নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ের গপ্প শোনাই

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

ভয়ের গল্প শুনতে বেশ লাগে। গভীর রাত্তিরে। খালি বাসায়। জনমানুষশূন্য এলাকায়। কিংবা জমজমাট আড্ডায়। গল্পগুলো যদি গায়ে কাঁটা দিতে পারে, কিংবা একটু অস্বস্তিকর ভয়-ভয় অনুভূতির জন্ম দেয়- তাহলেই ধরে নেই আমরা- গল্প বলা সফল। পরের দিন ভুলে যাই। পেছনের কাহিনিটা তেমন ভেবে দেখা হয় না। বিশ্লেষণ-ও করা হয় না।



আজ আমরা কিছু গল্প শুনব। তারপর একে একে এসবের পেছনের কাহিনীও জানব। জায়গা, চরিত্রের নাম পাল্টে দিলেও, এসব কাহিনীর অধিকাংশই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শোনা। কয়েকটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। কিন্তু সবগুলোই নিঃসন্দেহে - ভৌতিক!





#১



'৯৮ সালের দিকের কথা। গ্রামের বাড়িতে গেছে রফিক। খাওয়া দাওয়া শেষ তখন, রাত্রি বাজে দশটার মত। চাচাত ভাই বোনরা একত্রে বসে আছে সবাই। হারিকেন জ্বলছে। ঘরে লালচে হলুদ আলো। বাইরে কালিগোলা আঁধার, মাঝে মাঝে হুঁয়া হুঁয়া করে শেয়াল ডাকছে। বড়রা পান খাচ্ছেন, নিজেদের মাঝে কথা বলছেন। স্বভাবতই, উপযুক্ত এই পরিবেশে ভূতের কথা তুলল একজন।



'জানো রফিক ভাই, হাসিনারে কিরম জ্বালায় ভূতে, রাইতে?'

হাসিনা ওর চাচাত বোন, দশ বারো বছর বয়েস হবে। অবাক হল রফিক, 'ভূতে জ্বালায়? তুই দেখসস?'



উত্তরে যা শুনল ও, তার সারমর্ম এরকম- হাসিনা প্রতি রাতে তার বড়ভাবির সাথে ঘুমায় [কারণ বড়ভাই বিদেশে আছেন বছরখানেক ধরে], এতোদিন কোন সমস্যা হয় নি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তা ধরে হাসিনার গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে বারবার। মনে হয় কেউ যেন আড়াল থেকে তাকিয়ে আছে তার দিকে। পাশে বড়ভাবি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন। কিন্তু হাসিনার মনে হয় ভাবি নন, অন্য কেউ শুয়ে আছে সেখানে। বা অন্য কিছু একটা। এখনই কাঁথা সরিয়ে বিকৃত মুখ বের করে হেসে উঠবে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় সকালে উঠে হাসিনা দেখে, তার চুল অন্যভাবে বাঁধা, কাঁথা পড়ে আছে নিচে--যেন রাতে এসে কেউ তার চুলে হাত দিয়েছে, বেঁধে দিয়েছে, টেনে ফেলে দিয়েছে কাঁথা। হাসিনা এখন রাতে বাথরুমে যেতেও ভয় পায়, তার মনে হয় এখনই কেউ পেছন থেকে এসে ঘাড় টিপে ধরবে। কিন্তু বড়ভাবি সবসময় তার সাথেই থাকেন, তিনি কোন অস্বাভাবিকতা বুঝতে পারেন না।



হাসিনা-কে জিজ্ঞেস করা হলে সে চুপ করে থাকে। গুনগুন করে কাঁদে। চঞ্চল মেয়েটা একেবারে বদলে গেছে, মনমরা হয়ে থাকে সব সময়। বাড়ির সবার ধারণা হাসিনাকে কোন জিন-টিন টাইপের কিছু আসর করেছে। 'আবিয়াইত্যা মাইয়া' তো, তাই নজর লেগেছে। তাঁকে তিন চারটে মাদুলি পরানো হয়েছে, রফিকের ছোট চাচা নিয়মিত মসজিদ থেকে পানিপড়া এনে খাওয়াচ্ছেন। হাসিনার বাপ ইতোমধ্যেই মেয়েকে বিয়ে দেবার তোড়জোড় শুরু করেছেন।



এই গল্পের আরও কিছু শাখা-প্রশাখা বের হয়, তারপর একসময় শেষ হয় আড্ডা। ঘুমাতে যায় সবাই। শেষ রাতে রফিকের তলপেটের চাপে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু বাইরে বাতাসের হুঁশ হুঁউউশ শব্দ, বাঁশঝাঁড়ের মড়মড়ানি, আর শেয়ালের হুক্কা হুয়া হুয়া ডাক শুনে দমে যায় বেচারা। বদ জিন কিংবা ভূতের কথা মাথার ভেতরে তার পাক খেতে থাকে। আর তাই প্রাণপণে প্রস্রাব চেপে প্রতীক্ষা করতে থাকে সকালের।





#২



বাংলাদেশে তখন মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হচ্ছে কেবল। খরচ অনেক বেশি। এক মিনিট কথা বললে সাত টাকা গচ্চা, আর রিচার্জ কার্ডগুলোও বিশাল। ৫০০ টাকার কার্ড নিলে টেনে টুনে দুই-আড়াই সপ্তা চলা যায়। অর্থাৎ পুরো ব্যাপারটাই খরচসাধ্য। এমন সময় বড় ভাই শখ করে মোবাইল নিলেন। মটোরোলার ইষ্টক-সদৃশ দানবীয় মোবাইল। হাতে নিয়ে ঘুরলে মানুষ দুই তিন বার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে।



সব ভালই চলছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হল দুদিন পর। রাতে ঠিক তিনটে কি চারটের সময় মোবাইলে কল আসে। কল রিসিভ করলে অদ্ভুত একটা শব্দ ভেসে আসে। বিটিভির খসখসে ঝিরঝিরানি ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে খুব তীক্ষ্ণ গলায় অল্প সময়ের জন্য চিৎকার করলে যেমন শব্দ হবে, ঠিক তেমনি। ঠিক এক মিনিট পর কলটা কেটে যায়। এভাবে একদিন গেল, দুই দিন গেল, তিন দিনের দিন ভাই খেপে গিয়ে কলব্যাক করলেন। কল ধরলেন এক বয়স্ক ব্যক্তি, গলা শুনে বোঝাই যাচ্ছে তিনিও ঘুম থেকে সদ্য উঠেছেন। প্রথমে একপ্রস্থ মাইল্ড গালাগালি হল দুজনের মাঝখানে। তারপর ভাই বুঝতে পারলেন ইনি কিছুই জানেন না- এবং কলটা ইনি দেন নি।



