নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্লোভ ভাসানি

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

শ্রদ্ধেয় নেতা তিনি
মওলানা ভাসানি
চোখে মুখে সৎ ছিলেন
ছিল তার শাসানি।

একদিন এলো পুলিশ
ভাসানির বাড়িতে
ঝুরি কতেক আম ছিল
পুলিশের গাড়িতে।

ঝুরিগুলো নিয়ে এসে
বলে "হুজুর নিয়ে যান
আমগুলো পাঠিয়েছেন
ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান"।

রেগে গিয়ে বলেন তিনি--
“সব আম নিয়ে যা
যেথার আম সেথায় নিয়ে
তোরা সব মিলে খা”।

বড় মেয়ে ছুটে এসে
বলে “বাবা কর কি?
বড় বড় আমগুলো
দিয়ে দিবে সব ঝুরি”?

রেগে গিয়ে বলে বাছা,
‘একদম চুপ থাক
লাঠি সোটা নিয়ে আয়
জনগণকে দে ডাক"।

"লাথি মেরে ফেলে দে
আমের ঝুরি কর ফাঁকা
ঝুরির ভিতর পাঠিয়েছে
আইয়ুবের ঘুষের টাকা"।’

ধমক খেয়ে পুলিশগুলো
আম নিয়ে যায় চলে
এমন সুযোগ ছাড়তো কেউ
এখনকার নেতা হলে?

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আহা! এমন নেতা কি দেশে আর কভু জন্ম নিবে?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

প্রামানিক বলেছেন: এমন নেতা ভাবিষ্যতে পাবো কিনা সন্দেহ আছে

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আইয়ুবের ঘুষের টাকা,
এখনসব গেলো কই!
দেশ ভরা চামচিকা,
করছে দেখুন হৈ হৈ!!!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

প্রামানিক বলেছেন: এদের জন্য দেশটা
একশ' বছর পিছিয়ে
এই ঘাটতি পুরণ করবে
জনগণ কি দিয়ে।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার ছড়া কবিতা সব সময়ই অনন্য। দীর্ঘ সময় আপনার ছড়া কবিতার অভাব অনুভব করেছি।



২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১০

প্রামানিক বলেছেন: শারিরীক মানসিক বিভিন্ন কারণে এতদিন ব্লগে আসলেও লেখা হয় নাই। ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন: এদের জন্য দেশটা
একশ' বছর পিছিয়ে
এই ঘাটতি পুরণ করবে
জনগণ কি দিয়ে।
================

জনগণই ঠিক করুক
কাটাবে কেমন রাতটি,
খোদার হাঁতে দেশ সঁপবে
পূরণ করতে ঘাটতি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

প্রামানিক বলেছেন: জনগণের ঐক্য নাই
তাই তারা পারে না
সেই জন্য ভুতের আছর
কোন ভাবেই ছাড়ে না।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



বড়ই আচানক ঘটনা!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

প্রামানিক বলেছেন: এটা ভাসানীর জীবনে বাস্তব ঘটনা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



লেখক বলেছেন:
জনগণের ঐক্য নাই
তাই তারা পারে না
সেই জন্য ভুতের আছর
কোন ভাবেই ছাড়ে না।
================

সর্ষের ভিতর ভূত যখন
পারবে কেমনে জনগণ!
ঘুষের ঘুষিতে কুপোকাত,
মাথা করছে বনবন!


২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

প্রামানিক বলেছেন: ঘুষের জ্বালায় তুষের মতো
জ্বলছে এখন জনগণ
নেতার আস্বাস বক্তৃতে
কাজের বেলায় ঠনঠন।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন সুন্দর হয়েছে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

প্রামানিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখ লাগে এই মহান নেতার নাম গত পনের বছরে কেউ মুখেও নেয় নাই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

প্রামানিক বলেছেন: অথচ এক সময় তাকে সব দলের লোকই শ্রদ্ধা করতো। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সব দলের লোক টাঙ্গাইল চলে যেত সাথে আমিও কয়েকবার গিয়েছি।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: আহারে আমগুলো খেতে কতো মিষ্টি
টাকাটাও নিলনা, দিলনা আর দৃষ্টি
এমন কান্ড এখন কী কেউ করে?
যত পায় ফটাফট পকেটে নেয় ভরে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: তিনি ছিলেন মজলুম নেতা
লোভ ছিল না তাই
ঘুষের টাকা সামনে পেলেও
ঘুষ খায়নি তাই।

১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

নীলসাধু বলেছেন: সেই নেতা সেই দেশ বদলে গেছে ভাই।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, নিজের চোখেই তো অনেক কিছু দেখলাম।

