নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
নামঃ পদাতিক চৌধুরি। পরিচয়ঃ সামহোয়ারইন ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগে আমি ছড়া লিখি পদাতিক চৌধুরি আত্মকাহিনীমূলক উপন্যাস লেখেন। তার উপন্যাস পড়ে খুব মজা পাওয়া যায়। যে কারণে আমি তার লেখার ভক্ত। তার লেখা পেলেই এক নিঃশ্বাসে পড়ে নেই এবং লেখার ভালোমন্দ নিয়ে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করে থাকি। লেখায় মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পর্যন্তই আমাদের পরিচয় এর বাইরে আমাদের কোন যোগাযোগ ছিল না। কে কোথাকার আমরা কেউ কাউকে জানতাম না। তবে তার আত্মকাহিনীমূলক একটি লেখা পড়ে মনে হয়েছিল পদাতিক চৌধুরি পশ্চিম বঙ্গের হবেন। সেই অনুমান থেকেই কোলকাতা গিয়ে মেসেঞ্জারে অডিও কল করেছিলাম। অডিও কল করে আমার সেই ধারনা সঠিক হলো।
আমি কোলকাতার মারকুইস স্ট্রীট থেকে কল করেছিলাম। আমি কোলকাতায় এসেছি জানতে পেরে পদাতিক চৌধুরি তৎক্ষনাৎ তার বাসায় যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগল। আমাকে তার বাসায় যাওয়ার ঠিকানাও বলে দিল। আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাসায় যাওয়ার জন্য এমন ভাবে অনুনয় বিনয় করতে লাগল যে আমি না করেও সারতে পারছিলাম না, বাধ্য হয়ে তাকে শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে বললাম, আমি তো এখন অসুস্থ্য, বেঙ্গালোরে চিকিৎসা শেষে যদি সুস্থ্য হতে পারি তখন না হয় ফেরার পথে দেখা করে যাবো। আমার এই কথাটি পদাতিক চৌধুরি মগজে জমা করে রাখবে আমি সেটা বুঝতে পারি নাই। বেঙ্গালোরে একমাস সতেরো দিন ছিলাম। মাঝে মাঝেই পদাতিক চৌধুরি ফোনে যোগাযোগ করতো। আমার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নিত। সে যে ্এত আন্তরিক হবে সেটা আমার কল্পনায় ছিল না।
কোলকাতা থেকে বেঙ্গালোর প্লেনে গেলেও আমার ছোট ছেলের সমস্যার কারণে ট্রেনে চেপেই ফিরছিলাম। রাস্তায় এসে বেঙ্গালোর স্টেশনের ছবি দিয়ে “বিদায় বেঙ্গালোর” নামে ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। সেই পোষ্ট দেখেই পদাতিক চৌধুরি ফোন করে জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া আপনি এখন কোথায়? আমি বললাম, আমি এখন ভেলোর কাটপাডি পার হচ্ছি। আবার জিজ্ঞেস করল, কোলকাতায় কখন পৌঁছাবেন? ট্রেনের টাইমটেবুল অনুযায়ী বললাম, আগামীকাল রাত আটটা বাজতে পারে। বলল, কোলকাতা নেমেই আমাকে ফোন দিবেন। বললাম, ঠিক আছে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ট্রেন লাইনের সমস্যার কারণে হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন ছয় ঘন্টা দেরিতে যেতে লাগল। পরদিন সন্ধ্যার সময় পদাতিক চৌধুরি আবার ফোন করল, ভাইয়া আপনি এখন কোথায়? বললাম, আমাদের ট্রেন ছয় ঘন্টা লেট হওয়ায় অন্ধ্র প্রদেশ পার হয়ে উড়িষ্যায় ঢুকতেছি। আমাকে বলল, আপনি কিন্তু কোন হোটেলে উঠবেন না সোজা বারাসাত স্টেশনে আসবেন আমি স্টেশন থেকে আপনাকে নিয়ে আসবো। বললাম, ঠিক আছে। রাত এগারোটার সময় আবার কল করে জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া আপনি এখন কোথায়? বললাম, ভুৃবেনেশ^র পার হচ্ছি। কায়টায় পৌঁছাবেন, বললাম ছত্রিশ ঘন্টার জার্নি ছয় ঘন্টা লেট হওয়ায় বিয়াল্লিশ ঘন্টা হয়েছে সেই হিসাবে রাত দুইটা তিনটা বাজতে পারে। আমি কিন্তু আপনার জন্য অপেক্ষা করবো, আপনি সোজা আমার বাসায় চলে আসবেন। আমি তার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে না করার মানসিকতা প্রকাশ করতে পারলাম না। বললাম, ঠিক আছে।
