নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্যালকম পাউডার

পন্ডস

পাউডার

নাই কিছুই

পাউডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নুহ নবীর নৌকা - বিজ্ঞান - বাইবেল এবং কোরআন

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮




নুহ নবীর নৌকা আর সেই মহাপ্লাবনের কথা আমরা সবাই জানি। মহাপ্লাবন এলো। নুহ নবী তাঁর সহচরদের নিয়ে নৌকায় উঠলেন। বেশ কিছুদিন পরে বৃষ্টি/বন্যা কমলে তারা মাটিতে পদার্পণ করলেন। পৃথিবীর বর্তমান মানুষেরা সব নৌকার যাত্রীদের বংশধর। অনেকের মতে এই নৌকাটি এখনো সংরক্ষিত আছে। কেউ কেউ এমন দাবীও করছেন তা পাওয়া গেছে তুরস্কের পাহাড়ের পাদদেশে। শুধু কয়েকটা গ্রন্থের গল্প হলে হেঁসে উড়িয়ে দেয়া যেত। কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও, পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্ম/গোত্রে এই কাহিনীটি এসেছে। এমনকি হিন্দু ধর্মের মৎসপুরাণ গ্রন্থে আর্যপিতা মনু মহাপ্লাবন থেকে মানুষকে রক্ষা করেন।



এখন কোটি টাকার প্রশ্ন গুলো হচ্ছেঃ
১। বাইবেল অনুসারে তুরস্কের আরারাত পর্বতমালায় কি আসলেই নৌকাটা রয়েছে?
২। কোরআনের জুদি পাহাড় কি বাইবেলে বলা একই জায়গা?
৩। বিজ্ঞান অনুসারে কে বেশি সঠিক? বাইবেল নাকি কোরআন? নাকি দুটোই ভুল? নাকি দুটোই সঠিক?



আসুন সন্ধান করি সত্যের।

বাইবেলে বলা আরারাত পর্বতমালা
আদিপুস্তক ৮ঃ৪ - সপ্তম চান্দ্র মাসের সতেরো দিনের দিন জাহাজটি এসে আরারাত পর্বতের উপরে থামল।
খ্রিস্টানরা দাবী করেন তুরস্কের আরারাত পর্বতমালায় রয়েছে নূহ নবীর নৌকাটি। পরিব্রাজক মার্কো পোলো আটশত বছর আগে তাঁর বইয়ে তুরস্কের আরারাত পাহাড়ের বর্ণনা লিখেছিলেন।

কোরআনের জুদি পাহাড়
সুরা হুদ ১১:৪৪ - আর নির্দেশ দেয়া হল-হে পৃথিবী! তোমার পানি গিলে ফেল, আর হে আকাশ, ক্ষান্ত হও। আর পানি হ্রাস করা হল এবং কাজ শেষ হয়ে গেল, আর জুদী পর্বতে নৌকা ভিড়ল এবং ঘোষনা করা হল, দুরাত্না কাফেররা নিপাত যাক।
মুসলিম স্কলারদের দাবী অনুযায়ী জুদি পাহাড়ও তুরস্কেে। খ্রিস্টানদের আরারাত পাহাড় থেকে বড় জোর ২০০ কিলো হবে।
এখন খ্রিস্টান এবং মুসলিমরা মোটামুটি নিশ্চিত যে আরারাত এবং জুদি একই জায়গা।



তাই ১৯৪৯ সাল থেকে এখনো তুরস্কের তথাকথিত আরারাত পাহাড়ে এবং জুদি পাহাড়ে খোঁজা হচ্ছে এই নৌকা। মাঝে কিছুদিন পাওয়া গেছে পাওয়া গেছে বলে শোরগোল তুললে আদতে বিশ্বাস যোগ্য কিছুই মেলেনি। এবং মেলার সম্ভাবনা নেই।

চলুন দেখি বিজ্ঞান এ ব্যাপারে কি বলে।

তথ্য ১ - প্রতিটি জীবের জিনগত তথ্য (জিনোম সংকেত) তার ডিএনএ তে সংরক্ষিত থাকে এবং তা বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষের ডিএনএ আমাদের দেহে বিদ্যমান এবং আমাদের উত্তরসূরিদের ডিএনএতেও তা বিদ্যমান থাকবে। জেনেটিক সায়েন্স মিউটেশন মার্কার বিশ্লেষণের মাধ্যমে বলে দিতে পারে যে কে কার সন্তান। জেনেটিক বিশ্লেষণে প্রমাণিত যে বর্তমান পৃথিবীর মানুষদের আদি আবাসস্থল ছিল আফ্রিকা। ককেশীয়, চৈনিক, অষ্ট্রলয়েড কিংবা রেড ইন্ডিয়ান - যে জাতের মানুষই হোক না কেন সবই এসেছে আফ্রিকার বুশম্যানদের থেকে।

