নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

pramanik99

আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোতে।

প্রামানিক

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

প্রামানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম দিয়েছিলেন। কলেজের স্কাউট হওয়ায় তিনিও ঐ ট্রেনিংয়ে যুক্ত হন। কলেজে রোভার স্কাউটদের ট্রেনিং করানোর জন্য অনেকগুলা কাঠের রাইফেল ছিল। অধ্যক্ষ ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ কাঠের রাইফেলগুলো যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়ে সহযোগীতা করেন। ঐ কাঠের রাইফেলগুলো দিয়েই গাইবান্ধা কলেজে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং শুরু হয়।

সেই সময় বড় ভাই গাইবান্ধা কলেছে পড়ার জন্য শহরের খান ব্রাদার্স এর মালিকের বাসায় ভাড়া থাকতেন। সাথে থাকতেন ফুলছড়ি বাজারের রব্বানী ভাই (যিনি দেশ স্বাধীনের পরে গাইবান্ধা সোনালী ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হয়েছিলেন)। কয়েকদিন পরে বড়ভাই গাইবান্ধা শহর থেকে গ্রামে চলে আসেন। গ্রামে এসে দেলোয়ার ভাই, আব্দুর রহমান ভাইসহ এলাকার অনেক ছাত্রদের একত্রিত করে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য একটি মুক্তিযোদ্ধা স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেন। তাদের এই চেষ্টার সফলতা স্বরুপ অনেক স্কুল কলেজের ছাত্র এসে স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দেন। স্বেচ্ছায় স্বর্তস্ফুর্তভাবে এই দলে যোগ দেয়ার কারণ হলো-- একদিকে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার প্রবল ইচ্ছা অপর দিকে অত্যাচারী লুটেরা পশ্চিম পাকিস্থানীদের কাছ থেকে পুরোপুরি এদেশকে মুক্ত করা। এদেশকে স্বাধীন করার জন্য ছাত্র জনতা মিলিতভাবেই সচেষ্ট হয়ে উঠে। তরুণ যুবকদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করার আরেকটি কারণ হলো তখনো বাংলাদেশে কোন রাজাকারের সংগঠন তৈরী হয় নাই। শহর এলাকায় দালালদের অত্যাচার থাকলেও রাজনৈতিকভাবে কোন দালাল আমাদের এলাকায় তখনও ছিল না, দালাল না থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগ দিতে কেউ ভীতিবোধ করে নাই।

মুক্তিযুদ্ধের এই স্বেচ্ছাসেবক দলকে সহযোগীতার জন্য এলাকার কিছু গন্যমান্য ব্যক্তিও এগিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোঃ সাফায়েত আলী প্রধান, সোলায়মান আলী প্রামানিক এবং দেলোয়ার হোসেন মাস্টার। সাফায়াত মৌলভী সাহেব প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। প্রথম দিন তিনিই ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন করেন। এর পর ট্রেনিং করানোর জন্য মোঃ বণিজ মিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়। বণিজ মিয়া সেই সময়ের পাকিস্তান সরকারে ট্রেনিং প্রাপ্ত আনসার সদস্য ছিলেন। উনাকেই ট্রেনিং কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। বণিজ মিয়া আমাদের সিংড়িয়া গ্রামেরই লোক ছিলেন। আমাদের বাড়ি থেকে কয়েকশত গজ উত্তরে বাড়ি ছিল। তার শ^শুরের নাম আব্দুল আজীজ। উনি আব্দুল আজীজ মিয়ার বড় জামাই ছিলেন এবং শ^শুর বাড়িতেই থাকতেন।
মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংয়ের জন্য মোটামুটি একটি সংগঠন দাঁড় হলে বণিজ মিয়া কমান্ডার হিসাবে প্রত্যেক দিন বিকাল বেলা কাতলামারী তহশীল অফিসের সামনে এসে হাজির হতেন। তখন অত্র এলাকায় আর কোন বড় মাঠ ছিল না। ফুলছড়ি থানার সিংড়িয়া গ্রামের কাতলামারী তহশীল অফিসের পূর্ব পাশে অনেক বড় একটি মাঠ ছিল। যে মাঠে গ্রামের ছেলেরা এসে ফুটবল, ভলিবল, দাড়িয়াবান্ধাসহ নানা ধরনের খেলাধুলা করতো, সেই মাঠকেই ট্রেনিং করানোর জন্য উপযুক্ত মনে করা হলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই মাঠেই কয়েক গ্রাম থেকে ছাত্ররা এসে জড় হতো। ছাত্রদের মোটামুটি একটা সংখ্যা জমায়েত হলেই ট্রেনিং শুরু করতেন। এই ট্রেনিংয়ে নির্দিষ্ট কোন সদস্য সংখ্যা ছিল না গ্রামের ছাত্রদের উপস্থিতির উপরে সদস্য সংখ্যা কম বেশি হতো।