রাত তিনটার পরে হাওড়া স্টেশনে ট্রেন পৌঁছাল। এর আগে কয়েকবার ভারতে গেলেও কোলকাতায় এইবার প্রথম গিয়েছি। এতরাতে মারকুইস স্ট্রীটে গিয়ে হয়তো কোন হোটেল খোলা পাবো না, হোটেল খোলা না পেলে রাস্তায় রাত কাটাতে হবে। সেই চিন্তা করেই হাওড়া স্টেশনের ওয়েটিং রুমে বসে ভোর হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। রাত ৩টা ২২মিনিটে হঠাৎ মোবাইলে রিং বেজে উঠল। মোবাইল রিসিভ করতেই অপার প্রান্ত থেকে কন্ঠ ভেসে আসল, ভাইয়া আপনি এখন কোথায়? এত রাতে পদাতিক চৌধুরির ফোন পেয়ে আশ্চার্য হয়ে গেলাম। বললাম, এত রাতেও জেগে আছ! পদাতিক বলল, জী ভাইয়া আপনার জন্য জেগে আছি, আপনি এখন কোথায়? বললাম, আমি এখন হাওড়া স্টেশনে। হওড়া স্টেশনে কখন পৌঁছেছেন? বললাম, রাত তিনটার সময়। পদাতিক আর কোন কথা না বলে সরাসরি বলল, ভাইয়া আপনি একটা টেক্সী নিয়ে সোজা বারাসাত বটতলায় চলে আসেন, আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো। তার এমন আন্তরিকতা দেখে আমি এতই আশ্চার্য হলাম যে আমার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হচ্ছিল না। যেখানে নিজের ঘনিষ্ঠ জনরাও কারো জন্য রাত তিনটা অবধি জেগে থাকে না সেখানে একজন ব্লগারের জন্য আরেক জন ব্লগার কতটা আন্তরিক হলে সারা রাত জেগে বসে থাকতে পারে সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
কোলকাতার আতিথেয়তা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কিছুটা নেতিবাচক ধারণা আছে কিন্তু পদাতিকের আন্তরিকতা দেখে সেই নেতিবাচক ধারণাটি মুহুর্তেই দূর হয়ে গেল। কোলকাতায় গিয়ে এমন আতিথেয়তার আমন্ত্রণ পাবো এটা আমি কল্পনাও করি নাই। পাদাতিক চৌধুরির কাছ থেকে এই পাওয়া যে কত বড় পাওয়া তা কোন ভাষা দিয়ে বুঝাতে পারবো না। যদিও পদাতিক চৌধুরির সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারি নাই। কারণ অনেক দিন ভারতে থাকার ফলে আমার দুই ছেলে দেশে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিল। তারা কোলকাতায় এক দিনও থাকতে রাজি হচ্ছিল না। সেই কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও পদাতিকের এমন আন্তরিকতাপূর্ণ আমন্ত্রণ রক্ষা করা সম্ভব হয় নাই। ভোর ছয়টায় গ্রীণ লাইন বাসে সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ায় পদাতিকের সাথে আর দেখা করা সম্ভব হলো না। দেখা করতে না পারলেও তবে তার রাত জেগে আমার জন্য অপেক্ষা করার স্মুতি জীবনেও ভুলতে পারবো না। তার আন্তরিকতা এবং বন্ধুত্বসুলভ আচরণে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি যে কিভাবে ধন্যবাদ জানাবো সে ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি। তারপরও এটাই বলবো, সুখি হওয়ার পাশাপাশি বিধাতা যেন তাকে দীর্ঘ জীবন দান করেন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২
