নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
দুই হাজার সালে আমাদের বাড়ির মসজিদে নিজের টাকায় মাইক কিনে দিয়েছি। মাটি থেকে প্রায় ত্রিশ ফুট উঁচুতে কংক্রিটের খুঁটির উপরে তিনটি হর্ন লাগানো। ফুল ভলিয়মে আযান দিলে অনেক দুর থেকে শোনা যায়। নতুন মাইক সেট করে শেষ রাতে আমি আমার বেসুরো কন্ঠে আযান দেয়ার আগে দু’একটি গজল গাওয়ার চেষ্টা করতাম। ”আকাশেতে লক্ষ তারার জোনাক জ্বলেছে, আল্লাহ তায়ালা রহমতেরি দুয়ার খুলেছে” একদিন শেষ রাতে এই গজলটি গেয়েছি। সকাল বেলা দেখি আমার পাশের বাড়ির ছোট্ট একটি মেয়ে সেই গজলটি সুন্দর কন্ঠে গেয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে খুব ভাল লাগল। ছোট্ট বাচ্চাটিকে গাইতে দেখে পরদিন শেষ রাতে আবার গজলটি গেয়ে আযান দিলাম। পরদিন রাতে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে শুয়ে আছি। রাত একটার সময় লতিফ পাগলার কথার আওয়াজ পেলাম। তিনি আমার বাবার নাম ধরে ভাই ভাই করে ডাকছে। ঘুম ভেঙে গেল। বাবা ঘুম থেকে উঠে এলেন। বাবাকে পেয়েই জিজ্ঞেস করলেন, ভাই আপনার ছেলেটি কোথায়?
— কোন ছেলে?
— যে ছেলেটা শেষ রাতে গজল গায়।
— সে ছেলে তো ঘুমে।
— ডাক দেন।
— কেন?
— আমি তার গজল শুনবো।
আমার বাবা তাকে ফেরানোর জন্য বলল, ছেলে তো অনেক রাতে ঘুমিয়েছে। এখন ডাক দিলে তার কাঁচা ঘুম ভাঙবে। ছেলেটা বিরক্ত হবে।
পাগোল বলল, ভাই, আপনার ছেলের প্রতি এত মহব্বত ডাকলে ঘুম নষ্ট হবে এই ভয়ে ডাক দিতেছেন না, আর আমি যে আপনার ভাই, এত দূর থেকে হেঁটে আপনার বাড়ি আসলাম, আমার প্রতি আপনার কোন মহব্বত নাই?
বাবা বলল, আছে, অবশ্যই আছে।
— তা হলে আমি অনেক দুর থেকে হেঁটে এসেছি তার গজল শোনার জন্য। গত দুই রাতে তার গজল শুনে আমার পাগোল হওয়ার অবস্থা। এরকম গজল এই এলাকায় আর কেউ গায় না। আপনার কষ্ট হলেও ছেলেটাকে ডাক দিয়ে উঠান। আমি তাকে একনজর দেখে যাই।
তাদের দুইজনের সব কথাই আমার কানে এলো। আমি আর শুয়ে থাকা সমীচিন মনে করলাম না। বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলতেই কানে আওয়াজ এলো, দেখছেন ভাই, আপনার ছেলে ঘুম থেকে উঠেছে। যার ভিতরে আল্লাহর কালাম আছে সে কোনদিনই আমার কথা শুনে শুয়ে থাকতে পারে না।
তার কথা শেষ হতে না হতেই কাছে গিয়ে ছালাম দিলাম। আমার ছালামের জবাব দিয়ে খুশিতে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তার গায়ে যে প্রচন্ড শক্তি তা আগে শুনেছি বাস্তাবে বুঝি নাই। আমাকে জড়িয়ে ধরে আবেগে ছোট একটা চাপ দিতেই আমার জান বেরিয়ে যাওয়ার অবস্থা। পাঁজরের হাড় পাট খড়ির মতো মুরমুর করে ভেঙে যাওয়ার অবস্থা। আমি উহ্ আহ্ কিছু বলতে পারছিলাম না। তার চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ আল্লাহ করতে লাগলাম। আমাকে যখন ছেড়ে দিল তখন আমার গা, মাথা ঘেমে গেছে। কিন্তু আমাকে ছাড়লেও পুরোপুরি ছাড়ল না। তার ডান হাত দিয়ে আমার এক হাত ধরে রাখল। আমাকে মসজিদের দিকে টেনে নিতে নিতে বলল, বাবা মাইকটা চালু করে দিয়ে সেই গজলটা গাও তো।
— চাচা কোন গজলটা?
