নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫


নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
পূর্ব দিকে যেতেই মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে এক ডাবওয়ালার সাথে দেখা হলো। বয়স পঞ্চাশের মত হবে। এক কাঁধি ডাব নিয়ে পূর্ব দিকেই যাচ্ছেন। ডাবের দাম জিজ্ঞেস করতেই প্রতিটি চার টাকা বলল। পানি পিপাসায় গলা শুকিয়ে কাঠ। লবানাক্ত মুখের পরে আর মিঠা পানি পান করা হয়নি। ডাবওয়ালা ডাব কেটে পানি গ্লাসে ঢেলে দিল। একেক জন কাঁচের গ্লাসের তিন গ্লাস করে পানি খেলাম। খেয়ে শেষ করতে পারছি না। সেন্টমার্টিনের ডাবের ভিতর এত পানি থাকে আগে জানা ছিল না। আমরা তৃপ্তিসহকারে খাওয়ার পরও কিছু পানি থেকে গেল। ডাবের এত পানি দেখে মুকুল বলল, আগে জানলে একটা ডাব নিলেই হতো।

ডাব খেয়ে টাকা দিয়ে ডাবওয়ালাকে জিজ্ঞেস করলাম, চাচা, আমরা থাকার জায়গা পাই নাই, কোথাও থাকার জায়গা পাওয়া যাবে?
লোকটি বলল, হোটেলে গিয়েছিলেন?
বললাম, গিয়েছিলাম, সেখানে কোন রুম খালি নাই।
বলল, তাহলে আমার সাথে আসেন দেখি চেয়ারম্যান বাড়িতে পাওয়া যায় কিনা।
লোকটি আমাদের সাথে নিয়ে এসে চেয়ারম্যান বাড়ি দেখিয়ে দিল। পাকা রাস্তার একটু উত্তরেই চেয়ারম্যান বাড়ি। চেয়ারম্যান বাড়ি গিয়ে সতেরো আঠারো বছর বয়সী এক ছেলের সাথে দেখা হলো। বললাম, এইটা কি চেয়ারম্যান বাড়ি?
ছেলেটি বলল, হ্যাঁ, কেন?
বললাম, আমরা হোটেলে সিট পাই নাই, আপনারা যদি থাকার ব্যাবস্থা করতেন তাহলে আমদের জন্য খুব উপকার হয়।
ছেলেটি বলল, যদি কিছু মনে না করেন তাহলে একটি কথা বলতে পারি?
বললাম, বলেন।
ছেলেটি বলল, আমার থাকার রুমটিই আপনাদেরকে ছেড়ে দিতে পারি, তবে শর্ত হলো, আমাকে একশত টাকা দিতে হবে।
তার প্রস্তাব শুনে খুশি হয়ে বললাম, ঠিক আছে আমরা তাতেই রাজি। চেয়ারম্যান বাড়িতে মুলী বাঁশের বেড়া দেয়া তিনটি টিনের ঘর। পূর্ব পার্শ্বের ঘরের উত্তর পাশের রুমে আমাদের থাকতে দিল।

কাঠের চৌকির উপর একটি তোষক, তার উপরে কম দামী একটি বিছনার চাদর, দু’টি ময়লা ময়লা বালিশ ও একটি কালো কম্বল আগে থেকেই রাখা ছিল। আমরা ঘরে ঢুকেই চৌকির উপর বসে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে ছেলেটির হাতে একশত টাকা দিয়ে দিলাম। টাকা পেয়ে ছেলেটি খুব খুশি হলো। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, চেয়ারম্যান সাব আপনার কে হয়?
ছেলেটি বলল, তিনি আমার বাবা।

একশত টাকা নিলেও চেয়ারম্যানের ছেলে তার নিজের রুম আমাদের থাকার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। এটা জেনে তার প্রতি খুব খুশি হলাম। তাকে দুই জনেই ধন্যবাদ দিলাম। ছেলেটি আমাদের হাতে ছোট একটি তালাসহ চাবি ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল।

