নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেকালের শ্বশুর বাড়ি

১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩


(উৎসর্গঃ আহমেদ জী এস এবং আবুহেনা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম- এই দুই মুরুব্বীকে)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

এখন বুঝি শ্বশুরগুলো
আগের মত নাই
নতুন নতুন বিয়ে করেও
শান্তি পায় না তাই।

আগের দিনে আমরা যখন
শ্বশুর বাড়ি যেতাম
ঝাল তরকারী পিঠাপুলি
কত কি যে খেতাম!

সিরনী, ফিরনী, পায়েস সে তো
গামলা ভরে দিত
নাক ডুবিয়ে খাওয়ার পরও
ফেরৎ কি আর নিত!

শ্বাশুরীগুলো জামাই আদরে
হত্তা দিয়ে পড়তো
আম খাওয়াতে শ্বশুর মশাই
নিজেই গাছে চড়তো।

না না করলেও দুধের বাটি
ঢেলে দিত পাতে
মিস্টি মধুর আমগুলো সব
শ্বাশুরী ছিলতো হাতে।

বাড়ির বড় মোরগগুলো
জামাইর নামে রেখে
অনেক দিন ভর পাহারা দিত
জামাই আসবে দেখে।

হাজার অভাব থাকতো ঘরে
তারপরেও ঐ সব
জামাই ছাড়া খাওয়া হতো না
যতই হোক উৎসব।

জামাইর নামে মুরগীগুলো
শিয়াল যদি খেত
শ্বশুর-শ্বাশুরীর গালির চোটে
ওরাও লজ্জা পেত।

বড় বড় মাছ ভাজা আর
বিশাল বড় রান
বুড়ো মুরগীর মাংস খেতে
দিতাম কি যে টান!

মাঝে মাঝে খাসি খেতে
শ্বশুর বাড়ি যেতাম
হাড্ডি ছাড়া মাংসগুলো
সানকি ভরে পেতাম।

এত খাওয়ার পরও শ্বাশুরী
বলতো ঘরে ডেকে,
"কি খেলেন গো দামান বাপু
সবই দিলেন রেখে"?

খাওয়ার চোটে নাক তল তল
তাতেও আফসোস তার
এমন কথা শ্বাশুরী ছাড়া
কেউ কয় না আর।

নিজেই এখন মরার পথে
শ্বশুর-শ্বাশুরীও নাই
সে সব স্মৃতি পড়লে মনে
কান্না আসে তাই।

আছেন যারা তরুণ যুবক
শ্বশুর বাড়ি যাবেন
অনেক খেলেও মোদের মত
সেই মজা কি পাবে?

ছবিঃ গুগল

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমাদের দুঃখ তো বাড়াইয়া দিলেন, আগের দিন যে আর পাব না.

প্লেট শব্দটা কেটে বাংলা শব্দ দিলে সুন্দর দেখাবে

আমার একটি পোস্টে আপনাকে দাওয়াত দিলাম..
লিংক: Click This Link

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

২| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

ওমেরা বলেছেন: ভাগ্য ভাল ছেলে হয়নি । খাবার কেউ বেরে দিলে বা কাউকে বেরে দিতে দুটোই বিরক্তকর লাগে। তবে ছড়া খুবই টেষ্টি লাগছে ভাইয়া ।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: হুম ভাগ্য ভাল ছেলে হয়নি--- ছেলে হলে যে কি হতো--- সুন্দর রসালো মন্তব্য। ধন্যবাদ বোন ওমেরা।

৩| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শ্বশুর বাড়ির কথা ছাড়ি
নিজের কথা ভাবেন,
শ্বশুর এখন হবার সময়
সেটা মাথায় রাখেন।

খাইছেন যাহা শ্বশুর বাড়ি
নাক ডুবায়ে পাতে,
নিজের জামাই পাবে কি তা
যতই ওঠেন জাতে।

সময় গেছে, দিন ফুরাইছে
আগের মানুষ নাই,
ভালো লাগে দুই/এক দিনে
বিদায় হলে জামাই!