— ওই যে আকাশেতে লক্ষ তারার জোনাক জ্বলেছে–
আমি তৎক্ষনাত না বলতে পারলাম না। পাগল মানুষ যদি ক্ষেপে যায়। একটু আগে মহব্বতে বুকের সাথে বুক লাগিয়ে কোলাকুলি করতে গিয়েই যে চাপ খেযেছি। তাতেই জান যায় যায় অবস্থা। আর যদি ক্ষেপে যায় তা হলে আর রক্ষা থাকবে না। এক আছাড়ে মেরে ফেলবে। মসজিদে গিয়ে ভয়ে ভয়ে বললাম, চাচা এখন তো রাত মাত্র একটা বাজে। এই রাতে মাইকে গজল গাইলে অনেকে বিরক্ত হবে, তাদের ঘুম নষ্ট হবে।
আমার একথা শুনে পাগল ধমক দিয়ে উচ্চ গলায় বলল, কেন আল্লাহ রসুলের গজল গাইলে বিরক্ত হবে কেন?
আমি পাগলের ধমক খেয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে বললাম, তারা তো সারা দিন মাঠে-ঘাঠে কাজ করেছে, তাদের ঘুমের দরকার। রাতের ঘুম নষ্ট হলে দিনে মাথা ঘুরবে সারাদিন কাজ করতে পারবে না।
পাগলের গলার আওয়াজ আরো বেড়ে গেল, আরেকটা ধমক দিয়ে বলল, ওদের কাজ বড় না আল্লাহর এবাদত বড়। ওদের সৃষ্টি করছে কে?
বললাম, আল্লাহ।
আমার দিকে আঙুল উঁচিয়ে হাত ঝাঁকিয়ে বলল, আল্লাহর কথায় ওরা বিরক্ত হলে ওদের পাথর মারা দরকার।
মনে মনে চিন্তা করলাম, এই পাগলকে এভাবে থামনো যাবে না। আল্লাহর ভয় দিয়ে কোন কথা বলতে হবে। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বললাম, চাচা, এখন যদি মাইকে গজল গাই আর গজলের আওয়াজে কারো ঘুম ভেঙে যায়, সে যদি পরে ঘুমিয়ে গিয়ে ফজরের নামায কাযা করে, সে নামাযের দায়দায়িত্ব তো কেয়ামতের দিন আল্লাহ আমাদের ঘাড়ে চাপাবে।
আমার এই কথা যেন তার ভিতরে কোরামিন ইনজেকশনের মত কাজ হলো। আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলল, বাবা ঠিক কথা বলেছেন। নাহ এতো রাতে কারো ঘুম নষ্ট করা ঠিক হবে না। ঘুমটাও একটা এবাদত। তাহলে বাবা এক কাজ করি, আমি সাথে করে কোরান শরীফ নিয়ে এসেছি আপনিও বাবা কোরান শরীফ নাও। দুই চাচা ভাতিজা ফজরের আযান পর্যন্ত কোরান পড়ে সময় কাটাবো।
অনিচ্ছা সত্বেও পাগলের মারের ভয়ে বললাম, ঠিক আছে চাচা, এটা খুব উত্তম কাজ হবে।
আমি অজু করতে গেলাম, পগল কোরান শরীফ পড়তে লাগল। অজু করে মসজিদে ঢুকতেই পাগল বলল, বাবা তোমার মা কি ঘুমে?
— হ্যাঁ চাচা, এখন তো তিনি ঘুমে। কেন চাচা?
— আমার খুব খিদে লেগেছে বাবা। তোমার মায়ের হাঁড়ি পাতিলে কি ভাতটাত কিছু আছে, নাÑ নাই?