আসলে সেই সময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে একশত টাকার অনেক মূল্য। দ্বীপবাসীদের অধিকাংশই মৎসজীবি। দ্বীপটি বাংলাদেশের মূল ভুখন্ড থেকে অনেক দূরে হওয়ায় তাদের অন্য কোন আয় রোজগার নেই। সারাদিনে একশত টাকা রোজগার করা তাদের জন্য কষ্টের ব্যাপার। কাজেই চেয়ারম্যানের ছেলে বিনা পরিশ্রমে রুমের ভাড়া বাবদ একশত টাকা পেয়েছে, এটা যেন তার কাছে বিশাল পাওনা।

ঘরের সামনেই পূর্ব দিকে চাপ কল ছিল। দুইজনে বালতি নিয়ে চাপ কলে পানি চেপে গোসল করে নিলাম। লবন পানিতে শরীর খসখস করতে ছিল। গোসল করায় অস্বস্তিভাব কেটে গিয়ে শরীর অনেকটা পাতলা হলো। ঘরে গিয়ে টেকনাফ থেকে কিনে আনা পাউরুটি খেলাম।
পাউরুটি খেয়ে পানি খেয়ে বসে আছি এমন সময় বিশ বাইশ বছরের একটি যুবক এসে বলল, আপনারা রাতে খাবেন কই?
বললাম, আমাদের এখানে তো আত্মীয় স্বজন নাই, কই যে খাবো, সেটাই তো চিন্তা করছি।
যুবকটি বলল, যদি আপনারা আমাকে অর্ডার করেন তবে আপনাদের জন্য ভাত রান্না করতে পারি।
যুবকটি আমাদের জন্য উপযাচক হয়ে ভাত রান্না করতে চাচ্ছে, শুনে খুব খুশি হলাম। বললাম, তরকারী কি রান্না করবেন?
যুবকটি বলল, আমাদের কাছে মুরগী আছে, যদি বলেন তো মুরগী রান্না করতে পারি।
মুকুল বলল, আমরা মুরগী খাব না মাছ খাবো।
যুবকটি বলল, কি মাছ খাবেন?
মুকুল বলল, রুপচাঁদা মাছ।
যুবকটি বলল, এখন তো প্রায় বিকাল শেষের দিকে, এই সময় রুপচাদা মাছ নাও পাওয়া যেতে পারে। যদি রুপচাদা মাছ না পাই তাহলে অন্য মাছ খেতে হবে।

আমরা যুবকটির কথায় রাজী হয়ে গেলাম। যুবকটি চলে গেল। বিকাল শেষ হওয়ার পূর্বেই আমরা দুইজন আবার পশ্চিম সমুদ্র সৈকতে দৌড়ালাম। তার কারণ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এসে সমুদ্রের ভিতর সূর্য ডুবে যায় এই দৃশ্য না দেখলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভ্রমণটাই বৃথা হবে। সূর্য কিছুটা উপরে থাকতেই আমরা গিয়ে সৈকতে পৌছলাম। সমুদ্রে তখন ভাটা। অসংখ্য প্রবল পানির উপর জেগে আছে। আমি আর মুকুল এক প্রবাল থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে আরেক প্রবালে হেঁটে বেড়াতে লাগলাম। প্রবালের ফাঁকে ফাঁকে পানিতে অনেক মাছ চোখে পড়ল। ইচ্ছা হলো ধরতে কিন্তু ধরে কি করবো রান্না করার তো কোন ব্যাবস্থা নেই। মাঝারি ধরনের একটি চিংড়ি মাছ ধরে আবার ছেড়ে দিলাম। সূর্য পশ্চিমাকাশে ততক্ষণে লাল আকার ধারণ করেছে। আমরা প্রবাল ছেড়ে বালুকা বেলায় চলে এলাম। পশ্চিম দিকে দাঁড়িয়ে সূর্য ডুবে যাওয়া দেখতে লাগলাম। বিশাল গোলাকার লাল সূর্যটি দেখতে দেখতে সমুদ্রের পানির ভিতর টুপ করে ডুবে গেল। সুর্য পানির ভিতর টুপ করে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দেখে খুব আশ্চার্যই হলাম। জন্মের পর থেকেই সূর্য ডুবে যাওয়া দেখছি কিন্তু এরকমভাবে সূর্য ডুবে যেতে আর কোথাও দেখিনি। সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি দেখে অভিভুত হলাম।
সূর্য ডুবে গেলে সমুদ্রের পাড় দিয়ে আমরা একটু দক্ষিণে চলে গেলাম। দুইজন লোক ছোট ফাঁসের ফাঁসি জাল থেকে মাথা ধরে টেনে টেনে মাছ খুলছে। চেলা জাতীয় অনেক মাছ জালে আটকে আছে। আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের মাছ ছাড়ানো দেখলাম। লোকগুলোও খুব আন্তরিক। আমাদের সাথে অনেক কথা বলল। তাদের সাথে কথা বলে আমরা চেয়ারম্যান বাড়ির দিকে রওনা হলাম। ততক্ষণে কিছুটা অন্ধকার হয়ে এসেছে।

