নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
ছাতা মাথায় যাচ্ছে পথিক
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
কখনও বা ঝর ঝর ঝর
যায়না দুরে দৃষ্টি।
লাফিয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ-ব্যাঙাচি
লাগছে পায়ে গুঁতো
কখনও বা পিছলে পড়ে
ছিঁড়ছে পায়ের জুতো।
আছাড় পড়ে কাদার ভিতর
পাচ্ছে কেহ শরম
বাচ্চা যারা ব্যাথার চোটে
কান্না করছে চরম।
ভিজছে জামা ভিজছে কাপড়
ভিজছে পুরো দেহ
ঝাপটা বৃষ্টি সবাই ভিজছে
রক্ষা পায়না কেহ।
কাক পাখিরা গাছের ডালে
ঝিমায় বসে বসে
কখনও বা বাবুইর বাসা
আপনি যাচ্ছে খসে।
ভেজা বাসায় পাখ-পাখালী
বাচ্চা নিয়ে বসা
দিনমানে আজ নাইরে খাওয়া
মরণ হওয়ার দশা।
ঘাস-বিচালী পানির তলে
হাম্বা ডাকে গরু
ভিজা পাতায় যাচ্ছে হেলে
ঘন পাতার তরু।
কৃষক মশাই ঘরের কোণে
চুলার পাড়ে বসে
স্বজন নিয়ে করছে গল্প
আপন মনের জোশে।
ডাল খিচুরী করছে রান্না
ভোজন রসিক যারা
কিশোররা সব বানের জলে
ভিজেই আত্মহারা।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কলমের কালি শেষ। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর ছড়া, ভালো লাগলো।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী। ছড়াটি আপনার ভালো লাগায় খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
গোধুলী রঙ বলেছেন: সুন্দর ছড়া, ভালো লেগেছে। তবে বৃষ্টি প্লাবিত ঢাকার কথা ছাড়া মনে হচ্ছে, কিছু একটা মিসিং
১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০০
প্রামানিক বলেছেন: কিছু একটা মিসিং হতেও পারে। বর্ননায় গ্রামের ছোঁয়া আছে ঢাকায় সেই দৃশ্য দেখা সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ ভাই গোধুলী রঙ। পড়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪২
মনিরুল হাসান বলেছেন: বানান ভুল:
পরে = পড়ে
দুরে = দূরে
ছিঁরছে = ছিঁড়ছে
কাঁদার = কাদার (কাঁদা মানে কান্নাকাটি)
ভিজা = ভেজা
কোনে = কোণে
কাক পাখিরা গাছের ডালে
ঝিমায় বসে বসে
কখনও বা বাবুইর বাসা
আপনি যাচ্ছে খসে। = এই প্যারাটা এইভাবে লিখলে কেমন হয়:
কাক পাখিরা গাছের ডালে
ঝিমায় বসে বসে,
বাবুই পাখির বাসাও কভূ
যাচ্ছে পড়ে খসে।
আপনি সবসময় ছন্দ নিয়ে লেখেন। ছন্দ নিয়ে লেখাটাই আমার পছন্দ।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমার উপকারই করেছেন। এরকম উপকারী মানুষ আমি খুঁজি। খুব খুশি হলাম। আমার পোষ্ট গুলো পড়ে ভুলগুলো ধরে দিলে আরো খুশি হবো। শুভেচ্ছা রইল।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
কাবিল বলেছেন: চমৎকার।
অনেক ভাল লাগল।
(অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে ভাল মন্দ নিয়ে আর একটি ছড়া চাই)
ছবি নেট
১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাবিল। খুব সুন্দর ছবিগুলো। আপনার অনুরোধ রক্ষা করার চেষ্টা করবো। শুভেচ্ছা রইল।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
লেখোয়াড়. বলেছেন:
ছড়া ভাল হয়েছে। +++++++++++++++++
তবে বানানের দিকে খেয়াল রাখুন।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লেখোয়াড়। ভাই ডিকশনারী মাথায় নিযে শুয়ে থাকি কিন্তু বানান মনে থাকে না। আপনারা কষ্ট করে ভুল দেখিয়ে দিলে আমার উপকার হয়।
৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৬
জেআইসিত্রস বলেছেন: বৃষ্টিতে ভিজে সিক্ত হলাম, অনন্য লিখুনি।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জেআইসিএস। আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১
এফ.কে আশিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন প্রামানিক ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে........