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রামানিক বলেছেন: আপনি আমি সবাই এখন
ঐ লাইনেই আছি
মেয়ের জামাই কবে আসবে
তাই তো নাচানাচি।

কিন্তু ভাইরে মোদের মত
সেই দিন তো নাই
এখন মোরা চামুচ দিয়ে
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাই।

কি পাবে আর কিইবা খাবে
চামুচ দিয়ে খেলে
এক বাটি ভাত সাত জনে খায়
কষ্ট লাগে দেলে।

৪| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: আপনার শশুর গং কি কেউই বেচে নেই । দেখেন না চাচা , খালা , শশুর শাশুরী আছে কিনা । ভালো মানুষের গোষ্ঠী তো বেশি দিন বাঁচে। নতুন সম্পর্কের আত্মীয়তা সাথে ভালো শশুর শাশুরী পাবো। এমন আপ্যায়ন কি আমাদের জুটবেনা । কি আবাগা সময়ে আসলাম রে ভাই। যাই হউক । সুন্দর শশুর কবিতা। ভালো লাগার +++++++++

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

প্রামানিক বলেছেন: নিজের শ্বশুর-শ্বাশুরীর অভাব চাচা শ্বশুর দিয়ে পুরণ হয় না রে ভাই, তারা খাওয়ায় হৃদয় থেকে আর চাচা শ্বশুর খাওয়ায় সম্মান রক্ষার্তে। আপনারা আমাদের চেয়েও অনেক দামী খাবার পাবেন কিন্তু অত পরিমাণে খেতে পারবেন না। ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য।

৫| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর, মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বরাবরের মত আজও ভাল লাগলো প্রামাণিক ভাই।

শুভ কামনা রইল।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরি দা, অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।

৭| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কবে যে শ্বশুর বাড়ি যাবো !:#P

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

প্রামানিক বলেছেন: এখানেও সমস্যা, যোগ্য না হয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলে অনেক সময় দাম কম পাওয়া যায়।

৮| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ কবিতা লিখছেন
ধন্যবাদ নিন গুরু
মোর মনের কথা বইলা দিছেন
নূর মোহাম্মদ নূরু। :P :P

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

প্রামানিক বলেছেন: নুরু ভাইয়ের কথা আমি
কি বলবো রে ভাই
অতীত কথা স্মরণ করে
চিন্তায় আছে তাই।

ধন্যবাদ লিটন ভাই, ছন্দ মন্তব্যর জন্য শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

জুন বলেছেন: দারুন মজার কবিতা প্রামানিক ভাই ।
বোঝা গেলো একসময় হিসাবের বেশী খেয়েছিলেন বলেই এখন কম কম খেতে হচ্ছে ;)

উৎসর্গ সঠিক হয়েছে :)
+

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

প্রামানিক বলেছেন: জুন আপা, আপনি তো আমার রোগটা ধরে ফেলেছেন। আসলেই আমি এখন খেতে পারি না। এক সময় একসের চালের ভাত আলু ভর্তা দিয়ে খেতে পারতাম এখন একছটাক চালের ভাত খেতেও কষ্ট হয়।

১০| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



হা.......হা..........হা.......... সহব্লগার জুন বলেছেন - উৎসর্গ সঠিক হয়েছে :)
আমি কি বলবো আর ? B-) :(( দেখি আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম কি বলেন ! 8-|
তবে সেদিন আর নাই । সহব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু ও বলেছেন - সময় গেছে, দিন ফুরাইছে / আগের মানুষ নাই,

জব্বর লেখা কিন্তু হঠাৎ শ্বশুরবাড়ীর কথা মনে পড়লো কেন ???????????????? :P B:-)

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: চিন্তা করে দেখলাম আমার যখন শ্বশুর-শ্বাশুরী নাই তখন আপনারা তো আমার চেয়েও বয়সে বেশি তাহলে তো আপনাদের আরো নাই। সেই সব ভেবেই এমন ছড়া লিখলাম। ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

১১| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার শ্বশুর-শ্বাশুরী বেঁচে থাকলে আমিও সাথে যেতাম, কিন্তু আফসোসের আর শেষ রইলোনা ভাই।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৩

প্রামানিক বলেছেন: আর কইয়েন না ভাই, শ্বাশুরী বাইচা থাকতে যা খাইছি হেইডা কইয়া বুঝান যাইবো না। হেনা ভাই কি বুড়া বয়সে শ্বশুর বাড়ি গেল নিহি। দেখতাছি না ক্যান?

১২| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মুরুব্বীদেরকে উৎসর্গ করলেন আমাদের বাদ দিয়া, আমার বুকটা ফাইট্টা গেল ভাই :((

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৫

প্রামানিক বলেছেন: আপনে তো এহনও শ্বশুর বাড়ির খাওন পাইতেছেন, হেরা তো পায় না হের লাইগা তাগো নামে উৎসর্গ করছি।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


একারণেই মানুষ ৪/৫ বিয়ে করতো?