এভাবে সাত আটদিন কল এলো। প্রত্যেকবার কল ব্যাক করা হল। মোবাইল ধরলেন ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, যারা কিছুই জানেন না; তাদের মোবাইল থেকে কল দেওয়া হয়েছে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন। আর প্রত্যেক কলের সাথে বাড়ছিল চিৎকারের তীব্রতা। মনে হচ্ছিল কারেন্টের শক দিয়ে কাউকে অত্যাচার করা হচ্ছে- তারপর সেটা রেকর্ড করে শোনান হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে- তখন মোবাইল ব্যবহার করাটা যথেষ্ট খরচের ব্যাপার, স্রেফ ফাজলামো করার জন্য এই কাজ করার কথা না। এরপর ভাই বিরক্ত হয়ে মোবাইল ইউজ বাদ দিয়ে দিলেন। 'শখের তোলা আশি টাকা, দরকার নাই আমার মোবাইল! ফাউল জিনিস!'



পরের দিন। সকালের খাবার খাচ্ছি সবাই, আম্মা বললেন, 'কালকে রাত্রে ল্যান্ডলাইন ফোনে কল আসছিল। প্রথমে ঘড়ঘড়ে গলায় কি জানি বলল, তারপর খালি খসখসানি শব্দ আর বিজবিজানি। এতো রাতে ফাজলামি করে কে? তোর বন্ধু নাকি?'



আমি খাওয়া বন্ধ করে ভাইয়ের দিকে চাইলাম। বেচারার মুখ শুকিয়ে গেছে, মুখে পাউরুটি আদ্ধেকটা ঢুকিয়ে থেমে গেছে। চোখে ভয়।



এরপরে আরও কয়েকবার কল এসেছে। এক রাতে বাসায় কেউ ছিল না, এক কাজের মেয়ে ছিল স্রেফ- আর ল্যান্ডলাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছিল কোন কারণে [ঠিক মনে নেই কেন]। মেয়েটা কসম কেটে বলেছিল, ফোন ডিসকানেক্টেড থাকা সত্ত্বেও তিনটের দিকে কল এসেছিল। খসখসানি শব্দ, চিৎকার সে-ও শুনেছে। এরপর আমরা অপরিচিত নাম্বার ধরতাম না, তাও ভুলে ধরা হয়েছিল দুতিন বার। প্রত্যেকবার একই কাহিনী। মাস ছয়েক পর ব্যাপারটা থেমে যায়।





#৩



অতীশ দাদুর কাহিনী।



উনি তখন কলকাতা-প্রবাসি। চাকরি করছেন। রাজশাহিতে তার পুরো পরিবার- সবার মুখের ভাত জোগাচ্ছেন এই এতো দূরে কাজ করে। একাকি মানুষ। লং স্ট্রিটে পুরনো একটা দালানে একতলায় বাসা নিয়েছেন। কাজ থেকে ফেরেন হেঁটে হেঁটে। আজকেও ফিরছেন। সরকারবাড়ির রাস্তাটা পানিতে ডুবে গেছে বলে একটু বিপদে পড়েছেন, ঘুরে ডালগড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। ডালগড়ার রাস্তাটা ভাল না, বামে লক্ষ্মীগড়ের বস্তি পড়ে। মানুষ যেতে চায় না এখান দিয়ে। জায়গাটা একসময় কি অশ্লীলরকম চঞ্চল, মানুষ ভরা ছিল! কম করে হলেও পঞ্চাশটি পরিবারের বাস ছিল এখানে। গত ফাল্গুনে কি হল- কিভাবে যেন আগুন ধরে গেল বস্তিগুলোর একটাতে। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেবার আগেই সবগুলো পুড়ে ছারখার। আগুনের লকলকে জিভের কাছে হার মানল সস্তা প্লাস্তিক আর কঞ্চির বস্তিগুলো, আর ভেতরের মানুষগুলো অগ্নিপরীক্ষায় পাশ করতে পারল না, পুড়ে মরল তারাও।



অতীশের এখনও পরিষ্কার মনে পড়ে--পুলিশ এসে লাশ বের করছে একের পর এক--ব্লিচিং পাউডার সহ কত কি ছেটান হচ্ছে পোড়া গন্ধ চেপে রাখতে; কিচ্ছু কাজ হচ্ছে না। কত মানুষ হাউমাউ করে কাঁদছে তার হিসেব নেই। হয়তো ছ্যাকরা-গাড়ি টানতে গেছিল গর্ভবতী স্ত্রীকে রেখে, হয়তো জুতো-পালিশের কাজ করে এসেছে- এখন মায়ের কাছে ফিরবে, হয়তো চা বিক্রি করে ছেলের জন্য গোল্লা নিয়ে এসেছে দুটো--এসে দেখে সব ছাই। ইস! পুরো এলাকাটা নরকসদৃশ হয়ে গেছিল সেদিন। এখানে কয়জনের সৎকার হয়েছে? গণ-কবর দিয়েছিল ধর্ম-বর্ণ-জাত না দেখেই। তারপর সরকার সবার বাস উঠিয়ে দিল এখান থেকে, বললে মিউনিসিপ্যালিটির ভবন করবে। এখনও কিছু হয় নি। কালো একটা ক্ষতের মত কলকাতার বুকে বসে আছে লক্ষ্মীগড় বস্তি।



ভাবতে ভাবতে অতীশ হাঁটার গতি বাড়ান। রাস্তায় মানুষ নেই একজন। কত অতৃপ্ত আত্মা ঘোরাফেরা করছে এখান দিয়ে কে জানে। তাড়াতাড়ি করাই বাঞ্ছনীয়। তার ভাবনাকে বিদ্রূপ করেই যেন চাঁদ ঢেকে দেয় মেঘ। বস্তির ভেতরে থেকে কথার ফিসফিস শব্দ ভেসে আসে। অতীশ তাকাতে চান না প্রথমে, তারপর যেন কেউ তার ঘাড় ধরে ঘুরিয়ে দেয় বস্তির দিকে। ফিসফিস প্রবলতর হয়। তার পা জমে যায় মাটিতে।



ওই তো ওরা আসছে মৃত্যুর ওপার থেকে! হাঁটতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাদের, সারা গা পোড়া, চামড়া খসে খসে পড়ছে অনেকের। কিন্তু আসছে ওরা। ফিসফিস করে কথা বলছে। চোখে জিঘাংসা। অতীশকে ধরে নিয়ে যেতে আসছে!



