নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব্যসাচী

মানুষের জন্য

প্রজন্ম পশ্চিমাঞ্চল

প্রজন্ম পশ্চিমাঞ্চল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশরা ভাল থাকুক

০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

আকাশ ছেলেটা চলে গেল ভার্সিটি থেকে। স্নেহা যদি সেদিন হ্যাঁ বলত হয়ত আজকের আকাশের এই ছন্নছাড়া দিনগুলো আসতো না। হয়ত। আজ সে নিজের জীবনটা গুছিয়ে ফেলত, ঠীক আর দশটা ছেলে যেভাবে গুছিয়ে নেই নিজের জীবন তার জীবন-সঙ্গীনির সাথে। অবশ্য সেদিনই তো স্নেহা বলেছিল তাকে "তুমি এখান থেকে চলে গেলে সব-ই আস্তে আস্তে ভুলে যাবা। সবকিছু ঠীক হয়ে যাবে একসময়।" সত্যিই তো সে তো ক্যাম্পাস যিবনের সব কিছুই ভুলে গেছে, কর্মজীবনে ব্যাস্ত হয়ে গেছে অনেকটাই, অনেক কিছুই বদলে গেছে। শুধু বদলায়নি মনে ধারণ করে রাখা স্নেহার প্রতি তার ভালবাসা। ২/১ বার যে ভুলতে চাইনি তাও না, কিন্তু পারেনি। বরং সেই ভালবাসা হয়েছে আরও প্রগাঢ়। ক্যাম্পাস থেকে আসার পরও বহুবার মেয়েটাকে বোঝানোরও চেষ্টা করেছে, কিন্তু বারবার-ই হয়েছে হীতের বিপরীত।
তারপর মানুষের জীবন-ত চলে যাবেই। হয়ত যেই চলাটা হতে পারত অনেক স্বাভাবিক, অনেক সুন্দর; সেখানে সেই একই জীবন চলছে খুড়িয়ে, অনেকটা মানসিক পঙ্গুত্বের মধ্য দিয়ে। আকাশ নিজেও জানে, আর হয়ত কোন দিনই স্নেহা তার হবে না। তারপর সে অন্তরের অন্তস্থল থেকে স্নেহার জন্যই সব ভালবাসা যেন পেটেন্ট করে বরাদ্দ করে দিয়েছে। হয়ত জীবনটা একাকী, শুধু স্নেহার স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে তাকে।
শুধু দুঃখ থেকে গেল, স্নেহা ওকে বাইরে থেকেই চিনলো; ভেতরের মানুষটাকে চিনতে পারলনা। স্নেহা তো বলেই দিয়েছিল"এটা তোমার সমস্যা, আমি কি করতে পারি?"
মেয়ে তুমি বড়ই নিঠুর হলে এমন একজনের জন্য, যে তোমার জায়গাটার ভাগ-ও কাউকে দিতে রাজি না।
আকাশের সেই প্রাণচাঞ্চল্য আর নেই, বন্ধুরা বারবার খুঁজেও পাই না তাকে। কিছুদিন আগে ক্যাম্পাস জীবনে তার খুব কাছের বন্ধু সাদমান অর দেখা পেয়ে, টানা কয়েক ঘন্টা আড্ডা দিয়েছিল ঠীক সেই ছাত্রজীবনের মতই। বারবার তাকে বোঝাতেও চেয়েছিল স্বাভাবিক জীবনে থাকার জন্য। সে বিদায় বেলায় শুধু এটাই বলেছিল,"সেই মধুর জীবনে যাকে দরকার ছিল, সেই যখন নাই তখন সেই জীবনটাও অর্থহীন-মুল্যহীন"।
হয়ত ছেলেটা পাগল হতে বাকি নাই খুব বেশি। শুধু খারাপ লাগে এজন্যই যে বন্ধু-পরিবার সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যে জীবনে সে আছে, তা-কি শুধুই স্নেহাকে হারিয়ে? নাকি আরও অনেক চাপা কষ্ট, অনেক ক্ষেদ থেকে জীবনের প্রতি চূড়ান্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেলার ফসল। স্নেহা হয়ত ঠীকই গুছিয়ে রেখেছে নিজেকে, ভালই কাটছে তার দিন। হয়ত অনেক ভাল অবস্থানও আছে এখন তার। কিন্তু আকাশকে নিয়ে একটু যদি ভাবত, খুব কি ক্ষতি হয়ে যেত তার?
অনেক দিন আকাশকে নিয়ে লিখিনি, ভেবেছিলাম আর লিখব-ও না। কিন্তু তার এই শেষটা নিয়ে না লেখলে হয়ত তার প্রতি অবিচার করাই হবে।
শেষে এটুকুই বলি, আকাশরা যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক। হয়ত তাদেরকে নিয়ে ভাবার কেউ নেই, কিন্তু অন্তত তারা নিজের মতই নিজে ভাল থাকুক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.