নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
( সপ্তম বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষে প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো গল্প।)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
রাত দু’টার সময় পত্রিকার কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার জন্য গেটের কাছে দাঁড়িয়ে আছি। রাতে সাংবাদিক কর্মচারীদের বাসায় পৌঁছানোর জন্য অফিস থেকে দু’টি স্কুটার ভাড়া করা আছে। একটি স্কুটার দু’জন সাংবাদিক নিয়ে মীরপুর চলে গেছে। আরেকটি অচল হয়ে বসে আছে। সবাই চলে গেছে। শুধু আমি এবং কম্পিউটার অপারেটর সামছু যেতে পারিনি।
এক পর্যায়ে সামছু বলল, মানিক ভাই, গাড়ির জন্য বইয়া থাকলে রাত পার হইয়া যাইবো। তার থাইকা চলেন হাইটা যাই।
আমি যাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হলেও সামছুর কথায় রাজী না হয়ে কিছুটা ভীতিভাব নিয়ে বললাম, এতো রাতে হেঁটে যাওয়া ঠিক হবে না। রাস্তায় নানা ধরনের বিপদ-আপদ হতে পারে!
সামছু আমাকে অভয় দিয়ে বলল, আরে মানিক ভাই, ডরান ক্যা? বারো বছর হইলো পত্রিকায় চাকরী করি। এরকম গাড়ীর সমস্যা হইলে মাঝে মাঝে হাইটাই যাই। কোনো দিন কোনো সমস্যায় পড়ি নাই। আর সমস্যা হইবো ক্যান? রাইত কইরা ঢাকা শহরের রাস্তায় থাকেই তো তিন “প”।
আমি সামছুর তিন “প” শব্দ শুনে কিছুটা আশ্চার্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তিন “প” মানে?
সামছু একটা হাসি দিয়ে বলল, আরে মানিক ভাই, পত্রিকায় চাকরী করেন অথচ তিন “প”-এর মানে জানেন না?
আমি জবাব দিলাম, না।
সামছু আমার না শব্দ শুনে বিজ্ঞের মত হাসি দিয়ে বলল, তিন “প”-এর অর্থ হলো-- ঢাকা শহরে রাত বারোটার পরে তিন পেশার লোক রাস্তায় ঘুরাফিরা করে। এই তিন পেশার লোকের তিন ধরণের শব্দ আছে এবং প্রত্যেকটা শব্দের প্রথমে “প” আছে।
আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, যেমন--?
সামছু হাসি হাসি ভাব নিয়ে বলল, যেমন-- পত্রিকা, পুলিশ আর পতিতা। এই তিন পেশার লোক ছাড়া অন্য কোন লোক খুব একটা থাকে না। এই জন্য তিন “প” কইলেই বুঝা যায় এরা কারা?
আমি সামছুর মুখে তিন “প”-এর ব্যাখা শুনে হেসে বললাম, আপনি সুন্দর একটা ব্যাখা দিলেন তো সামছু ভাই। আমিও তো এই বিষয়টি নিয়ে কখনো চিন্তা করিনি।
পত্রিকা অফিসের গেটেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। সামছু হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, চলেন এবার, হুদাহুদি বইসা থাইকা লাভ নাই। গাড়ি যদি কোন কারণে না আইসে, তাইলে সারা রাইত বইয়া থাইকা সকাল বেলা আমাগো হেই হাইটাই বাসায় যাইতে হইবো।
সামছুর কথায় আমিও তাই ভাবছিলাম। বসে না থেকে হেঁটেই বাসায় চলে যাব। ইতোমধ্যেই পত্রিকা ছাপা শুরু হয়েছে। সামছু সেদিকে খেয়াল করে বলল, মানিক ভাই, একটু দাঁড়ান। পত্রিকা যখন ছাপা শুরু হইছে, তখন দুইখান পত্রিকা নিয়া আইসি। বলেই সে প্রেসে চলে গেল। একটু পরেই ছাপাখানা থেকে দু’টি পত্রিকা এনে একটি আমার হাতে দিল আরেকটি নিজে নিল। সামছু তার পত্রিকাটি ভাঁজ করে বগল তলে নিয়ে বলল, এবার চলেন। রাইত বিরাইতে চলাচলের সময় পত্রিকা কাছে থাকলে পুলিশ খুব একটা ঝামেলা করে না।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, পত্রিকা হাতে থাকলে পুলিশ কি করে বুঝবে আমরা পত্রিকার লোক?