প্রামানিক বলেছেন: আমার যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমার ছেলেদের কোনভাবেই রাজী করাতে পারি নাই যে কারণে যাওয়া হয় নাই ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রামানিক ভাই আপনার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন? আশা করছি ভাল আছেন।
তৈমুর চৌধুরী সাহেবের সাথে অনলাইনে যতটুকু মিথস্ক্রিয়া হয়েছে তাতে বুঝতে অসুবিধা হয়না উনি যে একজন অমায়িক মানুষ। আপনাদের দুজনের জন্যই শুভকামনা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
প্রামানিক বলেছেন: শরীর অনেকটা ভালো। আসলেই পদাতিকের আন্তরিকতার তুলনা হয় না।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: লম্বা সময় ভারতে থাকলে ঘরের জন্য মন পোড়ে । আমারও এমন হয় । পদাতিক চৌধুরী অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল , যাক নেক্সট টাইম ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, ছেলেদের কোনভাবেই কোলকাতায় রাখতে পারছিলাম না, তারা বাড়ি আসার জন্য উতালা হয়েছিল। যে কারণে ইচ্ছে থাকা সত্বেও পদাতিকের ওখানে যাওয়া হয় নাই।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
শায়মা বলেছেন: আমিও কলকাতা গিয়ে পদাতিক ভাইয়ার বাসায় উঠবো!
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
প্রামানিক বলেছেন: পদাতিক আসলেই খুব ভালো মানুষ
৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
ইসিয়াক বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার এখন নিশ্চয় ভালো আছেন? অবশ্য যতটুকু ভালো থাকা যায় আর কি!
আপনি কিন্তু সময় সুযোগ মত আপনার চিকিৎসার উদ্দেশ্য ভারত যাত্রার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিতে পারেন।
ব্লগার পদাতিক চৌধুরী একজন উদার হৃদয় মানুষ।
আপনাদের দুজনের জন্য শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভেচ্ছা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হলাম।
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: হৃদয় ছোয়া ভালোবাসা।মানষের জন্য মানুষের এমন ভালোবাসাই থাকা দরকার।তবেই না আমরা মানুষ।
ছবিটি কি জন্য দিয়েছেন।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
প্রামানিক বলেছেন: যেহেতু পদাতিকের বাড়ি যেতে পারি নাই সেই কারণে পদাতিকের কোন ছবিও সংগ্রহ করতে পারি নাই। আপাতত আসার পথে চলন্ত বাস থেকে বারাসাত স্কুলের ছবিটি তুলেছিলাম সেটাই পোষ্ট করেছি। ধন্যবাদ
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে! এ আপনি কি সব লিখলেন ভাইজান? ব্লগের টানে আপনাদের খুব আপনজন বলে মনে হয়। আর একারণেই সামনাসামনি দেখাসাক্ষাৎ এর অপেক্ষায় মুখিয়ে থাকি। তবে আপনি যেহেতু চিকিৎসা করাতে এসেছেন এইজন্য প্রতিদিনকার আপডেট জানতে খোঁজ নিয়ে গেছি। কামনা করেছি বিদেশবিভুঁইয়ে আসা আপনার মনোবাসনা যেন পূর্ণ হয়। কিন্তু ঘটনাটা আপনি যেভাবে দেখেছেন বা লিখেছেন আমি তার যোগ্য নই। নিঃসন্দেহে আমার চেয়ে বহুগুণ বেশি বেশি লিখেছেন রীতিমতো অস্বস্তিকর বটে। যাইহোক আপনাকে পেলে আরো ভালো লাগতো।
অফটপিক:- আপনার শরীর এখন কেমন আছে?
