![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু আলোর জন্য আর কতটা পথ অন্ধকারে হাটতে হবে ?
"আদ্ধাতিকতা এমন কিছু নয় যে তুমি একটা কিছু বলে ফেল্লা আর সেটা হটাৎ ফলে গেল- বরং আদ্ধাতিকতা এমন একটা সম্পদ যেটা তোমার সমস্ত সাধনার অর্জন তাই এটা কে ব্যাবহার করার আগে ব্যাবহার করা শিখ"
উপরের অংশ্বটুকু কার লিখা আমি জানি না। তবে এই সামান্য লেখায় যে অনেক আদ্ধাতিকতা আছে তা বেশ বুঝতে পারছি।
আদ্ধাতিকতা বিষয়টি আমরা বিভিন্ন ভাবে বুঝে থাকি, এমনও হয় টেলিভিশনে যদি কারো যাদুকর টাইপ অভিনয় দেখি মনে মনে তাকে আদ্ধাতিক সারির মানুষ ভেবে থাকি
ধরে নেয়া যাক আমরা এমন কোনো আদ্ধাতিক বিষয় নিয়ে ভাবব যা সত্যি অনেক চমকপ্রদ। সেটা হল মাইক্রোএক্সপ্রেশনস বা কারো মনের কথা বলে দেয়া। আমরা এই বিষয়টি যখন কারো কাছে শুনি তখন ভাবি তার নিশ্চই কোনো ইশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা রয়েছে। এবং তার প্রতি আমরা দুর্বল হয়ে পরি। (মেয়েরা বেশি দুর্বল হয়ে যায় )
কিন্তু আমরা একটা কথা শুনেই যতটা ফালাফালি করি ঘটনা ঠক ততটা গভির হয় না। এক্ষেত্রে একটা সংগা দেয়া যেতে পারে- আপনি যদি জন্মের পর থেকে কোনো পাপ না করে থাকেন, অন্তত মিথ্যা না বলে থাকেন তাহলে আমি সিউর আপনি আদ্ধাতিক সারির একজন মানুষ। আপনার দ্বারা সবই সম্ভব। (আজ হইতে মিথ্যা বলা ছেড়ে দিন, আপনিও হতে পারেন আদ্ধাতিক সেলিব্রেটি )
কিন্তু এই যুগে এমন মানুষ কই পাবেন বলেন।
এখন অন্য একটি বিষয়- আদ্ধাতিকতা কি শুধুই অন্যকে দেখাবেন নিজের জন্য কিছু করুন
এখানে আপনি আপনার মন নিয়ন্ত্রন করুন এবং তা দিয়ে নিজের সাফল্যতার মালা গাথুন ।
সমগ্র বিশ্বের এক নম্বর ধনী মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিল গেটস। অথচ শিক্ষাগত ক্ষেত্রে তিনি কলেজের গন্ডিই পেরোতে পারেননি। আবার কম্পিউটার প্রস্তুতকারী মাইকেল ডেল অন্যান্য ছাত্রদের জন্য কম্পিউটার তৈরিতে এত বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি ইউনির্ভাসিটি অব টেক্সাস হতে বের হয়ে এসেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না এবং আলবার্ট আইনস্টাইন ও টমাস আলভা এডিসন ছাত্র হিসাবে ছিলেন অতটা ভালো ছিলেন না। সাফল্য নিয়ে নানা চিন্তা ভর করেছিল ড. হোঁসে সিলভারের মনেও। তিনি জন্মেছিলেন আমেরিকার টেক্সাস রাজ্যের লারেডো শহরে।তার ছিল না তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ৬ বছর বয়সে তাকে পরিবারের জন্য ছুটতে হয়েছে কাজে। যখন তার বয়স চার বছর, তখন মেক্সিকান লিবারেশনে হোঁজের পিতা আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন। তার মা পুনরায় বিয়ে করে অন্য জায়গায় চলে যান। ফলে শিশুকালে বিশেষ কোনো সুবিধা পাননি তিনি।সফলরা কীভাবে তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন ? হোঁজে সিলভা এ বিষয়ে আশ্চর্য হয়ে ভাবতে থাকেন। মন কি করে কাজ করে ? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রথমে তিনি মনোবিজ্ঞান বিষয়ক বই-পুস্তক পড়তে শুরু করেন।
