![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেদ্দার রাজাকার এখন নব্য আও্য়ামিলিগ,প্রতিরোধের ঘোষণা সর্বাত্মকভাবে সকল মতের বাংলাদেশ কমিউনটির।দেশে এবং বিদেশে এই প্রতারকদের থেকে সাবধান।
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল এর ১৬ কোটি টাকার দুর্নীতি:
"অডিট রিপোর্টে প্রাপ্ত দুনীতির টাকা যদি তুই ফেরত না দিস, তাহলে তোরে গাছের সাথে লটকাইয়া জুতা দিয়া পিটামু.লেংটা করে দিমু..রাজাকার এর বাচচা.....। দেখি কোন বাপ তোরে বাচাতে আসে.,,।"
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একজন যখন এ কথাগুলো প্রবাসী বাংলাদেশী সন্তানদের খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠের দুনীতিবাজ চেয়ারম্যান কাজী বশীরকে মারমুখী হয়ে উচু কন্ঠে চীতকার দিয়ে বলছিল, তিনি নিশ্চুপ। দেখে মনে হয়েছে - মহামান্য আদালতের রায়ে দন্ডিত অপরাধের জন্যই কোন দাগী আসামী এসব কথাগুলো নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে। এ যেন একান্তই তার প্রাপ্য।
খুব কাছ থেকে দেখা একজন স্বাক্ষী হিসেবে আমি অবাক দৃস্টিতে চেয়ে আছি চেয়ারম্যানের দিকে। বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে, জেদ্দা প্রবাসী বাংলাদেশীদের অহংকার ইংলিশ স্কুলের চেয়ারম্যানকে এ সব বিশ্রী কথাগুলো বলা হচ্ছিল।
বেহায়া আর লজ্জাহীন অসহায় চোরের মত এতগুলো অসহ্য কথা চেয়ারম্যান কাজী বশীরকে কেন হজম করতে হলো, তার এ নীরবতার পেছনে এমন কি চরম অপরাধ ঘটেছিল, সে সব না জানা কথাগুলো সম্মানিত অভিভাবকদের জানানোর জন্যই আমার এ লেখনি।
১৪ই সেপ্টেম্বর সোমবার। ২০১৫। অডিট রিপোর্ট পেশ করার মহেন্দ্রক্ষণ। অভিজ্ঞ অভিভাবক আর নতুন মেম্বারদের সমম্বয়ে তৈরী করা অডিট টীমটি বিগত তিন মাস ধরে তন্ন তন্ন করে খুজে তৈরী করা স্কুলের অডিট রিপোর্টে রয়েছে হাজারো অনিয়ম আর দুনীতির তথ্যপুর্ন ডকুমেন্টস। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ারম্যানের হাতে এটি হস্তান্তর করার কথা।
অডিট চলাকালীন সময়ে চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া, ইনভয়েসের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অনুপস্থিতি, হিসাববিহীন মিলিয়ন রিয়ালের ঘাপলা, বিশাল অংকের নথিপত্র গায়েব, লক্ষ লক্ষ রিয়ালের নিয়ম বহির্ভুত লেনদেন, এসব বিষয়গুলো জানতে চাওয়া প্রশ্নের উত্তরে হাজারো অসংগতি আবিস্কার।..... সবকিছু মিলিয়ে চেয়ারম্যান আর তার সাথে অর্থ লুটপাটের সহযোগীদের বুঝতে বাকী নেই যে, এ যাত্রায় পুলসেরাত পার হবার আর কোন সুযোগ নেই। এক সাথে এতগুলো দুনীতি শাক দিয়ে ঢাকা সম্তব নয়। তাই তার নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া এসব দৃনীতির খতিয়ান অভিভাবকদের কাছে প্রকাশ হলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটবে। .....। তাই অতীতের মত এ অডিট রিপোর্টটির প্রকাশকেও যে কোন উপায়ে রুদ্ধ করে দিতে হবে।
