নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসা,দেশ,রাজনীতি, সমাজ

প্রিন্স মাহমুদ রহিম

শীতের সকালে যে বরফময় ঠান্ডা বাতাস তোমার আঙিনায় ভেসে বেড়ায়- তার নাম-প্রিন্স মাহমুদ রহিম

প্রিন্স মাহমুদ রহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাকে ভেবে লেখা

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৭

প্রিয়তমা,
আমার একাকিত্ব থেকে দূরে সরে যাও।
আমি তোমাকে জলে ছুঁড়ে ফেলেছি। এবার
তোমার পথ দেখ। যদি তোমার শিরাগুলো
সুস্থ থাকে তবে আমার বিশ্বাস- ধরিত্রীর
মানুষরা বহুকাল পরে হলেও তোমায় খুঁজে
নিবে। তুমি বরং আস্ত পাগল মিল্টন, মাতাল
ড্রাইডেন ও উদাসীন বাচাল পোপকে পড়ো।
তারা তোমার দেহের প্রতিটি লোমকূপে
চুম্বন করার আগে হয়তো তোমাকে এই ধরণী
হিসেবে সম্বোধন করবে এবং তোমাকে
ভাবাতে সক্ষম হবে যে তোমার লোমগুলো
এই ধরণীর ঘাস। তারপর তারা সৃষ্টি ও
ধ্বংসের গল্প শুরু করে তোমাকে বোঝাবে
মানুষ মাত্রই মরণশীল। অথচ তুমি ভুলে যাবে
সেই অসাংবিধানিক মৃত্যুর কথা যা
ত্রিপিটক, বাইবেল, কুরান কিংবা গীতায়
নেই; এমন কি কোন মানবাধিকার সংস্থাও
তা বলে না। সেটি হলো হৃদয়ের মৃত্যু। কেননা
তারা তোমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে
যে, তোমার জীবনের সেরা সময় অর্থাৎ
যৌবন নিরানন্দে কাটে নি। এরমধ্যে কোন
প্রেক্ষাপটের অনুকূলে গিয়ে আমি যদি গদ্য
রচনা শুরু করি তাহলে এমন সব নীতি নিয়মের
প্রবর্তন করব যেগুলো পূর্ববর্তী সমস্ত নিয়ম-
কানুনকে বাতিল ঘোষণা করে দেবে। আমার
গদ্যকে এমন অনেক উপকরণে সমৃদ্ধ করব
যেগুলোর কথা কেউ জানে না। ধর্ম ও
ভালোবাসার চূড়ান্ত রূপ দিয়ে দিব, যাতে
ওদিকে তাকাতে সবার বুক আঁতকে উঠে।
যদি এমন কথা কেউ ভাবেন যে, গল্পটি
নৈতিক নয় তবে প্রথমে তাকে অনুরোধ করব
আঘাত পাওয়ার পূর্বেই যেন কেঁদে না
উঠেন। তারপর বলব, গল্পটা যেন আবার পড়ে
দেখেন এবং পড়ে বলেন- গল্পটি অনৈতিক।
আমি রমণীদের রমণ করতে উৎসাহিত করব
কিন্তু ভালোবাসার ব্যাপারে কড়া
নিষেধাজ্ঞা জারি করব। কারণ তারা
প্রত্যেকেই এক একটা মিউজ্। হাস্য-লাস্য
আর ছলনার বিপরীতে ক্ষত-বিক্ষত করবে
হৃদয়, চুরমার করবে আবেগ ও অনুভূতি। এ
বিষয়ে আমি জনসমর্থন আশা করব না। কিন্তু
কারো যদি হুঁশ না হয়, আমার সতর্কবাণীকে
অবহেলা করেন, মনের কুটিলতা বশত আমার
বক্তব্য বিশ্বাস না করেন, নিজের
অন্তরাত্মার চোখকে অবিশ্বাস করেন আর
যদি পুরো গদ্য পাঠ শেষে ষাঁড়ের মত
চেঁচিয়ে বলেন যে কোন নৈতিকতা খুঁজে
পান নি; তাহলে আমি বলব, তিনি ধর্মযাজক
হলেও মিথ্যে বলছেন; তিনি নাবিক হলেও
ভুল দেখছেন; তিনি পণ্ডিত হলেও তিনি
বুঝেন নি। হয়ত অধিক সমালোচনা হতে পারে
আমাকে এবং আমার লেখাকে নিয়ে। সব
সাময়িকী, পত্রিকা আমার বক্তব্যকে
উপেক্ষা করতেই পারে। কেননা আমি
কখনোই তাদের ক্রেতা বাড়ানোর জন্য কিছু
লিখি নি। সাত বা আট বছর আগে, যখন সবাই
একসাথে দেশের অবস্থা ভালো বলার শক্তি
হারিয়ে ফেলেছিলাম, তখন সমকালীন
প্রেক্ষাপট নিয়ে ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক
উভয় গোষ্ঠীকে খুঁচিয়ে কোন এক সম্পাদকের
কাছে একটি কবিতা পাঠিয়েছিলাম। আগে
অনেক কবিতা ছাপানোর কারণে
ভেবেছিলাম- কবিতাটিও ছাপা হবে,
ভেবেছিলাম- নজরুলের মতো না হলেও তার
কাছাকাছি আমি একটি স্থান লাভ করব।
পরবর্তী ডাকে সম্পাদক সাহেব আমাকে
ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছিলেন যে, এমন
কবিতা উনারা ছাপাতে পারবেন না।
রীতিমত অবজ্ঞা করেছিলেন সেই
কবিতাকে। নানা উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন,
ছোটদের জন্য লিখো অথবা প্রেম-বিরহ-
দ্রোহ নিয়ে লিখো। উনারা উনাদের
পত্রিকার মৃত্যু চান না বলেই এমন লেখা না
ছাপানোর ব্যাপারে আমাকে অবগত করেন।
এরপর ছোটদের জন্য না লিখলেও অন্য অনেক
বিষয় নিয়ে লিখেছি, আগামীতেও লিখব।
কিন্তু আমি আর কোন পত্রিকায় আমার কোন
লেখা ছাপাতে যাই নি। কারণ আমি
বুঝেছিলাম, কোন পত্রিকা কখনো
ভিন্নমতের লেখকদের সুনজরে দেখেন না।
তারা মনের অভ্যন্তরে বলেছেন, "তোমাকে
এ জগতের অনেক দূরে পাঠিয়ে দেবার
সিদ্ধান্ত হয়েছে।" আমিও নীরবে তাদের
ইচ্ছাকে সায় দিয়েছি কিন্তু এটা কম
দুঃখের নয়। তখনই আমি আমার তরুণ হৃদয়ের
ওপর থেকে সমস্ত অধিকার তুলে নিয়েছি। এ
হৃদয়টা অবশেষে শিকারে পরিণত হয়েছিল।
তোমাকে অতিমাত্রায় ভালোবাসা ছাড়া
ভিন্ন কোন পন্থা আমি কখনোই গ্রহণ
করিনি। এখন আমি অনেক দ্রুত লিখছি। আর
হ্যাঁ, যদি এ কাগজে কোন দাগ পড়ে তবে
ওটাকে তুমি যা ভাববে, ওটা তা নয়। আমার
চক্ষুদ্বয় ধপধপ করে জ্বলছে, এখানে কোন
অশ্রু নেই। আমাদের মধুর স্মৃতি নিয়ে আমার
কোন আফসোস্ নেই। তারপরেও আমি
নিজেকে অপরাধীই মনে করি। ইহা অহংকার
করার কিছু নয়। আমার অপরাধকে আমার
চেয়ে কদাকার কেউ মনে করে না। আমি
যেন তেনভাবে লিখছি, কারণ আমি স্বস্তি
পাচ্ছি না। ঘৃণা করার বা অনুরোধ করার
কোন সাহসই আমার নেই। দুঃখের দহনে
আমিতো মরেই গিয়েছি। তবু সাহস পাচ্ছি
না আমাদের খণ্ডকালীন ভালোবাসায়
দাপ্তরিক সিল মেরে স্মৃতিগুলোকে
বাজেয়াপ্ত করার। মৃত্যু তাকে ছেড়ে চলে
যায়, যে আঘাতের জবাব দিতে পারে। আমি
নিশ্চিতভাবে আঘাতের জবাব দিতে ব্যর্থ।
তোমাকে শেষ বিদায় দিলেও আমাকে
অবশ্যই টিকে থাকতে হবে। জীবন ধারণ
করতে হবে শুধুমাত্র তোমাকে ভালোবাসার
জন্য; তোমার জন্য প্রার্থনা করার জন্য।
এখন কোন তরুণী, স্ত্রী বা কোন বিধবার
সৌন্দর্য আমাকে আগের মতো বোকা
বানাতে পারে না। সংক্ষেপে বলতে
গেলে, আমি আর জীবনকে আগের মতো
যাপন করতে পারছি না। মিলেমিশে থাকার
সহ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন সুন্দর লেখা
+

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

প্রিন্স মাহমুদ রহিম বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.