নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
দুই হাজার সালের কথা। আমি তখন একটি পত্রিকার প্রডাকশনের সেকশন চীফ। আমার বন্ধু অশিত কুমার পাল স্টোর ইনচার্জ। আমরা তাকে অশিত বাবু নামে ডাকতাম। বয়সে আমি কিছুটা বড় হওয়ায় অশিত বাবু আমাকে ভাই সম্বোধনে ডাকতো, তবে উভয়ের মাঝেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ।
একদিন সন্ধ্যার সময় অফিস শেষে অশিত বাবু আমাকে ডেকে বলল, প্রামানিক ভাই, আপনি আগামী কাল সকাল এগারোটায় মতিঝিল মেরিন কোর্টের তিন তলায় একটু হাজিরা দিবেন।
আমি তার কথা কিছুই বুঝতে পেলাম না। আমার চোখ কপালে উঠে গেল, কিছুটা আশ্চার্য হয়েই জিজ্ঞেস করলাম, মেরিন কোর্টে হাজিরা দিব মানে?
মেরিন কোর্টে হাজিরা দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেও সঠিক উত্তর পেলাম না, হাসতে হাসতে শুধু বলল, গেলেই বুঝতে পারবেন। তবে কাউকে বলবেন না।
তার এই রহস্যময় প্রস্তাবে কৌতুহল জাগল। পরদিন ঠিক এগারোটায় গিয়ে মেরিন কোর্টে হাজির হলাম। মেরিন কোর্টে সাধারণত লঞ্চ, স্টীমার, জলযান সংক্রান্ত অপরাধের বিচার হয়। সেখানে কেন আমাকে আসতে বলল আমি কিছুই বুঝতে পেলাম না। কোর্টের তিন তলায় গিয়ে পরিচিত কাউকে খুঁজেও পেলাম না। আমাকে ধোকা দিল কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য অশিত বাবুর মোবাইলে ফোন দিলাম, আমার ফোন পেয়ে বলল, আপনি তিন তলায় মেরিন কোর্টের পেশকারের সাথে দেখা করে আমার নাম বলেন।
পেশকারের সাথে দেখা করতে বলায় আমার মুখ শুকিয়ে গেল। কোর্টের পেশকারের সাথে তো কেউ বিনা কারণে দেখা করে না, হয় অপরাধী হয়ে দেখা করতে হয় নয়তো অপরাধের বিচার চাইতে বাদী হয়ে দেখা করতে হয়। তবে কি অশিত বাবু কোন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে? মনের মধ্যে যেমন শঙ্কা শুরু হলো তেমনি কৌতুহলও জাগল।
আমি তার কথা মত দ্বিধাদ্বন্দ নিয়েই পেশকারের কাছে গেলাম। পেশকার সাহেব গায়ে গতরে শুকনা একজন মানুষ, একে তো কুচকুচে কালো তারোপর শরীরে তেমন মাংস চর্বি নেই বললেই চলে, হাড্ডিসার দেহে শরীরের মাংস শুকিয়ে চোয়ালের মাংস পর্যন্ত ভিতরে ডেবে গেছে, চক্ষু কোঠরোগত, স্বাস্থ্য যাই হোক তবে ক্লিন সেভ করা সাদা সার্ট আর কালো প্যান্ট পরিহিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিপাটি একজন মানুষ। তার কাছে গিয়ে অশিত বাবুর নাম বলতেই চমকে উঠলেন। জিজ্ঞেস করলেন আপনি কে? পরিচয় দিলাম।
আপনাকে কে পাঠিয়েছে?
বললাম, অশিত কুমার পাল।
অশিত বাবুর নাম বলতেই পাল্টা প্রশ্ন করলেন, কেন আসতে বলেছে?
বললাম, তাতো বলে নাই।
কেন আসতে বলেছে সে কথার সদুত্তর না পেয়ে পেশকার সাহেব বললেন, দশ মিনিট পরে আসেন।
পুরো বিল্ডিংটাই মেরিন অফিস। ঐ বিল্ডিংয়েরই তিন তলায় কোর্ট। কোর্টে তেমন লোকজন নাই। নাজির পেশকার আরদালি ছাড়া উকিল মহুরিও তেমন একটা চোখে পড়ল না। দশ মিনিট পরে আবার গেলাম। তিনি আমার আপাদ মস্তক ভালো করে দেখে আবার প্রশ্ন করলেন, আপনাকে কে আসতে বলেছে?
বললাম, অশিত বাবু।
-- তাকে আপনি চেনেন?
-- চিনি, আমার অফিস কলিগ।
-- আপনার নাম কি?
-- প্রামানিক।
-- আপনাকে কেন আসতে বলেছে সেটা বলে নাই?
