নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
একটু ভূমিকা না দিয়ে এই সিরিজের প্রথম লিখাটা শুরু করতে পারছিনা। কথায় বলে স্বপ্নের দেশ আমেরিকা, এ ল্যান্ড অফ অপরচুয়িনিটি। কথাটা পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই সত্য। আর তাই এই অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও অনেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় পাড়ি দেয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে কাতারে আমাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ছাড়াও উন্নত বিশ্বের নাগরিকরাও আছেন। সে বিষয়টা নিয়ে আরো বিস্তারিত অন্য কোন পর্বে লিখার আশা রাখছি।
এই সিরিজে আমি আমার আমেরিকা আসার অভিজ্ঞতা, সাফল্য-ব্যর্থতা, আনন্দ-বেদনার অভিজ্ঞতা যতটুকু সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
যাইহোক, সামুতে যারা আমার প্রথম দিককার লিখাগুলো পড়েছেন বা যারা সামুতে প্রথম দিক থেকেই লিখালিখি করছেন, তারা অনেকেই হয়তো আমার আমেরিকায় আসার বিষয়টি সম্পর্কে জেনে থাকবেন। তারপরেও আমার এই "আমেরিকায় প্রবাস জীবন" সিরিজে পুরো বিষয়গুলোই প্রথম থেকেই লিখার ইচ্ছে রাখছি যাতে নতুন যারা সামুতে এসেছেন, তারাও পুরোপুরি স্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন।
ঘটনার শুরুটা হয়েছিলো ২০০৫-এর মাঝামাঝি। বড় ভাইয়া তখন ভারতে তার আন্ডারগ্র্যাড করছেন। আমি তখন ঢাকা সিটি কলেজে বিবিএ পড়ছি। বড় ভাইয়া ছুটিতে দেশে বেড়াতে এলেন, আর আমি তখন সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে ব্যস্ত। এক সকালে নাস্তা করে, আমার প্রাণপ্রিয় মোটরবাইক (বাজাজ পালসার) নিয়ে ভো ভো করে কলেজে যাচ্ছি। হঠাৎ সেলফোনটা বেজে উঠলো, কিন্তু কলেজে পরীক্ষা থাকার কারণে রাস্তায় বাইক থামিয়ে ফোনটা ধরিনি। যাইহোক, কলেজে গিয়ে পরীক্ষার হলে বসে পড়লাম। পরীক্ষা শুরু হতে যাবে, চোখে-মুখে অন্ধকার অবস্থা। গোগ্রাসে রিভাইস করছি, আবার ফোন এলো। দেখলাম বড় ভাইয়া ফোন করছেন, কিছুটা বিরক্তি নিয়েই রিসিভ করলাম।
ভাইয়া: "এ্যাই, তুই কি কখনো ডিভির জন্য এ্যাপ্লাই করেছিস? তোর নামেতো ইউ.এস এ্যাম্বেসি থেকে কাগজ এসেছে। পরীক্ষা শেষ করে সোজা বাসায় চলে আয়।"
বড় ভাইয়া আমি হ্যালো বলতেই একটানে কথাগুলো বলে ফেললেন।
আমি: কৈ? নাতো?! আমার নামে কাগজ আসবে কোত্থেকে?
ভা্ইয়া: কাগজ এসেছে, পোস্টম্যান বাসায় এসে বসে আছে, বকশিশ চাচ্ছে। মা , ১০০ টাকা দিয়েছে কিন্তু ব্যাটা ১০০০টাকা চাচ্ছে।
আমি: আগে কাগজটা খুলে দেখেন, ডিভির হলে ২০০ টাকা দিয়ে বিদেয় করে দেন। ১০০০টাকা কি হাওয়া থেকে পড়ে নাকি?
ভাইয়া: আচ্ছা ঠিক আছে, দেখি কি করা যায়। তুই পরীক্ষা শেষ করে বাসায় চলে আয়।
আমি: আচ্ছা, স্লামুলাইকুম।
ভাইয়া: ওয়ালাইকুমুসালাম।
ফোনটা রেখে আর রিভাইস করাতে মন বসালাম। ততক্ষণে পরীক্ষার হলে স্যার চলে এসেছেন। রিবাইস আর করা হলোনা।
পরীক্ষা শেষ করে যথারীতি বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে কাপড়-চোপড় ছাড়ার আগেই কাগজগুলো নিয়ে বসে বড়লাম। কাগজ নিয়ে খানিকটা নাড়া-চাড়া করার পর যা বুঝলাম, তা হলো, আমাকে ওরা ডিভির প্রসেসিংএর ইনিশিয়াল স্টেজে সিলেক্ট করেছে (অনেকে এটাকে ফার্স্ট লেটারও বলে থাকেন) এবং আমার কাছ থেকে আরো তথ্য চাচ্ছে।
রাতে খাবার টেবিলে বসে বাবার সাথে কথা হচ্ছিলো। বড় ভাইয়া, মা সবাই মতামত দিলেন খুব সম্ভবত কাউসার (আমার ছোট চাচা, তখন নিউ ইয়র্কে ব্লুমবার্গের হেডকোয়ার্টারে ফাইনানশিয়াল এ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মরত) এই কাজটা করেছে। সুতরাং কাগজ যেহেতু এসেছে প্রথমে চাচার সাথে কথা বলে বিষয়টা যাচাই করে দেখা দরকার।
পরেরদিন সকালে, চাচার সাথে কথা হলো। বিষয়টা তিনিই নিশ্চিত করলেন। তিনিই জানালেন যে, আমার আর বড় ভাইয়ার হয়ে তিনিই ডিভিতে এ্যাপ্লাই করেছিলেন। স্ক্যান করে, কাগজগুলো পাঠানো হলো চাচার কাছে। সবকিছু ঠিকঠাক মনে হওয়ার পর, যথারীতি কাগজগুলো পূরণ করে, ঢাকা থেকে ডিএইচএল এ কুরিয়ার করে কেন্টাকিটতে পাঠানো হলো।
চলবে....
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, অবশ্যই
০৬ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:১২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: খানিকটা দেরীতে হলেও দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হলো। ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৮
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। ছবি সহ পরের পর্বের অপেক্ষায়.......
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
জল কনা বলেছেন: পরের পর্ব কি ঠেলাগাড়িতে করে আসছে ভাইয়া!
পরের পরবের অপেক্ষায়! :!> :!>
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হা হা হা... আপনার মন্তব্য শুনে না হেসে পারা গেলো না।
যাইহোক, ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারছিনা। তবে খুব শীঘ্রই পরের পর্ব আসছে। ধন্যবাদ।
০৬ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:১৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেরীতে হলেও অবশেষে...
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৭
জল কনা বলেছেন:
এইবার তাহলে একটু সময় নিয়ে বসে; লিখে ফেলে, জেড প্লেনে করে পাঠায় দেন লিখাটা !
"লাইফ ইজ ফুল অফ ব্যস্ততাজ; সো, নো বাহানাজ! "
(এটা আমাদের এক স্যারের অনেক ফেভারিট ডায়ালগ ছিল! আমাদের খোঁচা দিতে বলত; না, ইস্পায়ারড করতে বলত সেটা আজ পর্যন্ত জানা হইল না! )
০৬ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:১৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হমম বাহানাতো ছিলোই। পরীক্ষা, জব.. বাট নো মোর বাহানাজ
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: পরের পর্ব কই ভাই ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় ।