![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮০ এর দশক।
মার্শাল টিটো পরবর্তী যুগোশ্লাভিয়া। যদিও যুগোশ্লাভিয়া কনফেডারেশন, তারপরও অনেকটা হঠাত করেই জাতিগত সার্বদের কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের সব জায়গায় লক্ষ্যণীয়। সব জায়গায় তাদের আধিপত্য এতই প্রকট হয়ে গেল যেন, যুগোশ্লাভিয়া বহুজাতিক ইউনিয়নের পরিবর্তে এক বৃহত্তর সার্বিয়াতে পরিনত হল। ফলাফল প্রথমে ক্রোয়েশিয়া থেকে শুরু হয়ে একে একে মেসিডোনিয়া, বসনিয়া হয়ে শেষ পেরেকটা গেঁথে দিল কসোভ। এক যুগোশ্লাভিয়া ভেঙ্গে গিয়ে জন্ম নিল আটটি দেশ। এই সব কিছুর কারন একটাই, সার্বিয়া নামের এক জাতির কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা।
এবার আসি আমদের প্রতিবেশি পাকিস্থানের বিষয়ে। সেই গত শতকের সত্তরের দশকে শুধুমাত্র পাঞ্জাবী আর কিছু অভিজাত পাকিদের আধিপত্যবাদী আচরণ বাঙ্গালীদের পাকিস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করল। স্বেচ্ছায় পাকিস্থানে যোগ দেয়া পূর্ববঙ্গ পৃথক হলেও, প্রায় জোর করে ইউনিয়নভুক্ত করা বেলুচিস্থান সেদিন অস্ত্রের মুখে হেরে গেছিলো। সেই বেলুচিস্থান বছর কয়েক আগে পাকিস্থানের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শুধু বিদ্রোহই করেনি, নিজেদের স্বাধিনতা ঘোষনা করতেও ভুল করেনি। সেক্ষেত্রে তাদের সামনে ছিল বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির উদাহরণ। কিছুদিন আগে শুনলাম পাকিস্থানের অর্থৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র সিন্ধের লোকজনও ফুঁসে উঠেছে। দখলকৃত কাশ্মিরও আর থাকতে চাইনা পাকিস্থানে। সীমান্ত প্রদেশে বিমান হামলা তো নিয়মিত ব্যাপার হয়ে গেছে।আর জঙ্গীবাদ তো পাকিরা ঘরে পেলে বড় করেছে। আর এসবের কারণও সেই পাঞ্জাবীদের কর্তিত্ববাদী আচরণ।
জল অনেক গড়িয়েছে। পাকিস্থান বহুবার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের সাথে জোট বাঁধতে, না হলেও অন্তত একটা পাকিস্থানপন্থী সরকার এদেশে বসাতে। এখনো মাঝে মাঝে আমদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে দেখি পাকিদের।
কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে যা মনে হয়, তাতে পাকিস্থানের যুগোশ্লোভিয়া হতে বেশি দিন বাকি নাই।
পাঞ্জাবীরা পাকিস্থানকে সেই বর্বর সার্বদের মতেই বৃহত্তর পাঞ্জাব উপনিবেশ বানানো ছাড়া আর কিছুই করেনি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিবে বলেও মনে হয়না এই, অসভ্য পাঞ্জাবীরা। এমনিতেই পাকিস্থানে আইনের শাসন বলে কিছু নাই। আর তা ভেঙ্গে যদি আর ৫/৬ টা দেশের জন্ম হয় তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। এত কিছুর পরও তাদের সেই পুরান কথা মুসমানের দেশ, মুসলমানের রক্ষক কথাগুলো তারা কিভাবে দাবি করে আমি জানিনা। যারা নিজেদের রক্ষার যোগ্যতা রাখেনা, তারা দুনিয়ার এক চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষকে কি দিয়ে রক্ষা করবে কে জানে। সুতরাং, পাকিস্থানের জন্য অন্ত:প্রান মানুষদের বলছি তথাকথিত ইসলামী পাকিস্থানের নামে বুলি আওড়ানো বাদ দিয়ে ঠীক রাস্তায় আসুন।
©somewhere in net ltd.