চেয়ারম্যান বাড়িতে এসে ঘর অন্ধকার থাকায় ঘরে না ঢুকে বাড়ির সামনে পেতে রাখা বেঞ্চিতে বসলাম। অচেনা অজানা জায়গায় অন্ধকারের মধ্যে কোথাও যাওয়া নিরাপদ মনে হলো না। আমাদের দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে এসে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে দিয়ে গেল। আমরা অন্ধকার ছেড়ে ঘরে গিয়ে বসলাম।

রাত আটটা বা সাড়ে আটটার দিকে সেই যুবক ডাকতে এসেছে। বলল, আমাদের রান্না হয়েছে, আপনারা খেতে আসেন।
আমি আর মুকুল ঘরে তালা দিয়ে তার পিছনে পিছনে গেলাম। পূর্ব দিকের সমুদ্র সৈকতের কাছেই কয়েকটি টিন আর মুলি বাঁশের বেড়া দিয়ে ছাপড়া ঘর তুলেছে। তার ভিতরে একটি সস্তা কাঠের টেবিল এবং টেবিলের দুই পার্শ্বে দুইটি চার পায়া বেঞ্চি রাখা আছে। আমি আর মুকুল প্লাস্টিকের জগ থেকে পানি নিয়ে হাত মুখ ধুয়ে টেবিলের দুই পাশে দুইজন মুখোমুখি বসলাম। তারা আমাদের দুইজনকে দুটি টিনের প্লেটে ভাত দিল। আরো দু’টি টিনের প্লেটে একটি করে রুপচাঁদা মাছ দিল। কেরোসিনের লম্পের আলোতে ঝোলের চেহারা দেখে মনে হলো-- শুধু হলুদ, মরিচ আর লবন দিয়ে রান্না করেছে। আমি আর মুকুল ঝোলের চেহারা দেখে মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে ছিলাম। কিন্তু উপায় নেই, এখানে এটাই খেতে হবে, এর চেয়ে আর ভাল খাবারের ব্যবস্থা এই মুহুর্তে সম্ভব নয়। আমি টিনের প্লেট থেকে পানির মতো পাতলা একটু ঝোল পাতে ঢেলে নিয়ে খেয়ে দেখি অসম্ভব মজা হয়েছে। ঝোলের চেহারা যাই হোক, স্বাদের তুলনা হয় না। সাথে সাথেই পুরো মাছ ঢেলে নিয়ে গোগ্রাসে খেতে লাগলাম। মুকুল তখনও আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি মুকুলকে বললাম, তরকারী খুব স্বাদ হয়েছে, খান।