-- না, শুধু বলেছে গেলেই বুঝতে পারবেন।
-- বুঝতে পেরেছি, বলেই বলল, আপনি আমার সাথে আসেন। আমাকে তিনি একটি রুমে নিয়ে গেলেন। গিয়ে দেখি লাল গালিচা বিছানো বিশাল হল রুমের এক কোনায় অশিত বাবুসহ কয়েকজন সোফায় বসে গল্প করছেন। তার মধ্যে আমার অফিসের এডমিনের প্রদীপ দা, সার্কুলেশনের মোহাম্মদআলী খান অপু এবং অশিত বাবুর পরিচিত একটি মেয়ে বসে আছে যাকে আমি দুই তিনদিন অফিসে অসিত বাবুর টেবিলের সামনে বসা অবস্থায় দেখেছি কিন্তু পরিচিত নই।
আমাকে দেখেই অশিত বাবু বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, আমরা আপনার কথাই চিন্তা করতেছি।
-- কেন?
-- আপনাকে তো ডিটেইলস বলা হয় নাই, আপনি আসবেন কিনা সেই দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম।
-- দ্বিধা দ্বন্দের কারণ কি?
সে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, সময় হলেই বুঝতে পারবেন।
আমি আর তাকে পাল্টা প্রশ্ন না করে সোফায় বসে পড়লাম। কোর্ট বসার ঠিক দশ মিনিট আগে অশিত বাবু বলল, আপনাকে যে কারণে ডেকে এনেছি সেটা আপনাকে বলা দরকার।
-- বলেন
-- আপনাকে স্বাক্ষি হতে হবে।
স্বাক্ষি হওয়ার কথা শুনে চমকে উঠলাম, এটা আবার কোন বিপদ, না জেনে না শুনে আন্দাজি কিসের স্বাক্ষী হবো? তার কথা শুনে মুখ শুকিয়ে গেল। তারপরেও মুখে হাসি হাসি ভাব এনে বললাম, কিসের স্বাক্ষী?
পাশের মেয়েকে দেখিয়ে অশিত বাবু বলল, ওকে আমি কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করতে যাচ্ছি, আপনি বিয়ের স্বাক্ষী হবেন।
মেয়ের সম্পর্কে সামান্য ধারনা দিল, মেয়ে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারে আছে, মেয়ে মুসলমান, বাবা ঘোড়াশাল সারকারখানার জিএম।
তার কথা শুনে বড়ই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। একে তো হিন্দু ছেলে তারোপর ঘোড়াশাল সার কারখানার বিশাল এক কর্মকর্তার মুসলমান মেয়ে। উভয় পক্ষের গার্জিয়ানের অজান্তে বিয়ের স্বাক্ষী হয়ে না জানি কোন বিপদে পড়ি!
কিন্তু উপায় নাই, অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মত অবস্থা হলো। প্রদীপ দা, মোহাম্মদ আলী খান অপু তারাও স্বাক্ষী হচ্ছে, অশিত বাবুর অনুরোধের সাথে তারাও অনুরোধ করতে লাগল। অবশেষে অনুরোধেই ঢেঁকি গেলার মত গিলে ফেললাম, অনিচ্ছা স্বত্বেও স্বাক্ষী হতে রাজী হলাম।
বেলা বারোটার সময় কোর্ট বসল, প্রথম কেসটাই অশিত বাবুর। হাকিম সাহেব মধ্য বয়সি। কোর্টে বসেই ফাইল হাতে নিয়ে কেসের ছেলে মেয়ে দুইজনকে কোর্টে উঠার জন্য তলব করলেন। ছেলে মেয়ে উভয়ই দুইজন দুই পাশে উঠে দাঁড়ালেন। ছেলেকে আসামীর গারদে মেয়েকে বাদীর গারদে। কোর্টে উঠার পরে তাদের পক্ষে কালো কোর্ট পড়া একজন উকিলও দাঁড়িয়ে গেল। উকিলের ভাষার উচ্চারণে বুঝতে পেলাম তিনি বরিশালের লোক। অশিত বাবুর পক্ষে কোর্টের যা কিছু ব্যাবস্থা করা দরকার তা সবই পেশকার সাহেব দায়িত্ব নিয়ে করছেন। পেশকার সাহেব হিন্দু হয়ে হিন্দু ছেলেকে মুসলিম হওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে দেখে অভিভুত হলাম। তার এই কাজের জন্য আজও তাকে স্যালুট জানাই।