সামছু লম্বা সুরে বলল, আরে-- যেহেতু আমরা পতিতা না, আবার পুলিশের পোষাকও গায়ে নাই, হাতে ছাপা খানার নতুন পত্রিকা, মনে ভয় ডর নাই, ডাটেফাটে হাঁটার ভাব দেইখা পুলিশ বুইঝা ফালায় এরা পত্রিকার লোক।
সামছুর এসব ব্যাখা শুনে আশ্বস্ত হয়ে বললাম, তাহলে চলেন?
দুই জন একসাথেই রওনা হলাম। সেগুন বাগিচা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় উঠে পূর্ব দিকে হাঁটতে শুরু করেছি। বিএমএ ভবনের পূর্ব পার্শ্বে যেতেই গলির ভিতর থেকে মহিলা কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ কানে এলো। গলির কাছাকাছি যেতেই দেখি এক মহিলা গলির মুখে দাঁড়িয়ে বাম হাত দিয়ে ডান হাত ডলছে আর শব্দ করে কাঁদছে।
মহিলার কাছাকাছি এসে সামছু হাবা গোবার ভাব নিয়ে মহিলাকে জিজ্ঞেস করল, কি গো বইন? এতো রাইতে গলির মুখে বইসা কানতাছেন ক্যা?
সামছুর কথা শুনে মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলল, ভাই গো, হারা রাইত কষ্ট কইরা বিশটা ট্যাকা কামাই করছিলাম। মরার পুলিশ তাও জোর কইরা নিয়া গেল। দেইনা দেইহা রুলের বাড়ি দিয়া ডান হাতটা ভাইঙা দিয়া গ্যাছে। এহন আমি কাইলকা খামু কি? পোলাডার জ্বর, হেরে খাওয়ামু কি? বলেই সে হাত ডলতে ডলতে হুঁ হুঁ করে কাঁদতে লাগল।
সামছু এগিয়ে গিয়ে আরো কি যেন বলতে যাচ্ছিল। আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম, এই সামছু ভাই, আসেন তো, রাত করে ওদের সাথে কথা বলতে আছে? রাস্তার লোকজন দেখলে কি ভাববে?
সামছু কোনো কথা না বলে আমার সাথে চলে এলো। হাঁটতে হাঁটতে বলল, মানিক ভাই, বেটিরে পুলিশ কড়া মাইর দিছে। দেখছেন না? হাতটা কেমন ফুইলা গ্যাছে?
আমি সামছুর কথায় তাচ্ছিল্য ভাব এনে বললাম, মাইর দিয়েছে না ভাল করেছে। পাঁজিরা রাত করে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে কেন? ওদের কারণে ঢাকা শহরের পরিবেশ নষ্ট। ওদেরকে আরো মার দেয়া দরকার। হাত পা ভেঙে গুড়া করে দেয়া দরকার।
সামছু মনে হয় আমার কথায় খুশি হতে পারল না, আবার সরাসরি বিরোধীতাও করল না। অনিচ্ছা সত্বেও আমার কথার সাথে তাল মিলিয়ে সম্মতিমূলক ভাব নিয়ে বলল, কথা ঠিকই কইছেন মানিক ভাই, এহন রাস্তা-ঘাটে এসব পাঁজির দল বাইরা গ্যাছে, পোলাপানের চরিত্র নষ্ট কইরা ফালাইতেছে, সরকারের উচিৎ এইগুলারে নিয়ন্ত্রন করা।
আমি আর এ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললাম না। সমছুও আর এ প্রসঙ্গ নিয়ে কোন কথা বলল না। অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে বলতে একসময় যে যার বাসায় চলে গেলাম।
পত্রিকায় সীফটিং ডিউটির কারণে পরদিন দুপুরে ডিউটি ছিল। সকাল দশটার দিকে সামছু আমার বাসায় এসে হাজির। আমি তখন অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছি। সামছু আসায় তাড়াতাড়ি কাপড় পরে একসাথেই বের হলাম।
