নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিষ্টেম ইঞ্জিনিয়ার'স ব্লগ !!!

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার ইজ নাউ রেগুলার ইন সামু ..

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার

ইন্জিনিয়ারিং পাস করে একটা বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানিতে কামলা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম ।জানি না কিভাবে কিভাবে যেন জব লেনথ্‌ সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেল। আমি বুঝতে পারছলাম যে "আই নিড চেঞ্জ"। পরিবর্তনের জন্যই বা নতুন জীবনের সন্ধানে ক্যাঙ্গারুর খোঁজে পাড়ি দিলাম ভারত/প্রশান্ত মহাসাগর.......।

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবাই বিড়াল মারে বাসর রাতে আমি কিন্তু ছোট বেলাতেই মারছিলাম ;):)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৫





আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। গ্রাম মানে রিয়েল গ্রাম, যেখানে ইলেকট্রিসিটি নাই, কাচা রাস্তা (এখন অবশ্য সবই আছে)। তখনও স্কুলে যাওয়া শুরু করিনি। আমাদের বাড়িতে অনেকগুলা ঘর ছিলো ফলে আমার খেলার সাথীর অভাব ছিলো না। তবে আমি, আমার এক চাচা এবং চাচাত ভাই

(সেকেন্ড কাজিন) আমরা সমবয়সী হওয়াতে ওদের সাথেই বেশী ঘুরাঘুরি করতাম।

আমার শৈশবের কথা মনে করলেই যে ঘটনাটা আমার চোখে ভাসে সেটা সবার সাথে শেয়ার করবো।একদিন আমরা খবর পেলাম আমাদের পাশের বাড়িতে একজনের বিড়াল অনেকগুলা বাচ্চা দিছে। শুনে আমাদের তিনজনেরই বিড়াল পোষার শখ হলো। আমরা তিন জনেই সেই বাড়িতে গিয়ে তিনটা বিড়ালের বাচ্চা নিয়া আসলাম।এইবার শুরু হলো বিড়ালের যত্ন নেয়ার পালা। আমি আমার বিড়ালের ব্যাপারে খুবই কেয়ারিং ছিলাম যেমন তিনবেলা খাওয়ার সময় ওকেও খাওয়ানো সাথে স্পেশাল ডিস মাছের কাটা , আমার জন্য যে দুধ রাখা হত সেখান থেকে চুপি চুপি বিড়ালকেও খাওয়ানো ইত্যাদি।

কয়েকদিন পর (প্রায় ১০-১২ দিন) ওদের দুজনের বিড়ালই পালাক্রমে মরে গেল।শুধু আমারটাই বেচেঁ আছে। আমিতো খুবই খুশি।কিন্তু সমস্যাটা দেখা দিলো পরের দিন বিকাল বেলায়। বিকালে ওদের সাথে খেলতে গেলে ওরা আর আমাকে নেয় না। কারন কি?? কারন হলো ওদের বিড়াল মরে গেছে আর আমারটা বেচে আছে :|:|

এখন আমাকে কি করতে হবে??

তোর বিড়ালটা মাইর্রা ফালাইলে অইবো।

শুনে আমার মাথায় য্যানো আকাশ ভাইঙ্গা পড়লো। আমি রাজি হলাম না।

ফলে আমি ওদের আশেপাশে ঘুরঘুর করতে থাকি।ওরা আমাকে ছাড়াই চারা খেলেতে থাকে (ম্যাচের বাক্সের কাগজকে টাকা বানিয়ে মাটির কলসের ভাঙ্গা টুকরা দিয়া খেলা হয় ), দুরে জঙ্গলে শালিকের বাসা দেখে আসে ডিম ফুটছে কিনা....এবং আমাকে শুনিয়ে আগত শালিকের বাচ্চা ভাগাভাগি করে।

উপয়ান্ত না দেখে দুদিন পরই আমি ওদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম।এরপর ওরা আমাদের ঘরের পিছনের অংশে গেলো এবং আমি আমার বিড়ালটা নিয়া আসলাম।ওরা দেখি লাঠি হাতে রেডি এবং আমাকেও একটা লাঠি দিলো এবং বললো আমাকেই আগে আঘাত করতে অইবো। এটা সম্ভবত এই জন্য যে আমি যাতে করো কাছে বিচার দিতে না পারি যে ওরা আমার বিড়াল মাইর‌্যা ফালাইছে। যাই হোক প্রথমে আমি হলকা একটা আঘাত করতেই ওরা দুজন আর দেরী না করে বিড়ালটাকে পিটিয়ে মেরে ফেললো :((:((। এরপর আর আমাদের একসাথে ঘুরতে আর কোনো বাধা রইলো না এবং আমাদের বন্ধুত্বও অটুট থাকলো।