ছেলে মেয়ে দুইজন এজলাসে উঠার পর হাকিম সাহেব দুইজনকেই প্রচুর জেরা করতে লাগলেন। তার কারণও আছে। একজন হিন্দু ছেলে মুসলমান মেয়ের প্রেমে পড়ে ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হচ্ছে বিষয়টি বড়ই স্পর্শ কাতর। সেই কারণে হাকিম সাহেব প্রায় এক ঘন্টার মত দুইজনকে নানা রকম জেরা করে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু জেরায় ছেলে মেয়ে কাউকেই পরাস্ত করতে পারলেন না, দুইজনের কারো ভিতরেই বিন্দু মাত্র নমনিয়তার লক্ষণ নাই, তারা পরস্পর প্রেমে অন্ধ, জীবনের যে কোন পরিস্থিতি মেনে নিয়েই তারা একজন আরেকজনকে বিয়ে করতে রাজী আছেন। তাদের এই অমর প্রেমে ধর্মীয় আইন কানুনের বাধ্যবাধকতা তো দূরের কথা উভয়ের গার্জিয়ানসহ স্বয়ং ভগবান এসে যদি নিষেধ করে তারপরের তারা মানবেন না। এমনই যখন অবস্থা তখন হাকিম সাহেব বিয়ের পক্ষে রায় দিতে বাধ্য হলেন। রায় দেয়ার সময় শুধু বললেন, আমি আপনাদের এই বিয়েতে অনুমতি দিতাম না, শুধু এই কারণে অনুমতি দিচ্ছি, আপনারা দুই জনই ম্যাচিউড, শুধু মেচিউড নন ওভার মেচিউড বলা যায়। তাছাড়া দুইজনই সুশিক্ষিত এবং মাস্টার্স ডিগ্রীধারী। এই জন্য আমি আপনাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিলাম। তবে আমি শুধু আইনগত দিকটা অনুমোদন দিচ্ছি, কোর্টের অনুমোদন মানেই আপনি প্রকৃত মুসলমান নন, প্রকৃত মুসলমান হতে হলে প্রথমেই আপনাকে কালেমা পড়তে হবে এবং এর পরে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করতে হবে। বিয়ের কাজটা কিন্তু আপনাকে কাজী অফিসে গিয়ে করতে হবে। কাজী সাহেব ইসলামী শরাশরীয়ত মোতাবেক বিয়ে রেজিস্ট্রিসহ ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী একজন উকিল ও দুইজন স্বাক্ষীর সরাসরি উপস্থিতে বিয়ের কাজটি সমাধা করার পরই আপনি প্রকৃত মুসলমান হিসাবে ইসলামী দাম্পত্য জীবন পালন করতে পারবেন। এই বিষয়গুলো পালন না করা পর্যন্ত আপনি কোর্টের অনুমতি পেলেও দাম্পত্য জীবন পালন করতে পারবেন না বা দাম্পত্য জীবন বৈধতা পাবে না। কথাগুলো বলার পরেই তিনি ধর্মান্তর হওয়া ও বিয়ের অনুমতির উপর লিখিত রায় দিয়ে দিলেন।
অশিত বাবুর হিন্দু নাম কোর্টের মাধ্যমেই পরিবর্তন হয়ে অমিত রায়হান হলো। নামটি তারা দুইজনে মিলেই নাকি ঠিক করেছিলেন। পরবর্তীতে এ নামেই তাকে ডাকা হতো।
কোর্ট চলাকালীন অবস্থায় বুঝতে পারি নাই। এক ঘন্টা জেরা চলাকালীন অবস্থায় হিন্দু মুসলিম বিয়ের খবর মেরিন কোর্টের পুরো বিল্ডিং ছড়িয়ে গেছে। হাকিমের জেরা চলাকালীন অবস্থায় আমরা অশিত বাবুর জন্য বড় টেনশনে ছিলাম। যে কারণে পুরোটা সময় হাকিমের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। হাকিম কি প্রশ্ন করে আর অশিত বাবু কি উত্তর দেয় সেগুলোই হাপিত্তেস হয়ে শুনতে ছিলাম। প্রশ্নোত্তর শেষে হাকিম কি রায় দেয় এটাই ছিল আমাদের জানার বড় আগ্রহ। যদি বিপক্ষে রায় দেয় তাহলে তো অশিত বাবুকে নিয়ে আমরা সবাই বিপদে পড়ে যাবো। তাই পুরো এজলাশের কোথায় কি হচ্ছে সেদিকে তাকানোর কথা মনেই ছিল না। প্রশ্নোত্তর শেষে অশিত বাবুর পক্ষে রায় হওয়ায় আমাদের ভিতরে খুশির জোয়ার চলে এলো। রায় শেষে তাকিয়ে দেখি আদালত কক্ষ লোকজনে ভরপুর। মেরিন অফিসের পুরো বিল্ডিংয়ের পুরুষ মহিলা সকল কর্মচারীই যেন তাদের কাজ কর্ম ফেলে বিষয়টি দেখতে এসেছে। পিয়ন থেকে কর্মকর্তা পর্যন্ত কেউই যেন বাদ নেই, সবাই আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছে। অন্য কোন কেসে এতো লোকজনের সমাগম হয় কিনা জানি না তবে এই কেসের লোকের সমাগম দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। মনে হলো হিন্দু মুসলিম বিয়ের বিষয়টি গোপনে আইনগত দিক পার করতে এসে গোপন বিষয়টি আর গোপন থাকল না। মেরিন কোর্টের কর্মচারী কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই পুরো দেশে মুহুর্তেই ছিড়িয়ে পড়ল।
(চলবে--)
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
সোনাগাজী বলেছেন:
কঠিন ঘটনা, বিয়ে টিকে আছে?
