![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা চাকরির দাবিতে গতকাল বুধবার প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখেন। চাকরির বিষয় বিবেচনা করার আশ্বাস পেলে তিন ঘণ্টা পর তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঋণ ও একাডেমিক কিছু বিষয় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্যের কার্যালয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা। এই খবর পেয়ে গতকাল বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহসভাপতি তৌফিকুর রহমান ও মাহমুদ লেলিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশেম মাহমুদ ও মিজানুর রহমান, সদস্য আশিকুর রহমানসহ ১০-১২ জন উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে চাকরি দেওয়ার দাবিতে হইচই করতে থাকেন।
একপর্যায়ে তাঁদের কয়েকজন গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করেন এবং ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধ করে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করেন। এভাবে আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর উপাচার্য ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বর্তমান নেতারা সাবেক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাবেক নেতারা অবরোধ তুলে নেন। এরপর প্রশাসন আজকের সিন্ডিকেটের সভা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ সাজন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সাবেক নেতা-কর্মীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে না—খবর পেয়ে সাবেক নেতা-কর্মীরা অবরোধ করেন। তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করেছি।’
যোগাযোগ করা হলে প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে আমার প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ প্রশাসনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।’
উপাচার্য আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘যাঁরা চাকরির দাবি করেছেন, তাঁদের বলেছি নিয়ম মেনে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে অবরোধ করার যে ঘটনাটি তাঁরা ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি অংশ প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে চাকরিপ্রত্যাশীদের ব্যবহার করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে যে বা যারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র :-----
Click This Link
©somewhere in net ltd.