আমার কথা শুনে মুকুলও প্রথমে একটু ঝোল পাতে ঢেলে নিল, ঝোল খেয়ে আমার মতই পুরো মাঝ পাতে ঢেলে নিল। ক্ষুধার্ত অবস্থায় দুইজন তৃপ্তিসহকারে খেতে লাগলাম। অর্ধেক খাওয়ার পরে বললাম, আরো মাছ আছে?
যুবকটি বলল, আর দুই পিস মাছ আছে।
ওই দুইপিস মাছও দিতে বললাম। মাছগুলো এত ভাল লাগছিল যে, ভাত রেখে পরে শুধু মাছ খেয়েছি। আমার দেখাদেখি মুকুলও একই অবস্থায় মাছ খেল।
খাওয়া অবস্থায় মনে মনে তাদের রান্নার তারিফ করতে লাগলাম। খাওয়া শেষে বিল দিতে গিয়ে অবাক হলাম। বিশাল বিশাল রুপচাদা মাছ টিনের প্লেটের এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত লম্বা, খেতেও সুস্বাদু, অথচ প্রতি পিস মাছের দাম মাত্র বিশ টাকা। সকালবেলা টেনাফে এর চেয়েও অনেক ছোট মাছের অর্ধেক পিস ত্রিশ টাকায় খেয়ে এসেছি। সেই তুলনায় এই মাছের দাম খুব সস্তা। দুইজনে চার পিস খেয়েছি দাম আশি টাকা, ভাত চার প্লেট ষোল টাকা, মোট ছিয়ানব্বই টাকা। এত সস্তায় ভাল খাবার খেয়ে খুশির চোটে একশত টাকার নোট বের করে দিলাম। যুবকটি টাকা হাতে নিয়ে চার টাকা ফেরত দিতেছিল। নিষেধ করে বললাম, আপনাদের রান্নায় খুশি হয়েছি, যে এই মাছটা রান্না করেছে তাকে এই চার টাকা বকশিশ দিলাম।
যুবকটি হাসি হাসি মুখে বলল, এই মাছ তো আমরা রান্না করি নাই। আমাদের বাড়িতে আমার গিন্নি রান্না করেছে।
আমি খুশি হয়ে বললাম, আপনার গিন্নিকেই এই চার টাকা বকশিশ দিলাম।
আমার কথা শুনে যুবকটি খুশি হয়ে বলল, ঠিক আছে আপনারা যদি আগামী কাল থাকেন তা হলে আপনাদের জন্য আরো ভাল করে রান্না করে আনবো।
আমি তার কথায় খুশি হয়ে বললাম, ঠিক আছে, যদি থাকি তাহলে আমরা আগেই এসে আপনাদের জানিয়ে যাবো।

ভাত খেয়ে অন্ধকারের ভিতর মিনি টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দুইজন ঘরে চলে গেলাম। দুইজনেই বিছনায় শুয়ে শুয়ে গল্প করতে লাগলাম। রাত তখন দশটা হবে। ঘরের বাইরে এসে দেখি আকাশে চাঁদ উঠেছে। চাঁদনী রাতে ঘরে ঢুকতে ইচ্ছা হলো না। মুকুল দরজায় তালা দিয়ে বলল, চলেন চাঁদনী রাতে সমুদ্র সৈকতে বেড়াবো।
এমন চাঁদনী রাতে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা আমারও ছিল, তাই খুশি হয়ে বললাম, কোন সৈকতে বেড়াবেন, পূবের টায় না পশ্চিমের টায়?
মুকুল বলল, পশ্চিমের টায়।
মিনি টর্চ লাইট নিয়ে দুইজনে পশ্চিমের সৈকতে রওনা হলাম। পুরো গ্রাম সুনসান। কোথাও কোন লোকজনের আওয়াজ নেই, নিরব নিস্তব্ধ। গ্রামের নিস্তব্ধতা ভেঙে আমরা দুইজন গল্প করতে করতে পশ্চিমের সৈকতে যাচ্ছি। মাঝ রাস্তায় চারজন লোকের সাথে দেখা হলো। তারা পশ্চিমের গ্রাম থেকে পূবের গ্রামে দিকে যাচ্ছে। আমাদের দেখেই একজন জিজ্ঞেস করল, আপনারা কে?
মকুল বলল, আমরা ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছি।
লোকগুলো আর কিছু বলল না।