১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এফ কে আশিক। অনেক অনেক শুভেচছা রইল।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
মনিরুল হাসান বলেছেন: আপনার লেখায় ধরার মত ভুল তেমন থাকে না। আমার অনুমান যদি ভুল না হয় আপনি 'সিলাবল' গুণে লেখেন। একটা খুব ছোট পরামর্শ। কিছু শব্দ একটু খেয়াল করে ব্যবহার করবেন। তাহলে লেখাগুলো আরো সুন্দর হবে। দু'টো উদাহরণ:
আছড়ে পড়ে কাদার ভিতর
পাচ্ছে কেহ শরম
বাচ্চা যারা ব্যাথার চোটে
কাঁদছে তারা চরম।
-------------------
কৃষক মশাই ঘরের কোণে
চুলার পাড়ে বসে
স্বজন নিয়ে করছে আলাপ
আপন মনের জোশে।
রাঁধছে হরেক ডাল খিচুরী
ভোজন রসিক যারা
কিশোররা সব বানের জলে
ভিজেই আত্মহারা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মনিরুল হাসান। আপনার উপদেশগুলো আমি একটু চিন্তাভাবনা করে দেখছি।
আপনি লিখেছেন "আছড়ে পড়ে" এখন "আছড়ে পড়ে" এবং "আছাড় পড়ে" দুটি কথার মধ্যে পার্থক্য দেখা দরকার। যেমন নদীর ঢেউ কিনারে এসে "আছড়ে পড়ে" এটা ঠিক আছে। কিন্তু মানুষ যখন হেঁটে বেড়ায় তখন কাদার ভিতর "আছাড় পড়ে" না "আছড়ে পড়ে" ভাই মনিরুল হাসান আপনার কাছে আমার প্রশ্ন কোনটা সঠিক?
আপনি লিখেছেন "রাঁধছে হরেক ডাল খিচুরী" হরেক কথার অর্থ হলো নানাপ্রকার বা বিবিধ। যেমন হরেক মাল অর্থাৎ নানাপ্রকার মাল। আমার বাক্যটা হলো "ডাল খিচুরী করছে রান্না ভোজন রসিক যারা" আপনার বাক্যটা হলো "রাঁধছে হরেক ডাল খিচুরী ভোজন রসিক যারা" এতে কোন বাক্যটায় ছন্দের ঝঙ্কার বেশি আপনি বলেন।
"স্বজন নিয়ে করছে আলাপ আপন মনের জোশে" গল্প করা আর আলাপ করার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। গ্রামের মানুষ বৃষ্টির দিনে চুলার পাড়ে গোল হয়ে বসে নানা রকম হাসি ঠাট্টা রসিকতার গল্প করে। সেখানে গোমড়া হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন আলাপ আলোচনা করে না।
১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মজারু।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দিশেহারা রাজপুত্র। শুভেচ্ছা রইল।
১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামািনক ,
বৃষ্টির ছড়া
ছন্দে, গন্ধে ভরা ...।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই প্রোফেসর শঙ্কু। শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার ছন্দময় কবিতা। তবে প্রামানিক ভাই, ফুটপাথে আর বস্তিতে পলিথিনের নীচে বসবাসকারীদের কথা আশা করেছিলাম, আরকেটা প্যারায় এদের কথা জুড়ে দিলে পূর্ণতা পায় কবিতাটি।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বোকা মানুষ বলতে চায়। ঠিক আছে ভাই চেষ্টা করবো আপনার কথামত কিছু একটা লিখতে।
১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৫৭
মনিরুল হাসান বলেছেন: আমার মনে হয় এখানে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। খেয়াল করে শব্দ ব্যবহার করা বলতে আমি ছন্দের কথা বলেছি।
১।
"আ+ছাড় পড়ে কাদার ভিতর পাচ্ছে কে+হ শরম
বাচ+চা যারা ব্যাথার চোটে কান্না কর+ছে চরম।" -
আছাড় সাধারণত পড়ে না; আছাড় খায়। আ+ছাড় আর বাচ+চা - এই দু'টো শব্দের উচ্চারণও ভিন্ন। আর "পাচ্ছে কে+হ শরম, কান্না কর+ছে চরম" - এর চেয়ে "পাচ্ছে কে+হ শরম, কাঁদছে তা+রা চরম" বেশি মিল মনে হয়। কাজেই এটা লেখা যেতো
"উল+টে পড়ে কাদার ভিতর পাচ্ছে কেহ শরম,
বাচ+চা যারা ব্যাথার চোটে কাঁদছে তারা চরম"।
২।
"রাঁধছে হরেক ডাল খিচুরী" - বলতে আমি 'রাঁধ+ছে' শব্দটাকে আগে রাখতে চেয়েছি। এটা এভাবেও লেখা যেতো -
"করছে রান্না ডাল খিচুরী।" (এটা অবশ্য আপনার পছন্দ)।
৩।
"স্বজন নিয়ে করছে গল+পো" - এই বাক্যটিতে আমি 'গল+পো'র বদলে অন্য একটা শব্দ ব্যবহার করতে বলেছি। যেমন:
"স্বজন নিয়ে বলছে ক+থা।" কিংবা "কৃষক মশাই ঘরের কোণে চুলার পাড়ে বসে, বধূর সাথে রসিকতা করছে মনের জোশে।"
তাছাড়া হাসিমুখেও নানা খুশির বিষয় নিয়ে আলাপ করা যায়।
কোথাও অতিরিক্ত কিছু বললে দুঃখিত।
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০১
প্রামানিক বলেছেন: পদ্যের বেলায় যেটা ভুল দেখায় গদ্যের বেলায় সেটা ভুল নাও হতে পারে। পদ্য এবং গদ্যের মধ্যে ভাব এবং ভাষায় অর্থের কিছুটা পার্থক্য থাকে। অনেক সময় এমন কিছু শব্দ আছে যা গদ্যে ব্যবহার হয় না কিন্তু পদ্যে ব্যবহার হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার বৃষ্টিভেজা ছড়া ।