আরামবাগের ভিতর দিয়ে মতিঝিলের দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে, ঐ রাস্তা দিয়ে বের হয়ে বিসিআইসি বিল্ডিংয়ের কোনায় আসতেই দেখি রাতের সেই মহিলা। ড্রেনের কিনারে বসে ছেঁড়া ত্যানা দিয়ে জড়িয়ে ধরে ছোট্ট একটি বাচ্চার মাথায় পানি ঢালছে। বাচ্চাটি অত্যান্ত রুগ্ন। পাঁজড়ের হাড় গোনা যায়। চোখ দু'টো গর্তের মধ্যে। মাথার রগ জেগে আছে। বাচ্চাটি মাঝে মাঝে কেঁদে উঠছে। কিন্তু শরীরে শক্তি না থাকায় তার চিৎকার করা কান্না মিনমিনে আওয়াজ হয়ে অল্প দূরেই মিলিয়ে যাচ্ছে। মহিলার ডান হাতটি তখনও ফুলে আছে। বাচ্চাটির কান্নায় মহিলাটি চোখের পানি ছেড়ে কেঁদে কেঁদে বলছে, বাজানরে-- তুই যে কান্দোস, আমি এহন তরে কি খাইবার দিমু। রাইতে বিশটা ট্যাকা কামাই করছিলাম, মরার পুলিশে মাইরা-ধইরা নিয়া গেল। বাজানরে-- তুই যেমন খিদায় কান্দোস, আমারো তো খিদা লাগছে। তুই তাও কাইন্দা কাইন্দা মায়ের কাছে কইবার পারতাছোস। আমি আমার খিদার কথা কার কাছে কমু রে বাজান?
কথা শুনে সামছু এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, এই বেটি কি হইছে?
মহিলা চোখের পানি ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল, ভাইরে-- পোলার জ্বর, তারোপর খাওন নাই। পোলায় খিদার জ্বালায় কানতেছে।
সামছু আস্তে আস্তে বলল, পোলারে জ্বরের ওষুধ খাওয়ায় নাই?
মহিলা অসহায়ত্ব ভাবে বলল, পেটের ভাত জোটেনা ওষুধ কিনমু কি দিয়া?
সামছু আমার কাছে এসে বলল, মানিক ভাই, আমার কাছে ভাংতি নাই, আপনার কাছে দুইডা ট্যাকা আছে?
আমি বললাম, কেন, টাকা দিয়ে কি হবে?
সামছু বলল, ঐ বেডিরে দিয়া যাই। বেডির পোলা খিদার চোটে কানতেছে।
রাস্তায় তখন অনেক লোক যাতায়াত করছে। সবাই সামছুর দিকে কেমন নোংড়া ক্রুর দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। একজন কিছুটা স্পষ্ট করে বলেই ফেলল, আইজ কাইল মানুষের লাজলজ্জা উঠে গেছে। দিনে দুপুরে পতিতার সাথে ভাব করছে।
কথাটা আমার কানে আসতেই নিজেকে কেমন লজ্জিত মনে হলো। আমি সামছুকে টাকা না দিয়ে ধমক দিয়ে বললাম, এই সামছু ভাই, রাখেন তো আপনার টাকা। আপনি যে মহিলার সাথে কথা বলতেছেন, রাস্তার লোকেরা কি মনে করছে? সবাই আজেবাজে কথা বলছে। আপনার সাথে চলতে গিয়ে মানসম্মান নিয়ে টানাটানি লাগে। আপনার আসলে আক্কেল-পছন্দ কিছুই নেই। চলেন, এখানে আর একমুহুর্তও থাকা যাবে না।
আমার রোষান্বিত কথাবার্তা শুনে সামছু নিচমুখে মাথা দিয়ে পিছনে পিছনে চলে এলো। আর কোন কথা বলল না।
বিকাল বেলা অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরছি। সাথে সামছু আছে। বিসিআইসি ভবনের কাছে আসতেই কান্নার আওয়াজ কানে এলো। এগিয়ে গিয়ে দেখি সেই মহিলা বুক চাপড়িয়ে কাঁদছে। সামনে ত্যানা দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে বাচ্চাটাকে রাস্তার এক পার্শ্বে শোয়ায়ে রেখেছে। ছিন্নমুল দু’তিনজন লোক পথচারীর কাছে বাচ্চার কাফনের জন্য টাকা চাচ্ছে। কিছু লোকজন জড়ো হয়েছে। শোয়ায়ে রাখা বাচ্চাটার চার পার্শ্বে অনেকে টাকা ছুঁড়ে দিচ্ছে। পাঁচ টাকা, দশ টাকা, দুই টাকা, এক টাকা অনেকগুলো পড়েছে। আমিও পকেট থেকে দশ টাকা বের করে দিতে যাব, এমন সময় সামছু আমার হাত খপ্ করে চেপে ধরে টাকাটা নিয়ে নিল। আমি কিছুটা উগ্রভাব প্রকাশ করে বললাম, সামছু ভাই-- টাকাটা বাচ্চাটার কাফনের জন্য দিব। আপনি নিলেন কেন?