বাচার জন্য চিরাচরিত নিয়মের মতই সবার অগোচরে বশির সব আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ভেতরে রিপোর্ট পেশের আনুষ্ঠিকতা। বাহীরে গেট বন্ধ। প্রহরীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া না হয়। রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে তাকে জিততেই হবে।
ভেতরে শুরু হয়েছে অডিট রিপোর্ট পেশ। তুমুল বাক বিতন্ডা। জগড়া। কথা কাটাকাটি। ভয়ভীতি প্রদর্শন। গলাবাজী ইত্যাদি চলছিল। ...অবশেষে অপবাদ, অপরাধ আর দুনীতি হাজারো নমুনাসহ পেশ করা অডিট রিপোর্ট দস্তখতের মাধ্যহে গ্রহনের পালা। কিন্তু কাজী বশির দস্তখত দিয়ে এ অডিট রিপোর্টকে স্বীকৃতি দিতে কিছুতেই রাজী নয়। এ যেন নিজের পায়ে কুড়াল মারা। তাই সে আরও সময় চায়। সময় ক্ষ্যাপন করেই এটিকে দামা চাপা চায়। তাই সে অনেকটা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তুমুল বাকবিতন্ডা, হুমকি ধমকির মধ্য দিয়ে অডিট রিপোর্ট পেশের পর্বটি শেষ না হতেই প্রাক্তন মেম্বার আমীর ফিরোজ ছুটে এসেছে স্কুল গেটে। এ রিপোর্টে লিখা অনেক কিছুর স্বাক্ষী সে। এটির সাথে তারও কর্মকান্ড জড়িত বলে সে জানতে চায়। এটি ছিল তার অধিকার। এ সভায় তাকে ডাকার কথা থাকলেও ডাকা হয়নি। তাই সে কতিপয় অভিভাবক জাফর, মান্নান, আফজাল, জলিল সহ অনেককে নিয়ে এসে স্কুল গেটে হাজির। এসব অভিভাবকরা জানে স্বার্থের জন্য কাজী বশীর কোন না কোনভাবে অডিট রিপোর্টটি বাজেয়াপ্ত করে ফেলার চুড়ান্ত অভিনয়ে মেতেছে।
গেটে এসেই কাজী বশীরের খুব শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক জাফর ভাই ভেতরে ঢুকার জন্য বার বার অনুমতি চেয়েও ব্যার্থ হয়েছে। ফোন করে ও কাজ হচ্ছিলনা। যাকে পদচুম্বনে কাজী বশীর সব সময় অস্থির থাকত, ছায়ার মত সাথে লেগে থাকত, পুজা করত কেবলা বাবার দরগাহের অন্ধ মুরিদের মত, আজ তাকে গেটের ভেতরে ঢুকতে না দেয়ার ফন্দিটা তাদের বুঝতে বেশী দেরী হয়নি।
ধুলিঝড়ের মাঝে দাড়িয়ে থাকা এসব ক্ষিপ্ত অভিভাবকগন অবশেষে অনুমতি ছাড়াই স্কুলের ভেতের ঢুকে পড়ল। কাজী কোথায়.. দেখি কোন দুনীতিবাজ আমাকে ঠেকায়..ইত্যাদি কথা উচ্চ স্বরে বলতে বলতে স্কুলের অন্দর মহলে যাবার পথেই চোখে পড়ল কুমিল্লা সমিতির সহসভাপতি হুমায়ুনকে। সাথে মোজাম্মেল, মাসুদ..। হুমায়ুন এগিয়ে এসে জাফর ভাইকে লক্ষ্য করে বশীরের পক্ষে গলা উচু করে কথা বলতেই জাফর ভাই ক্ষ্যাপে গেল। মুহুর্তেই সজোরে ২০ কেজী ওজনের একটি মুষ্ঠিবন্ধ ঠুসি বসিয়ে দিল হুমায়ুনের গালে। ঠুসির ভার বহন করতে না পেরে হুমায়ুন মাটিতে পড়ে গেল। মোজাম্মেলসহ কুমিল্লা সমিতির আরও কতিপয় উপস্থিত ঠিয়াল বাহীনি নিশ্চুপ।
বাহীরে হট্রগোল শুনে কাজী বের হয়ে আসল। তাকে লক্ষ্য করে জাফর ভাই বলতে লাগল "আমরা এতক্ষণ যাবত স্কুলে ঢুকতে পারিনাই। আর তুই কেন এসব লাঠিয়াল বাহীনিকে ভেতরে ঢুকিয়ে রেখেছিস। সামনে আয়। দেখি কোন শালা লাঠিয়াল হয়ে লড়তে চায়।