শায়মাপু আমার বাসায় আসবেন আগেও বলেছিলাম।আজ আবার একথা শুনে ভালো লাগছে। সাথে সাথে ভয় পাচ্ছি।শায়মাপু যা শৌখিন মানুষ উপরওয়ালা কি যে কপালে রেখেছে! দুরু দুরু ভয় নিয়েও বলবো আপু যদি সত্যিই একদিন আসেন তাহলে খুবই খুশি হবো।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: ব্লগারদের পরস্পরের মধ্যে যে আন্তরিকতা সেটার তুলনা হয় না। আত্মীয় স্বজন না হয়েও ব্লগারদের প্রতি ব্লগারের কি পরিমাণ আন্তরিকতা সেটা বুঝানোর জন্যই এই পোষ্টটি করেছি। আশরাফুল ভাই অসুস্থ্য হওয়ার খবর শোনার পর শুধু আশরাফুল ভা্ইকে দেখার জন্যই ঢাকা থেকে আমি আর কামাল ভাই সুদূর রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। রাজশাহীতে আমাদের আর কোন কাজ ছিল না।
তেমনই রাত তিনটার সময় টেলিফোন করার বিষয়টিও ভুলে যাওয়ার মত নয়। এসব তুলনাহীন আন্তরিকতা ব্লগারদের সামনে তুলে ধরার জন্যই এই পোষ্ট।
ব্লগার হিসাবে শায়মাও খুব আন্তরিক মানুষ। অনেক দিন হলো ব্লগে আছেন এবং তার লেখার আমিও ভক্ত।
শরীর অনেকটা ভালো। ধন্যবাদ
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার শরীর এখন কেমন ?
আপনার পুরোটা লেখা পড়ার পর একটা বিষয় অনুভব করতে পারছি অদেখা মানুষের প্রতি একে অপরের (আপনার ও দাদার ) আত্মিক টান কতটা প্রখর হতে পারে । খুব ভালো লাগলো পদাতিক দাদার এই আন্তরিকতা ও আপনার কৃতজ্ঞতাবোধ দেখে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫
প্রামানিক বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন। আসলেই পদাতিক চৌধুরি আসলেই খুব আন্তরিক।
৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রমানিক দা,
পদাতিক দার বাসায় আমারও আমন্ত্রণ রয়েছে। তবে সেটা কবে সম্ভব হবে তা জানি না। কিন্তু এখন আপনের পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে, যত দ্রুত যাওয়া যায় ততই ভালো, এতে একাধিকবার যাবার সুযোগ হবে
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
প্রামানিক বলেছেন: আসলেই কথা ঠিক। পদাতিক চৌধুরির আন্তরিকতার তুলনা হয় না।
১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৭
আরোগ্য বলেছেন: প্রামাণিক ভাই এখন সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো। এক নজর ভাইটির বাসা ঘুরে আসলে আরো ভালো লাগতো। আসলেই ভাইটি অমায়িক একজন মানুষ, আমার নানু যখন হসপিটাল ভর্তি ছিলো, ভাইটি প্রায় প্রতিদিন আমাকে মেইল করতো, আমার অসুস্থতার সময় তো খুবই চিন্তিত ছিলেন কিন্তু অসুখ ও নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য ঠিকমত উত্তর দিতে পারতাম না।
আমি তো ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ভাইটির বাসায় যাবো কিন্তু একা না, যেয়ে রীতিমতো হুলুস্থুল অবস্থা তৈরি করবো। আমাকে ছাদ বাগানের তাজা সবজি রান্না করে খাওয়াতে হবে।
আসলে অদ্ভুত একটা জায়গা এই ব্লগ, অদেখা অজানা মানুষগুলো কতটা আপন হয়ে যায়। মনে হয় যেন কত পরিচিত।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬
প্রামানিক বলেছেন: এখানেই ব্লগ আর ফেসবুকের মধ্যে পার্থক্য। ফেসবুকারের চেয়ে ব্লগারদের আন্তরিকতা অনেকগুণ বেশি। অসুস্থ্য হেনা ভাইকে দেখার জন্য আমি এবং কামাল ভাই যেমন রাজশাহী গিয়েছিলাম তেমনি অসুস্থ্য অবস্থায় রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর বদরগঞ্জ থেকে তুহিন নামের এক ব্লগার আমাকে দেখার জন্য ছুটে এসেছিলেন। আমি সিলেট গেলে রিপন ঘোষ এবং বিধুদা রাতেই দেখা করার জন্য ছুটে এসেছিলেন অথচ আমরা লেখালখির বাইরে কেউ কাউকে চিন্তাম না। এমন আন্তরিকতা অনেক সময় আত্মীয় স্বজনদের মাঝেও পাওয়া যায় না।