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, বিয়ে করতো খাওয়ার জন্য নয় কিছু মানুষের স্বাভবের কারণে চার পাঁচটা বিয়ে করতো।

১৪| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বিয়ে করিনি, তাই সত্যতা জানি না। ইচ্ছা করছে এক্কুনি একটা শ্বশুর বাড়ি বানাই!!

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: আয় ইনকাম ভালো থাকলে আর দেরি করেন কেন? ধন্যবাদ ভাই।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এখন শ্বশুর এবং শ্বশুর বাড়িতে ডিজিটাল ছাপ পড়েছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:২৯

প্রামানিক বলেছেন: কথা মন্দ বলেন নাই, এখন ডিটালের যুগে হাত ডুবিয়ে খাওয়ার সিস্টেম নাই সব কাঁটা চামচ। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩৪

মাআইপা বলেছেন: খুব মজার ছড়া হয়েছে।
শুভকামনা রইল

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অনেক শুভেচছা রইল।

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৯

শহীদ আম্মার বলেছেন: দুই শ্রদ্ধেয় (জনাব প্রামনিক এবং জনাব নূর মোহাম্মদ নূরু) এর প্রতি কৃতজ্ঞতা। অতীতের স্মৃতিগুলো মজার ছড়ায় লিখার জন্য। আর দুই দাদার (আহমদ জী এস এবং আবু হেনা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম)জন্যও দোয়া রইল আল্লাহ যেন তাদের হায়াত বাড়িয়ে দেন।আমীন।

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

প্রামানিক বলেছেন: মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এখনকার শাশুড়ীরা সব মর্ডান।তারা নিজেরাও ডায়েট করে জামাইরেও ডায়েটে রাখে ;)
ছড়া মজার লেগেছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ কথা বলেছেন, এখনকার শ্বাশুরীরা নিজেও ডায়েট কন্ট্রোল করে জামাইকেও কন্ট্রোল করায়। ধন্যবাদ

১৯| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক মজার ছড়া। মজা করে লিখলেও সত্যটা উঠে এসেছে আমূল। হারানো দিনের প্রতিচ্ছবিগুলো যেন ফিরিয়ে আনলেন।

অনেক ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয়, শ্বশুর-শ্বাশুরী যাদের বেঁচে আছেন, তাদের উচিত মুরব্বিদের মানে, এই ব্লগের যাদের শ্বশুর-শ্বাশুরী বেঁচে নেই, মাঝে সাঝে তাদের দাওয়াত দিয়ে নিজের শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যাওয়া। তাতে যদি পুরনো দিনের কিছুটা স্বাদ তারা আবারো ফিরে পান। দুধের স্বাদ ঘোলে যদি কিছুটা হলেও মিটে যায়!

উৎসর্গ যথার্থ।

অনেক ভাল থাকুন।

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, এখন কারো শ্বশুর বাড়ি গলেও কেন যেন আগের মত মজা পাওয়া যায় না। আগে নরমাল খাবরই ছিল কিন্তু অনেক স্বাদ ছিল এখন অনেক রীচ ফুড তৈরী করলেও সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২০| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাহ, সত্যি দারুণ প্রামাণিক ভাই

আগেকার দিনের জামাই আদরের সাথে তুলনা হয় না। জামাইয়ের জন্য বড় মোরগটি রেখে দেওয়া। আম,কাঠালের সময় জামাইকে দাওয়াত করে খাওয়ানো, এ সবই আন্তরিকতা ও ভালবাসার প্রকাশ। যে ভালবাসা ছিল অনন্য, যেটি এখন অনুপস্থিত।

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই, আম কাঁঠালের দিন আসলেই জামাই খাওয়ানের জন্য শ্বশুর শ্বাশুরী ব্যস্ত হয়ে পড়তো। আর এই দাওয়াত যদি শ্বশুর বাড়ি থেকে না দেয়া হতো তাহলে শ্বশুর বাড়ির হীন মানসিকতার পরিচয় ফুটে উঠত। আহা কি যে দিন গেল!

