নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ মেঝ চাচাও চলে গেলেন

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫০

গত ক'দিন ধরেই রাতে ঘুম হচ্ছেনা। অজানা কারনে বার বারই বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছি। সকাল হওয়ারও অনেক পরে ঘুমুতে যাচ্ছি। তাতেও খুব একটা কাজ হচ্ছেনা। ঘুম ঠিক মতো হচ্ছেনা। আজও রাতে ঘুম হয়নি, তাই ভোর রাতের দিকে মা'কে ফোন করে ঘন্টা দু'য়েক কথা বলেছি। ফজরের নামাজটা আদায় করতে যাওয়ার আগে একটু কম্পিউটারে বসেছিলাম। কিছুক্ষণ, বাদেই বড় ভাইয়ার কাছ থেকে ছোট্ট একটা মেসেজ এলো, "মেঝ চাচা আর নেই"।

চাচা বলতে আমার মেঝ আর ছোট চাচা আছেন। আমার বাবা ছিলেন পরিবারের সন্তানদের মাঝে সবার চেয়ে বড়, তার চেয়ে ২/৩ বছরের ছোট হবেন আমার এই মেঝ চাচা। অত্যন্ত ধার্মিক আর সাদা মনের মানুষ, কারো আগে বা পেছনে নেই। বলতে গেলে পুরোটা জীবনটাই গ্রামের বাড়িতে কাটিয়েছেন, সেই ছোট বেলা থেকেই তাকে বড় সাদা জুব্বায় দেখে আসছি, কখনো নামাজ বাদ দিতে দেখিনি। সময়মতো তার খাওয়া হোক বা না হোক, সবার আগে মসজিদে গিয়ে আজান দেয়া তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো। মসজিদের অঘোষিত মুয়াজ্জিন তিনিই ছিলেন, মসজিদ কমিটি থেকে তাকে সম্মানী দিতে চাইলেও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক ফেরার আগের দিন, আমি হুট করেই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম বাবার কবরটা জিয়ারত করার জন্য। গ্রামের বাড়ি গিয়েই চাচার সাথে দেখা হলো, বললেন, ভাতিজা বসো, খাওয়া-দাওয়া করো, আমি জোহরের নামাজটা পড়ে আসি। আমি বললাম, আপনি নামাজ পড়ে আসুন, ততক্ষনে আমি বাবার কবরটা জিয়ারত করে আসি। ঢাকার পথে রওনা হওয়ার আগে আবারও চাচার সাথে দেখা, যেহেতু আর দেখা হওয়ার সুযোগ নেই, তাই চাচাকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করলাম। বললাম আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার বাবার সাথে চাচার একটা অদ্ভুত দৃশ্যমান মিল ছিলো, দেখতে দুজনে অনেকটাই একই রকম। অনেকটা বাবার স্মৃতি ধরে রাখতেই চাচার সাথে বেশ কয়েকটা ছবিও তোলা হলো। তখনো জানা ছিলোনা, চাচার সাথে সেটাই আমার শেষ দেখা হবে।

বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে তিনি অনেকটাই নির্বাক আর চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন, বলতেন বড় ভাই চলে গেল, এই পৃথিবীতে আমার আপন আর কেউ থাকলোনা, আমিও চলে যাবো। আগামীকাল বাবার চলে যাওয়ার তিন মাস পূর্ণ হবে, তার আগেই চাচাও সত্যি সত্যি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ভীষণ কাছের দু'জন মানুষকে হারালাম। এই দুঃখানুভূতির কোন ভাষা নেই, তাদের এই শূণ্যতা অপূরণীয়। মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার জীবনে দেখা শ্রেষ্ট এই দু'জন মানুষকে তিনি শান্তিতে রাখেন, তাদের বেহেশত নসীব করেন।

আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা আমার বাবা আর চাচার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাদের প্রতি সদয় হোন, তাদের জান্নাত দান করেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই দোয়া করি ভাই।

০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৯

আরোগ্য বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আল্লাহ উনাদের জান্নাত নসীব করুন।

০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.