অফটপিক: এই ঘটনা সম্ভবত আমার মনে দাগ কেটেছিলো ফলে আমার শৈশবের অনেক কিছুই ভুলে গেলেও এটা আমার স্পষ্ট মনে আছে। সম্প্রতি রাজসোহানের আমি এখন শহুরে আদলে গড়া অন্য মানুষ লেখাটা পড়ে আমার অতি ছোটবেলার এই ঘটনা আবার মনে পড়ে গেল। তাই এই লেখাটা আমি রাজসোহানকেই উৎসর্গ কর্লাম।



আর বাসররাতে বিড়ালমারা নিয়া আমার শোনা গল্পটা এই রকম :



অনেক অনেক আগে এক দেশের দুই রাজকুমারী ঠিক করিয়াছিলো তারা বিবাহ করিবে এবং তাদের পতিদ্বয়কে তাহাদের কথা উঠিতে বসিতে শুনিতে হইবে, তাহাদের কে কোন আদেশ করিতে পারিবে না, এককথায় তাহাদের গোলাম হইয়া থাকিতে হইব। দেশে দেশে ঢাকডোল পিটাইয়া এই কথা ঘোষনা করিয়া দেয়া হইলো। কিন্তু শর্ত শুনিয়া কেহই তাহাদিগকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা পোষন করে না।

অপরদিকে দুই বন্ধু তাহাদের বাড়ি থেকে পলায়ন করিয়া অতি কষ্টে দিনানিপাত করিতেছিলো। তাহার এই কথা শুনিয়া সানন্দে রাজি হইয়া গেলো। তারপর আসলো তথাকথিত বাসররাত।

বাসর রাতের পর দেখা গেল এক বন্ধু ঠিকই চাকরের মত জীবিকা নির্বাহ করিতে লাগিলো কিন্তু অপর বন্ধু রাজার হালে আছে। এই দেখে ১ম বন্ধু ২য় বন্ধুকে প্রশ্ন করিলো

ইহা কিভাবে সম্ভবপর হইলো???

ইহা শুনিয়া ২য় বন্ধু হাস্যরস পুর্বক তাহার বাসর রাতের কাহিনী বর্ননা করিলো।

আমি বাসর রাতে প্রবেশের সময় সাথে করিয়া একটা বিড়াল নিয়াছিলাম।অত:পর বিশাল রামদা বাহির করিয়া এক কোপে উহা দ্বিখন্ডিত করিয়া ফালাইলাম এবং বলিলাম আমাকে যে বেশি ঘাটাইবে টাহার অবস্হাও এইরুপ হইবে।



সুতবাং বাসর ঘরে বিড়াল মারা দিয়া সম্ভবত স্ত্রীর উপরে কর্তৃত্ব নেওয়াকেই বোঝায়। :);)



মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২৩/-১২

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০০

রোনাল্ডো ভাই বলেছেন: কাজটা ভালো করেন নাই

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৫

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হুম এটা আমাকে মেন্টাললি সম্ভবত অনেক আঘাত করেছিল তাই এই ঘটনা এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে।ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০০

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: basor rath a biral na marlee ki hoy?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৪

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: এইটা একটা নিছক গল্প। কিছুই হয়না তবে আপনার রুঢ়তা প্রকাশ পেতে পারে।
আর এই ঢাকায় বিড়াল পাইবেন কই ???

তবে ডিজিটাল বিড়াল পাইতে পারেন, সেইজন্য আপনাকে কোডিং করে বিড়ালের গেইম বানাইয়া মারতে অইবো ;):)

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৫

এরশাদ বাদশা বলেছেন: হে হে হে। এইবার তাইলে পইড়া লন বাসর রাতের বিড়াল মারার কাহিনী।
বাসর রাত এবং....


০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৬

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আপনার এই গল্পটা আমি আগে পড়েছিলাম, আমি বাসর রাতে বিড়াল মারা নিয়া ছোট বেলাতে অকটা কবিতা পড়েছিলাম। কেন জানি মনে হয় কবিতাটা নজরুলের লেখা। আমার ঠিক মনে নাই। তবে গল্পটা এই রকম :