প্রাণের ভয় বড় ভয়। ঠাকুর-দেবতার নাম করতে করতে অতীশ সোজা দৌড় দিলেন বাসার দিকে। চিৎকার করতে করতে বাসার সামনের সিঁড়িতে আছাড় খেয়ে পড়লেন। ততক্ষণে বাকি মানুষেরা বের হয়ে এসেছে বাইরে। তারা অতীশকে ঘিরে দাঁড়ালেন, একজন বাতাস করতে লাগলেন। জ্ঞান হারানোর ঠিক আগ মুহূর্তে অতীশ তাকালেন পেছনের রাস্তায়--পোড়া অশরীরীদের শেষজন ততক্ষণে ঢুকে গেছে বস্তির ভেতরে।





#৪



আমাদের গ্রামের বাড়িতে সবচেয়ে প্রাচীন ঘরটা ছিল মাটির। দাদির আপত্তির কারণে ঘরটাকে পাকা করা বা কোন পরিবর্তন করা হয় নি, প্রায় শতাব্দী ধরে একই অবস্থায় আছে। পরিবর্তন না করার কারণ?



দাদাকে কবর দেওয়া হয়েছিল এই ঘরের মেঝেতে।



সে সময়ে ঘরে মানুষকে কবর দেওয়া হয়তো অস্বাভাবিক ছিল না, কে জানে! কিন্তু এই একটি তথ্য ঘরটাকে ভুতুড়ে করে তুলেছে। আমরা পারতপক্ষে একা কেউ সে ঘরে যাই না। রাতে অনেকে নাকি এই ঘরে গোখরা সাপের জোড়া দেখেছে, কিন্তু সাপ যেন না আসতে পারে সেজন্যে কেমিকেল দেওয়া আছে অনেক আগে থেকেই। সাপ আসবে কোত্থেকে? এই ঘরে নাকি মাঝরাতের পর থেকে আতরের ঘ্রাণ আসে। মেঝে থেকে আসে ঘ্রাণটা। আমার চাচা-চাচিরা সবাই একবার না একবার দেখেছেন ঘরের ভেতরে কেউ হাঁটাহাঁটি করছে। দরজা খুলে ঘরের ভেতরে গেলেই থেমে যায় শব্দ। গ্রামের সবার ধারণা দাদা হয়তো জিন পালতেন, তাই এসব হয়। ঘরের তাপমাত্রা কখনো বাড়ে কমে না। আর্দ্রতা অনেক বেশি। আরও অনেক ভুতুড়ে ব্যাপার। এজন্যে তালায় আটকে রাখা হয়।



ঘরের বর্তমান আসবাব হচ্ছে-- একটা প্লাস্টিকের টেবিল। তিনটে চেয়ার। আর কিছু নেই। বেশি কিছু রাখলে নাকি ঘরের ভেতরের আত্মা বা জিনিস যাই হোক, সেটা রেগে যায়। লণ্ডভণ্ড করে ফেলে সবকিছু। তো আমরা চাচাত ভাই তিনজন ঠিক করলাম সকালে ঘরের ভেতরে যাব। চা খাব। যদি কিছু হয় দেখা যাবে।



প্ল্যান অনুসারে সকালে ঘরে গেলাম। তামার পুরান গ্লাসে আমাদের ধোঁয়া ওঠা চা দেওয়া হল। দুই চুমুক খেয়ে টেবিলের এক কোণে গ্লাস রেখেছি, মনে মনে ভাবছি- সকাল বেলায় আদৌ কিছু দেখতে পাব কিনা--ঠিক এমন সময় গ্লাসটা স্থির অবস্থা থেকে চমৎকার স্লাইড করে পাঁচ ফুট দূরে টেবিলের অপর প্রান্তে চলে গেল! কিন্তু আমি সেটা রাখার পর একবার স্পর্শও করি নি। যেন ঘরের বাসিন্দা আমাদের চোখের সামনে কাজটা করে বলছে-- এবার? এবার কি করবে?



গ্লাস হাতে নিয়ে সুবোধ বালকের মত তিনজনে বেরিয়ে এলাম বাইরে। দাদা বা দাদার গৃহপালিত জিন- যেই থাকুক ওখানে-- যথেষ্ট হয়েছে বাপ!





#৫



আসাদ ভাইয়ের কাছে শোনা কাহিনী। তিনি তখন অনার্সে উঠেছেন কেবল। এক চিলেকোঠায় ভাড়া থাকেন। ছাত্র পড়ান চার-পাঁচজন। ছাত্রী পড়ানোর জন্য খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। এই ব্যাপার নিয়ে তিনি এবং তার রোমান্টিক মন ভীষণ হতাশ।



আসাদ ভাই যেখানে থাকতেন, সেটা আক্ষরিক অর্থেই চিলেকোঠা। তিন তলা বাসার ছাদের ওপরে জায়গাটা কিছুটা কুখ্যাত, বছর দুয়েক আগে এক মেয়ে নাকি লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছিল। উনি অবশ্য এসবে বিশ্বাস করতেন না, বরঞ্চ ভাড়া কম আর টিনের ছাদে বৃষ্টির সেতার শোনার সুযোগ আছে দেখে লুফে নিয়েছিলেন বাসাটা।



যাই হোক, এক রাতের কথা। ছাত্র পড়ছে উনার কাছে, পড়তে পড়তে আটটা বেজে এসেছে। ছাত্র বলছে - তার বাসা গ্রামের দিকে, বাসে করে যেতে হয়। এখন বাস আর পাওয়া যাবে না। রাতটা কি সে এখানে কাটাতে পারে? আসাদ ভাই প্রথমে মোটেই রাজি না, কিন্তু পরে ছাত্রের অনুনয়ে বিরক্ত হয়ে বলছেন, 'আচ্ছা যা থাকিস। আমার খাট পিচ্চি, খাটে জায়গা নাই। তুই ফ্লোরে শুবি।' ছাত্র রাজি! খেয়েদেয়ে দশটা বাজার পর সে সুন্দর করে চাদর এবং আসাদ ভাইয়ের কোলবালিশ নিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ল। তার ঠিক আধা ঘণ্টা পর, আসাদ ভাইকে ডাকা শুরু করল।

'ভাই খিদা লাগছে।'

-'অ্যাঁ?'