তথ্য ২ - মানুষের সবচে পুরনো দুই লাখ বছরকার আগের ফসিল পাওয়া গেছে আফ্রিকাতে। আফ্রিকার বাইরের সবচেয়ে পুরনো এশিয়ান ফসিলের বয়স একেবারে শিশু। চল্লিশ হাজার বছর মাত্র।

তো কাহিনী এবার উলটো! মহাপ্লাবনের কাহিনী যদি সত্য হয়, বিজ্ঞান অনুযায়ী নৌকার অবতরণ নিশ্চিত ভাবেই আফ্রিকায় হয়েছিল। কারণ আমাদের সবার আদিপুরুষরা সেই নৌকায় ছিলেন। অনেকে বলতে পারেন যে, নৌকা থেকে তুরস্কে নেমে হেঁটে হেঁটে আফ্রিকায় চলে যায়নি সে প্রমাণ কৈ? বলি দাদা তারও প্রমাণ আছে। মানুষের পক্ষে হেঁটে হেঁটে এত বড় সাহারা মরুভূমি পাড়ি দেয়া অসম্ভব। আর সবাই দৌড়ে আফ্রিকায় যাবে কেন? কেউ কেউ তো ইউরোপ কিংবা এশিয়ার দিকেও আসত!


তাহলে এই কথাই সই যে, প্লাবনের কাহিনী সত্য হলে, নূহ নবীর নৌকা আফ্রিকাই নোঙর করেছিল। তো এবার আমাদের স্কলার এবং বাইবেল-কোরআনে ফিরে আসি। বাইবেল-কোরআন কি মিথ্যা বলছে?

কোটি টাকার উত্তর গুলো হচ্ছেঃ
১। বাইবেল আরারাত পর্বতমালার কথা বলেছে। একবারও বলেনি এটা তুরস্কের পর্বত। তাহলে বাইবেল মিথ্যে বলছে না।
২। কোরআন একবারও বলেনি জুদি পাহাড় তুরস্কে আছে। কোরআন শুধু পাহাড়ের নাম বলেছে। সরাসরি অবস্থান বলেনি। অতএব কোরআন মোটেও মিথ্যে বলছে না।
৩। নৌকা অবতরণের যায়গা হল আফ্রিকা মহাদেশ। এবং এ ব্যাপারে বাইবেল কোরআন মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। তাই সেই নৌকা খুঁজতে হবে আফ্রিকায়। শুরু করা যেতে পারে সাউথ-আফ্রিকার জোহানসবার্গে। এখানে পাহাড় আছে। এখানেই গুহায় পাউয়া গেছে প্রাচীন মানুষের কবরস্থান।

নূহ নবী এবং তৎকালীন মানুষরা কিছুটা শ্যামলাই ছিলেন। অনেকটা বুশম্যানদের মত।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নুহের অনুসরণ করে কি আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিলেন?

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

পাউডার বলেছেন: ভরসা রাখুন নৌকায়।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি এই বিষয়ে যা জানি সবই মানুষের মুখে শুনা ছিল।

আজ আপনি অনেক তথ্য দিয়ে জানিয়ে দিলেন। কৃতজ্ঞতা রইল ভাই।

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

পাউডার বলেছেন: প্রমাণিত সত্য নয়। এগুলো আমার ধারনা কিংবা যুক্তি বলতে পারেন।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: সুরা হুদ ১১:৪৪ - আর নির্দেশ দেয়া হল-হে পৃথিবী! তোমার পানি গিলে ফেল, আর হে আকাশ, ক্ষান্ত হও। আর পানি হ্রাস করা হল এবং কাজ শেষ হয়ে গেল, আর জুদী পর্বতে নৌকা ভিড়ল এবং ঘোষনা করা হল, দুরাত্না কাফেররা নিপাত যাক।

পৃথিবীতে ১৫০ কোটি মুসলমান আর ৬০০ কোটি কাফের। তা এতো এতো কাফের নিপাত যেতে তো অনেক সময় লাগবে ? তাড়াতাড়ি নিপাত করার কোনো উপায় জানা আছে ?

