নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণ ঃ যমুনার ভরা নদী এবং ঝড়ের কবলে নৌকা (শেষ পর্ব)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৩


শ্রাবণের ভরা নদী এবং নৌকায় মামার বাড়ি
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

বাড়ি ফেরার জন্যও নৌকার প্রয়োজন। নৌকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। নৌকা চালানোর দায়িত্ব আবার ফকির ভাইয়ের ঘাড়ে চাপল। অনিচ্ছা সত্বেও ফকির ভাই এবং শহর আলী নৌকা নিয়ে আমাদের সাথে যেতে রাজী হলেন বটে তবে নৌকা ছাড়ার পূর্ব মুহুর্তে শর্ত জুড়ে দিলেন। শর্ত হলো-- আমাদেরকে বাড়ি পৌছে দিয়ে রাতেই ফিরবেন। বাবা ফকির ভাইয়ের এ শর্তে রাজী হলেন।

সন্ধ্যার কিছু আগেই নৌকা ছেড়ে দিল। বাতাস না থাকায় পাল তোলার সুযোগ হলো না। ফকির ভাই আর শহর আলী লগি ঠেলে নৌকা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চর পার হয়ে বড় নদীতে পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা নেমে এলো। কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয়া হওয়ায় সন্ধার সাথে সাথেই চারিদিকে অন্ধকার নেমে এলো। অন্ধকারেই নৌকা চলছে। যমুনা নদীতে নৌকা পড়তেই দখিনা বাতাস শুরু হলো। বাতাস পেয়ে ফকির ভাই তাড়াতাড়ি পাল তুলে দিলেন। বাতাসের বেগ ভালো। দখিনা বাতাসে পশ্চিম উত্তর দিকে আড়াআড়িভাবে নদী পাড়ি দেয়া খুব সহজ হলো। নদী পাড়ি দিতে খুব বেশি সময় লাগল না। যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে পশ্চিম পার্শ্বে এসে নদীর কিনার দিয়ে উত্তর দিকে নৌকা এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে জোছনা পুবাকাশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আস্তে আস্তে রাতের অন্ধকার দুর করে দিয়েছে। জোছনা রাতে স্রোতের প্রতিকুলে এগিয়ে যাচ্ছি। পানির ঢেউগুলো চিক চিক করছে। স্রোতের পাঁক খাওয়া পানি থেকে কুল কুল শব্দ হচ্ছে। কচুরি পানার সাথে মাঝে মাঝে কলাগাছ ভেসে যাচ্ছে। খুব মজা করে এসব দৃশ্য দেখছি। জোছনা রাতে নদীর দৃশ্য দেখতে দেখতে নৌকা অনেক দুর এগিয়ে এসেছে। এমন সময় হঠাৎ কালো মেঘের তলে চাঁদ ঢাকা পরে গেল। আবার পুরো অন্ধকার নেমে এলো। বাবা অন্ধকারে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, ফকির ভাই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী হালের বৈঠা কখনও ডানে কখনও বামে বাঁকা করে ধরে নৌকা চালিয়ে যাচ্ছেন।

