্তিগত ভাবে এত দীর্ঘ সময়ব্যাপি অর্থ ব্যয় করে হুলস্থূল করাটা চরম বিরক্তিকর লাগে । মনে হয় যেন, দুটো মানুষের জীবন শুরু হচ্ছে না । যেন সবাই এক আখেরি মাগনা উৎসবে শামিল হচ্ছে । যারা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছে তাদের চেয়ে আশেপাশের ব্যক্তিদের আনন্দ যেন ধরে না
আমার আস্নন জীবনোধ্যায়ের যউন্তা,সুখ,বিরহ, দন্দ ইত্যকার ব্যাপার এত মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যাপারটা আমার কাছে বিব্রতকর । আমার ব্যাক্তিগত জিবন সংক্রান্ত ব্যাপার গুলো এত মানুষের মাঝে বিকিয়ে দেওয়াটা ভাল লাগে না। একটি অনুষ্ঠান হবে , ভাল লাগার কাছের মানুষগুলোকে নিয়ে । ৫ বছরেও বিপদে আপদে খোঁজ রাখে না এমন আত্নীয়,বন্ধু-বান্ধব, হাই-হ্যাল্লো সম্পর্কের কলিগ প্রভৃতি উষ্ণতাবিহীন মানুষদের নিয়ে এক মহাযজ্ঞ কেমন জানি লাগে । মনে হয় যেন আমাদের দুজনের নতুন জীবন নয়, আমরা এক আনন্দের উপলক্ষ তৈরি করছি যেখানে কিছু মানুষ উপভোগ্য সময় কাটাতে এসেছে । ফ্যান্টাসি কিংডমে আইসে বেড়াইতে ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৩
পড়শী বলেছেন: আমি ভাই অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কেই সাপোর্ট করি এখনো। একটু সচেতন হয়ে চললে উপরোল্লিখিত ঝামেলা গুলি এড়ানো সম্ভব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
প্রেমের বিয়েতে ঝামেলা, ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে, বিশেষ করে অপরিণত বয়সের প্রেম, একটা পরিবারকে নিঃশেষ করে দিতে পারে।
৩০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০২
প্রদীপ মিত্র বলেছেন: আপনি যে যে সমস্যা গুলার কথা বললেন তা ১০০% আরেঞ্জড ম্যারেজেও হয়। হিন্দু বিয়া, মুসলমান বিয়া বলে আলাদা কিছু ঘটার সুযোগ নাই, কারন গ্যাঞ্জাম পাকানোর লোকজন সব যায়গাতেই থাকে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৬
পড়শী বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমাদের দেশের যেকোন ধর্মের বিয়েতেই এই ক্যচালগুলি লাগতে পারে।
৩১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩
একজন আরমান বলেছেন: আসলে আমাদের মন মানসিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এই তুচ্ছ জিনিস গুলোই পরবর্তীতে অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করে।
রাফাত নুর বলেছেন: বিয়া করাই উছিত না।
রাফাত ভাই ভাবি কি আপনারে বেশী প্যাঁদানি দেয় নাকি?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৬
পড়শী বলেছেন: "এই তুচ্ছ জিনিস গুলোই পরবর্তীতে অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি করে "
সহমত।
৩২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অতি সত্য কথা। এই রকম হরহামেশাই ঘটে। শিক্ষিত মানুষের আড়ালে যে কিছু নোংরা মন মানসিকতা থাকে আমি সামনা সামনি না দেখলে হয়ত বিশ্বাস করতাম না।
আমার এক বন্ধুর বিয়েতে আমরা ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাচ্ছি, পৌছানোর কথা দুপুর ২টায়, পৌছালাম বিকেল ৫টায়। ফলে কন্যা পক্ষ যে সব খাবার রেখেছিল তা কিছু ঠান্ডা এবং কিছু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কন্যা পক্ষ আবার খাবার জোগাড় করছিল। এক সাথে ৫০/৬০ লোকের খাবার জোগাড় করা একটু সময় সাপেক্ষ্ ব্যাপার। তারা খাবার জোগাড় ও করেছিলেন কিন্তু তা ছিল, ভিন্ন ভিন্ন দোকানের। পাত্রপক্ষের একজন মুরুব্বী এই ব্যাপাটি নিয়ে এত বেশি হইচই করেছিলেন, যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। অনেকটা রাতের ট্রেনে ঢাকায় ফেরার কথা। আমি ভীষন লজ্জিত বোধ করেছিলাম। পরে আমার বন্ধুর সরাসরি হস্তক্ষেপে এই ক্যাচাল বন্ধ হয়। বলাবাহুল্য ঐ মুরুব্বী ঐ পরিবারের প্রধান সদস্যদের মধ্যে ছিলেন না। আমার বন্ধর দূর সম্পকের চাচা।
