![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডিএনএ - ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড। তনু হত্যার পর দেশের আলোচিত এক শব্দ। যা ময়নাতদন্তকারীরা সিআইডির কাছে চেয়ে আসছেন। এনিয়ে বহু মামলা মোকদ্দমা হচ্ছে কিংবা কিছুই হচ্ছে না। আমরা সেদিকে যাব না। সময়ই বলে দেবে কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায় কিংবা না গড়ায়। আমরা বরং জানার চেষ্টা করি আমাদের উৎস সম্পর্কে।
প্রতিটি জীবের জিনগত তথ্য (জিনোম সংকেত) তার ডিএনএ তে সংরক্ষিত থাকে এবং তা বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষের ডিএনএ আমাদের দেহে বিদ্যমান এবং আমাদের উত্তরসূরিদের ডিএনএতেও তা বিদ্যমান থাকবে।
উল্লেখ্য সময়ের সাথে সাথে প্রাণীর এই জিনোম সংকেতে অতিক্ষুদ্র কিছু পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনকে বিজ্ঞানীরা মিউটেশন নামে ডাকেন। কোন প্রাণীর জিনোম কোডে মিউটেশন হলে এই প্রাণীর পরবর্তী প্রজন্মে এই পরিবর্তন গুলো বিদ্যমান থাকে।
একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন আবুলের দুই ছেলে সাবুল আর বাবুল। যেহেতু শাবুল আর বাবুল দুই ভাই, তাদের দুজনের মাঝেই তাদের বাবার জিনোম কোড বিদ্যমান। ছোট ছেলে বাবুলের জন্মের সময় তার জিনোম কোডে কিছুটা মিউটেশন ঘটে যার কারণে বাবুলের চুল ছোটবেলা থেকেই কিছুটা লাল।
এখন বাবুলের জিনগত এই পরিবর্তন বাবুলের পরবর্তী প্রজন্মের সবাই পাবে। কিন্তু সাবুলের ছেলে মেয়েদের ডিএনএ তে লালচুলের পরিবর্তন পাওয়া যাবে না। কিন্তু সবার দেহেই আবুলের জিনোম কোড পাওয়া যাবে। মূলতঃ যার জিনোম সবার মাঝে পাওয়া যাবে সে সবার আদিপুরুষ।
পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ডিএনএ রিপোর্টে একটা জিনোম সবার মাঝে পাওয়া গেছে। আর সেই দাদা থাকেন আফ্রিকাতে। তাদের জাতের নাম বুশম্যান সরল বাংলায় ঝোপের মানুষ। বুশম্যানরাই প্রথম মানুষের জাত এমন নয়। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর সব জাতির শুরু হচ্ছে এই বুশম্যান। এদের আছে আফ্রিকান ট্রেডমার্ক কোঁকড়া চুল, আশিয়ানদের জন্য ছোট নাক - সরু চোখ, আর দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গায়ের শ্যামল রং - যা পরবর্তিতে ঘোর কৃষ্ণ কিংবা ধবধবে শাদা হতে পারে।
ছবি সুত্র: wikimedia.org
এশিয়ান, ইউরোপিয়ান সহ সারা দুনিয়ার মানুষের ডিএনএ রিপোর্টের সাথে মিলে গিয়েছে বুশম্যানদের ডিএনএ। তাই এটা বলাই যায়, আফ্রিকা আমাদের আদি মাতৃভূমি।
তাহলে বুঝতে পেরেছেন যে জাত একটাই আর সেটা বুশম্যান! ভাতে মাছে আমরা বুশম্যান!
তবে আরও কিছু প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। কিভাবে কেন এই বুশম্যানরা ছড়িয়ে গেলো সারা দুনিয়ায়? কেন আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানরা দেখতে চাইনিজ-মঙ্গোলিয়ানদের মত? কেন ইউরোপিয়ানরা ফরসা হয়? ইনশাল্লাহ পরবর্তী পোস্টগুলোতে উত্তর জানার চেষ্টা করব যার শেষ কিস্তিতে সূত্রগুলো থাকবে।
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২১
পাউডার বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: সংক্ষিপ্ত হলেও ভালো পোস্ট। মানবজাতির রুট অবশ্যই এক। আমরা তবু জাতপাতের ভেদাভেদ করি, হিটলার কইতো জার্মানরা সেরা, আমরা কই বাঙ্গালীই সেরা, আবার ব্রিটিশরা তো না নামায়ই না।
ভালোলাগা রইলো।
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২২
পাউডার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোলাগা আমাকে আরও লিখতে উৎসাহিত করছে।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অ্যান্থ্রপলজি খুবই কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়। পরের কিস্তির অপেক্ষায়...
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৩
পাউডার বলেছেন: ধন্যবাদ। মাত্র লিখলাম পরেরটি।
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:১৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো পোস্ট। পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৩
পাউডার বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১০ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০০
কল্লোল পথিক বলেছেন:
পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
৬| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৪
পাউডার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মাত্র লিখলাম পরেরটি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম।