নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহতে যার পূর্ন ঈমান, কোথা সে মুসলমান..

পৃথিবী আমারে চাই না

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

পৃথিবী আমারে চাই না › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনো মাথা নস্ট !!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৪



আমাদের মিডিয়া শাহবাগের সমাবেশকে বোঝাতে সবসময় সকল শ্রেণীর, সকল পেশার মানুষ ইত্যাদি বিশেষন ব্যবহার করে থাকে। আদতে সেখানে দেখা যায় বামপন্থি, রামপন্থি ও নৈতিকভাবে কলুষিত সাংস্কৃতিক জগতের কিছু মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি যেটা মোটেও দেশের আপামর জনসাধারনের প্রতিনিধিত্ব করে না। কিন্তু মিডিয়ার কল্যানে তারা নিজেদের মনে করে মুই কি হনু রে। স্পস্টতই তারা আকিহরে রোগে আক্রান্ত।



অপরদিকে গত শনিবার হয়ে গেল বাংলাদেশের ইতিহাসের বৃহত্তম মহাসমাবেশ। যেখানে উপস্থিত ছিল উপরোক্ত তিন শ্রেণী ছাড়া বাংলাদেশের বাকি সকল শ্রেণীর মানুষ। উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো যে তাবলীগ জামাতের লোকেরাও উক্ত মহাসমাবেশে দলে দলে শ্লোগানে শ্লোগানে অংশগ্রহন করেছে।



কিন্তু মিডিয়া এই মহাসমাবেশের বর্ননার ক্ষেত্রে খুবই ভাষাগত কৃপনতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের ভাষায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও অপারগ ছাত্রদের সমাবেশ। এমনকি সামুর মুক্তমনা (!) ব্লগার ও মডুদেরও একই অবস্থা। এখানে মুক্তমনা শব্দটার অবমাননা হয় কিনা বিজ্ঞজনেরা ভেবে দেখতে পারেন।



কিন্তু এহেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও অপারগ ছাত্রদের সমাবেশকে তারা কোন মতেই ভুলতে পারছে না। শয়নে স্বপনে তাদেরকে ক্রমাগত চপেটাঘাত করে চলেছে লক্ষ লক্ষ সত্যিকারের সকল শ্রেণীর, সকল পেশার মানুষ। তাদের দুঃখ কোথায় সেটা ভালই বোঝা যায়। ঠিক যে কারনে শেখ হাসিনা নোবেল জয়ী ডঃ ইউনুসকে সহ্য করতে পারেনা ঠিক সেই একই কারনে তারা এই চপেটাঘাত এখনো অনুভব করে চলেছে। তারা যা পারেনি হেফাজতে ইসলাম তা পেরেছে এটা তারা কোন মতেই মেনে নিতে পারছে না। এমনকি শনিবার দুপুর ৩টার সময়ও যখন লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ চলছে তখন শাহবাগের জনাত্রিশেক আন্দোলনকারী ঢোল তবলা সহযোগে শ্লোগান দিচ্ছিল "লং মার্চ.. হয় নাই হয় নাই" (আমি নিজে দেখেছি)। পাগলের সুখ মনে মনে, রাত জেগে তারা গোনে।



এমতাবস্থায় এখন শাহবাগি ও তাদের সহযোগী মিডিয়া মেতে আছে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার নিজস্ব ভার্ষন বানিয়ে সেটার ব্যাপক সমালোচনায়। কৌতুহলি পাঠক সহজেই বুঝতে পারবেন ১৩ দফার হেফাজতি ভার্ষন আর শাহবাগী ভার্ষনের পার্থক্য। বন্ধ করা আর ভেঙ্গে ফেলা বা নারী পুরুষ অবাধে মেলামেশা করা আর নারীদের বাইরে বের হতে না পারা ইত্যাদি বাক্য বা শব্দগুলোর পার্থক্য ২০০ নম্বরের বাংলা না পড়লেও বোঝা যায়।



তো এভাবেই ১৩ দফার বিকৃত ভার্ষন বের করে তার ফোরটিন জেনারেশন উদ্ধারের কাজ। মনে হয় নতুন একটা তাদের ভার্ষনের রায় না পাওয়া পর্যন্ত এই চপেটাঘাত চলতেই থাকবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.