নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচার

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭





কাগজের বিচার হয়
আদালতে কখনো বিচার হয় না মুখের কথায়।
সাধারণ মানুষের কথায়
এক মুঠো ধুলো ছাড়া আর কিছু তো নাই।
বিখ্যাত মানুষের কথায়
মিথ্যা হলেও সত্যের মতোন প্রাধান্য পায়।
আর আমার কথায়
কেউ শুনবে না, কেউ বুঝবে না, কিছু তো নাই।
তাহলে মণীন্দ্র, কেমন করে তুলবো তোমার দেহ, বলো আমায়
কেউ যদি না শোনে আমার কথা, কি করবো, বলো আমায়।
মণীন্দ্র, প্রমাণ করবো কেমন করে, বলো তো আমায়
তোমার দেহ পোঁতা আছে রাজবাড়িতে, বুঝবে কেমন করে সবাই।
তোমার বংশধরেরা এতো সুন্দরভাবে করেছে কাজ
আমি তো রাজবাড়িতে খুঁজে পাচ্ছি না কোন প্রমাণ।
যাকে বলি সেই বলে, এতো গল্প ছাড়া আর কিছু নয়
কেমন করে তুলবো তোমার দেহ, বলো তো আমায়।
আমি কিভাবে বললে মানুষের বিশ্বাস হয়
আটশত বিয়াল্লিশ প্লটে মণীন্দ্রর দেহ খুঁজে পাই।
আমি যা কিছু দেখেছি, তা তো আমার মধ্যে, কি করে তোমাকে দেখায়
আমি বললে তুমি দেখতে পাবে, এর বাইরে আর কোন উপায়।
যে যা কিছু দেখে, সেটা থাকে নিজের মধ্যে, এটাই জানে সবাই
কে কি দেখেছে, না বললে, নেই তো বোঝার অন্য কোন উপায়।
আমি রাজবাড়িতে যে ঘটনা দেখেছি, তা কেমন করে তোমাকে দেখাই
তুমি তো তখন ছিলে না, তোমার জানার উপায়।
আমি বললেও তুমি বিশ্বাস করবে কেন আমায়
আমি তো মিথ্যা বলতে পারি, ঠকাতে পারি, এমন ধারণা নেই কেন ভাবনায়।
আমি তো বলি নি তোমায়, তুমি বিশ্বাস করো আমায়
আমি যে সত্য, তার প্রমাণ করার বলো উপায়।
প্রত্যেকে যা কিছু দেখে, শোনে, সবই তার কাছে থাকে, জানে সবাই
কিন্তু প্রত্যেকে কি দেখে, শোনে, তা সবাই জানতে চায়।
সেজন্যে পিতা মাতা, ছেলে মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠায়
বই পড়ে কে কেমন সত্য কথা বলে আমায়।
একই লেখা, একই পড়া, সবার চোখে কর্ণে আলাদা হয়
সবাই কেন বইয়ের হুবুহু কথা বলতে পারে না আমায়।
বইয়ের লেখা হুবুহু বললে, সবাই বলে মুখস্থ করেছে আমায়
আর অন্যভাবে বললে বলে, ও ভালো তাই বুঝেছে আমায়।
আমার দেহটাকে মুখস্থ না করলে, কেমন করে হুবুহু বলবে আমায়
আমি রাজবাড়িটাকে মুখস্থ করে রেখেছি, বলছি তোমায়।
তাই রাজবাড়ির লেখা, আমার লেখা একই, বলতে লজ্জা নাই
আমি কখনো বুঝতে শিখি নি, পড়ার সাথে সাথে মুখস্থ হয়ে যায়।
আমি যখন বইয়ের লেখা হুবুহু লিখি পরীক্ষার খাতায়
কেন জানি না আমি নম্বর কম পাই।
বইতে যা ছিল, আমি তো লিখেছি সবই
তবে কেন আমি কম নম্বর পাই।
যে বইয়ের কথা হুবুহু লেখে নি খাতায়
সে কেন বেশি নম্বর পায়।
তাহলে বইয়ের লেখা ভুল ছিল নিশ্চয়
তাই কম নম্বর দেওয়া হয়েছে আমায়।
একটা বিষয়ের যেমন বর্ণনা দিয়েছে বই
আমি তার হুবুহু বর্ণনা দিয়েছি পরীক্ষায়।
তাহলে পুরো নম্বর কেন নয়
মুখস্থ লিখলে নম্বর কাটা যায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রতিবাদী কবিতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.