কমান্ডার বণিজ মিয়া প্রথম দিকে দুই তিনদিন লু্িঙ্গ পরে ট্রেনিং করালেও পরবর্তীতে তিনি আনসার বাহিনীর দেয়া খাকি পোষাক পরে আসতেন। তার পোষাকের সাথে ট্রেনিং করানোর হুইসেল বাঁশিও ছিল। কিছুদিন মুখে কমান্ড দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ডিসিপ্লিন তৈরী হলে পরবর্তীতে তিনি বাঁশির হুইসেল দিয়ে কমান্ড দিতেন। অল্পদিনেই দক্ষ কমান্ডের কারণে মুক্তিযুদ্ধের এই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীটি একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিণত হয়। লেফট রাইট, কুইক মার্চ, এবাউট টার্ন, স্ট্যাডার্ড আপ এইসব কমান্ড গুলো সবাই এতো সুশৃঙ্খল ভাবে পালন করতো-- দেখে বোঝাই যেত না একদল দামাল ছেলের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য স্বেচ্ছায় নাম দেয়া একটি স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা যখন পিডি প্যারেড করতো তখন তাদের পিডি প্যারেড দেখার জন্য গ্রামের অনেক লোক এসে দাঁড়িয়ে থাকতেন। উল্লেখ্য যে-- সে সময় বাংলায় কমান্ড দেয়ার প্রচলন খুব কম ছিল, ব্রিটিশদের শেখানো ইংলিশেই কমান্ড বেশি হতো। কারণ পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষার পার্থক্যর কারণে বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীদের কমান্ড ইংলিশেই চালু ছিল।

প্রথম ট্রেনিং শুরু হয়েছিল বাঁশের লাঠি দিয়ে। সবাই ট্রেনিংয়ে আসার সময় বাড়ি থেকে একটা করে মুঠো সাইজের তিনহাত লম্বা বাঁশের লাঠি নিয়ে আসতেন। লাঠি ঘাড়ে নিয়েই রাইফেলের বিকল্প হিসাবে ট্রেনিং চলতো। বাঁশের লাঠি নিয়ে ট্রেনিং করে অল্প দিনেই একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী তৈরী হয়ে গেল। কিন্তু সমস্যা হলো বাঁশের লাঠি নিয়ে লেফট রাইট করা গেলেও রাইফেল না থাকায় রাইফেলের প্রাকটিকেল যন্ত্রাংশের কোন কিছু শেখানো সম্ভব হতো না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমার বড় ভাই এবং দেলোয়ার ভাইসহ কয়েকজন ছাত্র গাইবান্ধা কলেজ গিয়ে রোভার স্কাউটদের ট্রেনিং করানোর জন্য যে কাঠের রাইফেলগুলো ছিল যেগুলো দিয়ে কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং চলতেছিল তারই একটি চেয়ে আনেন। এই কাঠের রাইফেলটি আনার পরে ট্রেনিংয়ের ধরন পাল্টে যায়। পিটি প্যারেড বাঁশের লাঠি দিয়ে হলেও রাইফেলের মেকানিকেল ট্রেনিংগুলো এই কাঠের রাইফেল দিয়ে শেখানো হতো। উল্লেখ্য যে-- যদিও এটা কাঠের রাইফেল ছিল তারপরেও এটা পুরোপুরি কাঠের ছিল না। বাট, বডি এবং ম্যাগজিন রাইফেলের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরী হওয়ায় দেখতে অবিকল রাইফেলের মতো ছিল শুধু বুলেট চালানোর জন্য বাস্তবে কোন ব্যারেল ছিল না। ব্যারেল অংশে পুরোপুরি কাঠ লাগানো ছিল। কাঠের ব্যারেলের ভিতরে কোন ছিদ্র না থাকায় রাইফেলের মেকানিকেল ট্রেনিং কাক করা, ট্রিগার চালানো, ম্যাগজিন খোলা লাগানোসহ অনেক কিছু শেখানো সম্ভব হলেও বুলেট লোড করে গুলি করার মতো কোন ট্রেনিং করানো সম্ভব হয় নাই। তারপরেও থ্রী নট থ্রী রাইফেলের ৮০% ট্রেনিং ঐ কাঠের রাইফেল দিয়েই কমান্ডার বণিজ মিয়া শিখিয়েছিলেন।