সামছু একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, মানিক ভাই- এহন ট্যাকা দিলে লাভটা হইবো কি?
আমি বললাম, কেন?
সামছু বলল, মরা মাইনষেরে ট্যাকা দিয়া কি ফল পাইবেন?
আমি বললাম, কেন? এ লাশের কাফন-দাফন করা দরকার না? আমরা টাকা না দিলে ও বেটি কই পাবে? এ লাশ নিয়ে সে কোথায় যাবে? তাছাড়া লাশ মাটির উপর যত থাকবে তত তার আত্মা কষ্ট পাচ্ছে না?
সামছু আমার কথায় কিছুটা অবজ্ঞা সুরেই বলে উঠল, আহারে মানিক ভাই, লাশের আত্মা কষ্ট পাইতেছে হের লাইগা তাড়াতাড়ি দশ ট্যাকা বাইর কইরা দিলেন। ঐ লাশটা যহন জীবিত আছিল, তহন এর চায়াও বেশি কষ্ট পাইছে, তহন তো তারে কিছু দিলেন না?
সামছুর এ প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে গেলাম। শিশুটি বেঁচে থকতে নিজে তো কিছু দেইনি উপরন্তু সামছুকেও দিতে দেইনি। লোক লজ্জার ভয়ে কি নিষ্ঠুরের মত কাজটাই না করেছি। সামছুর প্রশ্নের কি উত্তর দিব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আহাম্মকের মত বললাম, তাহলে কি দশ টাকা দিব না?
সামছু বলল, দ্যান, দিতে আমি না করি না। তবে আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন-- আপনি অনেক বই পুস্তক পড়েন, জ্ঞান-গরীমা মান-সম্মান সবই আমার থাইকা অনেক বেশি।
আমি বললাম, প্রশ্নটা কি?
সামছু আমার হাতে টাকা দশটি ফেরত দিয়ে বলল, ঐ যে মহিলা বাচ্চার লাশ সামনে নিয়া কানতেছে আর কি সব কইতেছে। হেই বেডির কান্দোনের মাঝে ঐ কথাগুলার অর্থডা কি? হেই অর্থডা আমারে বুঝাইয়া দিয়া ট্যাকা দশটা লাশের কাফনের জন্য দিয়া চলেন যাই।
সামছুর কথায় মহিলার কান্নার পাশাপাশি তার বিলাপগুলো ভাল করে খেয়াল করলাম। মহিলা কাঁদছে আর বলছে, বাজানরে-- তর লাইগা একুল ওকুল দুইকুলই খাইলাম। তুইও চইলা গেলি। আমার লাভটা হইল কি? আমি কার জন্যে করলাম রে বাজা--ন? আমি এহন কারে ধইরা থাকমুরে বা-জা--ন? আমারে কোন কুলে রাইখা গেলিরে বা--প?