১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ১৫ আগস্টের কলঙ্কজনক ঘটনার পর ভাসানী কেন কোন প্রতিক্রিয়া জানান নি, সেটার কারণ কি হতে পারে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: সেই সময়ের প্রেক্ষাপট ঘাটলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

করুণাধারা বলেছেন: এই ঘটনা জানা ছিল না। কবিতায় সুন্দরভাবে মাওলানা ভাসানীর নির্লোভ চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ভাসানির আরো অনেক ঘটনা জানা আছে কিন্তু মিডিয়াতে দিলেই অনেকেই সেটা কপি করে নিজ নামে হ্যাক করে ফেলে। একবার ফেসবুকে কয়েকটি ভাসানির ঘটনা পোষ্ট করেছিলাম। একমাস পরে দেখি কমপক্ষে একশত জন তাদের নিজ নামে পোষ্ট করেছে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

জুন বলেছেন: আসলেই একজন নির্লোভ দেশপ্রেমিক মানুষ যার জন্য আন্তরিক শ্রদ্ধা সবসময় প্রামাণিক ভাই। খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
+

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

প্রামানিক বলেছেন: তার মতো এমন চরিত্রের নেতা আমি আর পাই নাই এবং ভবিষ্যতেও পাবো কিনা জানি না। ভাসানি এতো বড় রাজনৈতিক নেতা হওয়ার পরও ধানের নাড়া বিছিয়ে তার উপর কাঁথা পেরে শুয়ে থাকতেন। এখন কি এরকম নেতা ভাবা যায়।

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: বহু বার জনসভায় তার খামোশ শব্দটি শুনেছি।।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: তার খামোশ শব্দের এতো পাওয়ার ছিল খামোশ বলাল সাথে সাথে জনসভা নিস্তব্ধ হয়ে যেত।

১৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: নতুন একজন মজলুম জননেতার খুব খুব প্রয়োজন। আসবে কি ফিরে সেই কান্ডারী?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: এরকম নেতা বর্তমানে নাই ভবিষ্যতে আসবে কি না জানি না।

১৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভাসানী মহান নেতা।
তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা যাবে না।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

প্রামানিক বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন। বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস লিখতে গেলে তার নাম অটোতে এসে যায়।

১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনি গর্ব করার মতো নেতা। মাওলানা ভাসানী অদ্ভুত সুন্দর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১২

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই রাজনৈতিক জীবনে তার তুলনা নাই।

১৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। এভাবেই তিনি স্মৃতিরপাতায় থাকবেন। বাঙ্গালি তাকে মনে করবে, তার অবদান মনে করবে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তার অবদান মনে রাখার মত।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেক রাগী একজন মানুষ ছিলেন। শেষ বয়সে এসে রাগের মাথায় কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিল সত্যিকার অর্থে একজন রাজনীতিবিদের মতো।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০

প্রামানিক বলেছেন: ভাসানী স্বাধীনতার পরে যে রকম বাংলাদেশ আশা করেছিলেন সেরকম না হওয়ায় উল্টাপাল্টা কাজ করেছেন।

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: অনেকদিন পর প্রামানিক ভাই-এর পোস্টে মন্তব্য করতে পারছি, খুব খুশি লাগছে।
আপনার ছড়া করার প্রতিভায় আমি ঈর্ষান্বিত।

বিষয়বস্তু চমৎকার, এরকম একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে গল্পে বেঁধে ছড়া করা সহজ নয়।
ভাল থাকবেন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

প্রামানিক বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। চেষ্টা করতেছি ব্লগে নিয়মিত হওয়ার জন্য।

২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




মাওলানা আবদুল হামিদ ভাসানিকে নিয়ে সুন্দর ছড়া লিখেছেন ।
মাওলানা ভাসানির নেতৃত্বে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখী সেই বিখ্যাত
ঐতিহাসিক মিছিলে যোগদানের সৌভাগ্য হয়েছিল ।

মাওলানা ভাসানি ছিলেন বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের প্রতি অকৃত্রিম একজন জন দরদী নেতা।
ভাসানি ছিলেন একজন ত্রিকালদর্শী মাওলানা। ইংরেজ আমলে আসামে আরম্ভ তার কর্মতৎপরতা।
পাকিস্তান আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি এক বলিষ্ঠ চেতনা।বাংলাদেশেও তার অনমনীয় কণ্ঠে ছিল
বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের বজ্র উচ্চারণ। ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হলে বঞ্চিত মানুষ তাঁর
অধিকার সমানভাবে পাবে এই বিশ্বাস লালন করতেন মাওলানা ভাসানি। তাঁর জীবনের শেষ সৃষ্টি
সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, ‘শিক্ষা প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরজ’- ইসলামের
এই শাশ্বত বাণী তিনি সারা জীবন মনেপ্রাণে বাস্তবায়ন করেছেন।

