নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আগের দিনের ইলেকশনে
ছিল কত মজা
মিছিল শেষে খেতে পেতাম
মুড়ি, মুড়কি, গজা।
গৃহস্থ বাড়ির খড়ের গাদায়
ছিল মোদের আসন
গামছার মাঝে খাবার দিত
ছিল না তো বাসন।
পোলাও, বিরানী ছিল না তো
ছিল না রে টাকা
সারা দিনমান ঘুরে বেড়াতাম
পকেট রেখে ফাঁকা।
আনন্দতে মিছিল করতাম
ঘুরতাম গাঁয়ে গাঁয়ে
চটি জুতা ছিঁড়লে পরে
হাঁটতাম খালি পায়ে।
রিক্সা গাড়ি কিছু ছিল না
ভাঙা মাটির রাস্তা
মাঠের পরে মাঠ পেরোতাম
ছিল মনের আস্থা।
চোঙা দিয়ে স্লোগান দিতাম
চাচা ভাতিজা নাই
সম্পর্কটা যাহাই হোক না
ছেলেও বলতো ভাই।
অমুক ভাইয়ের মার্কা কি
বলতে চোঙা থেকে
পিছন থেকে গলা ফাটিয়ে
উঠতো সবাই হেকে।
কেউবা থাকতো গম্ভীর মুখে
গাঁয়ের মাতবর যারা
ভোটার পেলেই জাঁকিয়ে ধরতাম
মিছিল করে খাড়া।
ভোটের জন্য ঘুরে বেড়ানো
মজাই লাগতো ভাই
বর্তমানে মিছিল থাকলেও
সেই মজা আর নাই।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
নীলসাধু বলেছেন: মজা কমেছে। সবখানেই প্রামানিক ভাই। বদলে গেছে স্বদেশ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, ব্লগেও মজা নাই ইলেক্শনেও মজা নাই
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
খুব ভালো হয়েছে, গুরু!!!
আমি সিলেটে নির্বচনের আমেজ পাচ্ছি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
প্রামানিক বলেছেন: আগে সারা বাংলাদেশেই এই চিত্র ছিল
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: আইয়ুব খাঁর প্রচারেও যেতাম আবার ফাতেমা জিন্নার প্রচারেও যেতাম। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময় ছোট ছিলাম তাপ পরেও ছাতা মার্কা নিয়ে লাফালাফি করতাম।তার পর আমার বাবা একবার ইলেকশনে দাড়িয়ে ছিলো সেটাই ইলেকশনের প্রচারে শেষ লাফালাফি।সবই হয়েছে ৭১ এর আগে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: ছোট থাকতে আমাদের কোন দল ছিল না যে দল সামনে পেতাম তারই মিছিলে যোগ দিতাম। কে কোন দলের এটা কেউ জিজ্ঞাসাও করতো না। ধন্যবাদ পুরানো দিনের স্মৃতি তুলে ধরার জন্য।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। মনে পরে গেল ২০০১ এর নির্বাচন। মুড়ি মুড়কির জাইগাই সিঙ্গারা খেয়েছিলাম ঃদ
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: নব্বইয়ের পরে চা সিঙ্গারা শুরু হয়েছে, আগে চিড়া মুড়ি ছিল।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩০
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। মনে পরে গেল ২০০১ এর নির্বাচন। মুড়ি মুড়কির জায়গায় সিঙ্গারা খেয়েছিলাম
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৮
সামরিন হক বলেছেন: অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপনার কবিতা পড়ে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: নষ্টালজিক কবিতা!! অনেক কিছু বদলে গেছে!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: আগের মত এখন আর সেই আনন্দ নাই
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০০
জিকোব্লগ বলেছেন:
যেভাবে দেখা যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার মত করে দেশে নির্বাচন হয়ে সামনে অনেক মজা আসবে।
তখন নির্বাচনের দিনে সব নাগরিককে ভোট দিতে খুব ভোরে নির্বাচন কেন্দ্রে হাজির হতে হবে। এরপর
ভোটার যখন ভোটকেন্দ্রে ঢুকবেন, তখন তার হাতে একটি ব্যালট পেপার দেয়া হবে। ব্যালট পেপারে
একটাই নাম থাকবে। সেখানে কোন কিছু লিখতে হবে না। কোন বাক্সে টিক চিহ্ন থাকবে না।
ভোটার শুধু ব্যালট পেপারটি নিয়ে একটি বাক্সে ভরে দেবে। 'ভোট দেয়া' শেষ হয়ে গেলে ভোটাররা
নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে যাবেন এবং সেখানে উপস্থিত অন্যান্য ভোটারদের সাথে মিলে বাধ্যতামূলক
মজা করবেন এই কারণে যে দেশের সুযোগ্য নেতাদের প্রতি সমর্থন জানাতে পেরে আপনি খুবই খুশি।
মজাই আর মজাই
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন উত্তর কোরিয়ায় বিরোধীদলের কোন অস্তিত্বই নেই। কিন্তু জেনে অবাক
হবেন যে সে দেশের সংসদে তিনটি দল রয়েছে।কিম জং-আনের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির রয়েছে
সবচেয়ে বেশি আসন।অন্যদিকে, সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টি আর চন্ডোইস্ট চঙ্গু পার্টির সামান্য কিছু
আসন রয়েছে। তবে এই তিনটি দলের মধ্যে বিশেষ কোন তফাৎ নেই। তারা সবাই মিলে তৈরি করেছে
এক জোট যেটি মূলত দেশ পরিচালনা করে। এই জোটের নাম 'ডেমোক্র্যাটিক ফন্ট ফর দ্য রিইউনিফিকেশন
অফ কোরিয়া।'
বিস্তারিত তথ্যসূত্র : বিবিসি -উত্তর কোরিয়ার সংসদ নির্বাচনে কেন ১০০% ভোট পড়ে?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: আমরাও আস্তে আস্তে সেই পথেই যাচ্ছি
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমানে দেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নয়। এমনকি তারা ভোট দিতে পারবে কি না সেটা নিয়েও চিন্তিত নয়। কারন জনগন জানে কি হবে? কেমন করে হবে?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: চরম সত্য কথা, আগে ইলেকশন আসলে কে কাকে সাপোর্ট করবে তার একটা হিড়িক পড়ে যেত এখন ইলেকশনের কথা দু'চারজন ছাড়া সাধারণ মানুষ বলেই না।
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি ছোট বেলায় আমার বড় মামার মেম্বার নির্বাচন করেছিলাম। তখন অনেক ছোট, তবে অনেক আনন্দ হয়েছিল। মিছিল করা, চা খাওয়া। মাইক নিয়ে প্রচারনা করা। একটা উৎসব উৎসব আবহওয়া ছিল।
এখন মানুষ নির্বাচন শুনলেই ঘরে বসে ঘুমায় । ওটা এখন ছুটির দিন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
প্রামানিক বলেছেন: পাশ করুক বা না করুক আগে জনগণ তাদের পছন্দ মতো ভোট দিত এবং ইলেকশনের দিন অধীর আগ্রহ নিয়ে সারা রাত ভোটের রেজাল্ট শোনার জন্য বসে থাকতো। এখন ইলেকশনের দিন পিকনিক করে। সেই ইলেকশনের আনন্দই আর নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর। আমাদের সময়ে এমন নির্বাচন হতো
খুব আনন্দের দিন হতো সেদিন