লোকগুলোকে পাশ কাটানোর সময় লক্ষ্য করে দেখি তারা পশ্চিম গ্রাম থেকে নাইওরী নিয়ে পূবের গ্রামে যাচ্ছে। এত রাতেও মহিলা বোরখা পরে ছাতা মাথায় দিয়ে পর্দানশীন অবস্থায় তাদের পিছনে পিছনে যাচ্ছে। ইসলামিক নিয়মে মহিলাদের পর্দা করতে দেখেছি কিন্তু এখনকার মত এত কঠিন পর্দা করতে আর কোথাও দেখিনি। বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক গ্রাম ঘুরেছি কিন্তু একটি মহিলারও চেহারা চোখে পড়েনি। রাতের অন্ধকারে চলাফেরা করতেও মহিলার মাথায় ছাতা দেখে অবাক হলাম। দিনের বেলা চেহারা আড়াল করার জন্য অনেক মহিলাকে ছাতা মাথায় দিতে দেখেছি কিন্তু বৃষ্টি বাদল ছাড়া নিজেকে আড়াল করার জন্য রাতেও ছাতা মাথায় দেয় এটা এই প্রথম দেখলাম।

সমুদ্র সৈকতে তখন জোয়ার এসেছে। সমস্ত প্রবাল পানিতে ডুবে গেছে। বড় বড় ঢেউ এসে সমুদ্র তটে আছড়ে পড়ছে। শুধু সমুদ্রের শো শো শব্দের সাথে বড় বড় ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যায় না।

ফকফকা চাঁদনী রাতে বালুকা বেলায় হাঁটতে খুব ভাল লাগছিল। বিশাল সমুদ্রের গভীরে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। দেখতে খুব ভাল লাগছিল। দুইজনে প্রাণ ভরে গল্পে গল্পে হাঁটতে লাগলাম। এমন মনোরম পরিবেশ ছেড়ে আসতে মন চায় না। রাত বারোটা পর্যন্ত সৈকতে ঘোরাঘুরি করে ফিরতে বাধ্য হলাম। কারণ নতুন জায়গা, এখানকার পরিবেশের সাথে জানাশোনা নেই। এমন নিরিবিলি রাতের নির্জনতায় ফাঁকা সমুদ্র সৈকতে যদি কোন চোর ডাকাত আমাদের উপর হামলা করে তখন আমাদের উদ্ধার করার কেউ থাকবে না অথবা নির্জন সৈকতে মেরে ফেললেও কেউ দেখবে না। সেই ভয়ের অজানা আশঙ্কায় ভীত হলাম। আমার চেয়ে মুকুল আরো বেশি ভীত হলো। ঘরে ফিরতে মন চাচ্ছিল না, তারপরেও ঘরে ফিরে এলাম।

(চলবে--)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

জুন বলেছেন: সেন্ট মার্টিন সত্যি অপরূপ প্রামানিক ভাই । আমি তিন বার গিয়েছি তারপর ও মন ভরে নি । সুন্দর লেখা
+

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা, আপনি তিনবার গিয়েছেন আমি একবার গিয়েই সমুদ্রে ডুবে মরতে বসেছিলাম। আমি যা দেখেছি সেই পরিবেশ হয়তো এখন আর নাই। তখন ট্যুরিষ্ট থাকার উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না। থাকা খাওয়ার সমস্যা ছিল। এখন হয়তো সেই সমস্যা নাই এখন পুরোপুরি ট্যুরিষ্ট উপযোগী পরিবেশ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন থেকে কত বছর আগে গিয়েছিলেন?