অনেক অনেক আগে এক দেশের দুই রাজকুমারী ঠিক করিয়াছিলো তারা বিবাহ করিবে এবং তাদের পতিদ্বয়কে তাহাদের কথা উঠিতে বসিতে শুনিতে হইবে, তাহাদের কে কোন আদেশ করিতে পারিবে না, এককথায় তাহাদের গোলাম হইয়া থাকিতে হইব। দেশে দেশে ঢাকডোল পিটাইয়া এই কথা ঘোষনা করিয়া দেয়া হইলো। কিন্তু শর্ত শুনিয়া কেহই তাহাদিগকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা পোষন করে না।
অপরদিকে দুই বন্ধু তাহাদের বাড়ি থেকে পলায়ন করিয়া অতি কষ্টে দিনানিপাত করিতেছিলো। তাহার এই কথা শুনিয়া সানন্দে রাজি হইয়া গেলো। তারপর আসলো তথাকথিত বাসররাত।
বাসর রাতের পর দেখা গেল এক বন্ধু ঠিকই চাকরের মত জীবিকা নির্বাহ করিতে লাগিলো কিন্তু অপর বন্ধু রাজার হালে আছে। এই দেখে ১ম বন্ধু ২য় বন্ধুকে প্রশ্ন করিলো
ইহা কিভাবে সম্ভবপর হইলো???
ইহা শুনিয়া ২য় বন্ধু হাস্যরস পুর্বক তাহার বাসর রাতের কাহিনী বর্ননা করিলো।
আমি বাসর রাতে প্রবেশের সময় সাথে করিয়া একটা বিড়াল নিয়াছিলাম।অত:পর বিশাল রামদা বাহির করিয়া এক কোপে উহা দ্বিখন্ডিত করিয়া ফালাইলাম এবং বলিলাম আমাকে যে বেশি ঘাটাইবে টাহার অবস্হাও এইরুপ হইবে।

সুতবাং বাসর ঘরে বিড়াল মারা দিয়া সম্ভবত স্ত্রীর উপরে কর্তৃত্ব নেওয়াকেই বোঝায়। :);)

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৬

রাজসোহান বলেছেন: আমি সমতা আনলাম
এখন ২জনের ভালোলেগেছে :#) :#) :#)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৩

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: সমতা আইন্যা ধইন্য করছো, আমিতো ভাবছিলাম মাইনাসের বন্যা বুঝি শুরু হলো।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বুঝতে পারছিলাম এমন একটা কিছু হতে যাচ্ছে। কিন্তু বিড়াল মারার ঘটনাটা আমার কাছে কষ্টদায়ক মনে হলো। যাই হোক, শৈশবে করেছেন, এতোকিছুর বোঝার জ্ঞানও ছিল না হয়তো। তাই ক্ষমার্হ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হুম তখন আমি অনেক ছোট, বয়স বড়জোর ৪ হতে পারে।

এটা আমাকে মেন্টাললি সম্ভবত অনেক আঘাত করেছিল তাই এই ঘটনা এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে।ধন্যবাদ।

আর আমারতো তেমন কোন অপরাধ ছিলো না, আমি মেন্টাল ব্লাকমেইলের শিকার। ফলে আমার প্রিয় জিনিসের উপর আমাকেই আঘাত করতে হইছিলো।
ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২১

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: গল্পটা কি অনেক রুঢ় হয়ে গেছে, এটা নিছকই পিচ্চিপাচ্চাদের আবজাব মেন্টালিটির বহিঃপ্রকাশ, অনেকটা ব্যাঙের কুয়াতে ঢিল ছোড়ার গল্পের মত।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২২

স্বপ্নকথক বলেছেন: আজমেরীকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৫

মোস্তাক খসরু বলেছেন: দুষ্ট তুমি দুষ্ট বড় ভাই
বাসর রাতে বিড়াল মাড়ার কোন নিয়ম নাই
কোন পাগলে কোন ছাগলে
এমন করে ভাবতে বলে
বউ থাকবে পাশে সোয়া
করবে সেকি বিড়াল ধাওয়া।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৯

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ভালো কোবতে ;)। মন্তব্যের জন্য ধইন্যা।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৯

মৌনোতা বলেছেন: ইন্জিনিয়ার বলে কথা।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৪

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হা হা আমি যেমন আমার ছোট বেলার মেন্টালিটি বুঝতে পারি না তেমনি বুঝতে পারছিনা আপনাদের মেন্টালিটিও।

আপনাকে বুঝতে হবে একটা নিঃসঙ্গ পিচ্চির মেন্টালিটি। এই ঘটনা বড়দের মেন্টালিটি দিয়ে বিচার করলে হবে না।

হটাৎ করে একটা ছোট বাচ্চা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে সে কতটা অসহায় ফিল করলে তার প্রিয় জিনিসের উপ্রে আঘাত করে??? এটা সম্ভবত মেন্টাল ব্লাকমেইলের কাছে অসহায়ত্বের ফল।

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৫

অ্যামাটার বলেছেন: অসুস্থ! শুধু আপনাকে ধিক্ জানানোর জন্যই লগইন করলাম।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৪

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হা হা ছোটবেলার ব্যাপার এত্ত সিরিয়াসলি নেয়ার কিছ্ছু নাই !!!

