![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকেই এক দুই দিনের ব্যবধানে বিশ্বাস করা শুরু করেছেন, যেসব পণ্য বয়কটের কথা বলা হয়েছে সেগুলোর সাথে ইসরাইলের কোন সম্পর্ক নেই। তাই অনেকে আবার কোকের লোভ সামলাইতে না পেরে তিন চার ঢোকো দিয়েছেন...
জ্বী ভাই জায়নবাদীদের প্রোপাগান্ডা ষড়যন্ত্রের মধ্যে পরে আপনি আবারো পান করলেন ফিলিস্তিনি ভাইয়ের রক্ত... কেন কীভাবে এগুলো পন্য উৎপাদনকারী বা ব্রান্ড নাম ধারী কোম্পানী ইসরাইলের হয়ে ফিলিস্তিনিদের অত্যাচারে সাহায্য করছে তা জেনে নেই-
১। Coca-Cola Company
(Sprite,Coca-Cola,Diet Coke,Fanta etc)
১৯৯৬ সাল থেকেই কোকাকোলা কোম্পানী ইজরাইলের ঘোরতর অর্থনৈতিক সমর্থক। ১৯৯৭ সালে ৩০ বছুর ধরে ইসরাইলকে আকুণ্ঠ সমর্থন দেয়ার জন্য এই কোম্পানীকে Israel Trade Award দেয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে কোকাকোলা ব্ল্যাংক চেক দিয়ে আসছে ফিলিস্তিনের দখলকৃত জমিতে বাড়ি বানানোর কাজে। ২০০৯ সালে কোকাকোলা ফিলিস্তিনী অধিকৃত অঞ্চলে, গোলান হাইটসে ফার্ম হাউজ গড়ে তুলে
২। Nestle
(kitkat, L'Oréal & Maggi)
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই খাদ্য কোম্পানীর ৫৮.৩% শেয়ার হলো ইসরাইলের Osem Food এর, যার মূল্যমান প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৯৮ সালে নেসলের চেয়ারম্যান Mr. Peter Brabeck-Letmathe গ্রহন করে Jubilee Award, ইসরাইলী Prime Minister Netanyahu এর কাছ থেকে। ফিলিস্তিনী দখলকৃত ভূমীতে নেসলের ৯টি কারখানা রয়েছে
৩। McDonalds
ম্যাকডোনাল্ডস কোম্পানী বাংলাদেশে না থাকলেও এরা Jewish United Fund and Jewish Federation এর প্রধান কর্পোরেট স্পন্সর। Jewish United Fund, এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলোঃ "works to maintain American military, economic and diplomatic support for Israel; monitors and, when necessary, responds to media coverage of Israel" ফিলিস্তিনী অধিকৃত ভূমি বিশেষ করে কিরিয়াত গাতে যায়নদের উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করে ম্যাকডোনালডস এই ফান্ডের মাধ্যমে
৪। Starbucks Coffee
Howard Schultz, স্টারবাকসের প্রতিশঠাতা চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী, যার নিজএর এই কোম্পানীতে ৩১.৬ মিলিয়ন শেয়ার আছে একজন সক্রিয় জায়নবাদী। ১৯৯৮ সালে তাকে তার সক্রিয়তার জন্য Jerusalem Fund of Aish HaTorah পুরস্কৃত করে "The Israel 50th Anniversary Friend of Zion Tribute Award" পুরস্কারে, কারন এই জায়নবাদী দেশ প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা ছিল "playing a key role in promoting close alliance between the United States and Israel"
৫। Danon
ডানোনের ৩০% শেয়ার হলো ইসরাইলি Strauss কোম্পানীর, এরা ১৯৯৮ সাল থেকে সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।
৬। Motorola
ফিলিস্তিনী ভাই বোনদের নির্মম্ভাবে হত্যা করতে প্রতক্ষ্যভাবে সাহায্য করছে এই মটোরোলা কোম্পানী ইসরাইলী আর্মি IDF কে সামগ্রিক কারীগড়ি সহায়তা দিয়ে। Motorola এর প্রধান কারখানা ইসরাইলে এবং সেখানে সহ সারা বিশ্বে ৬০০০ যায়নবাদী ইহুদী নির্বাহী কাজ করে। এবং শুধু ইসরাইলেই এই কোম্পানীর বার্ষিক লেনদেন ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মটরোলা ইসরাইলী আর্মিকে fuses for aircraft bombs and guided missiles; military encrypted comms systems with transportable units which deploy with the army in to the battle field; advanced radar/thermal camera surveillance systems for the settlements; metal detection gates used at checkpoints; and a cellular network tailored for the settlements সহ সকল কারিগড়ি সহায়তা প্রদান করে
৭। Nokia- এতা আর বয়কট লিস্টে নেই, কারন তার ইসরাইলী অংশ আর কারখানা ইসরাইলী কোম্পানী BlueRun কিনে নিয়েছে।
