নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব্যসাচী

মানুষের জন্য

প্রজন্ম পশ্চিমাঞ্চল

প্রজন্ম পশ্চিমাঞ্চল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হলুদিয়া পাখির সন্ধানে

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

সন্ধ্যা ৭টা।
এমনিতে সন্ধার পর পর এই সময়টাতে মানুষে বেশ ভরপুর থাকে পদ্মার তীরের সাজানো জায়গাটা। কিন্তু এদানিং হালকা শীতের প্রকোপ পড়তে শুরু করেছে শহরে। মানুষের তাই কমতি দেখা যাচ্ছে অনেকটা। তারিক, সাদমান, অর্ণব আর সাথে তাদের অতিথি বন্ধু প্রবাল জিরো পয়েন্টে থেকে হেটে যাচ্ছে সেই দিকেই । অবশ্য অর্ণব জায়গাটাকে মাঝে মাঝে পয়েন্ট জিরো বলতে পছন্দ করে।
হঠাত সদ্য কলেজ পাস করা কয়েকটি বালিকা হেটে গেল তাদের পাশ দিয়ে। তারিকের চোখ স্থির সেদিকে? সাদমানের প্রশ্ন, "কিরে কি দেখস ওই দিকে?" নিশ্চুপ তারিক; অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হলুদ জামা পড়া মেয়েটির দিকে। সাদমান অন্যপাশের অর্ণবের দিকে তাকিয়ে বলল, " কিরে তুই ও?"
সিগারেটের ধূয়া ছাড়তে ছাড়তে অর্ণবের সাবলীল উত্তর," আহা! বিরক্ত করিস না, দেখতে দে।"
সে তাকিয়ে ছিল সেই হলুদিয়া পাখির পাশের মেয়েটার দিকে।
অথিতি বন্ধু প্রবাল একরাশ হাসি, " আরে এখনি তো দেখবে, সবাই কি তোর মত সুশীল নাকি?"
চার জন সেই তিন নিশি বালিকাকে লক্ষ্য করে পদ্মার পাড়ের চায়ের স্টলে বসে সিগারেটের সাথে চায়ের কমবিনেশন মেলাতে মেলাতে সেই বালিকাত্রয়ের সাথে কথা বলার পায়তারা খুজতে থাকে। হঠাত সেই হলুদিয়া পাখি তার আরেক সঙ্গীকে নিয়ে কই যেন পায়চারি করতে গেল। একাকী বসে থাকল শুধু অর্ণবের নীল পরী বালিকাটি। ব্যতিব্যস্ত তারিক উঠে গিয়ে যখন সেই হলুদিয়া পাখিকে পটানোর খোজে ছুট দিল, তখন অর্ণব কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যেই এগিয়ে গেল সেই নিলাঞ্জনার কাছে। সে তার কিঞ্চিত রাশভারী গলায় পাশে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, "আচ্ছা ফাঁকা আছে?"
মেয়েটির অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে উত্তর, " না..."
"আমি আপনার কথা জিজ্ঞাস করি নি, চেয়ার ফাঁকা আছে কিনা জিজ্ঞাস করলাম।"
মেয়েটি ধির প্রতিউত্তর," নিয়ে যেতে পারেন চাইলে, আমার এক ফ্রেন্ড আছে,মানে ও ছিল আর কি।"
অর্ণব অন্য কিছুর তোয়াক্কা না করে, পাশের চেয়ারে তার নিজ ভঙ্গিতে বসে গল্প জমানোর চেষ্ট শুরু করল, "আপনার কি এখানে বোড়াতে এসেছেন না এখানেই থাকেন?"
মেয়েটি ঠীক বুঝে উঠতে পারছেনা কি কি করবে, তারপরও কথা চালিয়ে গেল- না এখানে ভর্তি পরিক্ষার জন্য এসেছি, কাল চলে যাব তাই একবার যায়গাটা ঘুরে গেলাম।
ও আচ্ছে তো পরীক্ষা কেমন হল আপনার?
মেয়েটা অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে মনে হল কথা বার্তায়। বেশ স্বাভাবিক ভাবেই বলল, হ্যা ভাল হয়েছে। আচ্ছা আপনি কি ভার্সিটিতে পড়েন?
অর্ণব উত্তর বলল, না , ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে পড়ি।
এরপর এ কথা ও কথা করে, বেশ কিছুক্ষন চলার পর মেয়েটা হঠাত বলল, আপনি আমাকে তুমি করে বলতে পারেন। আচ্ছা আপনার কি ফোন নম্বরটা নিতে পারি প্লিজ?
অর্ণব একটু চুপ থেকে বলল, হুম! নিতে পার। কিন্তু কি দরকার ?
মেয়েটি বলল, প্রবলেম থাকলে দরকার নাই, আপনার সাথে কথা বলতে ভাল লাগল তাই চাইলাম আর কি।
অর্ণব নম্বর দিয়ে বিদায় নিল সেখান থেকে। ফিরে যেয়ে দেখে মুড অফ তারিকের। কি হয়েছে জানতে চাইলেই সে বলল, খুজে পাই নি মেয়েটাকে।
আবার অর্ণবকে তারিককে নিয়ে সে মেয়েরা যে জায়গায় ছিল সেখানে যেয়ে দেখে তারাও উধাও।
কিছু অপেক্ষার পর স্থান ত্যাগ আবার অন্য রাস্তায় জাওয়ার সময় সেই মেয়েগুলো কে দেখা গেল একটা অটোতে। কোন কিছু না ভেবেই তারিকের দৌড় সেই অটোর পিছনে, সে আজ সেই হুলুদিয়া পাখির সাথে কথা বলবেই। কিন্তু বিধি বাম, রাস্তায় কোন অসচেতন পথচারীর ফেলা কলার চোখায় পা পিচলে অল্পের জন্য ঠ্যাং ভাঙ্গা থেকে সে রক্ষা পেল মাত্র। তার বন্ধুরা তাকে তুলতে যেতে না যেতেই সে আবার উঠে ম্যারাথন দৌড় লাগালো সেই অটোর খোজে.......................................

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

এহসান সাবির বলেছেন: দে দৌড়......... অটো ধরতেই হবে...!

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

খেলাঘর বলেছেন:


লিখতে থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.