এটা আমাকে মেন্টাললি সম্ভবত অনেক আঘাত করেছিল তাই এই ঘটনা এখনও আমার স্পষ্ট মনে আছে।

আর সিরিয়াসলি নিলে ধিক তাদেরকেই জানানো উচিত ছিলো যারা আমাকে মেন্টাললি ব্লাকমেইল করে আমার প্রিয় জিনিসের উপর আমাকেই আঘাত করতে বাধ্য করেছিলো।ধন্যবাদ।

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৮

গুতুদিয়া বলেছেন: বাচ্চারা অনেক সৎ আর নিষ্ঠুর হতে পারে। -কার যেন উক্তি ছিল ভূলে গেছি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪১

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: বাচ্চাদের মেন্টালিটি বুঝা দায়। বাইরের অনেক ভার্সিটিতে চাইল্ড সাইকোলোজির উপর রীতিমত ডিগ্রি দেয়া হয়। ধন্যবাদ।

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আপনার দেওয়া গল্পটা আমি পড়িনাই। আমি যেটা লিখেছি, সেটা সম্পূর্নই আমার নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৯

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হা হা আপনি ভুল বুঝতাছেন। আপনার এই গল্পটা আমি এখানে লিংক দেয়ার আগেই আপনার ব্লগ থেকেই পড়েছি ;):)

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:১৮

সাপিয়েন্স বলেছেন: মর্মাহত হলাম।

এখন বড় হয়ে বন্ধুত্ব রক্ষার জন্য বা অন্য কোন স্বার্থে কি (প্রিয় ও আপনার ওপর নির্ভরশীল) মানুষ মারবেন? দু:খিত, একটু কড়া হয়ে গেল, কিন্তু আমার সত্যি খারাপ লাগল পড়ে।

নিশ্চিত জানবেন সব শিশু এমন হয় না, অনেকে মুরগী জবাই-এর দৃশ্য সহ্য করতে পারে না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৬

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: সাপিয়েন্স বলেছেন: নিশ্চিত জানবেন সব শিশু এমন হয় না, অনেকে মুরগী জবাই-এর দৃশ্য সহ্য করতে পারে না।

আমি এখনও কোন মানুষের কাটাছেড়া/ রক্ত সহ্য করতে পারিনা। ফলে আমার বাবা আমাকে অনেক অনুনয় বিনয় এমনকি জোর করেও মেডিকেলের ভর্তি ফর্ম কিনাতে পারেননি।

এখন বড় হয়ে বন্ধুত্ব রক্ষার জন্য বা অন্য কোন স্বার্থে কি (প্রিয় ও আপনার ওপর নির্ভরশীল) মানুষ মারবেন?

এর জবাবে আমি বলবো আমি আমার প্রিয়জন বা আমার উপর নির্ভরশীল মানুষের কেয়ার করতে খুবই পছন্দ করি এমনকি আমি এর জন্য কিছু ছাড় দিতেও প্রস্তুত। আপনি অবশ্যই পশুপাখির সাথে এর তুলনা করে আমাকে আঘাত দিবেন না।

আমি অবশ্যই খুবই আঘাত পেয়েছিলাম যার জন্য ঐ সময়ের কিছু মনে না থাকলেও আমার এটা স্পষ্ট মনে আছে। আর একটা ৪ বছরের শিশুর ভালমন্দ বিচার করার ক্ষমতা আপনি নিশ্চয়ই আশা করতে পারেন না।আর আপনাকে ঐ সময়ের আশাপাশের পরিবেশের কথাও চিন্তা করতে হবে। কারন একটা শিশু আশপাশ থেকেই তাদের ভালো মন্দ বিচার করতে শিখবে। সেই সময়ে ছোটদের ক্ষেত্রে এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল গুলতি দিয়া পাখি শিকার করা। এবং যারা এটা করতে পারত আমরা ছোটরা তাদেরকে সমীহ করতাম। আর প্রত্যেক ঘরেই কমপক্ষে ১-২ টা বিড়াল ছিলো। এবং অনেকই বিড়ালের অত্যাচারে বিরক্ত ছিলো।ফলে বিড়াল মেরে ফেলতে দেখা আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ছিলো। এবং বাড়ির মহিলারা বলতো বিড়াল মারলে মসজিদে এককেজী লবন দিলেই আর গুনাহ হয় না। এটা কুসংস্কার বা অন্যকিছু এটা বিচার করার ক্ষমতা ছিলো না। ফলে এটা আমরা স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখতাম।

উদাহরন সরুপ আপনার সামনে কোন বিষধর সাপ পড়ে আপনি নিশ্চয়ই তাকে মেরে ফেলতে চাইবেন। আমাদের কাছে সে সময় বিড়াল আর সাপের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য ছিলো না। আর আপনাকে বুঝতে হবে এটা প্রায় ২০ বছর আগের এক অজপাড়াগা্যের ঘটনা।সেই সময়ে ব্যাপারগুলো খুবই স্বাভাবিকভাবে দেখানো হত এবং এটাই আমাদের শিখানো হত।
যাই হোক অনেক বক বক করে ফেল্লাম। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার সেই ঘটনার জন্যে কোন অনুশোচনা আছে বলে মনে হচ্ছেনা। আপনি একজন সিক। সাইকো। ঘৃনা জানায় গেলাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০২

