নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
ইদানীং পত্রিকার পাতায় কারো মৃত্যুর কোন সংবাদ এলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি। বিশেষ করে ব্যক্তিটি যদি পরিচিত কেউ হন। এ ধরুন যেমন মমতাজউদদীন আহমদ স্যার আমাদের ছেড়েে চলে গেলেন। খবরটা শুণে খুব খারাপ লেগেছে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, স্যারকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি-জানি তবুও স্যারকে ছোট বেলা থেকেই বিটিভিতে দেখে দেখে বড় হয়েছি বলে, অদৃশ্য একটা বন্ধন তৈরী হয়ে গেছে। আমার শৈশবের কিছু স্মৃতির সাথে তিনি সারাটাজীবনই হয়তো থাকবেন।
তিনি গুণী মানুষ ছিলেন, তার গুনগুলো অত অল্প বয়সে বোঝার মতো ক্ষমতা আমার ছিলোনা আর আজও নেই। আমার কাছে তিনি বিভিন্ন চরিত্রে "না... না... না.." বলে ক্ষেপে যাওয়া একজন অভিনেতা হিসেবেই থাকবেন। দুষ্টমি করে তাকে আমরা অনেকটা পাগলাটে বলেও ভেবেছি ছোট বেলায়, তবে সে ভাবনায় কোন অশ্রদ্ধা ছিলোনা। নিতান্তই অবুঝ আর সরল মনের অভিব্যক্তি।
যাইহোক বলছিলাম, মৃত্যুর কথা। পত্রিকায় পড়ে বুঝতে পারলাম, স্যারকেও এ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো, যেমনটা আমার বাবাকেও নেয়া হয়েছিলো। স্যারকেও আইসিউতে নেয়া হয়েছিলো, আমার বাবাকেও! নাম ঠিক মনে করতে পারছিনা, কিন্তু ক'দিন আগেও অরেকজন গুনী কাউকে হয়তো এমনি এ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়ার পর দেহত্যাগ করেছেন। এ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়ে আমার পরিবারের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আমার বাবার মৃত্যুতে বেশ কিছু অনিয়ম হয়েছে, আমার এক ওসি চাচাও ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে। যাইহোক, বাবা চলে গেছেন তাই সেই আলোচনায়ও আর যাচ্ছিনা। তবুও মনে প্রশ্ন জাগে, স্যারের সাথেও কোন অবহেলা হয়নি তো? বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি কবে হবে?! যে দেশে মানুষকে গণহারে এ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়, ডাক্তার মহাশয়গণ কথায় কথায় ওষুধের লিস্টি হাতে ধরিয়ে দেন, টাকার জন্য দরকার না হলেও আইসিইউ আর সি-সেকশন করে মেয়েদের দিয়ে বাচ্চা জন্মানো হয় তা বেশ উদ্বেগের বিষয়।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও চিকিৎসাসেবার মান আমাদের চেয়ে হাজারগুনে ভালো। আজ পর্যন্ত আমার পরিচিত কাউকেই ভারতে গিয়ে মরতে শুনিনি। অনেকেই অনেক বড় বড় চিকিৎসার জন্য গিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরেও এসেছেন এদের মধ্যে আমার পরিবারের সদস্যও আছেন।
বলতে চাচ্ছিলাম নশ্বর পৃথিবীর কথা... লিখা চলে গেছে অন্য কোন দিকে।
একটা সময়, মৃত্যুকে অনেক ভয় পেতাম বা ভয়ংকর কিছু বলেই মনে হতো। এখন আর কেন যেন সেটা মনে হয়না। ভাবি কাছের অনেকেইতো চলে গেছে, আমিও যাবো! দীর্ঘদিনের চেনা-জানা কত মুখ-ইতো হারিয়ে গেলো। আমার মৃত্যুতেও হয়তো আমার চেনা-জানা মানুষগুলোও হয়তো এভাবেই ভাববে। আসলে যতই দিন যাচ্ছে এই পৃথিবীর প্রতি মোহ হারিয়ে ফেলছি। চারপাশে এত বেশী অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম, হানাহানি ঘটছে যেটাকে এ্যাবসর্ব করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। মনে হয় এতটা বিষাদ নিয়ে বেঁচে থাকারই বা মানে কি?
দিন শেষে আরো বেশী ক্লান্তিবোধ নিয়ে বাসার ফিরে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতে দিতেই ভাবি, এটাই কি তবে শেষ দেখা?! এখনোতো দেখা হয়নি কিছুই, এভাবেই কি তবে একদিন চলে যেতে হবে কিছু হতাশা, না পাওয়াকে সঙ্গী করে? সবাই হয়তো এভাবেই চলে যায়, আমিও যাবো.. আর তুমিও।
০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, কম্পিউটারটি সম্প্রতি আরো পাওয়ারফুল করা হয়েছে এবং সামনে আরো করা হবে। আপাতত, লোকাল সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করছি। পাশপাশি সম্প্রতি ইউটিউবের জন্য কিছু টিউটোরিয়াল তৈরীর কাজে হাত দিয়েছি সেগুলো এডিটিংও এই কম্পিউটারেই হবে।
স্যারের ব্যাপারে আমার ধারনা কম, ছোট বেলায় টিভিতে দেখে দেখে বড় হয়েছি। অবশ্য টেলিভিশন দেখা বন্ধ আছে প্রায় ২০০০ সাল থেকে। উনার ব্যাপারে আপনার মন্তব্যটা একটু ধাক্কা খাওয়ার মতো মনে হলেও খারাপ মনে হয়নি।
২| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যু আমাকে অনেক যন্ত্রনা দেয়।
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সহজ সরল মানুষ ছিলেন। এরকম মানুষ এই সমাজে বিরল।
০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মৃত্যুটাকে এক সময় খারাপভাবে দেখলেও এখন আর তেমনটা মনে হয়না। পৃথিবী ছেড়ে যত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়, ততই মঙ্গল।
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ ভালো চিকিৎসা সেবা পেতে যাদের সামর্থ্য কম তারা ভারত যায়। যাদের সমর্থ একটু বেশি তারা ব্যাংকক যায় সিঙ্গাপুর যায়। দেশে কোন সেবা নেই। সাধারণ মানুষ হতভাগা।
০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ফেইসবুকের যুগে সাধারণ থাকাটাও অসাধারণ ব্যাপার। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের জাতীগত কিছু চারিত্রিক এবং স্বভাবগত সমস্যা আছে যেটা আমাদের বুঝিয়ে বা অনুরোধ করে কোনদিনও সমাধান করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন, শক্তি প্রয়োগ এবং কঠিন নিয়ন্ত্রন। যাইহোক ভালো আর সুস্থ থাকুন এটাই প্রত্যাশা করছি।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মৃত্যু হলো অনিবার্য সত্য !!
০৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, সেটাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি একটি খুবই পাওয়ারফুল কম্প্যুটার কিনেছিলেন, উহাতে আপনি কি ধরণের কাজ করেন?
মমতাজ সাহেব চিটাগং কলেজে আমার শিক্ষক ছিলেন; এরা নিজের জন্য বাঁচেন, কারো জন্য কিছু করেননি।