এই ট্রেনিংয়ে যারা অংশগ্রহন করেছিলেন নিচে তাদের অনেকের নাম দেয়া হলো--
১. মোঃ ইসাহক আলী গ্রামঃ সিংড়িয়া
২. মোঃ আব্দুর রহমান গ্রামঃ রতনপুর
৩. মোঃ দেলোয়ার হোসেন গ্রামঃ সিংড়িয়া
৪. মোঃ মজিবর রহমান গ্রামঃ সিংড়িয়া (আনসার সদস্য ছিলেন)
৫. মোঃ নজরুল ইসলাম গ্রামঃ কাতলামারী (বীর মুক্তিযোদ্ধা)।
৬. মোঃ রবিউল মিয়া গ্রামঃ গুনভরি উড়িয়া
৭. মোঃ হবিবর রহমান হবি গ্রামঃ কাতলামারী
৮. মোঃ আব্দুর রহমান গ্রামঃ কাতলামারী
৯. শ্রী কিশোরী বল্লভ গ্রামঃ সিংড়িয়া
১০. শ্রী বুধা মন্ডল গ্রামঃ সিংড়িয়া
১১. শ্রী সন্তোষ কুমার সরকার গ্রামঃ সিংড়িয়া
১২. শ্রী ভবতরন সরকার গ্রামঃ সিংড়িয়া
১৩. শ্রী হিরেন কুমার সরকার ওরফে বুধা গ্রামঃ সিংড়িয়া
১৪. মোঃ লুৎফর রহমান গ্রামঃ সিংড়িয়া
১৫. মোঃ জালাল মিয়া গ্রামঃ সিংড়িয়া
১৬. মোঃ শহীদুল ইসলাম প্রামানিক গ্রামঃ সিংড়িয়া
১৭. শ্রী নরেন্দ্রনাথ সরকার গ্রামঃ সিংড়িয়া
১৮. মোঃ নুরুল ইসলাম গ্রামঃ সিংড়িয়া

আরো অনেকে এই দলে মাঝে মাঝে অনিয়মিতভাবে ট্রেনিং করতে আসতেন (দুঃখের বিষয় এই মুহুর্তে তাদের অনেকের নাম মনে করতে পারছি না)।
(ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: এত বছর পরেও তো আপনার ভালোই স্মরণে আছে সবকিছু। পড়ে ভালো লাগলো।

১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: যতটুকু মনে আছে ততটুকুই লেখার চেষ্টা করতেছি। ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ছাড়াছাড়া ভাবে সবটুকু পড়লাম। এই কাঠের অস্ত্র দিয়েই সীমান্তে ওপারেও প্রাথমিক ট্রেনিং দেয়া হতো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের।

১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: তখন ট্রেনিংয়ের এটাই ছিল বাস্তব অস্ত্র। অরিজিনাল রাইফেল দেয়া হতো ট্রেনিয়ের শেষে। ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১১