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

পাউডার বলেছেন: কাঠমোল্লা এবং নাস্তিক দুই দলের মতে কাফের কিংবা অবিশ্বাসীদের আল্লাহ মেরে ফেলতে চান।
কথাটা সঠিক নয়। আল্লাহ সবার জন্যই রহমত-রিজিক রেখেছেন। সে ইমানদার হোক কিংবা বেইমান্দার।

উপরের লাইনে দুরাত্না কথাটা আছে। নিশ্চয়ই বড় কোন অপরাধই হবে।

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

পাউডার বলেছেন: বাইদাওয়ে, আইএসের হাতে দু-চারটা পারমানবিক বোমা থাকলেই এ কাজ অনেক সহজ হয়ে যেত। :D

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

নতুন বলেছেন: চলুন দেখি বিজ্ঞান এ ব্যাপারে কি বলে।

এতো বড় বন্যা কি সম্ভব?

এতো প্রানী একটা নৌকায় করে রাখা সম্ভব?

এতো বড় নৌকা কি বানানো সম্ভব? তাও অত আগের প্রযুক্তি তে...

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

পাউডার বলেছেন: কত বড় বন্যা? কেন সম্ভব না?
কত প্রাণী? আপনের বাড়ির ডিঙ্গি নৌকা ভাবলেন নাকি আবার?
৬০,০০০ বছর আগে মানুষ আন্দামানে যায় নি? ৫০০০ বছর আগে মানুষ পিরামিড বানায় নি?
--------------------------------------
আপনই পুরাতন ব্লগার। টপিকে থাকুন।
এই পোস্টে বলতে চেয়েছি এন্ত্রপোলজি এবং মানুষের ডিএনএ ম্যাপের সাথে মহাপ্লাবনের গল্পের বিরোধ নাই।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আইএস চিফের পোস্ট খালি হয়েছে ,আল -বাগদাদী এখন জান্নাত গমন করে ৭২ হুরী সম্ভোগে ব্যস্ত আছেন। আপনার চেনা শুনা কেউ আছে ? খুব জলদি নিয়োগ দেয়া হবে।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বিজ্ঞানীরা তথ্য উপাওর ভিক্তি দিয়ে গবেশনা করে। তুরস্ক নৌকা খোজার কিছু উপাও নিশ্চই আছে।

আপনি আফ্রকায় নৌকা খুজতে বল্লনে? আপনি চার হাজার বছরের পুরানো মানচিএ খোজে দেখেন এশিয়া ও আফ্রিকার অবস্থান একসাথে ছিল। ভুমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, সমুদ্রের স্রোত ইত্যাদির ফলে পৃথিবীর মানচিএ পরির্বতন হচ্ছে।

গ্রীনল্যান্ড আইল্যান্ড নিজের অবস্থাম থেকে ১ কিলো সরে গিয়েছে গত ১০০ বছরে।

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

পাউডার বলেছেন: চারহাজার বছর আগে মোটামুটি এমনই ছিল জনাব।
ধারনা করা হয় ২০,০০,০০,০০০ বছর আগে আফ্রিকা এশিয়ার সাথেই ছিল।

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: পোস্টটি সমৃদ্ধ নয়।

মনে হয়, এই মহাপ্লাবন নির্দিষ্ট এলাকায় ঘটেছে! সারা পৃথিবীজুড়ে নয়।

১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

পাউডার বলেছেন: এই পোস্টটি নূহ নবীর নৌকার অবতরণের স্থান নিয়ে।
সরাসরি মহাপ্লাবন সম্পর্কিত নয়।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



পোস্টে সত্যানুসন্ধানের প্রচেষ্টা লক্ষনীয়। ধন্যবাদ, পাউডার।

কিছু লোকের মন্তব্য দেখলেই তাদের ভেতরের চুলকানি অনুমান করা যায়। জান্নাত, হুর, গেলমান ইত্যাদি শব্দগুলো কুরআনের পরিভাষা। ধারনা করা অমূলক নয়, চুলকানিযুক্তগন এসব শব্দে ব্যাপক অসহ্য যন্ত্রনা অনুভব করে থাকেন। তার প্রমান, এই শব্দগুলোকে, ধর্মীয় পরিভাষাগুলোে তাদের নিকট বরাবর উপহাস কৌতুকের বিষয় বলে পরিগনিত।

৯| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

হানিফঢাকা বলেছেন: Have you read by yourself NOAH's story from Old Testament?