পানিতে মাছ দেখা যেতো?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

প্রামানিক বলেছেন: ১৬ বছর আগে। ধন্যবাদ

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: প্রামানিক ভাই আপনার লেখা পড়ছি আর মনে হচ্ছে আমি আপনার সাথেই আছি। দারুণ লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেওয়ান কামরুল হাসান রথি। আপনি আমার লেখার সাথে থাকায় খুশি হলাম। শুভেচছা রইল।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট-মার্টিন সম্পর্কে ভ্রমনের সাথে সাথে এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনাকে অশংখ্য ধন্যবাদ! পড়তে আসলেই খুব ভাল লাগছে!

শুভেচ্ছা জানবেন!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাহসী সন্তান। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

গোধুলী রঙ বলেছেন: দারুন লাগছে প্রামানিক ভাই, আপনার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে চমতকার লাগছে।

আমি ২০১০ এর দিকে গিয়েছিলাম চার জন ফ্রেন্ড একসাথে। আপনার মত এত এডভেন্সারাস ছিলো না যদিও, দুদিন ছিলাম, সেন্টমার্টিন আসলেই অপরূপ সুন্দর।

তবে ২০১০ এর দিকেই হোটেল এরিয়া গুলো ভালো পরিমান নোংরা ছিলো, এখন কি অবস্থা জানি না, এত টুরিস্ট যায়, আর আমরা জাতিগত ভাবেই একটু নোংরাপ্রবন। এখানে সেখানে চিপসের প্যাকেট, পানির/কোকের বোতল ছড়ানো ছিটানো। আমার মাথায় ঢুকে না, মানুষ ঢাকায় বসে এইসব খায়, সেটা কেন আবার সেন্ট মার্টিন বা কক্সবাজারে গিয়ে খেতে হবে।

আবার যেতে মন চায়, কিন্তু এখন সময়/সুযোগ করে উঠতে পারি না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গোধুলী রঙ। আমি যখন গিয়েছে সেটা ২০০০ সালের আগে। তখন হোটেল মোটলের এত সুবিধা ছিল না। থাকা খাওয়ার এত সুব্যবস্থা ছিল না। তারপরেও দ্বীপটি খুব ভাল লেগেছিল। শুভ্চেছা রইল।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার লাগলো। ছবিও আর বর্ণনাও। বিশেষ করে রূপচাঁদা মাছের কথা। আমি যখন গিয়েছিলাম , হোটেলে খেয়েছি। ভালো খাবারের স্বাদও বাজে রান্নায় অনেকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন নৌকায় চড়ে যেতে হতো। ভয়ে অনেকেই যেত না। আমিও যাওয়ার পথে যে নাকানি চুবানি খেয়েছি সেটা ভুলে যাবার মত নয়। মন্তব্যর জন্য খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

কালীদাস বলেছেন: শুরুর দিকে যারা গেছে, সবার কাছেই শুনেছি সেন্টমার্টিনে পর্দা খুবই স্ট্রিক্টলি মেইনটেইন করা হয়। লোকজন খুব সহজসরল এরকমও শুনেছিলাম। নিজে যখন গেছি চেক করতে পারিনি, দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ছ্যাচড়া টাইপের বাটপারদের একজন ছিল গ্রুপ লিডার- ঐটার ধাক্কাতেই চিৎ হয়েছিলাম তিনমাস।

আপনার রুপচাদার এক্সপেরিয়েন্স হিংসা করার মত :) ছেড়াদ্বীপে গিয়েছিলেন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালীদাস। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন মানুষগুলোকে সহজ সরলই মনে হলো। কেউ কোন বাটপারী করার চেষ্টা করে নাই। মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৫

আমি মিন্টু বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ভাই । আর মনে হলো এতক্ষন আপনার পড়ার সাথে আমিও গুরছি ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মিন্টু। আপনি কষ্ট করে আমার লেখা পড়ছেন এতে আমি খুব খুশি। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭

অপ্রকাশিত কাব্য বলেছেন: ভালো লাগা জানবেন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অপ্রকাশিত কাব্য। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার বর্ণান চমৎকার হয়েছে ।আমিও গিয়েছিলাম , শুভ কামনা ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দৃষ্টিসীমানা। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: এখন মনে হয় আগের মত নাই ।
জাহাজে আরাম কইরা যাওয়া যায় ।
সুন্দর লেখায় ভালোলাগা ভাই ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গোল্ডেন গ্লাইডার। ঠিকই বলেছেন এখন জাহাজে আরামে যাওয়া যায় অতটা রিস্ক নাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা , যেন আমিও আপনার সাথে আছি !!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই গিয়াস লিটন। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

সুমন কর বলেছেন: আগের পর্বের মতো এটিও চমৎকার হয়েছে। ১৬ বছর আগের স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগল। আমিও যাইনি। যেতে হবে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। সময় করে গিয়ে ঘুরে আসেন। এখন আর আগের মত যাতায়াতে কষ্ট নাই। শুভেচছা রইল।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

এম এ কাশেম বলেছেন: নৌকায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ কাহিনী উপভোগ্য


তবে একবার যদি সাঁতারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করতেন তবে নোবেল প্রাইজ ত্রাইজ দেয়ার

চিন্তা ভাবনা করতাম।



শুভ কামনা প্রামানিক ভাই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

প্রামানিক বলেছেন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাঁতার দিয়ে যাওয়া তো ওয়ান টু ব্যাপার। শুধু পারতেছি না বড় বড় ঢেউ আর গভীরতার জন্য। ধন্যবাদ কাশেম ভাই।

১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

ভিটামিন সি বলেছেন: প্রামাণিক দা, চলতেছে চলুক, থামায়েন না। তেল লাগলে নিয়েন এক ব্যারেল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ভাই ভিটামিন সি, সিরিয়াল চালু ছিল ভ্যাটের কারণে বন্ধ রাখছি।

১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রোমাঞ্চকর ভ্রমণ! অসম্ভব ভালো লাগলো অাপনার বর্ণনা । রবীন্দ্রনাথের কবিতার কথা মনে পড়ে গেল, "কত অজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই; দূরকে করিলে নিকট বন্ধু পরকে করিলে ভাই"!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন রুপক ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আলাপচারী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আলাপচারী। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: প্রামানিক ভাই, আপনার এ পর্বটাও অসাধারণ!!!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ নাহার আপা। শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনাকে এতোগুলো হিংসা। আমি এক অভাগা, প্রথম যাওয়ার কথা ২০০১ সালে, এক বড় ভাইয়ের প্রতারণায় টেকনাফ থেকে ফেরত আসা। এরপর এক এক করে ২০০২, ২০০৪, ২০১০... প্রতিবারই টেকনাফ পর্যন্ত গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে নানান কারণে। অবশেষে গতবছর গিয়েছিলাম সেন্টমার্টিন, কপাল ভাল ইঞ্জিন নৌকায় যাই নাই। আমি তো ওখানকার লঞ্চঘাট থেকে নৌকা করে ছেড়াদ্বীপ গিয়েই ভয়ে হেঁটে ফেরত এসেছিলাম। :( তবে মজার ব্যাপার ঐ দিন মোট ২২ কিলোমিটার হাঁটা হয়েছে। ভোরবেলা জেটি থেকে হাঁটা শুরু করে পুরো সেন্টমার্টিন সমুদ্রতট ধরে হেঁটে আবার সেই যাত্রাস্থলে ফিরে এসেছিলাম। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার সেই যাত্রা এখনো মনে পরে। তবে আপনি যে সেন্টমার্টিন দেখেছেন তা এখন নেই। জেটির কাছটা তো একেবারে বাজার বানিয়ে ফেলেছে। একেবারে দক্ষিণ দিকের এলাকাটা ভাল লেগেছে।

আপনার রাত্রিযাপন, রূপচাঁদা ভক্ষণ, চাঁদের আলোয় সৈকতে হেঁটে বেড়ানো'র গল্পে লোভার্ত এবং হিংসিত ;)

পোস্টে +++ এখনই পরের পর্ব পড়তে মন চাচ্ছে। :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