হঠাৎ বাতাসের বেগ বেড়ে গেল। সাথে সাথে নৌকার গতিও বেড়ে গেল। প্রচন্ড স্রোত ঠেলে নৌকা তীব্র গতিতে উজানে যাচ্ছে। একটু পরেই বৃস্টি শুরু হলো, সাথে প্রচন্ড বাতাস। নদীর বড় বড় ঢেউ দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসে বড় বড় ঢেউ এসে নৌকার কিনারে আছাড় খেয়ে পানি ছিটকে নৌকায় উঠল। মা আল্লাহ আল্লাহ করতে লাগলেন। শুধু একটানা বাতাস হলে কোন কথা ছিল না, দমকা বাতাস। দমকা বাতাসের ঠেলায় নৌকা পালসহ মাঝে মাঝে কাত হয়ে তলিয়ে যায় যায় অবস্থা। নৌকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাবা ফকির ভাইকে পালের রশি ছেড়ে দিতে বলে নিজে হাল ধরলেন। নৌকা ঘুরিয়ে বাতাসের অনুকুলে নিলেন। বাদামের নিচের রশি ছেড়ে দেয়ায় নৌকার বাদাম পাতাকার মত উপরে উড়তে লাগল। বড় বড় ঢেউ এসে নৌকার সাথে আছাড় খেয়ে ছলকে ছলকে পানি নৌকার ভিতর পরতে লাগল। নৌকার ভিতরে অনেক পানি উঠেছে। এভাবে ঢেউয়ের পানি উঠতে থাকলে নৌকা সহজেই তলিয়ে যাবে। শহর আলী প্রাণপনে ছেউতি দিয়ে নৌকার পানি সেচেও কমাতে পারছে না। নৌকা তল হলে দুই চার দশ মাইলের মধ্যে কোনো ঠাই পাওয়া যাবে না। প্রচন্ড ¯্রােতে এক টানে কোথায় নিয়ে যাবে টেরও পাওয়া যাবে না। স্রোতের উল্টা পাঁকে পরলে বাঁচার কোন আশা নেই। চুমমুত করে পানির একশ’ হাত নিচে নদীর তলায় নিয়ে ঠেকাবে। যমুনা নদী। যেমন স্রোত তেমন গভীরতা। অবস্থা বেগতিক দেখে দুই হাত দিয়ে পানি সেচতে লাগলাম। যেখানে প্রতি ঢেউয়ে বালতি বালতি পানি উঠে সেখানে হাতের অঞ্জলী দিয়ে কি কমে? নৌকায় উঠে আগা গুলুইয়ে একটি ভাঙা থালা দেখেছিলাম। অন্ধকারে অন্ধদের মত হাতিয়ে হাতিয়ে সেই থালা খুঁজতে লাগলাম। হঠাৎ সেই ভাঙা থালা পেয়ে গেলাম। থালাটি নিয়ে নৌকার মাঝে এসে দুই হাতে শক্ত করে ধরে পানি সেচতে লাগলাম। কিন্তু সেচে সুবিধা করতে পারছিলাম না। নৌকার দুলুনিতে মাঝে মাঝে ছিটকে নিজেই নদীতে পড়ে যাওয়ার অবস্থা। ভয়ে মাঝে মাঝে থালা ছেড়ে দিয়ে নৌকার মাঝের গুড়া চপে ধরে বসে থাকি। একটু স্বাভাবিক হলে আবার থালা নিয়ে প্রাণপনে পানি সেচি। বাবার হাল ধরার দক্ষতার কারণে বড় বড় ঢেউ পাছা গুলুইয়ের সাথে বাড়ি খেয়ে দু’দিকে ভাগ হয়ে যেতে লাগল। ফকির ভাই পালের নিচের রশি ধরতে গিয়ে অল্পের জন্য বাতাসের ঝাপটায় পড়তে পড়তে বেঁচে গেলেন। যদি পড়ে যেত তা হলে এই অন্ধকারে প্রচন্ড স্রোতের ভিতর তাকে খুঁজে পাওয়াই সম্ভব হতো না। বাবা ফকির ভাইর আহাম্মকী দেখে জোরে একটা ধমক দিলেন। প্রচন্ড রেগে গিয়ে নিষেধ করলেন, বাতাসের বেগ না কমা পর্যন্ত যেন বাদাম ধরতে না যায়। পালের নিচের রশিও টেনে ধরতে নিষেধ করলেন। পালের রশি ছেড়ে দেয়ায় বাদাম বাতাসের ঝাপটায় ছিঁড়ে যাওয়ার অবস্থা।