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৭

পাউডার বলেছেন: পরেছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগই ভুলে ভরা এবং বাইবেলের মূল থিমের সাথে যায় না। যেমন নৌকার দৈর্ঘ্য কিংবা নূহ নবীর মদ খেয়ে মাতলামি করা। এর তুলনায় কোরআনের বর্ণনা নিরেট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ।

১০| ১৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কত বড় বন্যা? কেন সম্ভব না?
কত প্রাণী? আপনের বাড়ির ডিঙ্গি নৌকা ভাবলেন নাকি আবার?
৬০,০০০ বছর আগে মানুষ আন্দামানে যায় নি? ৫০০০ বছর আগে মানুষ পিরামিড বানায় নি?


টপিকটাই মজার এই জন্যই আলোচনায় আসা.. কারন আমার ধারনা এইঘটনা অতিরন্ঞত.... এতো বড় প্লাবন হয়নাই এবং এতো বড় নৌকা বানিয়ে এই রকমের কিছু হয়নাই। এটা মানুষের মুখে মুখে ছড়ানো কাহিনি অতিরন্ঞিত হয়েছে।

মহাপ্লাবনে দুনিয়া রিসেট হওয়ার ঘটনা খুবই অসম্ভব একটা ঘটনা....

৮ জন পরিবারের সদস্য যারা সাধারন মানুষ তারা বিশ্বের সব প্রানীর ১ জোড়া করে স্হান হয় এমন নৌকা তৌরি করে তাতে ৪০ দিন তাদের খাবার দিয়ে বাচিয়ে রাখা ।

সারা বিশ্বের সব প্রানী এক স্থানে চলে এলো..... তাহলে সকল প্রানী কিন্ত একস্থানেই আবার চলে আসলে.... তবে ক্যাঙ্গারু শুধুই অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায় ..

মাদাগাস্কারে এমন প্রানী বা গাছ আছে যেটা বিশ্বের অন্য কোথাও নেই....
আর মাত্র ৮জন মানুষ থেকে ৪০০০ বছরে ৭ বিলিওন মানুষ এবং সেই ১ জোড়া প্রানী থেকে সারা দনিয়াতে এতো প্রানী .... অসম্ভব ।

Bill Nye এই বিষয়ের একটা আলোচনা দেখেন....
https://www.youtube.com/watch?v=F4OhXQTMOEc

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১৮

পাউডার বলেছেন: ধন্যবাদ। পোস্টে এটা উল্লেখ করেছি যে মহাপ্লাবনের কাহিনী যদি সত্য হয়......
সত্যি হলে নৌকা অবশ্যই আফ্রিকায় নোঙর করেছিল। সে হিসাবে ধর্মীয় স্কলারদর অনুমান বিজ্ঞান স্বমত নয়।

যে কোন ঘটনা অতিরঞ্জিত করা মানুষের স্বভাব। তাই ডালপালা বাদ দিতে যুক্তিতর্ক এবং বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মতামতই গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে আপনার সাথে একমত।

বাইবেলের সাথে কোরআনের গল্পের কিছু পার্থক্য আছে।
১। কোরআনে নৌকার দৈর্ঘ্য বলা নাই।
২। কোরআনে বলা নাই এটা গ্লোবাল বন্যা। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাংগারু বাইবেল অনুযায়ী ঝামেলায় পরলেও, কোরআনের লোকাল বন্যায় সারভাইভ্যাল ইস্যু নাই।
৩। লোকাল বন্যা হইলেও মাদাগাস্কারের লতাপাতা-পশুপাখিদের যুক্তিতেও কোরআন কমপ্লাই করে।
৪। ৪০০০ বছর অবশ্যই নয়। এই কথা কোরআনের না। ধারনা করা হয় সত্তর হাজার বছর আগে মানুষ আফ্রিকা থেকে এশিয়ায় পদার্পণ করে।

১১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ব্যাপারটা আমার কাছে সম্পূর্ণ হাস্যকর মনে হয়।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৮

পাউডার বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আপনার চেহারাও অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে। কিসসু করার নাই।

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪৪

নতুন বলেছেন: লোকাল বন্যা হইলে আর অতিরঞত হিসেবে নিলে... হয়তো যৌক্তিক মনে হতে পারে..

গ্লোবাল অসম্ভব সেটা বিভিন্ন ভাবেই প্রমান করা যায়...

এই জন্যই আমেরিকাতেই অনেকে নোয়ার কাহিনি অবাস্তব বলেই মনে করে।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২৩

পাউডার বলেছেন: প্রমাণিত ভুলে বিশ্বাস করা মূর্খেরই নামান্তর।
শিক্ষিত খ্রিস্টানরা সবচে বিপদে পরে বিবর্তনবাদ নিয়ে। এ এমন এক জিনিস যা বাইবেল দিয়ে মানা যায় না, আবার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ গুলোকে অস্বীকার করার উপায়ও নাই। :D

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১২

জেন রসি বলেছেন: বাইবেলে অনুযায়ী পৃথিবীর বয়স কত?