'খিদা লাগছে ভাই।'

-'অই ছ্যাড়া, কেবল না খাইলি?'

'পেট ভরে নাই। কিছু খামু ভাই।'

-'হায়রে আখাইতার গুষ্টি! পাতিলে ভাত আছে। বাইড়া নে।'

'ভাত খামু না ভাই। পুইড়া গেছে। অন্য কিছু।'

- [কাঁথামুড়ি দিয়ে] আমি পারুম না।'

'আসেন না ভাই, বাইরে চায়ের দোকান খোলা আছে এখনও। কলা-পাউরুটি খায়া আসি। আপনারে বিড়ি খাওয়ামুনে।'

-'বাড়িওলা দরজা আটকায়া দিছে। বাইরে যাইতে দিবো না।'

'ভাই চলেন না যাই।'



আরও মিনিট দশেক ঘ্যানঘ্যানানির পরে অবশেষে তিক্ত-বিরক্ত হয়ে আসাদ ভাই উঠলেন, লাইট-টাইট নিয়ে গজগজ করতে করতে বাইরে এলেন। বের হয়ে দরজা ভেজাতেই ছাত্র তাঁকে আঁকড়ে ধরল- 'ভাই আমি খাওয়ার কথা বইলা আপনাকে বাইরে নিয়া আসছি।'

-'ক্যান?'

'আপনার খাটের নিচে একটা মেয়ে হামাগুড়ি দিয়া বইসা আছে। আমি ফ্লোরে শুয়া কাত হইছি, সাথে সাথে দেখি মেয়েটা দেয়ালের দিকে মুখ কৈরা বইসা আছে। আর আস্তে আস্তে ঢুলতাছে। ঘরে যায়েন না ভাই।'



তারপর পুরো রাত দুজনে মিলে নির্ঘুম কাটিয়ে দিলেন সেই চায়ের দোকানের সামনে। সকাল হল। ভীরু পায়ে দুজনে চিলেকোঠায় ফিরলেন, তারপর আসাদ ভাই ধীরে ধীরে উঁকি দিলেন খাটের নিচে।



ফাঁকা। খা খা করছে। কেউ নেই সেখানে।





--পরের গল্প ১--



হাসিনার বিয়ে হয়ে গেছিল তার মাসদুয়েক পরেই। প্রকৃতির অসংখ্য ধাঁধাঁর একটা ধরে নিয়ে ক্রমশ সবাই ভুলে যায় ব্যাপারটা। প্রায় পনের-বিশেক বছর পর, গ্রামে বউ-পোলাপান নিয়ে ছুটি কাটাতে গিয়ে আগের মতই সবার সাথে রফিক বসেছে। এখন কেউ আর ছোট্ট নয়, সবাই বাচ্চার বাপ মা। কথা হয় হয়তো এভাবে বছরে দুবার, কিন্তু তাই বলে আন্তরিকতা আছে সেই আগের মতই। আড্ডায় একসময় কথায় কথায় পুরনো ব্যাপারটা তোলে রফিক, 'হ্যাঁরে হাসিনা, তর মনে আছে সেই ভূতের কথা? তরে যে জ্বালাইত?'



ঘরে অস্বস্তিকর নিরবতা নেমে আসে। হাসিনার মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়, সে ঢোক গিলে বলে, 'মনে আছে দাদা। আপনে না বলছিলেন এইবার তেতুলের আচার খাইবেন, নিয়া আসি? বানায়া রাখছি দুই বয়াম।' কথা ঘুরিয়ে দিয়ে সে প্রস্থান করে। এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা হয় না আর। পাশের গ্রামে নতুন স্কুল হচ্ছে, সেটার মান কিরকম- তা নিয়ে প্রচণ্ড মনোযোগ নিয়ে আলোচনা করা শুরু করে বাকিরা।



ঘুমোতে যাবার আগে হাসিনার ছোট বোন রফিকের ঘরে আসে। 'দাদা, আপ্নে কি জানতেন না হাসিনা আর কাকার কথা? পুরান কথা তুললেন যে?'

-'ছোট চাচা?', রফিক একই সাথে অবাক হয় এবং মনে প্রশ্ন জাগতে থাকে ওর। ছোট চাচা চট্টগ্রামে মুভ করেছিলেন অনেকদিন আগে। নিঃসন্তান ছিলেন। মারা গেছেন বছর পাঁচেক হল। তার সাথে ভূতের কি সম্পর্ক?

'দাদা, আপ্নের এই চুতমারানি 'ছোট চাচা'ই আছিল সেই ভূত। হাসিনার চেহারা আগে থিকাই সুন্দর না? এই লোকে অরে পিচ্চি থাকতেই এইখানে ওইখানে ধরত। বুজছেন কি কইতাছি? হাসিনা বিয়ার আগে শরমে কইতে পারত না। আকার ইঙ্গিতে বুঝাইলেও কেউ বিশ্বাস করে নাই। বিয়ার পরে আম্মারে আয়া একদিন কইছিল, তারপর থিকা তার সাথে আমাগো সবকিছু বন্ধ। আমরা তারে একঘরে করছিলাম শুনছিলেন? এই কারণে। হ্যার জানাযায় আমরা কেউ যাই নাই, মনে নাই?'



রফিকের মনে আছে। কিন্তু সে যেতে পারে নি বাচ্চাদের পরীক্ষা ছিল বলে। কত দূরে চট্টগ্রাম! এই কথা তো কেউ বলে নি তাঁকে!