মা নৌকার গুড়া ছেড়ে তলায় বসে টুকুকে বুকে জড়িয়ে ধরে আল্লাহ আল্লাহ করছেন। এক পর্যায়ে প্রচন্ড স্রোত ও দমকা বাতাসের কারণে বাবা ভয় পেয়ে গেলেন। নৌকার হাল ধরে আজান দেয়া শুরু করলেন। অন্ধকারে দমকা হাওয়ায় প্রচন্ড ঢেউয়ের তান্ডব দেখে নিজেও ভয় পেয়ে গেলেম। বৃষ্টিতে ভিজে এবং মরণের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পানি সেচা বাদ দিয়ে মার কাছে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বসলাম। মা আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে কান্না শুরু করে দিলেন। এই মছিবত থেকে রক্ষার জন্য তিনি বাড়ির সমস্ত গরু ছাগল কোরবানির নামে মানত করলেন। আল্লাহ যেন এই বিপদে জানের বদলে জান রক্ষা করেন।

ঘড়ি ছিল না। কতক্ষণ যে ঝড়ের তান্ডব চলছে বলতে পারবো না। বিপদকালীন প্রতিটা মুহুর্ত যেন অনেক লম্বা সময়। বিদ্যুৎ চমকানোর আলোতে বাবা আমাকে বসে থাকতে দেখে জোরে ডাক দিয়ে বললেন, বাবারে বসা যাবে না, তাড়াতাড়ি নৌকার পানি সেচ, নৌকায় পানি রাখা যাবে না। বাবার কথায় মাকে ছেড়ে দিয়ে আবার উঠে পানি সেচা শুরু করে দিলাম। ভয়ে শরীরের শক্তি যেমন কমে গেছে তেমনি মানসিকভাবেও দুর্বল হয়ে গেছি। তারপরেও মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা করছি। যে কোন মুহুর্তে তলিয়ে যেতে পারি। খুব জোরে জোরে পানি সেচতে চেষ্টা করছি বটে কিন্তু হাতে জোর পাচ্ছি না। নৌকার কিনারে অনবরত ঢেউ এসে আছাড় খেয়ে ছলকে ছলকে পানি উঠতেই আছে। নৌকার পানি যত সেচি তার চেয়ে বেশি নৌকায় উঠছে। আরো কিছুক্ষণ এ অবস্থা চলার পর আস্তে আস্তে বাতাসের বেগ কমে গেল। বাতাসের বেগ কমলেও বৃষ্টি কমল না। তমুল আকারে বৃষ্টি পড়তে লাগল। বৃষ্টি পড়েও নৌকা তল হওয়ার অবস্থা। আমি দুর্বল হলেও শহর আলী তখনও প্রাণপণে পানি সেচে নৌকার বাইরে ফেলছে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থেমে গেল। বৃষ্টি থামলে শহর আলীর সাথে থালা দিয়ে পানি সেচে নৌকার তলায় পানি মোটামুটি কমিয়ে দিলাম। আস্তে আস্তে মেঘ কেটে গেল। চাঁদের আবছা আলোতে চারিদিক জেগে উঠল। চারদিকে তাকিয়ে দেখি আমরা আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দুই মাইল উত্তরে চলে এসেছি। ঝড়ের তান্ডব আর অন্ধকারের কারণে এতক্ষণ কুল কিনারা কিছুই বোঝা যায়নি। এখনও আমরা নদীর মাঝখানে। বাতেসের বেগে নৌকা উত্তর দিকে যাচ্ছে।

আরো কিছুক্ষণ পর বাতাসের বেগ কমে গেল। পালের নিচের রসি ছেড়ে দেয়ায় পাল তখনও বাতাসে উড়ছে। বাতাস কম থাকায় বাবা ফকির ভাইকে পাল নামাতে বললেন। ফকির ভাই পাল নামালে বাবা নৌকা ঘুরিয়ে ভাটির দিকে ধরলেন। ফকির ভাই আর শহর আলীকে দাঁড় ধরতে বললেন। তারা দুইজন দাঁড়ের বৈঠা নিয়ে দাঁড় টানা শুরু করলেন। প্রচন্ড স্রোত আর দাঁড়ের টানে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই নৌকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাঙা বাঁধের কাছে এসে গেল। বাবা নৌকার আগা গুলুই পশ্চিম দিকে ঘুরিয়ে দিলেন। পানির ¯্রােতে নৌকা দ্রুত বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে গ্রামের ভিতর চলে এলো। কিছুদুর আসার পর এক বুক একমাথা পানি অনুমান করে বাবা ফকির ভাইকে দাঁড় ছেড়ে লগি ধরতে বললেন। তারা দুই ভাই লগি ঠেলে নৌকা এগিয়ে নিতে লাগলেন। ফকির ভাইদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে রাত দশটার দিকে নৌকা বাড়ির ঘাটে পৌঁছল।