এ আরেক বিরক্তিকর সমস্যা, এত রাতে ভাতের হাঁড়িতে ভাত থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। তাছাড়া সারাদিনের খাটুনির পর মা ঘুমিয়েছে। তাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠানো কি ঠিক হবে? তার খাবারের কথায় বিরক্তি হয়েও পাগলের ভয়ে খুশি খুশি ভাব নিয়ে বললাম, ঠিক আছে চাচা, মাকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করে দেখি, ভাত আছে কিনা?
পাগল খুশি হয়ে বলল, ঠিক আছে বাবা দেখো তো, আমার খুব খিদে লেগেছে বাবা।
আমি বাড়ির ভিতর গিয়ে দেখি পাগোলের ডাকাডাকি আর আমাদের কথাবার্তায় মা’র ঘুম ভেঙে গেছে। মা ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে বারান্দায় চেয়ারে বসে আছেন।
মাকে জিজ্ঞেস করলাম, মা ভাত আছে?
মা বলল, ভাত আছে, তরকারী খুব একটা নাই। অল্প কিছু মাছের তরকারী আছে আর ডাল আছে।
আমি বললাম, একপ্লেট ভাত আর তরকারী দেন তো।
— কেন কে খাবে?
— পাগল।
মা বলল, তাইলে বাবা এক কাজ কর, একটা ল্যাম্প ধরিয়ে নিয়ে আয়, আমি ভাত বেড়ে দেই, তুই পাগলরে ভাল করে খাওয়া। পাগল সবার বাড়ি খায় না। আসছে যখন পেট ভরে খাওয়া।
আমি মনে করেছিলাম মা হয়তো বিরক্ত হবেন, কিন্তু পাগলের খাওয়ার কথা শুনে বিরক্ত না হয়ে তাকে পেট ভরে খাওয়ানোটা যেন সওয়াবের কাজ মনে করলেন। ঘুম জাগা শরীরেই অতি উৎসাহ নিয়েই ভাতের ব্যাবস্থা করতে লাগলেন।
আমি আলো জ্বালিয়ে দিলে, মা গামলা ভরে ভাত আর বাটি ভরে ডাল-তরকারী যতœ করে সাজিয়ে দিলেন। পানির জগ, গ্লাসসহ ভাত-তরকারীর গামলা নিয়ে মসজিদে গেলাম।
পাগল ভাত তরকারী দেখে খুব খুশি হলো, খেতে গিয়ে আমাকেও খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। আমি খেলাম না। সবগুলো ভাত তরকারী খেয়ে হাত মুখ ধুয়ে ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলে দু’হাত তুলে দোয়া করতে লাগল। প্রায় বিশ মিনিটের মত দোয়া করল। তার দোয়ায় আমার ভাত খাওয়ানোর পরিশ্রম যেন সার্থক হলো। মোনাজাত শেষ করে আমাকে জিজ্ঞেস করল, বাবা, এখন কয়টা বাজে?
মসজিদের ঘড়ি দেখে বললাম, এখন রাত আড়াইটা বাজে।
পাগল নরম সুরে ¯েœহের সাথে বলল, তাহলে বাবা এক কাজ কর, তোমাকে আর কষ্ট দিয়ে লাভ নাই। আমি যাই, তুমি বাবা আজান দেয়ার আগে ওই গজলটা গাবে। আমি আমার মসজিদে বসে বসে শুনবো। আর তোমার মাকে অনুরোধ করবে, সে যেন আমাকে মাফ করে দেয়। এত রাতে তাকে কষ্ট দিয়ে গেলাম। তোমার মা যেন আমাকে মাফ করে দেয়।
আমি বললাম, চাচা আপনি ভাত খয়েছেন এতেই আমার মা খুশি। আপনার উপর বেজাড় না।
পাগল মুখে মিস্টি হাসি দিয়ে আশ্চার্য হওয়ার ভাব নিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, বল কি বাবা! এত রাতে ভাত খেয়েছি তারপরেও তোমার মা খুশি! একথা শুনে খুব খুশি হলাম বাবা, খুব খুশি হলাম। তোমার মা একজন আল্লাহ ভক্ত লোক বাবা, তোমার মাকে যেন আল্লাহ বেহস্ত নসীব করে একথা বলতে বলতে পাগল চলে গেল।
রাতে আর ঘুম হলো না। এপাশ ওপাশ করতে করতে ঘড়ির এলার্ম বেজে উঠল। ফজরের আযানের পূর্ব মহুর্ত পর্যন্ত মসজিদের মাইকে “আকাশেতে লক্ষ তারার” গজল সহ মোট পাঁচটা গজল গেয়ে এরপর আযান দিয়ে ফজরের নামাজ পড়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। এমন সময় পাগলা পুলের মসজিদ থেকে পাগলের আযান ভেসে এলো। আহা! পাগোলের কি সুরেলা মধুর সুর!! আযান শুনে প্রাণ জুড়িয়ে গেল।
পরদিন বাজারে দেখা, পাগল দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। বাবা, তোমার গাওয়া গজল আমি সব কয়টা শুনেছি। চমৎকার গজল। তোমার আযানও সুন্দর। তোমার আযান পুরোটা শোনার পর আমি আযান দিয়েছি। আমার আযান কি তুমি শুনছো বাবা?