ঐ বেটার কথা মনে হলে এখনো প্রচন্ড রাগ হয়।
পোষ্টে ++++++++++++
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৯
পড়শী বলেছেন: বোঝেন অবস্থা। এরকম বর বা কণে পক্ষের কাছে নিজের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যও অনেকে এই রকম করেন।
আমরা ও কিন্তু অনেক সময় আমাদের চারপাশের মানুষ কে, নিজের গুরুত্ব যে অনেক, সেটা বোঝানোর সুযোগ পাইলে হাতছাড়া করি না।
৩৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৩
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
বিয়ে মানেই ব্যাপক ঝামেলা । বিয়ে বাড়িতে কিছু মহিলা থাকেই যেগুলা ক্যাচাল লাগাইতে উস্তাদ !!
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২১
পড়শী বলেছেন: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভদ্রমহিলাগণই ক্যাচালের শুরুটা করে দেন। বাকি কাজ কিন্তু ভদ্রমহোদয়গণই সম্পন্ন করেন।
৩৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: সুন্দর বলসেন। আমি আর আমার মনের মানুষ আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। আমার পরিবার রাজী, কিন্তু ওর বাবা এখনো জানে না, জানলেও মানবে কিনা, দেন মোহর নিয়ে ঘাপলা করবে কিনা - কি হবে কে জানে !!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৮
পড়শী বলেছেন: ধন্যবাদ। বাবা-মায়ের চেয়ে আপন পৃথিবীতে কেউ নাই। আপনি তার পরিবারের সবার সম্মতি নেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।
আপনাদের জন্য শুভকামনা।
৩৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৩
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ভালো একটা পোষ্ট
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫০
পড়শী বলেছেন: ধন্যবাদ ইভান।
৩৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
ঝটিকা বলেছেন: নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: খুব শিগ্রই বিয়ে করবো কিন্তু এইসব দেখলে আর বিয়া করতে ইচ্ছা করেনা। কিন্তু যেহেতু না করেও উপায় নেই, আমি ঠিক করেছি খুব ছোট করে বিয়ের অনুস্ঠান করবো। কে কি মনে করলো তাতে আমার কিছু যায়-আসেনা। বিশাল বিয়ের অনুস্ঠান করে কখনো জাতে ওঠা যায়না, বা ছোট অনুস্ঠানে কারো জাত চলে যায়না। বিয়ের কার্ডেই লিখে দেবো কোন প্রকার উপহার গ্রহন করা হবেনা, উপহার কেনা নিয়ে গেস্টদের দু:শ্চিন্তায় ফেলতে চাইনা, বা উপহার দেখে একেকজন যা-তা মন্তব্য করুক সেটাও চাইনা।
সহমত।
লেখক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। আমার বিয়ের সময়ও এরকম তিক্ততা ঘটেছিল। আমিও শেয়ার করব একদিন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৯
পড়শী বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ঝটিকা। আপনার দেখা ঘটনাটি পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৯
রবি কিরণ বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরলেন ।ধন্যবাদ।