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২৩

পাউডার বলেছেন: ৬০০০ হইতে পারে। :D

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই পোস্টটি নূহ নবীর নৌকার অবতরণের স্থান নিয়ে।
সরাসরি মহাপ্লাবন সম্পর্কিত নয়----------

এই জন্যই বলা। কোথায় বা কোন এলাকায় হয়েছে এই নিয়ে চিন্তা করলে এটা কোন মহাদেশে বা কোথায় পাওয়া যেতে পারে নৌকাটি(যদি টিকে থাকে) বা অবতরণের স্থান নির্ণয় সুবিধা হবে। তবে সে এলাকাতেই পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তাও নাই।

এই নিয়ে অতিরিক্ত মাথা ঘামাতে চাচ্ছি না। এর থেকে জরুরী অনেক কিছু ভাববার আছে, করার আছে। তবে পুরাতন ব্যাপার একটু ভিন্ন ভাবে জানলাম, জানার শেষ নাই তাই জানতে ক্ষতি নাই। ভাল থাকুন।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

পাউডার বলেছেন: বাংলা ভাষায় গবেষণার কোন স্থান নাই। তাই যা পারি আবল তাবল লিখে যাচ্ছি এই আশায়, যাতে যোগ্যতম কেউ একসময় আসলে আমাদের মতামত জানতে পারবে।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: নূহের নৌকা খুঁজে কোনো লাভ নাই। পাওয়া যাইবো না। সেই নৌকা আছে আপনার আমার কাছে। তবে নূহের কাহিনীতে মজার বক্তব্য আছে। ঐ কাহিনীতে আল্লাহ স্পষ্ট করাইছেন যে মুসলমান জন্মগত সূত্রেই মুসলমান না। অর্থাৎ আপনের বাপ যদি কলমা পড়ে ও সুন্নত দিয়ে মুসলমান হয়ে থাকে তাহলে আপনিও মুসলমান তার কোনো গ্যরান্টি নাই। কারণ এই কাহিনীতেই তা স্পষ্ট করা আছে।

যখন আল্লাহয় তার লোকজন ও পশু পাখী উঠাইতে কইলো নূহেরে, নূহ তাই করলো। কিন্তু যখন বন্যা আইলো, নূহ দেখে তার পোলা কেনান নিচেই রইছে। হাগদাগ কইরা নূহ আল্লারে কয়, আল্লাহ বাঁচাও আমার সন্তানরে, হেয় নৌকায় উঠবার পারে নাই। পোল্লাটা আমার মইরা যাইবো, তারে বাঁচাও ও মোর আল্লাহরে।

তখন আল্লাহয় কয়, হেয় তো আমার অনুগত(মুসলিম) না। হেরে আমি বাঁচাবার পারুম না। হ্যাসে নূহের পোলা ডুইবা মরছিলো।

অহন কথা হইলো, নূহ আছিলো মুসলমান। তাইলে আল্লার নজরে নূহের পোলা মুসলমান হইলো ক্যান? এইটাই আল্লা বুঝাইলো, নুনু কাটলে, কলেমা পড়লেই মুসলমান হওয়া যায় না। আর একটা কথা স্পষ্ট করছে, বীর্যের মইধ্যে মুসলমানের কোন সীলমোহর মারা নাইকা। তাই মুসলমানের পুলা মুসলমান হইবো। তাই জন্মগতসূত্রে মুসলিম হওয়া যায় না। নূহের কাহিনীতে এটা একটা গুরুত্ব পূর্ণ শিক্ষনীয় বার্তা।

কি নৌকা খুঁজার লাইগা বাইবেল কোরান আর বিজ্ঞান নিয়া বইছেন। নৌকাটাতো আপনের কাছেই আছে!!

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৩

পাউডার বলেছেন:
আমার পরিচিত এক বড়ভাই আপনার মতই বলেছেন।
কোরআনে অনেক রূপক রয়েছে। তার মানে এই নয় যে পুরোটাই রূপক।

১৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রমাণিত ভুলে বিশ্বাস করা মূর্খেরই নামান্তর।
শিক্ষিত খ্রিস্টানরা সবচে বিপদে পরে বিবর্তনবাদ নিয়ে। এ এমন এক জিনিস যা বাইবেল দিয়ে মানা যায় না, আবার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ গুলোকে অস্বীকার করার উপায়ও নাই। :D


মুসলমানেরাও কতটুকু বিবত`নবাদে বিশ্বাস করে? :)

একটা কাজ করেন.... বাইবেলকের নোয়া/প্লাবন সম্পকে` যেই ফ্যাক্ট আছে তা লিস্ট করুন তার সাথে কোরানের ঘটনার থেকে তথ্যগুলি এক সাথে দিন...

যেমন:- সকল প্রানীর ১ জোড়া্ করে নৌকায় নিতে বলা হয়েছিলো.... ( সম্ভবত কোরানে সকল প্রানীর ১জোড়া করে নেবার কথা আছে) তবে ক্যাঙ্গারু, রয়েলবেঙ্গল টায়গার, সাদা মেরু ভাল্লুক, স্লথ ( যারা খুবই অলস...) অনেক প্রানী আছে দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে যারা মাইগ্রেট করে নৌকায় উঠার জন্য হাজার মাইল কিভাবে কয়েক দিনের মাঝে আসবে?

নুহ আ: পরিবার কিভাবে এতো গুলি প্রানীর জন্য খাবার দেবে? তাদের দেখাশুনা করবে? সব প্রানীর খাবার ৪০ দিনের জন্য জোগাড় করা এবং তা নৌকায় নেওয়া?

এতো বড় নৌকা ৮ জন মানুষের তৌরি... কারন কাঠের নৌকার কিছু সমস্যা আছে এবং খুব বেশি বড় করে বানালে সেটা ঢেউে টেকে না। পানি উঠবেই কারন ঢেউ কয়েক ভাবে নৌকাটিকে মোচড় দেবে তাকে জোড়া থেকে পানি উঠবেই।

অনেক কিছুই আছে যেটাতে এই গল্পকে অসাড় প্রমান করতে পারে। এই কাহিনি কিভাবে সত্য হয় সেটা বুঝি না।

তেমনি আছে মাছের পেটে ইউনুস আ: ৪০ দিন থাকা, চাদ আঙ্গুলের ইসারায় দুইটুকরা হওয়াও কিন্তু যৌক্তিক ভাবে খাটে না।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

পাউডার বলেছেন: ১। ৮ জন নৌকার মিস্ত্রীর কথা কি কোরআনে আছে?
২। আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দুই ভাগ হবার কথা কোরআনে নাই।
৩। মাছের পেটে কয়দিন ছিল তাও কুরআনে নাই।
৪। লোকাল বন্যা হইলে ক্যাঙ্গারু, সাদা মেরু ভাল্লুক, স্লথের কাহিনী নাই।

১৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য।

নুহ নবীর বন্যা সংক্রান্ত আপনি দুইটি সোর্স উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ কোরআন এবং ওল্ড টেস্টামেন্ট । এই সংক্রান্ত আমার অল্প কিছু পড়ালেখা আছে। আপনার পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বিধায় শেয়ার করলাম।

ওল্ড টেস্টামেন্ট একাউন্টঃ
ওল্ড টেস্টামেন্টের কাহিনী গুলির জিউগ্রাফিকাল বর্ণনা নিখুত। সমস্যা হচ্ছে এর মেসরটিক পাঠ পদ্বতি এবং ওরিয়েন্টালিস্ট অনুবাদ। স্ক্রিপচার রিভিউ- হিব্রু বাইবেল

ওল্ড টেস্টামেন্টের লেখকরা নোয়াহ কাহিনীর ক্ষেত্রে , একি নামে তিনটি পৃথক চরিত্রের পৃথক কাহিনীকে একত্রিত করে একটি কাহিনীর রুপদান করেছেন, যার মুল চরিত্র হচ্ছে নোয়াহ। ওল্ড টেস্টামেন্টের কাহিনীর ক্ষেত্রে আমরা তিন ধরনের নোয়াহ কাহিনী দেখতে পাই যেমনঃ

১। নোয়াহ ট্রাইব/গোত্র/ ডাইনেস্টি
২। নোয়াহ – আঙুর বাগানের কাহিনী
৩। নোয়াহ- আরাবিয়ান গড আল তাবিত ( দ্য গড অফ সেটেলমেন্ট)

