নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটি সুখী, নিরতিশয় আনন্দিত ব্লগ !

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

প্রচেত্য

--- : শর্ত প্রযোজ্য : ---

প্রচেত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কসম" - "কোরআন ছুয়ে কসমের পর বধির ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে ......"

২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৫৩

বিষয় : "কসম", বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আমরা মুসলমান'রা কোন সাধারণ বিষয় কিংবা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে "কসম" করে বসি, সেটা আল্লাহ নিকে যেমন করি, তেমনি পবিত্র কুরআন শরীফকে নিয়েও তেমনই কসম কাটি, মা-বাবা, পার্থিব, অপার্থিব বস্তু পর্যন্ত এই কসম কাটা থেকে বাদ যায়না। কোন বিষয় বা ঘটনাকে সত্যতা প্রমাণের জন্য এধরনের কসম কাটা হয় যা বহুল প্রচলিত এবং শিক্ষিত, অশিক্ষিত, শহুরে, গ্রামে সবর্দাই সর্বক্ষেত্রে প্রচলিত।



আজ দৈনিক ইনকিলাবের ওয়েব সংস্করণে বি.এম.হান্নান-এর নিউজটি চোখে পড়ে "কোরআন ছুয়ে কসমের পর বধির ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে ......" উতসাহী হয়ে পুরো নিউজটা পড়ে ফেলি, মূলত বিষয়টি যেটা ছিল, আজ ৬দিন ধরে কোরআন শরীফ ছুয়ে কসম করার পর ছেলেকি এষনও বাকরুদ্ধ হয়ে আছে, ঘটনাটি টাকা-পয়সা লেনদেন প্রসঙ্গে, বদানুবাদের এক পর্যায়ে ছেলেটি অপবিত্র শরীরে কোরআন শরীফ ছুয়ে কসম কেটে ফেলে, তার ৫মিনিটের মধ্যেই ছেলেটির কথা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাশের বাড়ীর মাওলানা এবং তার পরে নিকটস্থ পীর সাহেবের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও ছেলেটির অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি, বরং কানেও শুনতে পারছিলনা, সংবাদদাতার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছেলেটি বাড়ী থেকে বের হয়ে কোথায় যায়, তার বাড়ীর লোক কিছুই বলতে পারেনা, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছেলেটি নিরুদ্দেশ থাকে।



*এখানে ইনক্লাব পত্রিকাটি, ক্লিক করুন*





মনে পড়ে যখন একটি ইসলামে বই পড়েছিলাম তখন "কসমের" বিষয়টিও অর্ন্তভূক্ত ছিল, সেখানে বলা ছিল "খোদা ব্যতীত আর কাহারও নামে কছম করা যাবেনা, হারাম। খোদা-তাআলা, কুরআন শরীফের নামে কসম করে তা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারা দিতে হয়।"



ইসলামে কসম করতে নিষেধাজ্ঞা ঠিকই কিন্তু আমরা যেভাবে যখন তখন যেকোন বিষয় নিয়ে কসম কেটে ফেলি এটা ঠিক নয়, কসম যদি কাটতেই হয় তবে তা বুঝে শুনে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-৫

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৫৭

দুরন্ত পিথক বলেছেন: এসব নিউজ এত সহজে বিশ্বাস করা উচিত না। দাড়ান পড়ে দেখি।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৫৯

মিসকল বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:০২

মদন বলেছেন: আল্লাহর নামে ছাড়া কারো নামে কসম ঠিক নয়।
পারত:পক্ষে অযথাই কসম না করাই ভালো।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:০৯

প্রচেত্য বলেছেন: আমরা যারা ইসলামী অনুশাষনে চলি আমাদের অবশ্যই ইসলামের সঠিক নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত, এমন কোন কিছু করা উচিত নয় যেখানে ধর্ম সমালোচিত হয়

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:১২

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: আমি যতদূর জানি, ইসলামে কসমের কোনো স্থান নেই। কারণ কসম কেটে মিথ্যা বলা, আর এমনিতে মিথ্যা বলা দুটোই মহাপাপ। মিথ্যাই তো সকল পাপের মূল, তাই না?

