নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
চশমার প্রতি একটা অদৃশ্য জ্বালাময়ী অনীহা কাজ করে আমার, ব্যাপারটা ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য করে আসছি। তবে অন্য কেউ চশমা পড়লে বা না পড়লেও আমার তাতে মাথা ব্যাথা হয়না। ছোট বেলায় বাবা, দাদুমনি কে চশমা পড়তে দেখতাম। ব্যাপারটা কখনোই অস্বাভাবিক মনে হয়নি। প্রয়োজনীয়তার কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু রঙিন চশমা পড়ার স্বাদ-আহ্লাদ বলেওতো একটা ব্যাপার আছে! সেটাই আমার ভেতরও কাজ করেনা। হালের পিচ্চি পোলাপাইন যখন রঙিন চশমা পড়ে ডেটিং-এ যায়, তখন দেখতে বেশ লাগে কিন্তু নিজে চোখে চশমা দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করিনা কেন সেটা বুঝতে পারিনা, আর ডেটিংতো ....
যাইহোক, আমি চশমা পড়বো সেটা কস্মীন কালেও মাথায় আসেনি। চোখের সামনে আরো দু'টো চোখ ঝুলিয়ে রাখাকে বিরক্তির ছাড়া আার অন্য কোন কিছু মনে হয়নি। কপাল দেখেন, অামার চোখের সমস্যাটা বেশ পুরোনো আর যতবারই চোখের ডাক্তার দেখিয়েছি, ততবারই ব্যাটাগুলো আমাকে চশমা ধরিয়ে দিয়েছে। বিরক্তিটা এত সিরিয়াস মাত্রার যে, ডাক্তারের কথা অমান্য করেও চশমা ছাড়া কাটিয়েছি ২০ বছরের অধিক সময়।
বিগত ২০১১-তেও এখানকার ডাক্তার ম্যাডামের পরামর্শে চশমা নিতে হলো। টেবিলে সেটা পড়ে থাকতে থাকতে ধুলো পড়ে গেছে। কখনো ব্যবহারও করা হয়নি। কিন্তু এবার আর সেটা করা সম্ভব হলোনা ডাক্তার ম্যাডামের ঝারি খেয়ে রীতিমত চশমা আবার নিতে হলো। দৈনিক ১১/১২ ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে নাকি চোখের ১৩টা বাজিয়েছি। আমি বলি আরে ভাই, চাকরি বাদ দিয়ে খোলা আকাশের নিচে হাওয়া খাবো নাকি?! চশমা সমস্যা ছিলো না, ডাক্তার বললো গ্লাসে নাকি "এন্টাই রিফ্লেকটিভ কোটিং" ব্যবহার করতে হবে, গ্যালো আমার আরো ১০০ ডলার গচ্চা। দুঃখ আর কাকে বলে!
ছোট বেলায়, যারা চশমা পড়তো তাদেরকে চার চোখ, কানা, চশমুদ্দিন ছাড়া আরো কতকিছু বলেছি এখনতো দেখি আমাকেই সবাই যাইহোক। গ্রামে একটা প্রচলিত কথা ছিলো, "নিন্দাইলে পিন্দাইতে হয়" সেরকম কিছু একটা হঠাৎই সত্য বলে মনে হলো।
কাকতালীয় ব্যাপার হলো, কয়েক বছর আগে যখন আমি আমার ব্লগের লোগো ঠিক করলাম (আমার প্রোফাইল পিক) তখন লোগোতে চশমা লাগানোই ছিলো, ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করিনি যেহেতেু লোগোটা বেশ ভালো ছিলো। আজ অনুধাবন করলাম, আরে! এটাতো দেখি আমার মতো হয়ে গেছে! কপালের নাম গোপাল আরকি!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কথা সত্য
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আধুনিক গ্যাজেটগুলোর কল্যাণে এখন অনেকেই কানার খাতায় নাম লেখাতে বাধ্য হচ্ছে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন:
এটাও সত্য
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
শামচুল হক বলেছেন: ভালই বলেছেন। চশমা কপাল আর কি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন:
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলে এমনই হয়। যে যেটা চায় না সেটাই হয়। আমি স্ত্রী দেশে রেখে বিদেশ করা পছন্দ করি না, যারা রেখে আসত তাদের দেখতে পারতাম না। আর এখন আমি নিজেই...
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: নিন্দাইলে পিন্দাইতে হয়
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৮
এম আর তালুকদার বলেছেন:
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন:
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আগে থেকেই নিজের ছবি কেমনে হতে পারে বুঝেছিলেন আর কি।
লেখা পড়ে মজা পেলাম।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্যি বলতে কি ব্যাপারটা ওভাবে কখনোও ভাবা হয়নি। হঠাৎই খেয়াল হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: লেখার শেষের অংশ টা অনেক মজার লাগলো । চশমা কিছু দিন পড়লেই অভ্যাস হয়ে যাবে ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অভ্যাস না হয়ে উপায় আছে
৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫
শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: আগে চোখের সমস্যা তেমন ছিলোনা। চল্লিসের উপরে না গেলে চশমা দেওয়া হতনা তখন আর এখন চোখের সমস্যা সর্বজনিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলা যায়।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কম্পিউটার, টিভি, গ্যাজেট্স.. কারনতো অনেক, তবে আপনার কথা সত্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: গ্রামে আগে কেউ অল্প বয়সী চোঁখে চশমা পরলে লোকে তাকে আড়ালে আবডালে কানা বলেই ডাকত।
তবে এখন মনে হয় পরিবেশ বদলেছে।