'এই কথা আর তুইলেন না দাদা। আইচ্ছা, ঘুমান।'



বাইরে বাতাসের হুঁশ হুঁউউশ শব্দ। বাঁশঝাঁড়ের মড়মড়ানি অবশ্য নেই, কেটে ফেলা হয়েছে সে কবে। শেয়ালের হুক্কা হুয়া হুয়া ডাক-ও শোনা যায় না এখন। স্ত্রী-সন্তান ঘুমিয়ে পড়েছে পাশে, কিন্তু রফিকের ঘুম আসে না। নিজের পরিবার নিয়ে এই অকস্মাৎ আবিষ্কার, নিজের চাচা একজন পেডোফাইল- এই ঘৃণ্য তথ্যটা ওর মাথার ভেতরে ঘুরপাক খেতে থাকে। খোদা, চাচাত বোনটি কি পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেছে! দম আটকে আসা অনুভূতি নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে সে সকালের।





--পরের গল্প ২--



জিনিসটা নিতান্তই একটা টেকনিকাল ফল্ট। প্রাথমিক দিকে কল সেন্টারগুলোর ফ্যাক্স মেশিন বা মডেমগুলোতে একটা অটোমেটেড সিস্টেম ইন্সটল করা থাকত। এই সিস্টেমে একটা রেকর্ড করা ক্লিপ আর ম্যানুফ্যাকচারারের নম্বর দেওয়া থাকত, যাতে যন্ত্রে কোন প্রব্লেম হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যন্ত্র প্রস্তুতকারিদের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে মেসেজ চলে যায়- আর তারা এসে যন্ত্র ঠিক করে দেয়। আর সেকেন্ডারি অপশন ছিল- মোবাইলের লোকেশন বের করে তাদের ল্যান্ডলাইনে কল দেওয়া। অনেক ক্ষেত্রে কি হোতো, প্রস্তুতকারিদের নম্বর পরিবর্তন হলেও-- যন্ত্রে সেটা তোলা হোতো না। কিংবা যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে সেটা ভুল নম্বরে কল দিয়ে ফেলত।



এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যন্ত্রটা নষ্ট হয়ে গেছিল, এবং নিয়ম অনুসারে তা একটা নির্দিষ্ট সময়ে [৩টা-৪টায়] রেকর্ডেড মেসেজ পাঠাচ্ছিল। কিন্তু যেহেতু যন্ত্র নষ্ট, তাই মেসেজটা বিকৃত হয়ে ভুল নম্বরে যাচ্ছিল। তারপর একই ভাবে ল্যান্ডলাইনেও। তারপর নিশ্চয়ই যন্ত্রটা ঠিক করা হয়েছে, তাই ভুতুড়ে কল-ও থেমে গেছে!



আর কাজের মেয়ের ব্যাপারটা স্রেফ হুজুগে তাল দেওয়া, আর কিছু না। আমরা ভেবেছি ভূত, সে-ও এতে সামিল হবার জন্যে চমৎকার ভূতের গপ্প ফেঁদে বসেছে!





--পরের গল্প ৩--



পঞ্চাশের দশকের ঘটনা এটি। আর পঞ্চাশের দশকেই কলকাতার গলিতে গলিতে ছড়িয়ে গেছিল কুষ্ঠরোগ। কুষ্ঠরোগীরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, তাদের স্বভাবতই ভাল চোখে দেখা হত না। তাই তারা মানুষের কাছ থেকে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হত। রাতে বের হত খাদ্য অন্বেষণে। কুষ্ঠের কারণে তাদের চামড়া, অনেক সময় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খসে খসে পড়ত, ভয়ানক দেখা যেত। অনেকের গলার মাংস পচতে শুরু করায় জোরে কথা বলতে পারত না। ফিসফিস করে কথা বলত।



লক্ষ্মীগড় বস্তি জনমানুষশূন্য এলাকা ছিল। কুষ্ঠরোগীরা সেখানে আশ্রয় নেয়। মৃত পোড়া শব জীবন্ত হয়ে ফিরে আসে নি, বরঞ্চ রাতে এই কুষ্ঠরোগীরা বেরিয়েছিল খাদ্যের সন্ধানে। অতীশকে ভয় পেতে দেখে আবার লুকিয়ে গিয়েছিল বস্তির ভেতরে।





--পরের গল্প ৪--



ঘরটা মাটির, সুতরাং স্বভাবতইঃ এর তাপমাত্রা শীতে গরম, গ্রীষ্মে শীতল থাকবে। এখানে অতিপ্রাকৃতিক কিছু নেই। পুরনো ঘরে সাপ থাকাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কার্বলিক এসিড দেওয়া হয় ঘরের চারপাশে, যাতে বাইরে থেকে সাপ না ভেতরে ঢোকে। কিন্তু সাপ আগে থেকেও তো ভেতরে থাকতে পারে? সেটাই চোখে পড়েছিল।



ঘরের পেছনে লক্ষ্য করেছিলাম, হাস্নাহেনার ঝোপ আছে একটা। রাতে হাস্নাহেনা চমৎকার ঘ্রাণ ছড়ায়, অনেকটা আতরের মতন। পরীক্ষা করে দেখা গেছে- সরীসৃপজাতীয় প্রাণীকে এই ঘ্রাণ আকৃষ্ট করে। এখানেও সাপের একটা ব্যাখ্যা হতে পারে।



ঘরের ভেতরে হাঁটাহাঁটির রহস্য ভেদ হয়েছিল পরে, যখন দেখা গেল আসল আসামি বেড়াল। ঘরের উপরে একটা বিশাল ঘুলঘুলি আছে, কতিপয় অসাধু মার্জারগোষ্ঠী সেটা দিয়ে ভেতরে ঢোকে, ঘরের ভেতরের আসবাব উল্টাপাল্টা করে ফেলে, আবার সাড়া পেলেই লাফিয়ে বাইরে বের হয়ে যায়। এদের মিঁআও মিঁআও শব্দ কেউ লক্ষ্য করে নি কেন সেটাই হল আসল প্রশ্ন।



আর সবশেষে-- গ্লাস স্লাইড করার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। যেহেতু আর্দ্রতা বেশি, সুতরাং গরম গ্লাস নামিয়ে রাখলে জলীয় বাষ্প জমে এর চারপাশে রিঙের মতো একটা পানির স্তর অতিদ্রুত সৃষ্টি হয়। প্লাস্টিক আর তামার মাঝে ঘর্ষণ শক্তি এমনিতেই কম, তার সাথে এদের মাঝে যদি যথেষ্ট পরিমাণ পানি জমা হয়, এবং টেবিলটা কিঞ্চিৎ ঢালু হয় [এক্ষেত্রে, টেবিলটা দেড় ইঞ্চির মতন ঢালু ছিল], তবে পাঁচ ফিট স্লাইড করে সরে যাওয়া কোন ব্যাপার না। খুবই স্বাভাবিক। গাড়ির ক্ষেত্রেও এরকম হয়ে থাকে, তাকে আমরা বলি হাইড্রোপ্লেনিং।