নৌকায় বসা অবস্থায় মা বাবাকে কিছুই বল্লেন না, নৌকা থেকে নেমে বাড়ির উঠানে পা দিয়েই বাবাকে বকাবকি করতে লাগলেন। মায়ের রাগ হলো, একে তো মামা বাড়ির আদর আপ্যায়ন উপেক্ষা করে বাবা জোর করে আমাদের নিয়ে এসেছেন, তারোপর ঝড়ের কবলে পরে নদীর পানিতে ডুবে মরার অবস্থা। দুই কারণে রেগে গিয়ে বাবাকে ইচ্ছামতো বকতে লাগলেন। মায়ের বকাবকি শুনেও বাবা চুপ করে রইলেন। বাবার মুখের উপর মা কখনও কথা বলেন না এবং তার সে সাহসও নেই। মা খুব সহজ সরল ভিতু স্বভাবের। বাবা খুব রাগী মানুষ। ত্রুটি পেলে বাঘের মত গর্জে উঠেন। তাঁর ধমকে বাড়ির সবাই কাঁপতে থাকে। কিন্তু আজ মায়ের কড়া কথা শোনার পরও বাবা নিশ্চুপ। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছেন তার গোঁয়ারতুমির কারণেই আজ আমরা মরতে বসেছিলাম। যে কারণে বাঘের মত গর্জে উঠা মানুষটি বিড়ালের মত চুপ হয়ে থাকলেন।

এদিকে ফকির ভাই আমাদের নামিয়ে দিয়েই বাড়ি ফেরার জন্য তাড়াহুড়া করছিলেন। বাবা তাদের যেতে নিষেধ করলেও তারা থাকতে রাজী হলো না। রাতেই নৌকায় পাল তুলে জো¯œার আলোতে দুরে পানির উপরে হারিয়ে গেলেন।

পরের বছর বাবা ঘরের একটি গরু বেচার জন্য চেষ্টা করতেই মা বাঁধা দিয়ে বসলেন। মায়ের কথা হলো, ঘরের একটা গরুও বিক্রি করা যাবে না। কারণ নৌকা ডুবে মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ার সময় সব গরু কোরবানীর নামে মানত করা আছে। গরুগুলি অসুখ বিসুখে এমনি এমনি মরে গেলে মরবে কিন্তু বেচা যাবে না। বয়স অনুযায়ী বছর বছর কোরবানী দিতে হবে। মা’র কথায় বাবা গরুগুলো আর বিক্রি করলেন না। সব গরুই বছর বছর পালাক্রমে কোরবানী দিয়েছিলেন। শেষের বছর গরুর বয়স হওয়ায় দুই গরু একসাথে কোরবানী দিয়ে মা’র কথামত কোরবানীর মানত পরিপূর্ণ করেছিলেন।

সেই রাতের ভয়াল কাহিনী মনে হলে আজও গা শিউরে উঠে। মরতে মরতে বেঁচে এসেছি। যদি ঝড়ো বাতাসে নৌকা উল্টে যেত বা তলিয়ে যেত, তাহলে আমাদের লাশটাও হয়তো আমাদের পরিবার খুঁজে পেত না। সলিল সমাধি হয়ে মাছের খাদ্য হতাম। সে রাতে মারা গেলে আজ আর আমার পক্ষে এ কাহিনী লেখাও সম্ভব হতো না। সেই স্মৃতি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যখনই মনে হয় তখনই সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হয়তো এ স্মৃতি মন থেকে মুছে যাবে না।
(সমাপ্ত)

ছবি ঃ নেট

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:

ক্ষুধার্ত যমুনা আপনাকে অল্পের জন্য মিস করেছে!
যমুনার মানুষ, বিচিত্র তাঁদের জীবন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৪

প্রামানিক বলেছেন: জি চাঁদ গাজী ভাই এখনও মনে হলে গা শিউরে উঠে। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১১

তুষার কাব্য বলেছেন: বর্ষায় রুদ্র নদীর ক্ষুধার্ত চেহারা কেবল দেখে আসলাম গত ১০ দিন ধরে । খুব বেঁচে গেছেন !