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হায় হায় হামা ভাই, আপনার এই মন্তব্য, সুতরাং দেয়ার মাস্টবি রং।যাই হোক আমি অবশ্যই আমার লেখায় আমার মেন্টালিটি বা সেই সময়ের পারিপার্শ্বিকতা ঠিকভাবে ব্যখ্যা করতে পারি নাই। আপনাকে এটাও বুঝতে হবে আমি সাহিত্যিক নই। ফলে আমার সীমাবদ্ধতা আমি স্বীকার করছি।
আপাতত ১৩ নং কমেন্টের উত্তর দেখুন।

অফিস থেকে শ্রীমঙ্গল ট্যুরে আসছি। ঢাকায় এসে আবার কথা হবে। আপনার আর কোন ভাষ্য থাকলে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৫

শয়তান বলেছেন: বুঝলম্না । বিড়াল মারাতে কি এমন অন্যায় হৈলো যে এত্তো এত্তো মাইনাস খাইতেছেন । পিচ্চি পিচ্চি মাদ্রসার পোলপানরা কি কোরবানীর সময় গরু জবাই দেয় না ????

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আমি বুঝতাছি না সবাই এত্ত নেগেটিভ মাইন্ডেড ক্যান। সবাই শুধু বিড়াল মারাটাকেই দ্যাখলো কিন্তু বন্ধুত্বের জন্য আমার প্রিয় জিনিসটাকে যে স্যাক্রিফাইস কর্লাম তা দ্যাক্লো না, আফসুস :(:|

১৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৯

রাজসোহান বলেছেন: ভাই এই গল্পট অনেকে সহজ ভাবে নিতে পারলো না :( :( :(

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:১২

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ব্লগের লোকজন ধীরে ধীরে নেগেটিভ মাইন্ডেড হয়ে হয়ে যাচ্ছে :(:|

এই লেখাটিকে তারা কি জন্য পজেটিভলি নিতে পারতো

১। ঐ সময়ে শিশুটির বয়সের কথা চিন্তা করে, ৪ বছরে নিশ্চয়ই তার ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষমতা হয়নি।

২। ঐ সময়ের পারিপার্শ্বিকতা বিচার করে, আশেপাশে যে সব ঘটনা খুব স্বাভাবিকভাবে বিচার করা হয় সে নিশ্চয়ই সেটা স্বাভাবিকভাবেই দেখবে।

৩। ছেলেটার কাছে বিড়ালের চেয়ে তার খেলার সাথী বা বন্ধুরাই বেশী গুরুত্বপুর্ন ছিলো। সুতরাং বন্ধুত্বের জন্য এটাকে স্যাক্রিফাইসও ভাবতে পারতো।

.....................................
.....................................

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৭

রাজসোহান বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগের লোকজন ধীরে ধীরে নেগেটিভ মাইন্ডেড হয়ে হয়ে যাচ্ছে

কি করবে কন আপনে
খালি নেগেটিন পোস্ট আসে......ধর ধর মার মার কাট কাট

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৩

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হুম, আগে ব্লগের পরিবেশ মোটামুটি রাজনীতি মুক্ত ছিলো, শুধু ছাগু ইস্যু ছাড়া যেটাতেও সবাই ছিলো একসাথে। আর এখন নোংরা রাজনীতি ঢুকে সবাই দ্বিখন্ডিত। ব্লগারদের মধ্যে হৃদ্যতাও অনেক কমে গেছে।:(:|

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪৫

লালসালু বলেছেন: আমিও একটা বিলাই মেরেছি। লিঙ্কটা দেখেন। এত মাইনাসের ভীড়ে প্লাস দিলাম।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লালসালু।

১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৮

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি ভাল লেগেছে।
কিছু ব্লগার অযথাই বিরূপ মন্তব্য করেছে।
তাদের উদ্দেশ্যে কিছু লিখলাম-
Click This Link

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আমার গল্পটা অনেকেই তা অনুধাবন করতে পারেনি। অনেকই হয়তো এই রকম পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিকতার সাথে পরিচিত না।

অনেক ধন্যবাদ স্পেলবাইন্ডার।

২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৭

সুবিদ্ বলেছেন: আপনার যে অনুশোচনা আছে ছোটবেলার ঐ ঘটনার জন্য.....তা তো স্পষ্টই বোঝা যায় লেখা থেকে.....তবুও অনেকেই দেখি '-' দিচ্ছে......যা হোক, মনটা একটু খারাপই হলো

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: এত্ত ছোট বয়সের সবকিছু স্পষ্ট মনে থাকার কথা না, ঐ সময়ের এই একটি ঘটনাই আমার চোখে এখনও ভাসে কারন এটা আমার মনে দাগ কেটেছিলো গভীরভাবে।
সঠিক অনুধাবনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