--পরের গল্প ৫--



....তারপর আসাদ ভাই পুরো ঘর, তারপর ছাদ খুঁজলেন তন্ন তন্ন করে। খুঁজতে খুঁজতে ছাদে পানির ট্যাঙ্কের পেছনে দেখা মিলল শতচ্ছিন্ন পোশাকের নোংরামাখা এক মেয়ের। সাত-আট বছর বয়েস হবে। প্রথমে দেখে আসাদ ভাইকে কামড়ে দিতে এলো, তারপর তিনি আস্তে আস্তে শান্ত করলেন মেয়েটাকে। এরপর মেয়েটার কথা শুনে যা বোঝা গেল- এক মাস আগে মেয়েটার বাবা তাকে নিয়ে শহরে আসে। এই বিল্ডিংয়ের একতলার বাসায় কাজ করতে দিয়ে যায়। কিন্তু বাসার মালকিন তাঁকে খুব বকত, চুল ধরে মারধর করত। এক সপ্তা পরে মেয়েটার বাবার আসার কথা ছিল, কিন্তু বাবা-ও আর আসে নি। ভয়ে, অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে সে ছাদে কাপড় শুকোতে এসে চিলেকোঠায় ঢুকে পড়ে, তারপর আর নিচে ফেরত যায় নি। গত সাত আটদিন ধরে সে এখানে আছে। আসাদ ভাই এলে সে খাটের নিচে ঢুকে পড়ত, তিনি ঘুমালে বা বাইরে গেলে তার উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে পেট ভরাত, আর কাঁদত। কিন্তু জোরে কাঁদত না যদি সে ধরা পড়ে যায়, আর আবার তাঁকে নিচে কাজ করতে পাঠানো হয়! কাল রাতে সে ছাত্রটির কথা শুনতে পেয়েছিল, বুঝতে পেরেছিল তার অস্তিত্ব ফাঁস হয়ে গেছে। তাই আসাদ ভাই আর ছাত্রটি বের হয়ে যাবার খানিকক্ষণ পরে সে-ও বেরিয়ে আসে, কিন্তু কোথায় যাবে বুঝতে না পেরে পানির ট্যাঙ্কের পেছনে লুকিয়ে বসেছিল সারা রাত।



আসাদ ভাই শুনেছিলেন যে নিচতলার কাজের মেয়েটা ভেগে গেছে, কিন্তু এরকম কিছু কল্পনাও করেন নি। ব্যাচেলর এবং ভুলোমনা মানুষ- তাই বুঝতেও পারেন নি খাবারের কমবেশি, আর ঘর ঝাড়ু দিতে গিয়ে আবিষ্কার করার প্রশ্নই আসে না।



পরবর্তীতে মেয়েটার বাবার সাথে যোগাযোগ করে তাঁকে গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর কি ঘটেছে মেয়েটার কপালে- কে জানে!

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার সম্ভার তো খুব সমৃদ্ধ! আমার কিছুই নাই। অলৌকিকতায় বিশ্বাস করি না। তবে পড়তে ভালোই লাগে।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমিও করি না। ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করি সবসময়। গ্রামে, পুরনো বাড়িতে বড় হওয়া তো, 'ভুতুড়ে' ব্যাপার চোখে পড়ত। আর তাছাড়াও ভূতের গল্প শোনাতে আগ্রহি মানুষের অভাব ছিল না!

শুভ রাত্তির।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

জেন রসি বলেছেন: সব অলৌকিক গল্পের লৌকিক ব্যাখ্যা আছে।আমরা যদি অলৌকিকত্বকে যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেষণ করি তবে তা লৌকিক হয়ে যায়।

ভালো লেগেছে :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক তাই। অবশ্য রহস্য পুরো ভেদ হওয়াও ভাল না, দুই একটা রহস্য থাকা উচিৎ!

শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১০

জেন রসি বলেছেন: রহস্য শেষ হয়ে গেলে বেঁচে থাকার মজাও শেষ হয়ে যাবে।কারন রহস্য ভেদের মজাই আলাদা :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ :) :)

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,




দিলেন তো রাতের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে !

এসবের পেছনের কাহিনীও জানার জন্যে ছটফটানি টা থেকেই গেলো ।

যদি এমন হয় - এসবের পেছনের কাহিনী এই মন্তব্যের ঘরেই আমি পেয়ে গেলাম অথচ আপনি লেখেননি ? সেটা নিয়ে আর এক পিস লিখবেন ??

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা--কেন নয়? :):) এইসব ভৌতিক গল্পের ভেতরে যুক্তি আনার ব্যাপারটা খুব ভাল লাগে আমার।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

কেএসরথি বলেছেন: পড়ছি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিকাছে

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৩

তিথীডোর বলেছেন: অপূর্ব !..খুব প্রান্জল লেখা, যদিও অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা আছে---তারপরেও ভাবতে আর ভয় পেতে ভাল লাগে!---আমার বাসার ডাইনিং রুমের উত্তর-পশ্চিম কোন অথবা বেসমেন্টের অয়েলট্যাংক রুম এর ব্যাপারে আমার খুঁতখুঁতানি আছে! বাড়ীটা কিনেছিলাম ৯০উর্দ্ধ এক ইহুদীর কাছ থেকে--গম্ভীর, রাগত কথার মত ফিসফিসানী, বুড়ো মানুষের হাপানীর মতো টেনেটেনে শ্বাস নেয়ার মতো শব্দ বহুবার পেয়েছি এই জায়গা দুটো থেকে, ...কি জানি কি হবে তা--বাসায় ছেলেমেয়ে দুটো স্কুল থেকে এসে একা থাকে সন্ধ্যা অব্দি আমাদের না ফেরা পর্যন্ত, তাই এগুলো আলাপ করিনি কখনো বাসায়! অনেক কমে গেছে---দিনে দিনে আমাদের পরিবারের এনার্জী প্রতিস্ঠিত হচ্ছে এই বাসায়, নেগেটিভ এনার্জী একসময় পুরোই চলে যাবে আমার বিশ্বাস!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যাপারটা ভয়ঙ্কর। আপনি ছাড়া অন্য কেউ কি এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে? এগুলো অবশ্য আলাপ না করাই ভাল বাচ্চাদের সামনে- মনের বাঘে খায় কথায় আছে না!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভাইয়া প্রথম গল্পটা অনুমান করেছিলাম। ভালো লেগেছে। আসলে অলৌকিক যে কোন কিছুতেই আকর্ষণ বেশি। আরো যদি পকেটে থাকে শেয়ারের ওনুরোধ রইল সাথে যৌক্তিক ব্যাখ্যা।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরও অনেকগুলো গল্প আছে এরকম। সময় পেলেই পোস্ট দিয়ে ফেলব।

ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২০

অপু তানভীর বলেছেন: দুই নাম্বার টার যদিও লৌকিক ব্যাখ্যা রয়েছে তবুও ঐটা নিয়ে দেখা যাক একটা ভুতের গল্প লেখা যায় নাকি!! ;)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখে ফেলেন! তথ্যপ্রযুক্তির যুগ তো, টেকি ভূত মানানসই।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০২

সুফিয়া বলেছেন: পৃথিবীতে ভূত আছে এটা আমি বিশ্বাস করতে চাইনা। তবু এসব গল্প পড়লে কিংবা টিভিতে এসবের উপর অনুষ্ঠান দেখলে খুব ভয় লাগে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জিনিসটা আসলেই খুব পিকুলিয়ার। আমরা ভূতে বিশ্বাস করি না, কিন্তু ঠিক ভয় পাই!!

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার সব ভৌতিক গল্প। ১মে পড়তে যেমন ভাল লাগছিল, পরের গল্প পড়ে আরো বেশী ভাল লাগে। সব কিছু যুক্তিতে ব্যাখ্যা করতে ভাল লাগে। শুধুশুধু অদৃশ্য কিংবা শোনা-কাহিনীতে বিশ্বাস করতে পারিনা।

তবে ভৌতিক মুভি দেখতে খারাপ লাগেনা। ;)

বর্ণনা এবং যুক্তি দারুণ হয়েছে।

৩য় প্লাস।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক সময় ভৌতিক মুভি ভালই লাগে :)

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয়।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

ডি মুন বলেছেন: পরবর্তী অংশে ব্যাখ্যা না থাকলে সবগুলোকে স্রেফ ভুতুড়ে ঘটনা হিসেবেই মনে রাখতাম।

শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
:) ভালো থাকা হোক

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল থাকুন আপনিও, ডি মুন।

শুভেচ্ছা রইল।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন! আমারও এই ধরনের একটা পোস্ট লেখা আছে। কিন্তু সময়ের অভাবে পোস্ট দিতে পারছি না। দেখি আপনার অনুপ্রেরণায় দ্রুত দিয়ে দিব। :D :D

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দিয়ে ফেলেন। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১০

আলোরিকা বলেছেন: দিনের আলোতে খুব জোরাল ভাবে বিশ্বাস করি ভূত বলে কিছু নাই - রাতের অন্ধকারে কিছু থাকতেও পারে !!! :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা---বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এটা সত্যি!

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন সব গল্প। ++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাসের জন্য, শতদ্রু।

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: মানুষ রাতের বেলা কবরস্থান কে দারুণ ভয় পায় । এই ব্যাপারে আপনি কি ভাবেন ভাই ?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবরস্থান, শ্মশান এইসব জায়গা তো উলটো নিরাপদ হবার কথা। শ্মশানে সৎকার হলে আত্মার মুক্তি মেলে। কবরের আশেপাশে নাকি শয়তান ভিড়তে পারে না। দুটোই পবিত্র স্থান।

আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই, এবং তাই উপযুক্ত পরিবেশে মৃত্যুসম্পর্কিত সকল বিষয়কেও ভয় করি হয়ত!

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল। পন্চাশ ষাট বছর আগের হেমেন্দ্র কুমারের কথা খানিকটা মনে পড়ল আর কি! দারুণ লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম ঢাকাবাসী। ধন্যবাদ।

১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার উপস্থনার স্টাইলটিই অভিনব। বরাবরই তাই দেখতে পাই।

অনেক ভালো লাগলো।

লৌকিক, অথবা অতিপ্রাকৃতিক নামে একটা 'কুটিমিয়া' সিরিজ লিখছি ব্লগে গত কয়েক বছর ধরে। আপনার এটি দেখে মনে পড়লো আমার পরের 'কুটিমিয়া'কে খুব শিগগিরই ফিরিয়ে আনতে হবে :)

শুভেচ্ছা প্রিয় গল্পকার।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ,

কুটিমিয়ার অপেক্ষায় রইলাম। ঢু মেরে আসি তার আশ্চর্য জগত থেকে :)

১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রহস্যের প্রতি মানুষের অন্তহীন আগ্রহ সেই আদিকাল থেকেই। অনেক রহস্য আছে যা ব্যাখ্যাতীত। রাত দুপুরে অমাবস্যার তীব্র অন্ধকারে গ্রামের বিরান রাস্তায় ভোঁ ভোঁ করে একাকী হেঁটে অভ্যস্ত আমি। মানুষ ও হিংস্র বা বিষধর প্রাণী ছাড়া আমার কোনো কিছুতেই ভয় নেই। এমন একজন আমি একটা ঘটনার সাক্ষী যার সুরাহা আমি আজও খুঁজছি। এ নিয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করার পর রহস্য আরো ঘনীভূত হতে দেখেছি। শেষ পর্যন্ত আমাকে তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন, যার ব্যাখ্যা নেই তা-ই অতিপ্রাকৃত, যা অস্তিত্বশীল থাকা অপ্রাকৃতিক নয়।

এমন একটা ঘটনা এখানে আছে। সময় পেলে দেখবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এখনই যাচ্ছি।

১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেশ লাগল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভুতুরে গল্পগুলি সাথে পরবর্তি ব্যাখ্যাগুলিও পড়লাম।।
সবচেয়ে মনখারাপ করা বিষয়টি ছিল হাসিনার।। আমার ধারনা মেয়েরা বাহিরের লোকদের চাইতে নিজেদের আত্মীয়দের যৌনলাঞ্চিত হয় বেশী।। না পারে বলতে না পারে সইতে।। ফলে তাদের আচার-ব্যবহারে আসে পরিবর্তন।। যা লক্ষ্য করার দায়িত্ব তাদের পিতা-মাতার।। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায় এব্যাপারটাকে আমরাও একপ্রকার অবহেলাই করে থাকি-তাই না??

