| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনিক আপ্যায়ন খরচ ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৮ টাকা। এ খাতে তিনি ২০১১-১২ অর্থবছরে ব্যয় করেছেন ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা আগের সরকারগুলোর চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। বিগত সরকারগুলোর সময় এ খাতে ব্যয় হতো বছরে ৮০ লাখ টাকা। আর এখন এক মাসেই হচ্ছে ৬৫ লাখ টাকা।
চমকে উঠার মতো এসব তথ্য জানা গেছে গত কয়েক বছরের বাজেট ঘেঁটে। অর্থ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বার্ষিক বাজেট ২০১২-১৩-এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পার্টে দেখা যায়, আগের বছর অর্থাত্ ২০১১-১২ অর্থবছরে আপ্যায়ন খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এটি সংশোধিত বাজেট। ওই বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। বরাদ্দের চেয়ে ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় বেশি হওয়ায় অর্থবছরের শেষপ্রান্তে এসে এ খাতে বাজেট সংশোধন করতে হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল আমার দেশকে বলেন, ২০১১-১২ অর্থবছর শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আপ্যায়ন খরচের ফিগার দেখে আমরাও চমকে উঠি। তিনি জানান, স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও এতবড় ফিগার দেখে থমকে যান।
গত ক’বছরের বাজেটে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, খালেদা জিয়া সরকারের সময় ২০০৪-০৫ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৮৫ লাখ টাকা। ওই বছর এ খাতে খরচ হয় ৮০ লাখ টাকা। বরাদ্দের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় অর্থবছর শেষে ৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দেয়া হয়। ২০০৫-০৬ অর্থবছরেও প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খরচ ছিল ৮০ লাখ টাকা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও প্রধান উপদেষ্টা আপ্যায়ন বাবদ সমপরিমাণ অর্থাত্ ৮০ লাখ টাকাই খরচ করেছেন।
বাজেট ও সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, ২০০৬-০৭ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরে আপ্যায়ন খাতে খরচ হয়েছে ওই ৮০ লাখই।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মৃগ লাফের মতো লাফিয়ে বেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আপ্যায়ন খরচ। আগের বছরগুলোর মতো ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটেও প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৮০ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরের শেষপ্রান্তে এসে দেখা যায় খরচ করা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে দেড় কোটি টাকা বেশি। ফলে ওই বছরের বাজেটে এ খাতে বড় ধরনের সংশোধনী আনতে হয়। পরের অর্থবছরের (২০১০-১১) বাজেটে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও খরচ হয় তিনগুণেরও বেশি। ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এ ব্যয় বিদ্যুত্গতিতে বেড়ে ঠেকে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকায়। সে হিসাবে গত অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী আপ্যায়ন বাবদ দৈনিক খরচ করেছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৮ টাকা ৬৩ পয়সা। বিগত সরকারগুলোর সময় এ ব্যয় ছিল দৈনিক ২১ হাজার ৯১৭ টাকা ৮১ পয়সা। আর মাসে খরচ হতো ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা ৬৭ পয়সা। এখন এক মাসে প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খরচ হচ্ছে ৬৫ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরে (২০১২-১৩) এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আরও দুই মাস আগেই বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। এ বছর প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খরচ ৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে সাবেক সচিব আসাফ্উদ্দৌলাহ্ আমার দেশকে বলেন, এটি রাষ্ট্রের অর্থের নির্লজ্জ অপচয় বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন খাতে বছরে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় স্বাভাবিক খরচের হিসাবে মিলে না। আগে যখন কেউ এতো ব্যয় করেননি এখন কেন বেড়ে গেল তা আমাদের জিজ্ঞাস্য রয়ে গেল।
সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি আবদুল হালিম বলেন, আগের বছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এ খাতে ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়ন বাবদ বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ করা হয়েছে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা বরাদ্দের দ্বিগুণেরও বেশি। এতে বোঝা যাচ্ছে রাষ্ট্রের অর্থের প্রচণ্ড অপচয় হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো গরিব দেশে এ ধরনের অপচয় মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়।
সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি ড. আকবর আলি খান বলেন, আপ্যায়ন খাতে এ ব্যয় দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা অস্বাভাবিক। তবে এ ব্যয় কেন এতো বেড়ে গেল তার ব্যাখ্যা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামানকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। মোবাইলে রিং হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
(আমারদেশ হতে কপি পেস্ট কৃত)
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
আপনি একদম কিছু বলেননি।
২|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
অরিয়ন বলেছেন: সাবেক সচিব আসাফ্উদ্দৌলাহ্ আমার দেশকে বলেন, এটি রাষ্ট্রের অর্থের নির্লজ্জ অপচয় বলে আমি মনে করি।
সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি ড. আকবর আলি খান বলেন, আপ্যায়ন খাতে এ ব্যয় দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা অস্বাভাবিক।
বর্তমানে ক্ষমাতসিন লুটেরার দল রাষ্ট্রের সম্পদ নিজের বাপ দাদার সম্পদ মনে করে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। মূল কথা হলো রাষ্ট্রিয় অর্থ লুটপাট করলেও এজন্য জনগনের কাছে কোন জবাবদিহি করতে হয় না। সেই সুযোগই নেয় তারা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০১
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
কিন্তু আকবর আলি খান টাইপের মানুষ অনেক ভয়ঙ্কর। সহজ কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলে। জানিনা আর কত বয়স হরে সত্য বলার সাহস হবে।
৩|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
আমার দেশের কোন খবরই বিশ্বাস করি নাহ
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
এইটা খবর না ভাই, এইটা হইলো নিউজ।
৪|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: কি আর কমু সরকার খাদক না অন্য কিছু।এত সারা দেশের মানুষের জন্য বাজেট করে না করে নিজের আরাম আয়েশের জন্য।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
কি আর কমু..
৫|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৫
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
ওরে খাইছে রে !!!!
এতো টাকা দিয়া কি খায়? :-& :-& :-&
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
পান আর আজিজ বিড়ি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
নাহিদ সৈকত বলেছেন: কিসু কইতাম না। কইলে আমারে শুদ্ধা খায়া ফেলাইবে।
:!> :!> :#> :#>