প্রামানিক বলেছেন: আপনি আমার মত নগন্যের লেখা পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। পরের পর্ব দেয়া আছে। শুভেচ্ছা রইল।

২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আহা আগে ভাবতাম লুকটা খালি কবিতাই লিখে এখন জানলাম ভ্রমণপিয়াসীও বটে। এতো আগে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নাই, ২০০৯ এ প্রথম গিয়েছি, তারপর আরো একবার গিয়েছিলাম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: আহা আগে ভাবতাম লুকটা খালি কবিতাই লিখে এখন জানলাম ভ্রমণপিয়াসীও বটে।
ভ্রমণের নেশাটা ভালই ছিল একটা সড়ক দুর্ঘটনায় সব ভিতরে গেছে। ধন্যবাদ কামাল ভাই।

২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ঘটনা কি বড় ভাই? আমিতো আপনার লেখা নিয়মিতই পড়ি। কিন্তু এই সিরিজের দুটো মন্তব্যের প্রতিত্তরে এমন করে উত্তর দিলেন, আমি একটু অবাক হলাম। ভাই আমার দ্বারা কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

প্রামানিক বলেছেন: এই তো ভাই ভুল বুঝলেন, আমার চেয়ে কত বড় বড় লেখক এই ব্লগে আছে তাদের তুলনায় আমি তো কিছু না। নিজেকে নিজে যদি বড় মনে করি সেটা তো ভাই অহঙ্কার করা হবে। অহঙ্কার পতনের মুল। আপনারা আমার লেখা পড়েন দেখেই তো আমি উৎসাহ পাই। নইলে তো আমার লেখালেখি কবেই বন্ধ হয়ে যেত। ভুল বুঝবেন না ভাই, নিজেকে নগন্য ভাবা আমার ছোট কালের অভ্যাস। শুধু আপনার মন্তব্যেই নয় অনেকের মন্তব্যেই আমি নগন্য কথাটা লিখে থাকি। আপনি ভাই ভুল বুঝবেন না, ভুল বুঝলে কিন্তু আপনার বাসায় গিয়ে হাজির হবো, তখন বুঝবেন- - -।

২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

রানা আমান বলেছেন: সেন্টমার্টিন প্রথম গিয়েছিলুম২০০৩ এ , আপনার মতই নৌকায় করে ই টেকনাফ থেকে গিয়েছিলুম । কচছপ সংরক্ষন কেন্দে্র একেবারে লাগোয়া সদ্যতৈরী হোটেল / রির্সোট সীমানা পেরিয়ে তে উঠেছিলুম আমরা চার বন্ধু । মজার বিষয় ছিল আমরা চারজন ই ছিলুম সেই রির্সোটের প্রথম গেস্ট । রির্সোটের ডাইনিং চালু হয়নি তখনো অতএব আহার নিজ উদযোগে তারপরও আনন্দের কমতি ছিলোনা । সারাদিন হৈ হুল্লোড় আর রাতে রির্সোটের বারান্দায় বসে আডডা আর রির্সোটের সত্বাধিকারী আর্কিটেকট স্বপন ভাইএর অসাধারন সুরেলা গলায় গান "ও রে নীল দরিয়া " আর তার সাথে আমাদের হেঁড়ে গলায় সুর লাগানোর অপপ্রয়াস । খুব আনন্দ করেছিলুম সেবার । তারপর থেকে যতবার ই যাই সেন্টমার্টিন এ , সীমানা পেরিয়ে তেই উঠি আর প্রথম গেস্ট হিসেবে একটু বিশেষ আপ্যায়ন তো আছেই ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রানা আমান। আপনার ভ্রমণের আনন্দ শুনে আমার আবার যেতে ইচ্ছে করছে। সময় সুযোগ পেলে আমি আবার যাবো। তবে আমি যখন গিয়েছিলাম তখন রিসোর্ট ছিল না।

২৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

অগ্নি সারথি বলেছেন: চলুক। আমিও আছি, নেশা লেগে গেল প্রামানিক।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অগ্নি সারথি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.