ফ্লাইওভার বলেছেন: ছোটকালে আমরা অনেক কিছুই না বুঝে করি। এটাকে সিরিয়াসলি নেয়ার কোন মানে আছে?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: সবাই এত্ত সিরিয়াসলি কেন নিলো সেটা বুজ্লাম না :| B:-)

ধন্যবাদ ফ্লাইওভার।

২২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৪২

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আমি ছোটকালে প্রচন্ড ডানপিটে ছিলাম। এবং এলাকাবাসীকে অনেক যন্ত্রনাও দিয়েছি। তবে সারাদিন মারামারি করলেও আমি জীবনে খালি একটা কাক ইচ্ছাকৃত মেরেছি।এইখানে ক্লিক করুন । ছোটবেলার ঘটনাকে এইভাবে সিরিয়াসলি নেওয়ার কোন যুক্তি দেখি না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ছোটবেলার ঘটনাকে এইভাবে সিরিয়াসলি নেওয়ার কোন যুক্তি দেখি না।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৪

ভাঙ্গন বলেছেন: আমি আসলে অনেক কৌতুহল নিয়ে আপনার লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়লাম।
তবে বিড়াল মারার ঘটনাটা অবশ্যই আমাকে ব্যথিত করেছে ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৯

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আমাকেও ব্যাথিত করেছিলো তবে তার চেয়েও ব্যথিত করেছে আমার বন্ধুদের আমাকে ত্যাগ করাকে।

ছোটবেলার অনেক কিছুই এখন ভাবলে অবাক লাগে, হাসিও পায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৭

নস্টালজিক বলেছেন: লেখাটা পড়লাম।।
ছোটোবেলায় আমার- ই হাতের উপর পোষা কবুতর মরে গিয়েছিলো।
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।।

তবে আপনার এই লেখাটায় এত মাইনাস কেনো ঠিক বুঝলাম না!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৩

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: গল্পটা সম্ভবত অনেকেই তা অনুধাবন করতে পারেনি। অনেকই হয়তো এই রকম পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিকতার সাথে পরিচিত না।

মন্তব্য এবং সঠিক অনুধাবনের জন্য ধইন্যা।

২৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: বাচ্চারা অনেক সৎ আর নিষ্ঠুর হতে পারে...

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:০৫

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: বাচ্চারা নিষ্ঠুর হতে পারে কারন তারা বুঝতে পারে না তারা আসলে কি করছে।
ধন্যবাদ।

২৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:০৭

১২৩৪ বলেছেন: karo karo montobbo pore amar keno jani hasi asteche ! :D ameo mone hoy nisthur, sick ! :-&

১০ ই মার্চ, ২০১০ রাত ২:১১

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: বাচ্চাদের না বুঝে আবজাব কাজকে এত্ত গুরুত্ব দিলে ক্যামতে অইবো ???

২৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০০

মাহমুদহাসান বলেছেন: প্লাস দিলাম সেই ভয়ংকর ঘটনার জন্যে আপনার অনুশোচনা আছে দেখে।
একটা কথা সবার প্রতি থাকল, যদিও অনেকেই এই পোস্টে আর আসবেন না, দেখুন, একটা চোর ধরা পড়লে মানুষ তাকে কীভাবে পেটায়? আমার নিজের চোখে দেখা, আমাদের পাশের বাসায় চোর ধরা পড়াতে, তাকে মারতে মারতে মৃতপ্রায় করে ফেলেছিল মানুষজন। ছোট ছিলাম, ভয়ে কিছু বলতেও পারিনি কেউকে, কিন্তু সেই চোরটার জন্যে আমি সারারাত অনেক কেঁদেছিলাম। একজন হয়তো জোরে তার পেটে লাথি মারল, আরেকজন উপদেশ দিল, বুকে মারতে, আরেকজন বলল, পেটে মারলে মরে যাবে, অন্যজন জ্ঞান বিতরণ করল, আরে চোরদের কিছু হয় না, মার দিলে এদের কিছু হয় না। অথচ, আমি দেখেছি, পেটে লাথি মারার সাথে সাথে চোরটার মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে আসতে।...........এরপর অনেকদিন কেটে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন পরে আবার একবার চোর ধরা পড়তে দেখলাম এলাকায়। পুরোনো ঢাকার লোকজন খুব নিষ্ঠুর হয় সেটা ছোটবেলাতেই বুঝেছিলাম, তাই এবার চেঁচামেঁচি শুনে যখনই বুঝলাম চোর ধরা পড়েছে, আমি দ্রুত শার্ট গায়ে বের হলাম। যেই লোকটি মারামারিতে লিডিং দিচ্ছিল, তাঁকে বললাম, চাচা, একে ছেড়ে দিন, এভাবে মারবেন না। উনি আমাকে বললেন আরে এ তো চোর। আমি বললাম, জানি। এ চোর। তারচেয়েও বড় কথা এ মানুষ। মানুষকে এভাবে পেটানো যায় না। উনি বললেন, মানুষ তো চুরি করবে কেন? আমি বললাম, আপনিও তো চুরি করে ইলেকট্রিসিটি লাইন নিয়েছেন এক্সট্রা নিজের বাসায়, তাহলে আপনিও চোর। আপনাকেও পেটানো উচিৎ। উনি এরপর এসেছিলেন আমার বাসায় নালিশ করতে, কিন্তু তবু সেই চোরটি বেঁচে গিয়েছিল।...............অপ্রাসঙ্গিক কথাগুলো এই জন্যেই বললাম, অনেকেই একটা শিশুর অপরাধ ক্ষমা করতে পারছেন না, ভাবুন তো, নিজে এমন কতগুলো অপরাধ করেছেন? কতদিন রিকশাওয়ালা/বাস কন্টাকটরের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৩৪