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তা তো অবশ্যই। 'অস্বস্তিকর' বলে ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যাওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রে।

এসব ব্যাপারে ছোটকাল থেকেই বাচ্চাদের ট্রেনিং দেওয়া উচিৎ। কেউ অশালীন কথা বললে, বা স্পর্শ করলেও যেন মা-বাবার কাছে এসে বলে।

তাহলেও সচেতনতা অনেক বাড়বে।

২১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপনা কৌশল -------মুগ্ধ না হয়ে যাই কোথায় !!!!!!!
কিন্তু আমি যে ভুতের কথা শুনলেই ভয় পাই :( :( :((

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) মাঝে মধ্যে ভয় পাওয়া খারাপ না!

২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সুন্দর কাহিনী পড়লাম। খুব ভাল লাগল। শেষের বিশ্লেষণও পড়লাম। শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ব্লগার।

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :| :| কিছু কিছু ভোতিকের ব্যখ্যা না থাকাই ভাল । মজা পাওয়া যায় । :P

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যাখ্যাহীন কিছু গল্প আছে, আরেকদিন বলব :|:|:|

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৭

নক্ষত্রচারী বলেছেন: চমৎকার!

কিছু জিনিস আছে যেগুলোর ব্যাখ্যা সাইন্স দিয়ে যুক্তি দিয়ে খুব সহজেই বের করে ফেলা যায় । আবার কিছু জিনিস আছে যেগুলো যুক্তি মানেনা । লজিকের লেজার দিয়ে কাটাছেঁড়া করেও কিচ্ছু পাওয়া যায়না । সায়েন্সের ভেতরেও এরকম অনেক কিছু আছে! প্রদীপের নিচেই যেমন অন্ধকার ।

গল্পগুলো যেমন চমৎকার, তেমনি তার পরের কাহিনীগুলোও । প্রেডিক্ট করতে তত সমস্যা হয়নি যদিও, কারণ শুরুতেই জেনে ফেলেছি গল্পগুলোর নেপথ্যে আরো কিছু আছে ।

ভালো থাকবেন প্রফেসর ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে সায়েন্স কেবল যুক্তি দিয়ে এগোতে পারে না, তার লাগে তথ্য-উপাত্ত, ব্যাখ্যা, গবেষণার প্রমাণ। তাই হয়তো সব কিছুর ব্যাখ্যা হয় না। একদিন হবে।

ভাল থাকবেন নক্ষত্রচারী। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬

তুষার কাব্য বলেছেন: আমারও এমন কিছু অভিজ্ঞতা আছে।তবে ভয় পেলেও কাউকে বলিনা :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখে ফেলেন। আমাদের শোনান!

২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভয়ের আবহটা ছড়িয়েছে দারুণ ভাবে, ধীরে ধীরে। আপনার লেখার প্রশংসা করা ছাড়া উপায় নেই এ যাত্রায়ও। এরকম আরও পোস্ট পেলে ভালো লাগবে :)



শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরও পোস্ট এরকম দেব, সময় পেলেই! কিন্তু আপনি লিখছেন না অনেক দিন ধরে, সেটার কি হবে?

নতুন লেখার আশায় রইলাম।

২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লাগলো ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কবিসাব।

২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:১৭

আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: সুন্দর++
আপনার লিখার মধ্যে একটা তীব্র আকর্ষণ আছে। যে বিষয়েই হোক না কেন, মনিটর থেকে অদৃশ্য একটা ভৌতিক হাত বের হয়ে টেনে ধরে রাখবে চোখ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি :)

অনেক ভাল থাকুন।

২৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্পগুলো বেশ লাগলো প্রিয় প্রফেসর। তবে ব্যাখ্যাগুলির সংযুক্তি খুব একটা দরকারি ছিল কি? সত্যমিথ্যার দোলাচলে রেখে দিলে পারতেন।
আপনার মৌলিক লেখা মিস করি।
শুভেচ্ছা। :)

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখছেন না অনেক দিন ধরেই। ব্যস্ত মনে হয়!

শুভেচ্ছা প্রিয় সাজিদ :)

৩০| ০২ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভয়ের গপ্পোগুলো ভালো লাগছে। ভয় পেতেও। গল্পের ব্যাখ্যা দিয়া ভয়টা কমাবার দরকার ছিল না।

একেবারে সত্যিকারের আরেকটা ভয়াবহ গপ্পো লেখেন যাতে বিছানা থেকে রাতের বেলা একা নামতেই ভয় পাই ।

শুভকামনা শংকু

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা আচ্ছা লিখব'খন! এসব জিনিস লিখতে ভালই লাগে।

শুভেচ্ছা রইল।

৩১| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

অক্টোপাস পল বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। বেশ লেগেছে।

কলম চলুক শঙ্কু মশাই। শুভকামনা।

০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আটপেয়ে পল!

শুভকামনা আপনার জন্যেও।

৩২| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ২:০১

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: প্রথম গল্পটার ব্যাখ্যা পড়ে খারাপ লাগল।

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঘেন্না জাগিয়ে দেয়, তাই না?

৩৩| ০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

টুম্পা মনি বলেছেন: এর আগে কয়েকবার এসে আপনার গল্পের একেকটা অংশ পড়ে গিয়েছি। আজকে সময় নিয়ে পুরোটা পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন। হয়ত সব ভৌতিক ঘটনারই এমন যৌক্তিক সমাধান রয়েছে।

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি :)

৩৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: উপস্থাপনার ধরনটা আপনার চমৎকার। গল্পগুলো ফুল ভয়ের ছিল না, হাফ ভয়ের ' :P ব্যাখ্যাগুলো প্রতিটি গল্পকে পূর্ণতা দিয়েছে।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

শুভেচ্ছা।

৩৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভর দুপুরে বসে এই ধরণের গল্প পড়াটা এক রকম ক্রাইম। তবু পড়লাম, ভয়ও পেলাম খানিকটা। ব্যাখাগুলো জেনে ভয় কেটেছে অবশ্য। বেশ ভালো লাগলো। অযুত শুভেচ্ছা।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, রাত্তিরে পড়ার গল্পই এগুলো তা সত্যি! আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলুম।

শুভেচ্ছা সতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.