২১| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই ভাবনার বিষয়। অবশ্য ডায়েটিং এর জমানা চলছে। কবিতা মজার হয়েছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছড়া খুবই ভালো হয়েছে। তবে শ্বশুর বাড়ির সেসব আদর যত্ন আজকাল অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে।


ছড়াটি জী এস ভাই ও আমার নামে উৎসর্গ করায় আপনাকে ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৩

প্রামানিক বলেছেন: এখনকার শ্বাশুরীদের আদর হয়তো ঠিকই আছে তবে মডার্ন হওয়ায় সব ডায়েট কন্ট্রোলে পড়েছে। আপনাদের নামে উৎসর্গ করা জুন আপা যথাযথ বলেছেন। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:



প্রামাণিক ভায়ের ছড়া পড়ে
নিলাম খাবারের ঘ্রাণ,
বয়লার মুরগি খেয়ে খেয়ে
ওষ্ঠাগত প্রাণ।

কিন্তু মুদ্রার ও পিঠ<<<<<

ছ্যাঁচড়া জামাই সাতদিন ধরে
করত ভূরিভোজ,
জামাই কবে বিদায় হবে
ভাবত রোজ রোজ।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬

প্রামানিক বলেছেন: জামাইদের ছ্যাছড়ামি করার সুযোগ ছিল না, কাজের সময় জামাইদের ছাই দিয়ে ধরেও আটকানো যেত না। ধন্যবাদ রসালো মন্তব্য করার জন্য

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ছড়া প্রমানিক দা'

:)

+++

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভৃগু, মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর, মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
যেহেতু আমি ব্লগে আছি- তা পোষ্ট পরে মন্তব্য করা আমার দায়িত্ব।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর, আপনার সর্বদা ব্লগে পদচারণা এবং আপনার লেখা ও মন্তব্যর কারনে অনেকেই উৎসাহবোধ করে এটা ব্লগের জন্য খুবই পজেটিভ দিক, আপনার এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক এই আশীর্বাদ করি।

২৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও এর সংগে আমিও সুর মিলিয়ে বলতে চাই ---------




ছ্যাঁচড়া জামাই সাতদিন ধরে
করত ভূরিভোজ,
জামাই কবে বিদায় হবে
ভাবত রোজ রোজ।



সর্বোপরি অনেক মজার হয়েছে প্রামানিক ভাই।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ছ্যাচড়া জামাই শুধু সেই যুগেই নয় বর্তমানেও আছে, এরা শ্বশুর বাড়ির মাগনা খাওয়া পেয়ে বাড়ির কথা ভুলেই যায়। তবে সে যুগে জামাইদের যে আদর করা হতো তা তুলনাহীন।

২৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোহানী বলেছেন: কি আর বলবেন ভাই, এখনকার শাশুড়িরা হিন্দি সিরিয়াল দেখে দেখে তা প্রাকটিকেল করার চেস্টা করে। যদি সেখানে জা,াইয়ের এমন সেবার সিরিয়াল থাকতো তাহলে হয়তো তাই করতো..... ;)

হাঁ জী ভাই আর খায়রুল ভাই সেরকম যত্ন আত্তি পেয়েছেন তা বলা যায়..............

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪২

প্রামানিক বলেছেন: এখানকার শ্বাশুড়িরা হিন্দী সিরায়াল দেখতে গিয়ে তরকারীর স্বাদবাদের দিকে আর খেয়াল থাকে না কাজেই জামাই আদর আর করবে কি? ধন্যবাদ বোন সোহানী

২৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩১

সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা..............আগে কিন্তু এমনই হতো। তবে আজকাল একটু কমে এসেছে......
ভালো হয়েছে।

১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আগে জামাই আদর একটু বেশিই ছিল, বর্তমানেও আছে তবে আগের মত না।

২৯| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: এখানো শ্বশুর বাড়ি কাপালে জুটেনি... তাই তার অভিজ্ঞতা বলতে পারবোনা !! ;) ;)



ছড়া ভালো হয়েছে প্রমানিক ভাই।।

২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

প্রামানিক বলেছেন: না জুটলেও জুটে যাবে। ধন্যবাদ

৩০| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শ্বশুর বাড়ী মধুর হাড়ী
কবে জানি নাইকো মনে আর
সবে বুঝি শ্বশুরবাড়ী সেতো যমের বাড়ী
ভয়ে ১০০ হাত দুরে থাকি তাই

শ্বশুর বাড়ী কথার হাড়ী
বিষাক্ত কথার ট্যারা ট্যারি
চোখে চোখে চলছে কথা
চোখেই মারামারি - -

শ্বশুর বাড়ী সেতো যমের বাড়ী
১০০ হাত দুরে থাকি।।



দ্রষ্টব্য - বস্ আপনি তো আমাকেও ছড়া লেখা শিখিয়ে দিলেন ।।

২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

প্রামানিক বলেছেন: হে হে হে দলে বলে ছড়া লিখলে বড় মজা লাগে। খুব ভালো লাগল আপনার ছড়া মন্তব্য।

৩১| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন:
বড়ই আচানক ঘটনা । বিরাট আফসোস!