৮। Intel- এই কোম্পানী তাদের নিজেদের কারখানা গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনের থেকে দখলকৃত ভূমিতে, ৮০০০ ইসরাইলী নির্বাহী ও কর্মকর্তা কাজ করেন সেখানে। তাদের বার্ষিক লেনদেন হয় ইস্রাইলী সরকারের সাথে ২০.৫ বিলিয়ন ডলার
৯। IBM
ফিলিস্তিনী দখলকৃত ভূমি হাইফাতে IBM তাদের R&D প্রতিষ্ঠা করেছে। এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Lawrence Ricciardi একজন জায়নবাদী এবং তার কাছে এই ভুমী হলো মূল্যবান। America-Israel Friendship League Partners for Democracy Awards প্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠান ২০০২ সালে
১০। Times, Warner Bros, KFC
এই সবুগুলোর মালিক আমেরিকান জায়নবাদী, এরা American Israel Public Affairs Committee এর মাধ্যমে আমেরিকার নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে যার একটি বড় অংশ হলো ইসরাইওলে আমেরিকার সুরক্ষা দেয়া, প্তির বছর বড় অংকের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান এবং কূটনৈতিকভাবে ইস্রাইলকে পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রাখা
যতটুকু পারি জোগার করেছি। এবার সিদ্ধান্ত আপনার, কারণ আখিরাতে আল্লাহ আপনাকেই জিজ্ঞেস করবেন "ভাইয়ের রক্ত খেয়েছ কিনা?" যদি আপনি জানার পরো এই পন্যগুলো ক্রয় করেন
বাংলাদেশে ইসরায়েললি পণ্য নেই এরকম একটা ধারণা শুরু করেন কিছু সংখ্যক ব্লগার। ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেয়া হয়।
প্রথমে যে সস্তা বিভ্রান্তি তারা ছড়ানো শুরু করেছে তা হল ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ নিজেই একজন ইহুদী।অতএব আমাদের ফেসবুকই বর্জন করতে হবে।অথচ উইকিপিডিয়া বা যে কোন ভাল সাইটে খোজ নিলেই দেখবেন যে সে একজন এথিষ্ট।তারচেয়ে বড় কথা,ফেসবুক ইজরাইলে কোন ডোনেশন দেয় না।
এখন আপনারাই বলেন আমরা মুসলিমরা এমনিতেই মিডিয়া সাপোর্ট পাই না,এই সোশ্যাল মিডিয়াও যদি ছেড়ে দেই তবে লাভটা কার??
তারপর একই গোত্রীয় কিছু পেজ ও ব্লগার বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিষ্ঠার সাল ও মালিকানা উল্লেখ করে বলছে এরা নাকি ইজরাইলী না।ইজরাইলী পন্য নাকি বাংলাদেশে ঢুকতে পারে না।
এরচেয়ে হাস্যকর কথা আর কিছুই হতে পারে না।ইজরাইলী পন্য WTO এর ২০০০ সালের চুক্তির সুবিধা নিয়ে মিডিয়াম ব্যবহার করে সহজেই যে কোন WTO ভুক্ত দেশে প্রবেশ করতে পারে।একটা কোম্পানীর মালিকানা ইজরাইলী হলেও কিছু আসে যায় না যদি তা ইজরাইলে ডোনেশন না দেয়।যেমন ডিজনি ও নোকিয়া(অনেকে নোকিয়া ফিনিশ পন্য বলে চালানোর চেষ্টা করেন,আসলে এটি ফিনিশ মালিকানার কাভারে অধিকাংশ ইজরাইলী শেয়ারহোল্ডার নিয়ে গঠিত একটি কোম্পানী)
আমরা যে পন্যগুলো বর্জন করার ডাক তাদের প্রত্যেকটিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইজরাইলে ডোনেট করে।এদের টাকায় আমাদের ভাইদের মারার জন্যে বুলেট,মিসাইল বানানো হচ্ছে।
আমাদের মূল হিসাবটাই এখানে,কে ইজরাইলকে টাকা দেয় আর কে দেয় না।নেটে একটু ঘাটাঘাটি করলেই এগুলো সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যাবে।
আর যে যতই প্ল্যান করুক আল্লাহ সব থেকে শ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী,
"আমার প্রেরিত বান্দাদেরকে আমি আগেই, প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা হবে৷ অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করা হবে এবং আমার অনুগত দলই বিজয়ী হবে৷"
সূরা সফফাত ১৭১-১৭৩
"“এবং এইভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দেই, যে বাড়াবাড়ি করে ও তার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস স্থাপন করে না। পরকালের শাস্তি অবশ্যই কঠোরতর ও স্থায়ী।”
সূরা ত্বোয়া-হাঃ ১২৭
আল্লাহু আ'লাম। আল্লাহ আমাদের নির্যাতিত ভাই বোনদের রক্ষা করুন, আমীন
এখান থেকে সংগৃহীত
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
saamok বলেছেন: মডুরা, নাকে কি খাটি প্রান সরষে দিয়েছ? নকি ভয় পাচ্ছ, এই পোস্ট স্টিকি করলে ইজরাইল তোমাদের ফ্লাট থেকে সরে যেতে ফোন করে বিমান হামলা করবে?