জনদরদী তো অনেকই ছিলেন। কিন্তু মাওলানা আবদুল হামিদ খানা ভাসানি কেনো এতটা উজ্জ্বল এবং
প্রত্যুজ্জ্বল হয়ে উঠলেন? মূলত কিছু মানুষ অন্যায় দেখলেই ব্যথিত হন। তাদের মধ্যে যারা এই অন্যায়ের
প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন না, তাদের সংখ্যা অনেক বেশি। এগিয়ে আসার সংখ্যা অনেক কম। অন্যায়ের
প্রতিবাদে এগিয়ে আসার এই স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যখন ধর্মীয় আবেগ ও দায়িত্ব-চেতনা যুক্ত হয়,
তখন সেটির প্রবাহ সহস্র গুণে বৃদ্ধি পেয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি
এই চেতনার বলেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। তালপাতার টুপি পড়ে, পাজামা পাঞ্জাবি গায়ে চড়িয়ে
ঘুরে বেরিয়েছেন বিশ্ব। আর্ত মানবতার পক্ষে উচ্চকিত করেছিলেন কণ্ঠস্বর।এক মাওলানা হয়ে উঠেছিলেন
বঞ্চিতদের অধিকার পাবার হাতিয়ার।

খোদাপরস্ত মানুষ মাওলানা ভাসানি। তার রাজনৈতিক জীবনেও ছিল ইবাদত-বন্দেগির নিয়মিত রুটিন।
বাংলাদেশ ও আসামে ছিল তার হাজার হাজার মুরিদান। তবুও দীনবেশে, চটিজোড়া পায়ে পড়ে কাটিয়ে
দিয়েছেন জীবন। তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, আমাদেরকে অবশ্যই শোষণহীন
ভ্রাতৃত্বময় সাম্যবাদী সমাজ কায়েম করতে হবে। যাতে আল্লাহর প্রত্যেক বান্দা নিশ্চিন্ত মনে ইবাদাত
বন্দেগি করতে সক্ষম হয়। এটাই হবে সকলের প্রচেষ্টা। মাওলানা ভাসানি তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে
যেতে পারেননি। কিন্তু একটা আবহাওয়া ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন সমগ্র দেশব্যপি।

নিমাওলানা ভাসানি ছিলেন বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের প্রতি অকৃত্রিম এক দরদী নেতা।
ভাসানি ছিলেন একজন ত্রিকালদর্শী মাওলানা। ইংরেজ আমলে আসামে আরম্ভ তার কর্মতৎপরতা।
পাকিস্তান আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি এক বলিষ্ঠ চেতনা। বাংলাদেশেও তার অনমনীয় কণ্ঠে ছিল
বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের বজ্র উচ্চারণ। ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হলে বঞ্চিত মানুষ তার
অধিকার সমানভাবে পাবে—এই বিশ্বাস লালন করতেন মাওলানা ভাসানি। তার জীবনের শেষ সৃষ্টি
সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, ‘শিক্ষা প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরজ’- ইসলামের
এই শাশ্বত বাণী তিনি সারা জীবন মনেপ্রাণে বাস্তবায়ন করেছেন।

জনদরদী তো অনেকই ছিলেন। কিন্তু মাওলানা আবদুল হামিদ খানা ভাসানি কেনো এতটা উজ্জ্বল এবং
প্রত্যুজ্জ্বল হয়ে উঠলেন? মূলত কিছু মানুষ অন্যায় দেখলেই ব্যথিত হন। তাদের মধ্যে যারা এই অন্যায়ের
প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন না, তাদের সংখ্যা অনেক বেশি। এগিয়ে আসার সংখ্যা অনেক কম। অন্যায়ের
প্রতিবাদে এগিয়ে আসার এই স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যখন ধর্মীয় আবেগ ও দায়িত্ব-চেতনা যুক্ত হয়,
তখন সেটির প্রবাহ সহস্র গুণে বৃদ্ধি পেয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি
এই চেতনার বলেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। তালপাতার টুপি পড়ে, পাজামা পাঞ্জাবি গায়ে চড়িয়ে
ঘুরে বেরিয়েছেন বিশ্ব। আর্ত মানবতার পক্ষে উচ্চকিত করেছিলেন কণ্ঠস্বর।এক মাওলানা হয়ে উঠেছিলেন
বঞ্চিতদের অধিকার পাবার হাতিয়ার।