২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

প্রামানিক বলেছেন: হ ভাই যার নাই তার জন্য আফসোস। ধন্যবাদ

৩২| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: আমি নতুন হিসেবে আপনার মতো গুনি ছড়াকারের কি প্রশংসা করবো ঠিক বুঝতে পারছিনা। সৃষ্টিকর্তা ঢেলেই দিয়েছেন আপনাকে। দোয়া করবেন...

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩০

প্রামানিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে উৎসাহিত হলাম। ধন্যবাদ

৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার ছড়া! + +
এখনকার ছেলেপুলেদের এসব কথা গল্পের মত মনে হবে, কিন্তু আমরা তো দেখেছি!
জামাই এর জন্যে শ্বশুর সাহেবের নিজেই আম গাছে চড়া এবং শাশুড়ীর সেই আম নিজ হাতে ছিলে দুধভাতে ডুবিয়ে জামাইকে খাওয়ানোর কথা কল্পনা করে হাসি আর মমতা, দুটো অনুভূতিই খেলে গেল!
আমার নিজের কোন জামাই কোনদিন হবেনা, তাই আম গাছেও চড়তে হবেনা! :) । তবে তিনটে বৌমা পাব। দুটো ইতোমধ্যে পেয়েছি, ভবিষ্যতে আরেকটা পাব। সুতরাং জামাই নিয়ে আমার নিজের কোন টেনশন নেই!!! :)
তবে দুই বৌমা নিয়েই গিন্নীকে যখন খুব ব্যস্ত থাকতে দেখি, তখন মনে হয়, আমাদের এ আন্তরিক স্নেহ ভালবাসার অনুভূতিগুলো আমাদের জন্য এক বিরাট গর্বের বিষয়। এগুলোই আমাদের প্রকৃত পরিচয়। আর নাতনিটার কথা নাহয় কিছু নাই বললাম!!!
নূর মোহাম্মদ নূরু এর ৩ নম্বর মন্তব্য আর আপনার প্রতিমন্তব্য, দুটোই খুব ভাল এবং কৌতকপ্রদ হয়েছে
এখনকার শাশুড়ীরা সব মর্ডান। তারা নিজেরাও ডায়েট করে জামাইরেও ডায়েটে রাখে - ১৮ নং মন্তব্যে মোস্তফা সোহেল এর এ কথাটা পড়ে না হেসে আর পারলাম না!
সোহানী বলেছেন: ----"হাঁ জী ভাই আর খায়রুল ভাই সেরকম যত্ন আত্তি পেয়েছেন তা বলা যায়.............."
-- ধন্যবাদ সোহানী, প্রামানিক এর এ চমৎকার ছড়াটি পড়ে আমার কথাও ভাবার জন্য। আমার স্নেহময়ী শ্বাশুরী রংপুরের শীতে আমার কাতর হওয়া দেখে আমাকে নিজহাতে উল বুনে একটা সোয়েটার, দুটো হাতমোজা আর একটা মাফলার বানিয়ে দিয়েছিলেন। ওগুলোর মধ্যে তাঁর পুণ্য স্মৃতি রক্ষার্থে একটা হাত মোজা এবং মাফলারটা এখনো আমি সংরক্ষণ করতে পেরেছি। ডিসেম্বর জানুয়ারীর শীতে আমি এখনো সেগুলো ব্যবহার করি। আল্লাহ তাঁকে এই ইহসানটুকুর উত্তম বিনিময় দান করুন এবং তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৩

প্রামানিক বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, আমিও শ্বাশুরির আদর যতটুকু পেয়েছি তাই ছড়ায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। হয়তো তারা এখনকার মত অত খরচ করতে পারতো না তারপরেও আন্তরিকতার অভাব ছিল না। তাদের সেই আন্তরিকতার দৃশ্য মনে পড়লে এখনও দু'চোখ জলে ভিজে যায়। আপনার মন্তব্য পড়ে আমিও সেই যুগে চলে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.