সামছুর একটা প্রশ্নে মহিলার বিলাপের মাঝে তার জীবনের এমন কিছু কঠিন তত্ব খুঁজে পেলাম, যা এর আগে কখনো চিন্তা করিনি। বুঝতে পেলাম, মাতৃত্বের টানে নিজের সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে, জীবনের সমস্ত সত্বাকে পাপ পথে বিলীন করে দিয়েছে। তারপরেও শেষ রক্ষাটি করতে পারেনি। আমরা তার মাতৃত্বকে মূল্যায়ন না করে পাপের মূল্যায়ন করে লোক লজ্জার ভয়ে দূরে সরে থেকেছি। সামছুর প্রশ্নের উত্তর যখন খুঁজে পেলাম তখন নিজের কাছে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হলো। নিজে তো কোন সহযোগীতা করিনি বরঞ্চ সামছুকেউ করতে দেইনি। সামছুর প্রশ্নের অনেক উত্তর ছিল, সব বাদ দিয়ে সামছুর মুখের দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে বললাম, সামছু ভাই-- বুঝতে পেরেছি, টাকা গত রাতেই মহিলার হাতে দেয়া উচিৎ ছিল।
একথা বলার পরে সামছু বলল, ভাই, হেই তো বুঝলেন, নিস্পাপ বাচ্চাটা মরার পরে। আমাকে কথাগুলো বলে সেও পকেট থেকে দশ টাকা বের করে আমার হাতে দিয়ে বলল, যান, এবার বিশটা ট্যাকা লাশের পাশে রাইখা আসেন।
আমি দাঁড়ানো অবস্থায় নিচু হয়ে হাত বাড়িয়ে টাকা বিশটা লাশের পাশে রেখে দিলে, মহিলা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কাঁদাতে কাঁদতে বলল, ভাইরে-- হেই তো দিলেন, পোলাডা বাইচা থাকতে দিলেন না। আমি মরার আগে পোলাডার মুখে এক ফোঁটা খাইবার দিবার পারলাম না।
মহিলার কথা শুনে মনে হলো অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। সামনে শোয়ানো লাশের জন্য দায়ী আমি এবং আমার মত ভদ্রবেশী লোকজন। এ অপরাধের জবাব নেই। শারীরিক শাস্তি না হলেও বিবেকের তাড়নায় মানসিক শাস্তি শুরু হয়ে গেল। মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল। মাথা টলে পড়ে যাওয়ার অবস্থা। কাঁপতে কাঁপতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সামছুকে বললাম, সামছু ভাই চলেন।
সামছু কোন কথা না বলে আমার সাথে সাথে চলে এলো। দু’জনে নিরবে নিঃশব্দে হাঁটতে লাগলাম। নিশি রাতে মহিলার আর্তনাদ, পুলিশের অমানবিকতা, পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি, বাচ্চাটির মৃত্যু সবকিছু মিলে মহিলার দুঃসহ পরিণতির কথা বারবার মনে পড়ছিল। হাঁটতে গিয়ে পাগুলো ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসছিল। বাসার কাছে এসে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি সামছু নেই, কখন সে পিছন থেকে চলে গেছে বুঝতেই পারিনি। সামছুর এভাবে চলে যাওয়ায় নিজের কাছে নিজেকে আরো অপরাধী মনে হলো। গেটের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বাসায় চলে এলাম।
০০০ সমাপ্ত ০০০
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল ভাই। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্যই আমার লেখার প্রেরণা। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভ্চেছা।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: বাজানরে-- তর লাইগা একুল ওকুল দুইকুলই খাইলাম। তুইও চইলা গেলি। আমার লাভটা হইল কি? আমি কার জন্যে করলাম রে বাজা--ন? আমি এহন কারে ধইরা থাকমুরে বা-জা--ন? আমারে কোন কুলে রাইখা গেলিরে বা--প?
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রানার ব্লগ। আপনার প্রতি রইল আমার অনেক অনেক শুভ্চেছা।
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
খুব ভাল হইছে গল্পটা। হৃদয়স্পর্শী।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কান্ডারি অথর্ব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মনটা খারাপ হয়ে গেল সকাল বেলা।
তবে আপনার লেখাটা অসাধারণ ও হৃদয়স্পর্শী।
কেমন আছেন প্রামানিক ভাই।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "বুঝতে পেলাম, মাতৃত্বের টানে নিজের সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে, জীবনের সমস্ত সত্বাকে পাপ পথে বিলীন করে দিয়েছে। তারপরেও শেষ রক্ষাটি করতে পারেনি।" অাহারে! খুব কষ্ট লাগলো ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রূপক বিধৌত সাধু। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য আন্তরিক শুভ্চেছা রইল।
৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: দঃখিত প্রামানিক ভাই, পুরোটা পড়ে ওঠার দুঃসাহস দেখাতে পারলাম না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অগ্নি সারথি। আপনি আমার বাড়িতে এসেছেন এতেই আমি খুশি হয়েছি। শুভেচ্ছা রইল।
৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: এই গুণটার কথা অজানা ছিলো
ছড়া, কবিতা, স্মৃতিচারণ !!
বাদ পড়ে ছিলো গল্প!!
এবার তাও হলো।
একাধারে বহু গুণ!!
ধন্যবাদ অলরাউণ্ডার
প্রামানিক ভাই!!