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তুষার কাব্য। আপনি রুদ্র নদীর ক্ষুধার্ত চেহারা দেখেছেন, আর আমি সেই ভয়াল থাবায় পড়ে মরতে মরতে বেঁচে এসেছি। আপনার মূল্যবান মন্তব্যে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সে এক অভিজ্ঞতা বটে!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। শুধু অভিজ্ঞতা নয় বাস্তব অভিজ্ঞতা।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মারাত্মক অভিজ্ঞতা! অাপনার সুন্দর বর্ণনায় যেন জীবন্ত প্রতিচ্ছবি হয়ে দেখা দিল ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুপক বিধৌত সাধু। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল ।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ময়মনসিংহ শহরের পাশ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র না যমুনায় (নামটা ভুলে গেছি,কালের আবর্তে) এমন পরিস্থিতিতে পড়ায় আপনর অবস্থা বুঝতে পারছি।।
বর্ননাটা সুন্দর এবং সাবলীল।।
আমাদের বাড়ীর পাশের ইছামতী নদীটি ৩/৪ মাসের জন্য এসে যে রূপ ধরতো সেখানে যমুনা!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:১২

প্রামানিক বলেছেন: ময়মনসিংহ শহরের পাশে ব্রহ্মপুত্র নদী। আমার মত পরিস্থিতিতে আপনিও পড়েছিলেন, তাহলে বোঝাগেল আপনিও আমার মত ভুক্তভুগী। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩৩

সুমন কর বলেছেন: ভয়ানক অবস্থা !!! যাক শেষ পর্যন্ত কোন বিপদ হয়নি, পড়ে খুব ভালো লাগল। সেদিন ঐ রাতে ফিরে আসাটাই উচিত হয়নি।

ভালো থাকুন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:১৩

প্রামানিক বলেছেন: আমরা তো ফিরতে চাইনি কেন যেন বাবা থাকলেন না রাতেই রওনা দিলেন। আর যমুনায় এসেই বিপদে পড়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভয়ংকর অভিজ্ঞতা !!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

জুন বলেছেন: আমারো এমন ভয়ানক অভিগ্গতা আছে বিরুলিয়ায় ।
সেই বিখ্যাত লেখক প্রমথ নাথ বিশীর ভাষায় বলতে হয় ,

'ভরা নদী ভয় করিনে
ভয় করি সই বানের জল '

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন, আমারো সেই কবির কবিতার দশাই হয়েছিল। মরতে মরতে বেঁচে এসেছি। শুভেচছা রইল।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্য ঘটনা লেখছেন তো? নাকি বানানো :-P

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রামানিক বলেছেন: কইলাম মরতে মরতে বাইচা আইছি তারপরেও কন সত্য ঘটনা তো -- - -! একদম নিজের চোখে দেখা ঘটনা। আপনি মনে হয় নৌকায় এরকম বাতাসের ঠেলায় পড়েন নাই, পড়লে বুঝতেন -- -
ধন্যবাদ কামাল ভাই, শুভেচ্ছা রইল।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

আবু শাকিল বলেছেন: ভয়ানক অভিজ্ঞতা !!!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবু শাকিল। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ার অভিজ্ঞতা । সবার এরকমটা হয়না ।
যমুনার বহমান স্রোতের মতোই বর্ননা , জীবন থেকে নেয়া ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। এটা আমার বাস্তব জীবনের ঘটনা থেকে লেখা। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০০

বুরহানউদ্দীন শামস বলেছেন: ভাই ভুল করে মন্তব্য করে ফেলেছি।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১২

প্রামানিক বলেছেন: কি ভুল করেচেন ভাই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.