এখন আপনার কোটি টাকার প্রশ্নঃ নোয়াহর আর্ক কোথায়?
ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুসারেঃ নোয়াহর আর্ক তৈরী করা হয়েছে একধরনের বিশেষ কাঠ দিয়ে , সেটা হচ্ছে যুফার কাঠ যা ওল্ড টেস্টামেন্টে অন্য কোথাও এই কাঠের কথা বলা হয়নি। উত্তর ইয়েমেন “ফরেস্ট অফ যাফর” এখনও বিদ্যমান।
ওল্ড টেস্টামেন্টে বলা হয়েছে নোয়াহর আর্ক থেমেছে ‘mountains’ — not the ‘mountain’ — of Ararat (hry ’rrt) - (হিব্রু বহুবচন, একবচন নয়) ট্র্যাডিশনাল অনুবাদের সাথে এটা একটা বড় পার্থক্য।

কোরআন অনুসারেঃ
আপনি যে রেফারেন্স দিয়েছেন তা ঠিকই আছে, কিন্তু এই রহস্য ভেদ করতে হলে কোরআন থেকে আরও রেফারেন্স লাগবে। কোরআনে এই সংক্রান্ত প্রচুর চেইন রেফারেন্স আছে। উদাহরণ স্বরুপঃ

কোরআনের ৭:৬৯ অনুযায়ীঃ
Then do you wonder that there has come to you a reminder from your Lord through a man from among you, that he may warn you? And remember when He made you successors after the people of Noah and increased you in stature extensively. So remember the favors of Allah that you might succeed.

অর্থাৎ, আদ জাতি হচ্ছে পিপল অফ নোয়াহর সাকসেসর। লজিক্যালি যদি আদ জাতি নোয়াহর সাকসেসর হয় তবে, তারা একই জিওগ্রাফিকাল এরিয়াতেই ছিল। সুতরাং আদ জাতির অবস্থান বের করতে পারলে, নোয়াহ এবং তার লোকদের অবস্থান বের করা সম্ভব কারন নোয়াহর অবস্থান হবে আদ জাতি যেখানে ছিল তার আশেপাশে কোথাও।

আদ জাতি কিভাবে ধ্বংস হয়েছিল? উত্তর ভায়লেন্ট উইন্ড বা ধ্বংসাত্বক ঝড়ো বাতাস। এইটার বর্ণনা কোরআনে অনেক জায়গায় দেওয়া আছে। এইটা ছিল একটা giant sand dunes। এখনও আরবে একটা জায়গা এই giant sand dunes এর জন্য বিখ্যাত- যাকে কোরআনে aḥqāf বলা হয়েছে। ঐ জায়গার নাম এখনও aḥqāf ই আছে। কোরআনের ৪৬:২১-২৭ এ এর উত্তর পাওয়ার কথা।

সুতরাং নুহের প্লাবন ইরাক, আফ্রিকা, তুরস্ক এই সব কোন জায়গায় হয় নাই, এটা আরাবিয়ান পেনিন্সুলার কোথাও হয়েছে। আরকেটা বিষয় হচ্ছে, ওইটা একটা নিদৃস্ট জিওগ্রাফিকাল এরিয়াতে হয়েছিল, সারা বিশ্বে নয়। অন্য পুরানে কেন এই কাহিনী পাওয়া যায়? উত্তর হচ্ছে মাইগ্রেশন অফ পিপল

ধন্যবাদ।


১৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১। ৮ জন নৌকার মিস্ত্রীর কথা কি কোরআনে আছে?
২। আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দুই ভাগ হবার কথা কোরআনে নাই।
৩। মাছের পেটে কয়দিন ছিল তাও কুরআনে নাই।
৪। লোকাল বন্যা হইলে ক্যাঙ্গারু, সাদা মেরু ভাল্লুক, স্লথের কাহিনী নাই।


হুম আপনার লাইন ঠিকই আছে... জনগনের মুখে মুখে অনেক প্রচলিত কাহিনি আছে আর কিছু মোল্ল্যা সুরে সুরে ওয়াজ করে এই সব বানানো কাহিনির প্রচলন করেছে।

কোরানে কিন্তু খুবই সংক্ষিপ্ত আকারেই ঘটনা গুলি বণ`না আছে....

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

পাউডার বলেছেন:
মোল্লা বাহিনীর না আছে শিক্ষা না মানে যুক্তি। এরা জীবনে একবার অর্থসহ কোরআন পড়েছে কিনা সন্দেহ।

১৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: সূরা হূদ
৩৭) আর নূহের প্রতি ওহী করা হয়েছিল, “যারা ইতোমধ্যে ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার জাতির আর কেউই ঈমান আনবে না। অতএব তারা যা করছে সেজন্য তুমি দুঃখ করো না*১।
৩৮) আর তুমি আমাদের চোখের সামনে*২ এবং আমাদের ওহী অনুয়ায়ী নৌকা তৈরী কর। আর যারা অন্যায় করেছে তাদের পক্ষে আমাকে তুমি কিছু বলো না। নিশ্চয় তারা ডুবতে চলেছে।”
৩৯) আর সে নৌকা তৈরী করছিল। আর যখনই তার জাতির নেতারা তার পাশ দিয়ে যেত তারা উপহাস করতো। সে বললো, “তোমরা (আজ) আমাদের উপহাস করছ ঠিকই, আমরাও (একদিন) সেভাবে তোমাদের উপহাস করবো যেভাবে তোমরা (আজ) আমাদের উপহাস করছ।
৪০) অতএব তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কার ওপর এরূপ আযাব আসতে যাচ্ছে যা তাকে লান্ছিত করবে এবং কার ওপর এক স্থায়ী আযাব নেমে আসবে।”
৪১) অবশেষে আমাদের সিদ্ধান্ত যখন এসে গেল এবং ঝরণাগুলো সবেগে উৎসারিত হলো*৩ তখন আমরা নূহকে বললাম, “তুমি এ (নৌকায়) প্রয়োজনীয় প্রাণীর প্রত্যেকটি জোড়া জোড়া করে*৪ তুলে নাও। আর যাদের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে তারা ছাড়া তোমার পরিবারপরিজন এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও (তুলে নাও)। আর তার সাথে অতি অল্প লোকই ঈমান এনেছিল।
৪২) আর সে বললো, “তোমরা এতে আরোহন কর। আল্লাহর নামেই এর গতি ও স্থিতি। নিশ্চয়ই আমার প্রভু-প্রতিপালক অতি ক্ষমাশীল (ও) বারবার কৃপাকারী।

টীকা
১. তফসিরাধীন এই আয়াতটি মনে হয় সূরা নূহ’র ২৭-২৮ আয়াত এর পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিল। কেননা এই আয়াতমূলে দেখা যায় যে আল্লাহ তাআলা তাঁর সিদ্ধান্তের কথা বলে দুঃখ না করার জন্য জানিয়েছিলেন, তাঁর এই দোয়া (৭১:২৭,২৮) বদদোয়া নয়, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যই প্রকাশ করে। এই দোয়ার দ্বারা যা বোঝানো হয়েছিল তা হলো আল্লাহ তাআলা তাঁর জাতির ধ্বংসের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারেন।
২. ‘আইন’ বহুবচনে আইউন এর বহু অর্থের মধ্যে একটি অর্থ চক্ষু, দৃষ্টি বা চক্ষুর সম্মুখে, পরিবারের সদস্যগণ এবং আশ্রয় বা হেফাযত।
৩. নুহ (আ) এর মহাপ্লাবন শুধু ভূ-পৃষ্ঠের ঝর্ণাগুলি থেকে স্ফীত, উৎসারিত হওয়ার কারণেই হয়নি। বরং, ৫৪:১২-১৩ আয়াতে স্পষ্টই ব্যক্ত হয়েছে যে মেঘমালা থেকে আকাশফাটা বজ্রপাত ও বর্ষণ দ্বারা প্লাবন ঘটেছিল। মুষলধারে ব্যাপক বৃষ্টির ফলে সারাদেশ জুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছিল এবং সাধারণ অতিবৃষ্টির ফলে যা ঘটে, ভূতল থেকে প্রবলবেগে পানি নির্গত হয়ে এবং ঝরণাধারা উৎসারিত হয়ে আকাশে এবং ভূগর্ভের পানি একত্র হয়ে সমগ্র দেশকে প্লাবিত করে ফেলেছিল। এক বিস্তীর্ণ পাহাড়ী এলাকায় যেখানে অসংখ্য পানির ঝর্ণা ছিল সেখানে নূহ (আ) বসবাস করতেন।
৪) ‘প্রত্যেকটির’ বাক্যাংশ দ্বারা পৃথিবীর সকল জীবজন্তুকে বোঝায় না, বরং সেইসব জীবজন্তুকেই বোঝায় যা নূহ (আ) এর জন্য প্রয়োজনীয় ছিলো। আর তা ছাড়াও নৌকাটি এতো বড় ছিলো না যে তাতে সারা পৃথিবীর সকল জীবের একজোড়া করে রাখার স্থান সংকুলান সম্ভব ছিলো। আয়াতে ’দুই’ শব্দটিও এই দিকেই ইঙ্গিত করছে যে নূহ (আ) এর জন্য যেসব প্রাণী আবশ্যকীয় ছিলো শুধু সেগুলোকেই নৌকায় উঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

২০| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: রূপক কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.