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই। আপনার প্রত্যেকটা মন্তব্যই আমাকে উৎসাহ প্রদান করেছে এখানেও ব্যতিক্রম নেই। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভ্চেছা।
৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
জুন বলেছেন: চোখে পানি চলে আসলো প্রামানিক ভাই । আমরা সবাই এমনই মনে হয় । প্রয়োজনের সময় কাউকে সাহায্য করি না ।
+
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
অমিত অমি বলেছেন: অসম্ভব ভালো লেগেছে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অমিত আমি। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
আজিজার বলেছেন: প্রামানিক ভাই অামি ঠিক বুঝলাম না অাপনার জীবনের বাস্তব গল্প নাকি গল্পের জন্য গল্প। একে বারে বাস্তব সমাজের ছবি ফুটিয়ে তুলেছন। ছড়াকারও যে এরকম গল্প লিখতে পারে জানা ছিল না।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আজিজার ভাই। আপনাদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণাই আমার লেখার পাথেয়। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
গুরুর শিষ্য বলেছেন: যে সমাজ তাদের সুন্দর জীবনের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে না সে সমাজের তাদের ঘৃণা করারও অধিকার নেই...আমিও ওই ৩ ‘প’ এর মধ্যে পড়ি...রাতে ওদের চোখের দিকে তাকালে মনে হয় যেনো- করুণা ভিক্ষা করছে...পরিস্থিতির নির্মমতা তাদের এ পথে নামিয়েছে...ঘৃণা তাদের করা উচিত যারা শখের বসে...চাকরি ও জীবনে প্রমোশনের আশায় এসব করে...তাড়নায় তাড়িত হয়...এরা কি কোনদিন সুন্দর জীবন পাবে না...অনেক কবি/সাহিত্যিকও এদের খদ্দের ছিলো...তাদের নিতান্তই কামার্ত আর নোংরা মনে হয়...শীর্ষেন্দুর ‘মানবজমিন’এর মেজদার বউয়ের পরকীয়া আর তার পতিতালয়ে গমন...এগুলোও উঠে এসেছে সাহিত্যে...
ওই নারীরা সবসময় কামার্ত পুরুষই পেয়েছেন...কামনা মেটাতে অনেক ‘নামী’ পুরুষও তাদের কাছে গেছেন...তাদের জীবন সমস্যার সমাধান কেউ দেয়নি...পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করাই উত্তম...
চোখের কোণটা ভিজিয়ে দিলেন প্রামানিক ভাই...
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। কেউ বেঁচে থাকার জন্য পতিতা হয় আর কেউ নিজে অর্থ বিত্তে উঁচু হওয়ার জন্য পতিতা হয়। এর মধ্যে প্রকৃত পাপী কে এই বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেক অপ্রিয় কথা উঠে আসে।
মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
দীপান্বিতা বলেছেন: +++
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বো দীপান্বিতা। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: করুণ,মর্মস্পর্শী গল্প।
//সামছুর এ প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে গেলাম। শিশুটি বেঁচে থকতে নিজে তো কিছু দেইনি উপরন্তু সামছুকেও দিতে দেইনি। লোক লজ্জার ভয়ে কি নিষ্ঠুরের মত কাজটাই না করেছি। সামছুর প্রশ্নের কি উত্তর দিব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আহাম্মকের মত বললাম, তাহলে কি দশ টাকা দিব না?// --- সামছুর এ প্রশ্ন বোধ করি পুরো সমাজ ব্যবস্থার প্রতি।
ধন্যবাদ ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প| এগল্প নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়| কিন্তু কথা বাড়াতে ইচ্ছে করছে না|
শেষের দিকে বিশ্লেষণ করেছেন, এটার দরকার ছিল না| কারণ ছোটগল্প পাঠককে ভাবায়, ভাববার অবকাশ দিতে হবে| সবই যদি লেখক বলে দেন তবে এ দিকটা ছোটগল্পের খর্ব হয়| তবে আপনার এই মানবিক গল্পটা আসলেই অনেককে ভাবাবে|
ছড়া, ভ্রমণ ব্লগ, স্মৃতিকথা আর গল্পে প্রমানিকের ভ্রমণ দূর্বার হোক
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আরণ্যক রাখাল। আপনার সুচিন্তিত মতামত পড়ে ভাল লাগল। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য এবং সহযোগীতা আমার লেখালেখির প্রেরণা। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভ্চেছা।
১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মানব জীবন , আহা----- কতই না বিচিত্র।
একজন মা তার সন্তানের মুখে এক ফোঁটা খাবার তুলে দেবার জন্য নিজের সর্বস্ব খুইয়েছেন।
তবুও শেষ রক্ষা হলো না!!!