বললাম, হ্যাঁ চাচা, আপনার আযান এই এলাকার সবার আযানের চেয়ে সুন্দর এবাং মধুর মত লাগে।
পাগল হাসতে হাসতে বলল, বাবা, তুমি আমাকে অনেকের চেয়ে একটু বেশি ভাল বাসেন মনে হয়, এই জন্য আমার প্রশংসা করছেন। আমার আযানের চেয়ে তোমার আযান আরো সুন্দর বাবা।
পাগলের সাথে বাজারে অনেক কথা হলো। পাগল আমাকে ছাড়তে চায় না। কথা বলছে তো বলছেই, আর আমি হু হা করে জবাব দিয়ে যাচ্ছি। অনেক কষ্টে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মাগরিবের নামাজের আগে আগে বাড়ি চলে এলাম। তবে তার কাছ থেকে ছুটে আসার আর কোন দোহাই কাজ করছিল না অবশেষে মাগরিবের আযানের দোহাই দিয়েই ছুটতে হয়েছে।
এর পরে অনেক দিন তার সাথে আমার দেখা নাই। আমি ঢাকায় চাকরী করি। সবসময় বাড়ি যাওয়া হয় না। গেলেও সময়ের অভাবে অনেকের খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব হয় না। ইতোমধ্যে পাগলের গ্রাম মসজিদসহ যমুনা নদীতে ভেঙে গেছে। গ্রামের লোক কে কোথায় গেছে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কয়েক বছর পর আমাদেরও বাড়ি নদীতে ভেঙে গেল। নিজের বাড়ির মসজিদটি কোথাও তোলার জায়গা পেলাম না। পেলেও তদারকি করার দায়িত্ব কেউ নেয় না। বাধ্য হয়ে মসজিদের টিন কাঠ মাইকসহ জিনিষপত্র তিন চার মসজিদে ভাগ করে দিলাম।
কয়েক বছরপরে উদিয়াখালী হাসপাতালের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। পিছন থেকে কে যেন ‘আউ আউ’ করছে। সেদিকে খেয়াল না করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। সামনের একজন লোক বলল, আপনাকে ডাকে।
— কে?
— পাগলা।
— কোন পাগলা?
— পিছনে তাকান।
পিছনে তাকিয়ে দেখি লতিফ পাগলা। হাঁটতে পারছে না। কাঁপতে কাঁপতে ঠ্যাং টেনে টেনে আমার দিকে আসছে। আমার কাছে এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল। নদী ভাঙার পর আর দেখা হয় নাই। প্রায় পাঁচ ছয় বছর পর দেখা। তার কান্নায় আমার চোখের কোনায় পানি চলে এলো। প্যারালাইসিস হয়ে ডান পাশটা অবস হয়েছে। ঠিক মত হাঁটতে পারে না। কথা আগের মত বলতে পারে না। কিছুটা জড়িয়ে আসে। হাসপাতালের পিছনে রাস্তার সাথেই বাড়ি করেছে। ছেলেগুলো বিদেশ থাকে। টাকা পয়সার অভাব নেই। তবে অন্য গ্রামে এসে বাড়ি করায় মনের মধ্যে সুখ নেই। অনেক দুখের কথা জানালো আমাকে। বাড়িতে নিয়ে ভাত খাওয়ানোর খুব চেষ্টা করল। আমার হাতে সময় না থাকায় ভাত খেলাম না। তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলাম।
দু’বছর পরে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাড়ির সামনে গিয়ে ‘চাচা চাচা’ বলে রাস্তা থেকে ডাক দিলাম। আমার ডাকাডাকিতে কেউ জবাব দিল না। পরে একজন বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে বলল, কাকে ডাকেন?