যেতে না পারলেও পদাতিকের রাত জেগে মোবাইল করাটা আমি কোনদিনই ভুলতে পারবো না।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগল।
১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রামাণিক ভাই সালাম নিবেন, আপনার সুস্থতার খবর পেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। বহুদিন ব্লগে কেউ চা চায় না, চায়ের কথা মনে হলেই আপনার কথা মনে হয়। অবে পদাতিক ভাইয়ার একটা দেখা পাওয়া উচিত ছিলো। পদাতিক ভাই হ্যাটস অফ টু ইউ। কলকাতা বেড়াতে গেলে আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছে রইলো।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ভাই, সেই দিন গুলির কথা মনে হলে এখনও আফসোস হয়। আগে রাত জেগে সবার লেখা পড়তাম মন্তব্য করতাম চা খেতে চাইতাম। অনেক সময় ভাগ্যক্রমে কারো সাথে দেখা হলে চাও খেতাম। এভাবেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্লগারদের সাথে একটা আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। তখনকার সেই ব্লগাররা কত আন্তরিক ছিল তারই একটু বহিঃপ্রকাশ হলো পদাতিক চৌধুরির মাধ্যমে। রাত তিনটা বাইশ মিনিট পর্যন্ত জেগে আমার খোঁজ খবর নেয়া এবং বাসায় নেয়ার জন্য পিড়াপীড়ি করাটা সত্যিই ভুলে যাওয়ার মত নয়। পদাতিক চৌধুরির আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ।
আপনি কেমন আছেন? ব্লগে মন্দাভাব থাকায় আপনাদের ঘোরাঘুরির পোষ্ট এখন আর খুব একটা পাই না। অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম। শুভেচ্ছা রইল
১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: এবার মনে হয় আমি কলকাতা গেলে দাদা আমার সাথে দেখা করবেন না।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
প্রামানিক বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি সেরকম মানুষ নয় অবশ্যই দেখা করবে। মন্তব্য করার জন্য খুব খুশি হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:২১
সোহানী বলেছেন: প্রামানিক ভাইকে ব্লগে দেখে ভালো লাহছে। আর পদাতিক ভাইয়ের আন্তরিকতার গল্প রাজিব ভাইয়ের লিখায় পড়েছিলাম। এখন আবার আপনার লিখায় পড়ে ভালো লাগছে। উনার আন্তরিকতা অতুলনীয়।
পদাতিক ভাই, আমিও আসতাছি.................. হাহাহাহাহাাহ
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: ব্লগ জগতে পরস্পরের প্রতি আমরা কতটা আন্তরিক সেটা পদাতিক চৌধুরি বুঝিয়ে দিয়েছেন। কোলকাতায় গেলে সুযোগ সময় থাকলে পদাতিক অবশ্যই আপ্যায়ন করতে দ্বিধা করবে না। ধন্যবাদ বোন
১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক,
সন্দেহ নেই " পদাতিক চৌধুরী" নির্মল মনের একজন মানুষ। বিভিন্ন সময়ে ব্লগারদের লেখা বা মন্তব্যের আলাপচারিতায় পদাতিক চৌধুরীর বন্ধুবৎসলতা আর অকৃত্রিম আতিথেয়তার যে সব কথা উঠে এসেছে তাতে তাকে ভ্রাতৃপ্রতিম, মানবিক এক সহব্লগার হিসেবে মেনে নিতেই হয়। তার সব লেখাতেও মানবিকতার, বন্ধুত্বের যে ছবি আমরা দেখি তা পদাতিক চৌধুরীর ভেতরের মানুষটির কারনেই। উনি যেন এমন করেই সব মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারেন, সে প্রার্থনা করি।
আর আপনাকে দেখে, আপনার সুস্থ্যতার কথা জেনে ভালো লাগছে।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ গুরু। অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম। আপনি কেমন আছেন?