,,,কিছুক্ষণ আগে এরাই কাজীর পক্ষে ধমকিয়ে কথা বলে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল উপস্থিত অডিটর আর নতুন মেম্বারদের। এমন সময় নতুন মেম্বার ইয়াহিয়া খুব ভীত সন্ত্রস্ত্রভাবে বের হয়ে এসে বলত লাগল,
- জাফর ভাই। আমি এ স্কুলে মেম্বার হিসেবে আর থাকতে চাইনা। ওরা আমার বাসায় গিয়ে হামলা করার হুমকী দিচ্ছে। বলছে, আমাকে দেখে ছাড়বে। কারন একটাই। আামি কেন অডিট রিপোর্টটি তার কথামত দামাচাপা দিতে রাজী হয়নি।
,,আপনাকে কে মারবে আমি দেখবো জাফর ভাই বলতে লাগল। দেখি কোন শালায় মারে। লক্ষ লক্ষ টাকা দুনীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কাজীকে উপস্থিত অভিভাবকরা একজন দাগী চোরের মতই ব্যবহার করেছে। অবশেষে জলিল নামে পরিচিত জনৈক অভিভাবক কাজীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালী, ধমক দিলেও সে নিশ্চুপ। কোডিং করার মত তার মুখ থেকে কাজীকে ছুড়ে দেয়া ভাষাটা ছিল এমন
অডিট রিপোর্টে প্রাপ্ত দুনীতির টাকা যদি ফেরত না দিস, তাহলে তোরে গাছের সাথে লটকাইয়া জুতা দিয়া পিটামু..। দেখি কোন বাপ তোকে বাচাতে আসে.,,।
প্রশ্ন হল,
- এ ধরনের একটি খ্যাতনামা স্কুলের চেয়ারম্যানকে এতটুকু অপদস্থ আর অপমান করার পরও তিনি কেন নিশ্চুপ ছিলেন?
- তিনি যদি সত্যিই সত হয়ে থাকেন, তাহলে গাছের সাথে লটকিয়ে জুতা পেটা করার কথা বলার পর ও কেন অভিযুক্ত দাগী আসামীর মত থ হয়ে দাড়িয়ে শুনছিলেন?
- কেন অভিভাককের কাছে এ অপদস্তের বিচার চাননি?
- তিনি এমন কি করেছেন যে, সবার সামনে তাকে এতটুকু অপমানজনক কথা সহ্য করতে হয়েছে?
.,. এসব না জানা দুনীতির লোমহর্তষক তথ্য নিয়েই আজকের এ লিখার অবতারণা।
প্রবাসী বাংলাদেশী সন্তানদের গর্বিত বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইরেজী শাখার (জেদ্দা) সর্বশেষ চেয়ারম্যান কাজী বশীরের নেতৃত্বাধীন কমিটির দুনীতি অতীতের সব রেকর্ডকে ভংগ করেছে। অতীতে স্কুলটির বিদায়ী কমিটির দুনীতি তদন্তে একাধিকবার অডিট হলেও সিন্ডিকেট দুনীতিবাজদের প্রভাবে সেটি কখনও আলোর মুখ দেখেনি।
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের পরামশ ও সহযোগীতায় এবারের অডিট রিপোর্টটি হবার কারণে এটি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে দারুণ উতসাহ উদ্দীপনা কাজ করছিল শেষ দেখার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান কাজী বশীরের লাঠিয়াল বাহীনী নামে পরিচিত মুখচেনা সেই লোকগুলো এটিকে দামাচাপা দেয়ার অনেক চেষ্টা করেও অবশেষে ব্যর্থ হয়েছে। জনাব জাফরের নেতৃত্বে একদল অভিভাবক এর অনাকাংখিত উপস্থিতির কারণে এটিকে আর দামাচাপা দেয়া সম্ভব হয়নি। অবিশ্বাস্যভাবে সব পরিকল্পনাই যেন ভেস্তে গেল মুহুর্তে। হট্রগোল, বাক-বিতন্ডা আর মারামারির মধ্য দিয়ে অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থ স্কুল থেকে লুটপাটের সচিত্রতা নিয়ে করা অডিট রিপোর্টটি প্রকাশ হয়ে পড়ে।