কষ্টের সাথে শুভেচ্ছা রেখে গেলাম!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুন্নাহার আপা। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আহারে মানিক ভাই, লাশের আত্মা কষ্ট পাইতেছে হের লাইগা তাড়াতাড়ি দশ ট্যাকা বাইর কইরা দিলেন। ঐ লাশটা যহন জীবিত আছিল, তহন এর চায়াও বেশি কষ্ট পাইছে, তহন তো তারে কিছু দিলেন না? আমরা বর্তমান যুগের মানুষরাই এমন।। হালছাড়া স্বার্থপর।। শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যাস্ত!! অবাক হবার কিছুই নেই,তাই না।।
সেই পরিনতির কথাই ভাইরে-- হেই তো দিলেন, পোলাডা বাইচা থাকতে দিলেন না। ।। আমরা মৃতকে কোরামিন দেই,বেচে থাকতে সাহয্য করি না।।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৩
প্রামানিক বলেছেন: আমরা মৃতকে কোরামিন দেই,বেচে থাকতে সাহয্য করি না।।
ঠিক কথাই বলেছেন ভাই। শুভ্চেছা রইল।
১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৯
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: অতি নির্মম বাস্তবতা তুলে অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন৷ পাপকে ঘৃণা করা উচিত পাপীকে নয়৷ একজন মানুষ কোন পরিস্থিতিতে পাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে বা বাধ্য হচ্ছে সেটা বিবেচনা করা অতি জরুরী৷ কিন্তু আমরা এই বিষয়টাকে অতি যত্নের সাথে এড়িয়ে যাই৷
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই প্রবাসী ভাবুক। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বপ্নের সোনার বাংলাকে মারাঠারা মগের মুল্লুক বানায়েছে।
++
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। আপনি ঠিকই বলেছেন। শুভ্চেছা রইল।
১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
নেক্সাস বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে গল্পে। প্রামাণিক ভাই দেখি সব জায়গায় পারফেক্ট
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নেক্সাস। আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহ পেলাম। শুভ্চেছা রইল।
২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২
হাসান বিন নজরুল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন প্রামাণিক ভাই
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান বিন নজরুল। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২
এ এস রিপন বলেছেন: আপনার লেখাটা হৃদয় স্পর্শ করল। বর্ণনাও সুন্দর। তবে মানবিক বিষয় ব্যাখ্যা করতে নেই। তা পাঠক এমনিতেই বোঝে।
সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এ এস রিপন। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভ্চেছা রইল।
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: আমার খুব হাসি পায় যখন অন্যের দোষ গুলো কত সহজেই না মানুষ বলে বেড়ায়। মা যদি বাজে চরিত্রেরও হয় তবু সে মা। যে পুরুষগুলো রাতের আঁধারে বাজে জায়গায় যায় তাদের তো কেউ ঘৃনা করে না। সমাজ বদলাতে হবে। মানুষকে বদলাতে হবে। আর এই বদলানোর কাজটা করবেন আপনার মত লেখকগন। সালাম আপনাকে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মাহমুদা আক্তার সুমা। আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: গৌরবের দাবি রাখে
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেবজ্যোতিকাজল। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
মোঃ জুনায়েদ খান বলেছেন: অনেকদিন পর একটা চমৎকার গল্প পড়লাম। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই এমন একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জুনায়েদ। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
লিও কোড়াইয়া বলেছেন: প্রিয় প্রমানিক ভাই, বরাবরের মতন আপনার জন্য আমার চার লাইন!
রাস্তার পতিতা সস্তা
তাই দেখে নাক সিঁটকাই;
দামি পতিতা দেখতে
সিনেমায় ভিড় জমাই!