পদাতিক চৌধুরির আন্তরিকতা আমি কোন দিনই ভুলতে পারবো না। তার সাথে দেখা করতে না পারলেও তার এমন আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ।
১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: আপনি আবারো ব্লগে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগছে।
অনেক দিন আগে আপনি একটা পোস্ট দিয়েছিলেন যে, আপনি প্রতিদিন চার চার করে আট মাইল হেঁটে স্কুলে যেতেন। আজকাল ডাক্তাররা হার্ট সুস্থ রাখার জন্য হাঁটতে বলেন। আপনি এত হেঁটেছেন, আপনার কেন হার্টের রোগে ধরল জানিনা।
সুস্থ থাকুন, শুভকামনা রইল।
১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: হার্টের রোগ যখন ধরে তখন আমার বিলাসী জীবন ছিল। মাইলের পর মাইল হাঁটা মানুষ যখন অফিস আর বাসা রিক্সায় যাতায়াত শুরু করলাম তখনই শরীরের রেজিস্টেন্স পাওয়ার কমে গেল। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরির জন্যও শুভকামনা।
১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক দা খুব ভালো এবং অমায়িক একজন মানুষ।
আপনি এখন ভালো আছেন আশা করি।
১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: ইনশাল্লাহ অনেকটা ভালো।
১৮| ০২ রা মে, ২০২৩ রাত ৮:৩২
মেহবুবা বলেছেন: আশা করছি সুস্থ আছেন, ভাল থাকুন।
পদাতিক চৌধুরী যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন সেটা আজকাল কমে গেলেও হারিয়ে যে যায়নি প্রমাণ পাওয়া গেল। এজন্যই তো পৃথিবী এত সুন্দর! আমার তো মরুভূমির জলদস্যুর মন্তব্যে সহমত।
আমি কখনো ভারতে যাইনি। ভারতে বসবাস করছে এমন একজন যাকে পুলিন মামী ডাকি এদেশে এসেছিলেন , বলেছিলাম যাবো বেড়াতে। উনি বলে দিলেন কম করে হলেও যেন এক মাস সময় নিয়ে যাই; না হলে আটকে রাখবেন সবাই মিলে।
এ পোষ্ট পড়ে মনে এল।
১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:০২
প্রামানিক বলেছেন: ভারতের আতিথেয়তা নিয়ে বাংলাদেশের বাঙালিদের অভিযোগ থাকলেও আমি পদাতিকের কাছে যে আতিথেয়তা পেয়েছি তার তুলনা নাই। তার আচরণে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। তার এরকম সহযোগীতা এবং সারা রাত আমার জন্য জেগে থাকার বিষয়টি আমি কখনই ভুলতে পারবো না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এতোবার বলার পরেও আপনি গেলেন না!!
- কখনো আমার কলকাতা যাওয়ার সুযোগ হলে আমি ২ বার পদাতিক চৌধুরির সাথে দেখা করে আসবোনে।