নতুন কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন মেম্বার যে কোন উপায়ে এটি প্রকাশ করার পক্ষে ছিল বলেই অডিট রিপোর্টের সমুদয় তথ্য এখন অভিভাবকদের মুখে মুখে। মহা দুনীতির এ খবরটি শুনে কাজী বশীরের অনেক কাছের লোককেও অবিশ্বাস্যভাবে ঘৃনা করতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেটে সদ্য অনুষ্ঠিত প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের এক নেতা জনসম্মুখে আংগুল উচিয়ে কাজী বশীরকে দেখিয়ে বলেই দিয়েছে, কাজীকে বিশ্বাস করবেন না। ও একটা চোর। ও আমাদের স্কুলের টাকা লুট করে খেয়েছে। ও একটা মহা চোর.।ছি।
অভিভাকদের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত স্কুলের টাকা কিভাবে সিন্ডিকেট দুনীতিবাজরা লুটপাটের নেশায় মেতেছিল, সে সব না জানা সব অপকমের্র লোমহর্ষক চোখ ধাধানো এ ধারাবাহীক সিরিজে ডকুমেন্টারী সবগুলো লিখা নিয়মিতভাবে পড়ি। অন্যকেও পড়তে দিন। মুখোশ উম্মোচিত করে দিন সমাজ সেবার নামে পর্দার অন্তরালে ঢেকে থাকা এসব ঘৃন্যতম মানুষগুলোর আসল চরিত্র।
হিসাব রক্ষনের নামে মহা-লুটপাট :
* হিসাব সংরক্ষনে একাউন্টিং পদ্ধতিকে একেবারেই পদদলিত করে দেয়া হয়েছে। টাকা লেন দেন, জমা-উত্তোলনসহ সব খানেই ছিল অনিয়মে ভরপুর। আয় ব্যায়ে ভাউচার তৈরী বা অনুমোদন ছিল একেবারেই উপেক্ষিত।
* অভিভাবকদের থেকে দৈনিক সংগৃহীত টাকা দিনের শেষে কখনই ব্যাংকে জমা দেয়া হয়নি। প্রাপ্ত ক্যাশ টাকা নিজেদের ইচ্ছেমত খরচ করা হয়েছে। দিন শেষে আয় ব্যায় রেকর্ড করে কখনোই ফাইলবন্দী করা হয়নি। হিসাব রক্ষেণে কোন ধরনের ইনভেনটরী, কেশ ইন-আউটে মাসিক ব্যালেন্স , ত্রৈমাসিক, ষাম্বাষিক বা বাতসরিক কোন ধররনের একান্টিং পিরিয়ড ছিলনা। ক্যাশে কখন কতটাকা ছিল, কত টাকা দৈনিক বা মাসিক ব্যায় এর উপর কোন ধরনের তদারকী ছিলনা। এক কথায় স্কুলের হিসাব রক্ষনে চরম অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার পদচিহ্ন ছিল প্রতিটি পরতে পরতে।
স্কুল রেন্টিং এ মহা ডাকাতি:
১-স্কুলের ভাড়া (লীড এগ্রিমেন্ট) : ২০ মিলিয়ন রিয়াল ভাড়ার বিপরীতে স্কুলটির বর্তমান খালি জায়গাটি ২১ বছরের জন্য লীজ এগ্রিমেন্ট হয়েছিল। শর্ত ছিল
- এটির প্রথম দশ বছরের ভাড়া ৯,০০,০০০ (নয় লক্ষ রিয়াল) করে । - -
- দ্বিতীয় দশ বছর ১১,০০,০০০ (এগার লক্ষ রিয়াল) করে।
- এক বছর ফ্রি।
স্কুলের জায়গা ভাড়া, লীজ এগ্রিমেন্ট, টাকা লেনদেন সব কাজটি মাত্র একজন মেম্বার হ্যান্ডেলিং করে কমিটির মিটিং এ অনুমোদনের জন্য জমা দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, সেই অজানা কমিটি মেম্বারের অনুরোধে পুরো ভাড়ার উপর ২,৫% কমিশন হিসেবে ৫,০০,০০০ (পাচ লক্ষ রিয়াল) দেয়া হয়েছে দুজন মধ্যস্থতাকারীকে।
স্কুল ফান্ড থেকে কমিশন হিসেবে পাচ লক্ষ রিয়াল কেন দেয়া হবে তার কোন ডকুমেন্ট, বিবরনী, কিংবা দাতা গ্রহীতার স্বাক্ষর কিছুই সংরক্ষণ করা হয়নি। ২১ বছরের জন্য স্কুলের জন্য লীজ নিতে ভাড়ার উপর পাচ লক্ষ রিয়াল কমিশন দেয়া কোন নিয়মের মধ্যই পড়েনা।