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হুম, চোরকে মারার ব্যাপারে আমারও একটা অভজার্ভেশন আছে।

দেখবেন একটা গোবেচারা টাইপ লোক, ৮ টা- ৫ টা অফিস করে, সংসারের ভাবে হয়তোবা নুব্জ, কারো সাতে পাচে নেই।

রাস্তায় হয়তো একটা চোর ধরা পড়ছে, সেই একই লোককেই দেখা যায় হিংস্র হয়ে উঠতে এবং ভয়ংকরভাবে চোরকে আঘাত করতে।
তখন তার চেহারা দেখে আপনি তার উপরের চরিত্রের সাথে মিলাতে পারবেন না।

মানবজাতি বড়ই আজিব :|:|

২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: :|| ;)

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: :#) :)

২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৯

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: কোন বেরসিকের দল এই নিদোস পুস্টে মাইনাস দিল?:(

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: :(:(

৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩১

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: বালছালরা এই পুস্টে নিজেদের চুশীল গিরি ফলায়তেছে।আবালের দল কাহিকার :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ব্যাপারনা,

আসলে যারা এই ধরনের পারিপার্শ্বিকতার বা সিচুয়েশনের সাথে পরিচিত নয় তাদের খারাপ লাগতেই পারে।

আর যারা এধরনের পরিবেশের সাথে অভ্যস্হ তারা দেখবেন পজিটিভ কমেন্ট করেছে।

ধন্যবাদ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: তবে এই লেখাটিকে তারা কি জন্য পজেটিভলি নিতে পারতো...

১। ঐ সময়ে শিশুটির বয়সের কথা চিন্তা করে, ৪ বছরে নিশ্চয়ই তার ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষমতা হয়নি।

২। ঐ সময়ের পারিপার্শ্বিকতা বিচার করে, আশেপাশে যে সব ঘটনা খুব স্বাভাবিকভাবে বিচার করা হয় সে নিশ্চয়ই সেটা স্বাভাবিকভাবেই দেখবে।

৩। ছেলেটার কাছে বিড়ালের চেয়ে তার খেলার সাথী বা বন্ধুরাই বেশী গুরুত্বপুর্ন ছিলো। সুতরাং বন্ধুত্বের জন্য এটাকে স্যাক্রিফাইসও ভাবতে পারতো।

...........................
...........................

৩১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: মাহমুদহাসানের কমেন্ট হাজারটা +++++++++++++

৩২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:২১

আমি ছাড়া সবাই ভাল বলেছেন: এটাই ।যে বয়সে কাজটা করেছেন এই বয়স থেকে ১২.১৫ বছর পযন্ত এমন কত আকাম কুকাম করে :)

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৩০

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: :):)

৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:০১

মাহমুদহাসান বলেছেন: Click This Link

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:২৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ এবং কমেন্টেড।

৩৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ইসস কি করে করলেন! কষ্ট হল না? আপনি এত নিষ্ঠুর!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১২

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আপনি এত নিষ্ঠুর!!!

:(( :(( :((

আপু আর কি বলবো, বলতে বলতে ক্লান্ত। আমার উপরের কমেন্টগুলার জবাবগুলা পড়ে প্লীজ আবার কমেন্ট করুন।

৩৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আরে ভাই, আপনি দেখি সিরিয়াসলি নিয়েছেন। স্যরি, আমি কিন্তু সিরিয়াসলি বলিনি।
আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, আমি যখন যে কাজটা করবো ঐ মূহুর্তের জন্য সেটাই ঠিক। পরে কি হবে, সেটা পরের কথা। আর বয়সটাও এখানে অনেক বড়। এবং পুরো ঘটনায় আপনার ভূমিকা খুবই সামান্য। আমার হয়তো কল্পনা করতে কষ্ট হচ্ছে এমন একটা কাজ আমি করছি কিন্তু ঐ বয়সে আপনার জায়গায় থাকলে আমি কি করতাম সেটাও আমার কল্পনায় নেই।

আপনার অনুশোচনা হয়েছে, আপনি এখনও মনে করলে কষ্ট পান সেটাই যথেষ্ট। অন্যকিছু নিয়ে ভাববেন না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হুউহ (হাপ ছেড়ে বাচার ইমো :)) !!!