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ছন্দ উপহার দেয়ার জন্য আন্তরিক শুভ্চেছা রইল।
২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
মানবী বলেছেন: জানা নেই বাস্তবে সত্যিই কোন সন্তানকোলে আর্তনাদরত মাকে "পাছে লোকে কিছু বলে"র ভয়ে এড়িয়ে যাবে, এমনকি দিনের আলোয়। যদি তাই হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির মাঝে অবশ্যই অসততা আছে। একজন বারবণিতা যা করছে তা যেমন পরত্যাজ্য, একজন হতদরিদ্র মায়ের সন্তানের জন্য আহাজারি উপেক্ষা করাটা্ তারচেয়েও বেশি নিন্দনীয় মনে হয়।
মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পের জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী। বারবণিতাদের দেখলেই ভদ্র পোষাক ধারী পুরুষ মহিলা সবাই নাক সিটকায়। কিন্তু ওদের আড়ালে যে কত দুঃখ বেদনা থাকে এটা কেউ দেখতে চায় না। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য শুভ্চেছা রইল।
২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্পটা , মর্মস্পর্শী।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বো রেজওয়ানা আলী তনিমা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০
মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: হৃয়্দয়ের কোনা থেকে কয়েক ফোটা লাল ঝরে পড়ল , ছুয়ে দেখলাম কি অগুলা , রক্তের মতো হচ্ছে , কিন্তু লঙ্কার পানির মতো এমন তীব্রতায় চিক চিক করে জ্বলছে কেন ?????????????????
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
প্রামানিক বলেছেন: দরুণ মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
ক্রাশখোর বলেছেন: পুরোটা পড়লাম......
সুন্দর লিখছেন ভাই
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ক্রাশখোর। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। নিয়মিত গল্প চাই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। আজকেও একটি পোষ্ট করেছি। গল্পের নাম "সিঁধেল চোর"।
৩১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: সত্যিই অনেক সুন্দর হয়ছে প্রমানিক ভাই।হৃদয় ছুয়ে গেল।আপনার কাছে নিয়মিত গল্প চাই ছড়ার পাশাপাশি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ঈশান আহম্মেদ। আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো। শুভ্চেছা রইল।
৩২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সুমন কর বলেছেন: গল্পের সামছু চরিত্রটি বেশ লাগল।
হৃদয়স্পর্শী গল্প। মুগ্ধ।
+।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৩৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আপনি যে ছড়ার বাইরে গিয়ে গল্প লিখবেন - সেটা ভাবিনি কখনোই। পড়লাম। আলাদা একটা ফিল গল্পটায়। দুঃখের গল্পটা।
কয়েকটা বানানে ভুল ছাড়া কোন কিছুতেই সমস্যা নেই।
চমৎকার লিখছেন ভাই। +
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রক্তিম দিগন্ত। আপনার উপদেশ এবং উৎসাহমূলক মন্তব্য আমার লেখার প্রেরণা হয়ে থাকল। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫
রুহুল গনি জ্যোতি বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন প্রামানিক ভাই। চালিয়ে যান।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ জ্যোতি ভাই। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
৩৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র চমৎকার ভাবে উঠে এসেছে গল্পে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অভ্রনীল হৃদয়। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৩৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার বিশ্বাসই হতে চায় না যে মানুষ এতো ভালো লিখে কি ভাবে?
পড়লে মনে হয় এক দম বাস্তব চিত্র।
আপনার লেখা অনেক মন দিয়ে পড়লাম।
আরো ভালো লেখা চাই।
পোস্টে A++
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। আপনার মন্তব্য পড়ে উজ্জীবিত হলাম। আপনার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভ্চেছা।
৩৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মানবিক আবেগের হৃদয়স্পর্শী গল্পে ভালোলাগা। আসলেই আমরা এমন, চাহিদার কারনেই তো যোগান হয়, যুগে যুগে এতো পতিতা সমাজে সৃষ্ট হয়েছে কেন? ঐ যে, সারা ঢাকা শহর ঘুরে মহিষের মাংস, কাঁচা বা রান্না করা, কোথাও খুঁজে পাবেন না; অথচ প্রতিরাতে মিরপুর রোড ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে মহিষ ঢাকা শহরে প্রবেশ করে। সেরকম সবাই পতিতাদের ঘৃণা করে, তাহলে এদের ভোগ করে কারা?
ধন্যবাদ ভাই, এমন বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে ভাল লাগল। ভদ্র সমাজের আড়ালে অনেক কিছুই হয় অথচ আমরা কেউ স্বীকার করি না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাই আপনি ছড়াকার এটা জানতাম
কিন্তু আপনি যে গল্প লিখেন জানতাম না।
অসাধারন লিখেছেন বিষয় বস্তু থেকে বর্ণণা
সবমিলে চমৎকার একটা গল্প।খুব ভাল লেগেছে।