![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
না শেষ পর্যন্ত আর না লিখে থাকতে পারলাম না।
বহু দিন আগে থেকেই এদেশে দেশ রক্ষার নামে সরকার সমর্থিত বা অসমর্থিত হত্যাকান্ড চলেই যাচ্ছে। তারপর আসল ধর্ম রক্ষার নামে 'জিহাদ' নামের আরেক অবৈধ কার্যকলাপ। কখনো রগ কাটা জিহাদ আবার কখনও জনসম্মুক্ষে ঝুলিয়ে হত্যা।
আমি এখন পর্যন্ত কোন ধর্ম গ্রন্থে দেখিনি মানুষ হত্যা করে ধর্ম রক্ষার তাগাদা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক ধর্ম এসেছে মানুষের কল্যানের জন্য। আর ধর্ম রক্ষা করতে যেয়ে যদি মানুষই না থাকে, ধর্ম থাকার আর মানে কি।
এবার আসি দেশ রক্ষার ব্যাপারে, বহু দেশে মানুষের কল্যাণ নিরাপত্তার নামে দেশ রক্ষার মানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে সেই আদ্যিকাল থেকেই। আমার এখানেও প্রশ্ন, মানুষ্কে মেরে সাফ করে দিলে, সেই রাষ্ট্রের আর অস্তিত্ব থাকে কি ভাবে। আমার জানা মতে রাষ্ট্রের ৪ গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের একটা হচ্ছে জনগণ তথা মানুষ।
গতকাল যখন দেখলাম যে অভিজিত রায় নামের একজন ব্লগার কে হত্যা করা হল তাও প্রকাশ্যে, হাজারো মানুষের সামনে, তখন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক- আমাদের মধ্যে কি "মানুষ' বা মনুষ্যত্বের বোধ আদৌ আছে।
গত মাসাধিক কাল থেকে চলা সংঘর্ষে কত মানুষ যে পুড়ে মড়েছে তার কোন ইয়োত্তা নেই। কিন্তু তারপরও সেগুলোর ব্যাপারে কোন সুষ্টু তদন্ত হল না। এই ভাবে তাদের সেই অপরাধকে বাড়তে দেয়ার ফসল-ই হয়ত এই প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা। মনে রাখা উচিত যখন অপারাধী একটা খুন করে পার পেয়ে যাবে, তখন তার পরেরটা করার জন্য দ্বিধা থাকবেনা।
এই একটার পর একটা অপারাধ বেড়ে যাওয়ার দায় এই সরকারের, এই ধর্ম রক্ষাকারী জিহাদীদের, দেশ রক্ষাকারী তথাকথিক চেতনাদারীদের ও গণতন্ত্র রক্ষাকারী তথাকথিত সংগ্রামীদের।
আপানাদের এটা বোঝা উচিত যারা এই কাজগুলো করছে তারা অপরাধী-সন্ত্রাসী। এরা আজ আপনার হয়ে কাজ করছে, বলে হয়ত আপনি তাদের আশ্রয় দিচ্ছেন। কাল এই তারাই দেখবেন আপনার উপরই ছুরি চালাবে।
সুতরাং, সাধু সাবধান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: কি করবেন ভাই আমরা এখন তাদের কাছে রিমোটকন্ট্রলের মতো হয়েগেছি ।
তাদের প্রয়োজনে আমাদের বাচিয়ে রাখতে হবে মনে করলে বাচিয়ে রাখবে নয়ত মেরে ফেলবে ।