খোদাপরস্ত মানুষ মাওলানা ভাসানি। তার রাজনৈতিক জীবনেও ছিল ইবাদত-বন্দেগির নিয়মিত রুটিন।
বাংলাদেশ ও আসামে ছিল তার হাজার হাজার মুরিদান।তবুও দীনবেশে,চটিজোড়া পায়ে পড়ে কাটিয়ে
দিয়েছেন জীবন। তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, আমাদেরকে অবশ্যই শোষণহীন
ভ্রাতৃত্বময় সাম্যবাদী সমাজ কায়েম করতে হবে। যাতে আল্লাহর প্রত্যেক বান্দা নিশ্চিন্ত মনে ইবাদাত
বন্দেগি করতে সক্ষম হয়। মাওলানা ভাসানি তাঁর স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।
তবে একটা আবহ ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন সমগ্র দেশব্যপি ।

নির্লোভ জননেতা মাওলানা ভাসানির প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী।

আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।

২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

উপরের মন্ত্যবে ছবি যুক্ত হয়ে কয়েকটি প্যারা দুইবার করে এসেছে ।
তাই দয়া করে উপরের ২১ নং প্যরাটি শুছে দিবেন ।


মাওলানা আবদুল হামিদ ভাসানিকে নিয়ে সুন্দর ছড়া লিখেছেন ।
মাওলানা ভাসানির নেতৃত্বে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখী সেই বিখ্যাত
ঐতিহাসিক মিছিলে যোগদানের সৌভাগ্য হয়েছিল ।

মাওলানা ভাসানি ছিলেন বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের প্রতি অকৃত্রিম একজন জন দরদী নেতা।
ভাসানি ছিলেন একজন ত্রিকালদর্শী মাওলানা। ইংরেজ আমলে আসামে আরম্ভ তার কর্মতৎপরতা।
পাকিস্তান আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি এক বলিষ্ঠ চেতনা।বাংলাদেশেও তার অনমনীয় কণ্ঠে ছিল
বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের বজ্র উচ্চারণ। ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হলে বঞ্চিত মানুষ তাঁর
অধিকার সমানভাবে পাবে এই বিশ্বাস লালন করতেন মাওলানা ভাসানি। তাঁর জীবনের শেষ সৃষ্টি
সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, ‘শিক্ষা প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরজ’- ইসলামের
এই শাশ্বত বাণী তিনি সারা জীবন মনেপ্রাণে বাস্তবায়ন করেছেন।

জনদরদী তো অনেকই ছিলেন। কিন্তু মাওলানা আবদুল হামিদ খানা ভাসানি কেনো এতটা উজ্জ্বল এবং
প্রত্যুজ্জ্বল হয়ে উঠলেন? মূলত কিছু মানুষ অন্যায় দেখলেই ব্যথিত হন। তাদের মধ্যে যারা এই অন্যায়ের
প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন না, তাদের সংখ্যা অনেক বেশি। এগিয়ে আসার সংখ্যা অনেক কম। অন্যায়ের
প্রতিবাদে এগিয়ে আসার এই স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যখন ধর্মীয় আবেগ ও দায়িত্ব-চেতনা যুক্ত হয়,
তখন সেটির প্রবাহ সহস্র গুণে বৃদ্ধি পেয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি
এই চেতনার বলেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। তালপাতার টুপি পড়ে, পাজামা পাঞ্জাবি গায়ে চড়িয়ে
ঘুরে বেরিয়েছেন বিশ্ব। আর্ত মানবতার পক্ষে উচ্চকিত করেছিলেন কণ্ঠস্বর।এক মাওলানা হয়ে উঠেছিলেন
বঞ্চিতদের অধিকার পাবার হাতিয়ার।

খোদাপরস্ত মানুষ মাওলানা ভাসানি। তার রাজনৈতিক জীবনেও ছিল ইবাদত-বন্দেগির নিয়মিত রুটিন।
বাংলাদেশ ও আসামে ছিল তার হাজার হাজার মুরিদান। তবুও দীনবেশে, চটিজোড়া পায়ে পড়ে কাটিয়ে
দিয়েছেন জীবন। তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, আমাদেরকে অবশ্যই শোষণহীন
ভ্রাতৃত্বময় সাম্যবাদী সমাজ কায়েম করতে হবে। যাতে আল্লাহর প্রত্যেক বান্দা নিশ্চিন্ত মনে ইবাদাত
বন্দেগি করতে সক্ষম হয়। এটাই হবে সকলের প্রচেষ্টা। মাওলানা ভাসানি তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে
যেতে পারেননি। কিন্তু একটা আবহাওয়া ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন সমগ্র দেশব্যপি।

নির্লোভ জননেতা মাওলানা ভাসানির প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী।

আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো কথারে ভাই। এগুলো এখন রুপকথা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১১

প্রামানিক বলেছেন: আসলেই রুপকথার মতই মনে হচ্ছে অথচ ভাসানীর জীবনে সততার এসব ঘটনা ছিল বাস্তব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.