রবিন.হুড বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারনমূলক লেখা ভালো লেগেছে। তবে কলেজে রোভার স্কাউট কাঠের বন্দুক ব্যবহার করে না বিএনসিসি’র (ইউওটিসি, ইউটিসি) ক্যাডেট কাঠের বন্দুক দিয়ে ট্রেনিং নিয়ে থাকে।

১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

প্রামানিক বলেছেন: কাঠের রাইফেলটি ট্রেনিং শেষে আমাদের বাড়িতেই জমা থাকতো। ওটা বন্দুকের মতো ছিল না পুরোপুরি রাইফেলের আদলে তৈরি ছিল। তার কারণ বাড়িতে বসে বসে আমিও ওটা নিয়ে নাড়াচাড়া করে কাক করা শিখতাম। বিএনসিসি হলো “বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর” এর সংক্ষিপ্ত নাম, তখন যেহেতু বাংলাদেশ হয় নাই পূর্ব পাকিস্থান ছিল সেই সময় কলেজ স্কাউটদের অন্য কোন নাম ছিল কিনা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।

৪| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমি জানতাম না আপনি বীর মুক্তিযোদ্ধা
লাল স্যালুট জানাই কবি ছড়াকার প্রামানিক দা

১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

প্রামানিক বলেছেন: দুখের বিষয় সার্টিফিকেট নাই। ধন্যবাদ লিটন

৫| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: জাতির ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ এক মাইলফলক। প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান!

১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন। অনেক লোকেরই মুক্তিযুদ্ধের অবদান আছে কিন্তু তাদের সনদ নাই। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৬| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: রাইফেল বা বন্দুক কি যুদ্ধে কোন কাজে লাগে? এই জিনিস দিয়ে যুদ্ধের ট্রেনিং কিজন্য দেয়া হত?

১৪ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

প্রামানিক বলেছেন: সেই সময় বাঙালিদের হাতে কোন অস্ত্রই ছিল না শুধু রাইফেল থাকলেও দেশটা অনেক আগে স্বাধীন হয়ে যেত।
তাছাড়া প্রথমে সব বাহিনীকেই রাইফেল ট্রেনিং দেয়া হয় কারণ সমরাস্ত্রের মধ্যে সব চেয়ে সস্তা এবং ওজনে হালকা হলো রাইফেল। সৈনিকদের ডিসিপ্লিন শিক্ষা দেয়ার জন্য এটি উপযুক্ত। কারো ঘাড়ে যদি বাইস কেজি ওজনের মেশিনগান তুলে দিয়ে প্যারাড করতে বলা হয় সে বাইশ কেজি ওজন ঘাড়ে নিয়ে কতক্ষণ প্যারেড করতে পারবে? অল্পতেই কাহিল হয়ে যাবে কিন্তু সাড়ে সাত কেজি ওজনের রাইফেল ঘাড়ে দিয়ে মাইলকে মাইল প্যারেড করালেও কাহিল হবে না। এই কারণে প্রথমেই রাইফেল ট্রেনিং দেয়া হয়।

৭| ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে ভালোলাগে।

আব্বার কাছে প্রায়ই শুনি তার যুদ্ধের কাহিনী। ইচ্ছে ছিল আব্বার মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী নিয়ে যদি বই লিখতেপারতাম। কিন্তু সময় সুযোগ কিছুই পাচ্ছি না।

ধন্যবাদ আপনাকে

১৪ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

প্রামানিক বলেছেন: সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকলে লেখা হবে না, ব্যাস্ত জীবনের মাঝেই লেখা শুরু করতে হবে। ধন্যবাদ

৮| ১৪ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্বাধীনতার জন্য কি পরিমাণ ত্যাগ করতে হয়েছে বাঙালী তাই সঠিক ইতিহাস জানা প্রয়োজন। ধন্যবাদ বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

১৪ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

প্রামানিক বলেছেন: সেই সময় মানুষের ভয়াবহ জীবন পার করেছে, সব সময় মৃত্যু আতঙ্কে দিন কাটাতো, এর মাঝেও যুদ্ধ করেছে।

৯| ১৪ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: সবাই কি পরে মুক্তি যুদ্ধে গেছে।

১৪ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কারণে অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্বেও যেতে পারে নাই।

১০| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৭

ঢাকার লোক বলেছেন: ন্দর স্মৃতিচারণ ! লিখে যান যাতে ইতিহাস হয়ে থাকে, হারিয়ে না যায়!