সবচেয়ে আশ্চয্যর বিষয় হল, স্কুল কমিটির বোর্ড রেজুলেশনে কাটা ছেড়া করে দেয়া টাকা এক লক্ষ, দুই লক্ষ, পঞ্চাশ হাজার ইত্যাদি মেয়াদে দেয়া রিয়ালের গ্রহীতার কোন দস্তখত বা ঠিকানা নেই।
নতুন ক্যাম্পাস নির্মানে মহা দুনীতি:
স্কুল গভর্নিং বডির মিটিং এ নতুন ক্যাম্পাস বিনির্মানে ৬৫০,০০০ (ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) রিয়াল বায়ের বাজেট করা হলেও পরে আরও অতিরিক্ত ১,১ মিলিয়ন (১১ লক্ষ রিয়াল) বেহিসাবী খরচ হওয়ায় জনৈক বোর্ড মেম্বার তা অনুমোদনে সম্মতি দেননি। তবুও বাজেট ফেল করা এ বিশাল খরচ থেমে থাকেনি। চেয়ারম্যান সহ বাকী একজন মেম্বার নিজেদের দস্তখতে ইচ্ছে মত শূধু খরচ করেনি। এটিকে দামাচাপা দেয়ার জন্য
- কন্সট্রাক্শন কাজে খরচকৃত ভাউচারের অধিকাংশ ইনভয়েস ফেলে দেয়া হয়েছে।
- হিসাব মিলানোর জন্য অনেক গুলো নতুন ভাউচার বানানো হয়েছে যার সাথে কোন সাপোর্টি ডকুমেন্টস নেই। অনুমোদন নেই।
- অনেক গুলো ভাউচার কম্পিউটারে এডিট করা হয়েছে যা চরম দুনীতি বৈ কিছূই নয়।
- কন্সট্রাকশন কাজে দেয়া টাকার বিপরীতে সংরক্ষন করা ৫টি পেমেন্ট বই এর মাত্র একটি আছে। বাকী ৪টি বই নাকি হারিয়ে গেছে। ছি। ছি । ছি।
- অধিকাংশ ভাউচারে সংশ্লিষ্ট কমিটি মেম্বারের অনুমোদন না থাকায় প্রিন্সিপাল কতৃক নোট লিখে দেয়া হয়েছে মাত্র।
[b]আমেরিকা শিক্ষা সফরে দুনীতি/b]
- আমেরিকায় যাবার জন্য প্রতি ছাত্র থেকে ২৫,০০০ (পচিশ হাজার) রিয়াল করে নেয়া হলেও মাথাপিছু খরচ হয়েছে মাত্র ১৫,০০০ (পনের হাজার) রিয়াল। বাকী টাকা স্কুল হিসেবে জমা করার কোন ডকুমেন্ট বা রেকর্ড দেখাতে পারেনি।
- আমেরিকা গামী ছাত্রদের থেকে বিভিন্বন র্ধিত ফি জমা দেয়ার ডকুমেন্ট পাওয়া গেলেও তা কি জন্য নেয়া হয়েছে, কোথায় খরচ করা হয়েছে, কেন নেয়া হয়েছে তার কোন সঠিক জবাব দিতে পারেনি। গৃহীত টাকার ও কোন সংরক্ষিত হিসাব দেখাতে পারেনি।
- এ ব্যাপারে স্কুল প্রিন্সিপালকে কোথাও সংশ্লিষ্ট না রেখে একজন শিক্ষক এবং একজন কমিটি মেম্বার পুরো ব্যবস্থাপনাটি তদারকী করেছে।
-্ এ সফরে সর্বমোট কতজন ছাত্র ছাত্রী নেয়া হয়েছে তার কোন সঠিক লিস্ট সংরক্ষণ করা হয়নি।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
জাভেদ সালেহ বলেছেন: THANK YOU BROTHER FOR YOUR NICE COMMENTS.
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন:
লেখাপড়া এখন মাঠের ফুটবল
http://www.somewhereinblog.net/blog/debajyotikajal/30088154
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
তাজ উদ্দীন সুমন বলেছেন: যে প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি আসবে, ধংস সেখানে অনিবার্য। এখানে শত শত বাচ্ছারা কি শিখছে? বাবা চাচাদের চিৎকার চেঁচামেচি? আপনারা স্কুল বন্ধ করে ঝগড়া দ্রুত শেষ করে কোমলমতি বচ্ছাদের রেহাই দিন..।