![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মফস্বল সাংবাদিকতায় একজন নির্ভীক সাংবাদিক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত। উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চকনাককাটি গ্রামের একটি নিভৃত পল্লীর সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা মনোরঞ্জন মন্ডল ছিলেন প্রাইভেট টিউটর। মাতা বীনাপানি মন্ডল ছিলেন দক্ষ গৃহিনী। মাত্র ১১বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হয়ে যান। জমিদারী প্রথা চলে যাওয়ায় একান্যভূত পরিবারটি খন্ড খন্ড হয়ে যায়। ধীরে ধীরে দেখা দেয় অভাব। তাঁরা ৯ ভাই-বোন। ভাইদের মধ্যে ছোট প্রহলাদ মন্ডল সৈকত। সংসারের অভাব অনটনে পারিবারিক অসচ্ছলতার মধ্য দিয়ে তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে দর্শন বিষয়ে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১৬বছর বয়সে বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতমাথা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দিয়েই তার সাংবাদিকতা শুরু। ১৯৯৭ সালে কুড়িগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে এবং ১৯৯৯ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক মাতৃভূমি জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পান। সেই সাথে এ সময় ঢাকা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি সাপ্তাহিক পত্রিকায়ও কাজ করেন। ২০০১সালে তৎকালীন বহুল প্রচারিত দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় রাজারহাট থানা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় ‘না খেয়ে মানুষের মৃত্যু’ শিরোনামে একটি নিউজ দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার হেড লাইনে প্রকাশিত হওয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী) রাজারহাটের হরিশ্বর তালুক উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি রাজারহাট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক গ্রামান্তর নামের একটি পত্রিকায় নিউজ এডিটরের দায়িত্ব পালন করেন। আজকের কাগজ পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০০৭ সালে উত্তরাঞ্চলের বহুল প্রচলিত দৈনিক করতোয়ায় যোগদান করে। ২০১১সালে খন্ডকালীন দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। ২০১৩ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক যায়যায়দিন ও ২০১৭ সালে আমাদের সময় পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পান। এছাড়া বাংলা নিউজ২৪ ও ব্রেকিং নিউজসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় নিউজ পোর্টাল অনলাইন পত্রিকায় কাজ করছেন। বিরামপুর থেকে নিউজ ডায়রী ডট কম শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেষ্ট প্রদান করেন। ক্ষুরধার লেখনির জন্য বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি সম্মাননা গ্রহন করেন। তিনি ডেইলি তোলপাড় ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। ১অক্টোবর/১৯ থেকে তিনি চ্যানেল সিক্্র এ জেলার রাজারহাট থানা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি ২০১১সালে ১৩এপ্রিল ও ২০১৬সালের ১৭ ডিসেম্বর হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় তার বাম পা ভেঙ্গে তিনি পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তারপরও তাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি প্রেসক্লাব নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন হিসেবে সৎ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেন। অল্প বয়স থেকে সাংবাদিকতা মহান পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কর্মক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রমী। তাঁর খুরধার লেখনিতে খরা-বন্যা, নদীভাঙ্গন, রাস্তাঘাট- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিষ্ঠান সংষ্কার, সমাজ কুসংষ্কার, দূর্নীতি-অনিয়ম জিরো টলারেন্স না হলেও অনেকটাই কমে যেত। স্বাস্থ্য-শিক্ষা-কৃষি, ব্যবসা-বানিজ্য, সমাজ-সংষ্কৃতিতে তাঁর সাহসীকতায় ভূয়সী প্রশংসনীয়। ন্যায় ছিল তার হাতিয়ার, সত্যের পক্ষে ছিল অবিচল। তাঁর কণ্ঠস্বর প্রতিবাদী। বর্তমানে তিনি প্রেসক্লাব রাজারহাটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকতা পেশায় অনুপ্রেরণা যোগান তারই স্যার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক শেখসাদী মন্ডল । তার পর থেকেই তিনি আর কোন চাকুরীকে পেশা হিসেবে না নিয়ে একমাত্র সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই তিনি তাঁর অনুপ্রেরণাকারী স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক। তিনি যেমন সমাজ সংষ্কারক, তেমনি সংষ্কৃতি মনাও বটে। রাজনৈতিক ব্যক্তি না হয়েও তিনি সব দলের নেতা-কর্মীদের সাথে চলাফেরা করেন প্রতিনিয়িত। সর্বোপরি সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংষ্কৃতিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশিল সমাজের মানুষের কাছে সাংবাদিকতায় আস্থা অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কৈশোর থেকে বহু চড়াই উৎরাই পাড় করে দীর্ঘ ২ যুগ অতিবাহিত করেছেন এ পেশায়। তিনি সকলের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তাঁর পেশাকে আরও বেগবান করতে চেয়েছেন।
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) থেকে ঃ হত্যা গুম অপহরন এসব বর্তমান সরকারকে বন্ধ করতে হবে। স¤প্রতি ঘটে যাওয়া নারায়নগঞ্জের সেভেন হত্যা মামলার যেই আসামী হোক না কেন তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি না করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের কাঠগড়ায় তুলতে হবে। ইতিমধ্যে সেখানে একটি টিম কাজ করেছে। তারা এখনো কোন প্রতিবেদন দিতে পারেননি। ১০মে দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রী কলেজ মাঠে বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ সাবেক মন্ত্রী কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশকে বাঁচানোর জন্য, সংবিধানকে বাঁচানোর জন্য নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা উচিত ছিল। এদেশ সামরিক শাসনে যাক, কেয়ার টেকার গর্ভনমেন্টের হাতে যাক, আমরা এটা চাই না। আমরা চাই জনগনের হাতে যেন ক্ষমতা থাকে। তিনি তার এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে বলেন, আমি সাত বার এমপি হয়েছি, এখানে যা কিছু দেখেন সব আমার হাত দিয়ে হয়েছে। এর পর তাকে ওই প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শতাধিক দলীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে ওই কলেজের হল রুমে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বিভিন্ন সমস্যার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম, রাজারহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিন, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাজহারুল ইসলাম, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মইনুল ইসলাম। লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজারহাট উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আঃ হাকিম, ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মইনুল ইসলাম ও সাংবাদিক প্রহলাদ মন্ডল সৈকত প্রমুখ। দীর্ঘদিন পর বিরোধীদলীয় চিফ হুইফের আগমনে রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন পার্টির নেতাকর্মী ও জনসাধারন ঢল নেমে আসে। এছাড়া ঢাকা থেকে রাজারহাট আসার পথিমধ্যে সরকারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, ভীমশর্মা উচ্চ বিদ্যালয়, সিঙ্গেরডাবরী স্কুল এন্ড কলেজ ও সিঙ্গেরডাবরী কলেজ ও মুশরুত নাখেন্দা হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। শেষে তিনি কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
©somewhere in net ltd.