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:১২

নাজিম উদদীন বলেছেন: ইনকিলাব এ ধরণের খবর ছাপায়।

আর বধির,বাকরুদ্ধ হয়ে গেলে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে পীর, মাওলানার কাছে নিয়ে গেলে কি কাজ হবে? এরপরে আবার তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পুরো ব্যপারটাই সন্দেহজনক।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:২২

প্রচেত্য বলেছেন: @মৃন্ময়@
একেবারে স্থান নেই তা বোধ নয় না, কিন্তু কসম করে ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারা দিতে হয়
@নাজিম@
হারিয়ে যাওয়ায় ব্যপারটা আমার কাছেও রহস্যজনক মনে হয়েছে

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৮

মৃন্ময় আহমেদ বলেছেন: আমি বিজ্ঞ ধর্মবিদদের বেশ কটা আলোচনাই এ ব্যাপারে দেখেছি, শুনেছি। কসম নেবার ব্যাপারে কোনো ডিরেক্‌শান নেই। তবে এই ব্যাপারে ইচ্ছে করলে অনেক তর্ক বিতর্কই করা যায়। আমার ততো জ্ঞান নেই। আমি যা জানি, তা বলে দিলাম।
আপনি অথবা অন্য কেউ যদি কোনো রেফারেন্স দিয়ে কিছু উল্লেখ করতে পারেন, যেখানে কসম নেয়ার অধিকার প্রদান করা হয়েছে তাহলে খুশি হবো।।
ধন্যবাদ।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪২

গনডার বলেছেন: আর বধির,বাকরুদ্ধ হয়ে গেলে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে পীর, মাওলানার কাছে নিয়ে গেলে কি কাজ হবে? এরপরে আবার তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পুরো ব্যপারটাই সন্দেহজনক।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪২

মনিটর বলেছেন: আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হোক।

হাসিনা-খালেদা-তার১ জিয়া দের কোরাণ ছুঁয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হোক।এরপর ওরা যদি বধির ও বাকরুদ্ধ না হয়,তবে মুক্তি দেয়ার চিন্তা করা যেতে পারে।

এরকম যুগান্তকারী সংবাদ পরিবেশনের জন্য ইনকিলাবকে টয়লেট পেপার অ্যাওয়ার্ড দেয়া যাইতে পারে,স্পন্সরড বাই 'প্রজেক্ট ৭১ অ্যান্ড ট্রিভুজ ডট কম'।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৭

আওরঙ্গজেব বলেছেন: "খোদা ব্যতীত আর কাহারও নামে কছম করা যাবেনা, হারাম। খোদা-তাআলা, কুরআন শরীফের নামে কসম করে তা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারা দিতে হয়।"

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:১৯

প্রচেত্য বলেছেন: @মৃন্ময়@
ইসলামী বই পড়া প্রসঙ্গে যা বলেছি, যতটুকু পরিমাণ বই পড়া তার চেয়ে হুজুর, মুসল্লী থেকে শোনার অভিজ্ঞতা বেশী, তাই তথ্যে উপস্থাপনে আমাকে সময় নিতে হবে
@মনিটর@
সময়োচিত মন্তব্য, উপদেষ্টাদের নিকট প্রেরণ যোগ্য
@গন্ডার@
ব্যপারটাতে আমিও সন্দেহ আছে বলে মনে করি

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৪৪

আইরিন সুলতানা বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্যের সাথে একমত; তবে কি, ইনকিলাবের এইসব খবরে বিশ্বাস হয়না...

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৪৭

ডাক্তার অব নাজির শাঈল রমনপ্রিয় বলেছেন: প্রচেত্য আপনার বুদ্ধি খুব ভালা,

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৫০

আসল-ট্রাপ বলেছেন: ইনকিলাবীয় সংবাদে ১ দেয়া হইলো।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৫৪

ডাক্তার অব নাজির শাঈল রমনপ্রিয় বলেছেন: ব্লগে নিক নেবার আগে কোরান ছোয়া বাধ্যতামুলক করা হউক

১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৪২

প্রচেত্য বলেছেন: @আইরিন@
সবাই দেখি বলছে ইনকিলাবে বিশ্বাস নাই, তাহলে কিসের উপর ভিত্তি করে ইনকিলাব প্রকাশিত হয়, যদিও এ ব্যপারটিতে আমার সন্দেহ আছে
@ডাক্তার@
আমি জানিনা কোন মূল্যায়নে আমার বুদ্ধিকে ভাল বললেন ?
@আসল ট্রাপ@
আপনাকে ধন্যবাদ ইনকিলাবকে মূল্যায়ন করার জন্য

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩১

সাইফ সামির বলেছেন: একমত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.