শুধু তাই নয়, তিনি মন বিষয়ক নানা প্রশ্ন জানতে চেয়ে চিঠি লিখতে থাকেন বিভিন্ন বিজ্ঞানীকে। তারা কেউ তার প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দিতে পারেন না। শুধুমাত্র বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড হোঁজে সিলভাকে তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে কার্যকর কিছু উপায় বলে দেন। ফ্রয়েড সে সময় হিপনোসিস নিয়ে কাজ করছিলেন। তার পরামর্শে হোঁজে প্রথমেই হিপনোটিজম সর্ম্পকিত বইপত্র সংগ্রহ করেন এবং তার সন্তানদের উপর তা প্রয়োগ করতে থাকেন।
হিপনোসিস কি সকল সময়ে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে ? এ বিষয়ে হোঁজে তার বড় মেয়ের ওপর পরীক্ষা চালালেন। একদিন তার বড় মেয়ে ইসাবেলাকে তিনি পড়া সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করতেই সে আশ্চর্যজনকভাবে প্রতিবারই সঠিক উত্তর দিতে থাকে।
তিনি মনে করলেন যেহেতু তারা একসঙ্গে থাকেন তাই মেয়ে হয়তো বুঝতে পারছিল পিতা কী চান। কিন্তু তিনি তাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করলেন যার উত্তর হোঁজের নিজেরই জানা ছিল না। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ইসাবেলা ওই প্রশ্নগুলোরও সঠিক উত্তর দিতে পেরেছিল।হোঁজে ইসাবেলাকে নিয়ে র্দীঘসময় ধরে কাজ করতেন। হিপনোসিস অবস্থায় তিনি কবিতা ও অন্যান্য বিষয় পাঠ করে শুনাতেন এবং তাকে মনের ওই অবস্থানে পৌঁছে দিতেন যেন পরবর্তীতে প্রয়োজনের সময় সে তা মনে করতে পারে। ইসাবেলা অনেক সময়ে এমন সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দিত, যার উত্তর তাকে শিখানো হয়নি। যখন সে মনের ওই লেভেলে থাকতো, তখন যে সমস্ত তথ্য হোঁজের কাছে রক্ষিত ছিল সে তা শনাক্ত করতে পারতো। এমনকি অন্যান্য মানুষের মস্তিষ্কে যে তথ্যসমূহ রক্ষিত ছিল তাও সে ধরতে পারতো।
জীবনে সাফল্য পেতে তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাছে যদি সঠিক তথ্য থাকে, তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। হোঁজে সিলভা বলতেন, “এই পৃথিবীতে এমন কোন সমস্যা নাই, যার সমাধান নাই । শুধুমাত্র সেই সমস্ত সমস্যার সমাধানই আমাদের জানা নাই যার সম্পর্কে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নাই।”
মেয়ের বিষয়টি গভীরভাবে অনুভব করে হোঁজে এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন যে, তিনি তৎক্ষণাৎ ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মিষ্টার জে.বি.রাইনকে লিখে জানালেন যে, তিনি তার কন্যাকে সাইকিক হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
সাইকিক শক্তি বলে দুনিয়াতে সে কিছু একটা আছে, তার সত্যতা প্রতিষ্ঠায় জন্য ড.জে.বি. রাইন – অনেক বৎসর ধরে গবেষণা করছিলেন। যাকে অনেকেই “অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়” নামে অবহিত করেন। যদিও তিনি এটাকে এক্সট্রা শেনসরী প্রজেকশন বা সংক্ষেপে “ইএসপি” হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দেহ ও মন নামক যে মহামূল্যবান সম্পদ দিয়েছেন সেই ভান্ডারের চাবি আপনি অন্য কারো কাছে নির্দ্বিধায় দিয়ে দেবেন না। আপনি আপনার নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছেই রাখুন। আপনার জন্য বা সকল মানুষের জন্য, সমগ্র সৃষ্টির জন্য যা মঙ্গলজনক- সেই সঠিক সিদ্ধান্তটি আপনি গ্রহণ করুন।
বিঃদ্রঃ সাফল্যের অংশ্বটুকু ফটোকপি । কই থেকে ফটোকপি করছিলাম মনে নাই।
©somewhere in net ltd.