১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল

১১| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির এই স্মৃতিচারণ খুবই ভালো লাগলো প্রামানিক ভাই।

আপনাদের একটি মাত্র গ্রামের তরুনদের এই দেশপ্রেম, দেশকে স্বাধীন করার প্রেরণা, সারা দেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধের প্রথমদিকের একটি খন্ডচিত্র যেটার কথা ভাবতে গেলেও শিহরণ বোধ হয়।

সেদিনের সেই মানুষের অপরিসীম ত্যাগ, দেশপ্রেম আমাদেরকে একতাবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সাধনাকে আমরা বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারিনি!

১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম বর্তমানে আমরা সেই লক্ষ্য থেকে পদচ্যুত হয়েছি।

১২| ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৩:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমারও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক কথা মনে আছে।
যদিও আপনার চেয়ে অনেক ছোটই হব। কারণ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি হাফপ্যান্ট পরা পঞ্চম শ্রেণীর বালক। তবে সবকিছুই স্পষ্ট মনে আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্টেন গান রাইফেল ইত্যাদি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছি।

আপনার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেই শুনে আশ্চর্য হয়নি।
কারণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সার্টিফিকেটের জন্য লালাইলিত থাকত না। তারা বেতনের আশায়ও কখনো বসে থাকিনি। সবাই ছিল বদ্ধপরিকর যে কোন ভাবে দেশ স্বাধীন করতে হবে।

১৯৯৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের কিছুটা মূল্যায়ন সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করে। তখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধ সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২

প্রামানিক বলেছেন: যুদ্ধের যতটুকু কাহিনী মনে আছে ততটুকুই লেখার চেষ্টা করেন। দেশ স্বাধীনের পড়ে জাসদের কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর একটা ঝড় বয়ে গেছে যার ফলে যারা সার্টিফিকেট পায় নাই তারা আর সার্টিফিকেট পাওয়ার আগ্রহ দেখায় নাই।

১৩| ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ, এমন করে অনেকেই তাদের স্মৃতি প্রকাশ করে নাই। আলনি করেছেন। এগিয়ে যান।

১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ রইল, মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১৪| ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২০

কামাল১৮ বলেছেন: ইচ্চা আছে কিন্তু বিশেষ কারণে মুক্তি যুদ্ধে যেতে পারে নাই।এমন দুই একটি কারণ বলুন।

১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেকে অনেক কারণে যেতে পারে নাই, আঞ্চলিক রেশারেশিও এর মধ্যে একটা কারণ ছিল, জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণেও অনেকে যেতে পারে নাই, যুদ্ধে গেলেই ওই উছিলায় প্রতিপক্ষ রাজাকার দিয়ে ধরিয়ে দিত। আশে পাশের কোন বাড়িতে রাজাকার বা দালালদের বাড়ি থাকলে তাদের ভয়েও অনেকে যেতে পারে নাই। যেমন একটি বাস্তব উদাহারণ দেই, আমাদের পাশের গ্রামে আনসার ভাই মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার কারণে তার বাবাকে রাজাকাররা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়, এই ঘটনায় অনেকের মধ্যে যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও মা বাবার বিপদ আশঙ্ক করেই যাওয়ার সাহস পায় নাই। তবে জীবন নাশ হওয়ার বিভিন্ন কারণে লোকজন মুক্তিযুদ্ধে যেতে না পারলেও সুযোগ পেলেই মুক্তিযোদ্ধাদের পুরোপুরি সহযোগীতা করেছে।

১৫| ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

এম ডি মুসা বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

প্রামানিক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.