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪২
প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই বিয়ে টিকে আছে উনার দুইটা বাচ্চাও আছে কিন্তু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে উনি ইহলোকে নাই।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনারা এখন কেমন আছে? বাচ্চা কাচ্চা কয়জন?
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: উনি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে মারা গেছেন তবে উনার দুটি বাচ্চা আছে।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেকদিন পরে সামুতে!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: জী ভাই, দীর্ঘ দিন চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। করোনার কারেণে চিকিৎসা করতে পারি নাই তাই ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম। এখন নিয়মিত পাবেন ইনশাল্লাহ।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এখনই শেষ পর্যন্ত কি হলো তা জানতে অধৈর্য্য হয়ে গিয়েছি!
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি পুরোই দেয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
কামাল৮০ বলেছেন: বিষয়টা গোলমেলে লাগছে।পুরনো একটা আইন আছে যেখানে হিন্দু, হিন্দু থেকে এবং মুসলমান,মুসলমান থেকেও কোট ম্যারিজ করতে পারে।সমাজে এমন অনেক উদাহর আছে।ঐ আইনটা এখনো বলবৎ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: এই ধরনের আইন আছে বটে তবে মেয়ে এতে রাজী ছিল না কাজেই ছেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। ধন্যবাদ
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক,
ইন্টারেষ্টিং!
অনেকদিন পরে এসেই বললেন, চলবে.....তা চলুক। কিন্তু আপনি চলবেন তো ? মানে, আবার ডুব মারবেন না তো!!!!!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ভাই, আমি এতদিন হার্টের সমস্যার পাশাপাশি চোখের সমস্যায়ও ভুগতে ছিলাম যে কারণে আমাকে এতদিন ব্লগে পান নাই। ধন্যবাদ
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রমাণিক দা, আপনি পূর্ণ সুস্থ আছেন তো এখন? অনেক চেষ্টা করেও একবার আপনাকে দেখতে যেতে পারলাম না! দুঃখিত!
অশিত বাবু কামডা কিন্তু জবরদস্ত টাইপের কাম করি ফালাইলেন। আমি ভেবে ছিলাম, মেয়েটা নিজ ধর্ম ত্যাগ করবে। অথবা প্রত্যেকে নিজ ধর্ম বলবত থাকার মাধ্যমেই এগুবে। কিন্তু তাক লাগি অসম্ভব রকমের ত্যাগ করে বসলেন অশিত রায়হান সাহেব। যাই হোক, দেখা যাক আপনার পরবর্তী পর্ব কোন দিকে এগোয়।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫১
প্রামানিক বলেছেন: এখন অনেকটা সুস্থ্য, এই বিয়ে নিয়ে আমি অনেকটাই দৌড়াদৌড়িতে ছিলাম। সামনের পর্বে সব পাবেন। ধন্যবাদ
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: অদ্ভুত !!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সামনের পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রেমের কারণে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ বিষয়টি আমার কাছে কেমন জানি ঠেকে, কারণ, মূল যে বিষয় তা হলো প্রেমিক/প্রেমিকার প্রতি আকর্ষণ, নিজের প্রেমাস্পদ কে পাওয়ার জন্য ধর্মান্তরিত হওয়ার মানে হলো ধর্ম কে ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে ধর্মকে খাট করা হচ্ছে না?
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
প্রামানিক বলেছেন: প্রেমের কারণে মানুষ কিছুটা অন্ধ হয়ে যায়, তখন তার কাছে ধর্ম বলে কোন বিষয় মাথায় কাজ করে না, প্রেমিক বা প্রেমিকাকে কাছে পেতে যে কোন ক্ষতি মেনে নিতে দ্বিধাবোধ করে না। কাজেই তাদের কাছে ধর্মের চেয়ে প্রেমটাই বড় হয়ে দেখা দেয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখা ২ বার এসেছে, আপনার ওজন বেড়ে গেছে।