বললাম, লতিফ চাচাকে।
— তিনি তো মারা গেছেন।
— কথা শুনে মর্মাহত হলাম। জিজ্ঞেস করলাম, কতদিন হলো মারা গেছে?
— প্রায় এক বছর হলো।
আমাকে সাথে নিয়ে কবর দেখালো। কবরের পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চোখ মুছতে মুছতে চলে এলাম।
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ঘুরেছি, অনেক মসজিদে নামাজ পড়েছি, অনেক মোয়াজ্জিনের আযান শুনেছি, কিন্তু এই লতিফ পাগলের কণ্ঠে দেয়া আযানের মত এত সুন্দর সুমুধুর আযান আর কোথাও শুনতে পাচ্ছি না। বাকি জীবনে এমন আযান আর শুনতে পাবো কিনা জানি না। মনে হলে এখনও তার আযানের সুমুধুর সুর কর্ণকুহুরে ভেসে আসে।
(সমাপ্ত)
১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহাবুব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ এক বিশেষ নেয়ামত। স্বর সবারই থাকে ..সুর থাকেনা। আবার সুর থাকেতো তাতে লহরী থাকেনা।
আপনার স্মৃতিচারণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেরই প্রচেষ্টা। তার জন্য সাধুবাদ।
তাঁর আত্মার মুক্তি কামনা করছি।
১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী ভৃগু। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
৩| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
গোধুলী রঙ বলেছেন: চমতকার, একটানা তবে প্রশান্তির সাথে পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ।
লতিফ চাচার পরপারের শান্তি কামনা করছি।
১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গোধুলী রঙ। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গোধুলী রঙ। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আমি মিন্টু বলেছেন: @ জনাব মাহাবুব বলেছেন
লতিফ পাগলা হুজুরের স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো। আল্লাহ যেন লতিফ পাগলাকে বেহেস্ত নসিব করেন। আমিন!
১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মিন্টু। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: প্রামানিক ভাই ধারাবাহিক ভাবে লতিফ পাগলাকে আমাদের সামনে
তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই। পাগলার জন্য আমারও আফসোস হয়। সে বেঁচে থাকতে তাকে পাগল মনে করতাম। এখন চিন্তা করে দেখি সে আসলেই আল্লাহ ভক্ত ছিলেন।
৭| ১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: পড়া হয়নি প্রামািনক ভাই
সময় করে পড়ে মন্তব্য করবো
ভাল থাকবেন
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন অর্বাচীন পথিক।
৮| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারন । ভাল লাগলো ।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারন । ভাল লাগলো ।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৩ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
জুন বলেছেন: মন ছুয়ে গেল
+
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন। শুভেচ্ছা রইল।
১১| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামািনক ,
জীবনের কিছু সুন্দর সময়ের স্মৃতিকথন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। শুভেচ্ছা রইল।
১২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লেগেছে!!!
পাগলার জন্য আপনার মত আমার চোখ ভিজে উঠেছে:
আমাকে সাথে নিয়ে কবর দেখালো। কবরের পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে চোখ মুছতে মুছতে চলে এলাম।
১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। মন্তব্যে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: অসাধারণ প্রকাশ ভংগী আপনার। সত্যি গল্প পড়তে পড়তে আমার চোখের কোন ভিজে যাবার অবাস্থা।
আল্লাহ আপনাকে এবং তাঁকে মাগফেরাত দান করুন । আমীন
১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:০৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তৌফিক মাসুদ। আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। পাগলের কথা সত্যিই আমি ভুলতে পারছি না। এমন পাগলের আযান আর কোথাও শুনতে পাচ্ছি না।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
জনাব মাহাবুব বলেছেন: লতিফ পাগলা হুজুরের স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো। আল্লাহ যেন লতিফ পাগলাকে বেহেস্ত নসিব করেন। আমিন!