যাক আপনি বুঝতে পেরেছেন এতেই আমি খুশি। :):)

স্পেলবাইন্ডার আমার এই ঘটনা নিয়ে এক্টা পোষ্ট দিয়েছিলো সেইটাও এক্টু পড়ে আসেন

ব্লগার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার-এর বিড়াল মারা প্রসঙ্গে আমার নিজস্ব কিছু কথা ( Click This Link )

ভালো থাকুন আপুমনি এই শুভকামনা।

৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩০

হাম্বা বলেছেন: যাই হোক হাম্বাত আর মারেন নাই!!!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: নাহ! হাম্বাকে ভালা পাইতাম :):)

৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই পোস্টে আবার কমেন্ট না করে পারছিনা। ভাবসিলাম কিছু বল্বনা আর। কিন্তু কেউ তো আমার কথাই বুঝলোনা। আমি কি বলেছি? আমি বলেছি যে, "আপনার সেই ঘটনার জন্যে কোন অনুশোচনা আছে বলে মনে হচ্ছেনা। আপনি একজন সিক। সাইকো। ঘৃনা জানায় গেলাম। "

আপনার ছোটবেলায় না বুঝে করা কাজটাকে তো আমি দোষ দেইনাই। আমার উষ্মার কারণ ছিলো এই, যে আপনি বড় হবার পরেও ঐ ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত না। এরকম মনে হয়েছিলো আপনার প্রকাশভঙ্গি দেখে। একটা বিড়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলা..অতি দুঃখজনক একটা ঘটনা। মর্মান্তিকও বটে। কিন্তু আপনার এই পোস্টের শিরোনাম এবং ইমোগুলো যেভাবে দিয়েছেন, তাতে আমার মনে হয়নি আপনি ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত। উপরন্তু, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরেকটা কৌতুক যোগ করে এটাকে একটা ফানপোস্ট বানায় দিলেন। ভুল বোঝার অবকাশ আছে বৈ কি। যাহোক, আপনার যদি সেই বিড়ালটার জন্যে খারাপ লাগে, পিটিয়ে মারাটাকে নৃসংশ এক বোকামি মনে হয়, তাহলে আমার আর এত কিছু বলার দরকার নাই। ভালো থাকুন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: হামা ভাই আমার এই লেখায় কিছুটা লিমিটেশন আছে আমি কিন্তু আগেই স্বীকার করেছি। তবে মন্তব্যের মাধ্যমে আমি মনে হয় আমার অবস্হান ক্লিয়ার কর্তে পেরেছি। তাছাড়া যারা মাইনাস দিয়েছেন বা নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন তাদেরকে আমি কখনোই ব্লেইম করি নাই। ৩০ নং কমেন্টের জবাব দেখুন।

একটু বিজি আছি, তাই লম্বা মন্তব্যের শর্টকাট জবাব। রাতে আশা করি আবার কথা হবে। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

৩৮| ০১ লা জুলাই, ২০১০ রাত ২:৪৭

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
বিড়াল মারাটা ঠিক হয়নি । কিন্তু কি আর করা...

০৩ রা জুলাই, ২০১০ রাত ১:২৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: কিন্তু কি আর করা...

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৪

এ কে এম ওয়াছিয়ুন হালিম বলেছেন: আরে ভাই, পাবলিক দেখতেছি এখানে বিশাল প্রকৃতিপ্রেম দেখাইতেছে... যারা শহুরে পরিবেশে বড় হয়েছে, কখনো সখনো গ্রামে গেলে ধান গাছের কাঠ দেখতে চায়, তারাই এসব প্রকৃতিপ্রেম দেখায়...
আদতে তারা অনেকেই বিড়ালের অথবা এধরনের প্রাণী সম্পর্কে ভালো ধারনাও রাখেনা...
আমরা ছোটবেলায় কত দুষ্টামি করেছি, পাখির বাসা ভেঙ্গেছি, কাঁকড়ার পায়ে সুতা বেধে চরিয়েছি, ফড়িং ধরেছি পাটকাঠির মাথায় বাব্লা গাছের আঠা মাখিয়ে, কুকুরের বাচ্ছা পুষেছি, বিড়ালের বাচ্ছা পুষেছি, মাঝেমধ্যে আবার মজার ছলে মেরেছিও...
এতে এত্ত মানবতা খোঁজার কি হল!!!
প্রকৃতিকে যারা দেখতেই পারেনি তারা প্রকৃতিকে কতটা ভালবাসতে পারবে!!!
>>>>>>>>>>>
প্লাস অন পোষ্ট +++

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৮

সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হালিম...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.