নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাটা আর্কাইভিং কিভাবে করছেন?

২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২০

বেশ কিছুদিন আগে আমার ব্যক্তিগত ব্লগে একটা লিখা লিখেছি ডাটা আর্কাইভিং নিয়ে। পুরো লিখাটাতেই আমার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরেছি। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে ডাটা আর্কাইভিং আমার জন্য অত্যন্ত সিরিয়াস বিষয়, তাই ব্যাপারটা নিয়ে আমাকে বেশ ভাবতে হয়েছে। বর্তমান বাজার, বাজেট এবং টেকসই পদ্ধতি সবকিছু মাথায় রেখেই লিখাটা লিখা হয়েছিলো। তদুপরি, আমি কখনোই মনে করিনা আমার সিন্ধান্ত বা ধারনাটাই সবচেয়ে সঠিক বা বাস্তবসম্মত। সুতরাং আপনাদের মূল্যবান মতামত জানতে আগ্রহী।

তথ্যের ধরন বুঝে ডাটা আর্কইভিং কে আমি মূলত দু'ভাবে দেখি।

স্থায়ী তথ্যঃ যে তথ্যগুলো পরিবর্তনযোগ্য নয় বা পরিবর্তন হওয়ার কোন সুযোগ নেই তাকে স্থায়ী তথ্য বলা হয়েছে। যেমন পারিবারিক স্থির চিত্র বা চলমান চিত্র, গান, কোন অনুষ্ঠানের ভিডিও এসব তথ্য স্থায়ী তথ্যের অর্ন্তগত। এ ধরনের তথ্যগুলো স্থায়ী মিডিয়াতে সংরক্ষণ করা সবচেয়ে যুক্তি যুক্ত। হতে পারে সেটা সিডি, ডিভিডি, ব্লু-রে ডিস্ক বা ক্লাউড মিডিয়া। যেহেতু স্থায়ী তথ্য অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ তাই এইগুলোকে সবচেয়ে সিকিউরড স্থানে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্লু-রে এম ডিস্ককে এ ধরনের কাজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী মনে করি। তার অন্যতম একটা বড় কারন হলো ক্লাউডে দীর্ঘ মেয়াদে প্রতি গিগাবাইটের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশী।

অস্থায়ী তথ্যঃ যে তথ্যগুলো পরিবর্তনশীল বা ক্রমাগত আপডেট হচ্ছে এ তথ্যগুলোকে অস্থায়ী বলে ধরা হচ্ছে। যেমন কোন ডকুমেন্ট, ওয়েব বা এ্যাপ্লিকেশন প্রজেক্ট ইত্যাদি। এ ধরনের তথ্য হার্ড ডিস্ক, ফ্ল্যাশ মেমরি বা ক্লাউডে রাখা যেতে পারে। তাতে করে পরবর্তীতে এ তথ্যগুলো নামিয়ে আবারও কাজ করা যেতে পারে বা আপডেট করা যেতে পারে।

লিখার মূল ধারনা এটাই। আপনারা কে কিভাবে তথ্য সংরক্ষণ করছেন। আপনাদের ধারনা পেতে ইচ্ছুক।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: ভাল লিখেছেন। সবার সচেতন হওয়া প্র‍্যোজন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অবশ্যই, আমার কয়েকবার ডাটা হারানোর শিক্ষা হয়েছে তাই বিষয়গুলোকে বেশ সিরিয়াসলি দেখা হয়। ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

এমজেডএফ বলেছেন: যে কোনো তথ্য (স্থায়ী/অস্থায়ী) সংরক্ষণের সময় দুটি কপি রাখা ভালো। দুটি কপি দু'জায়গায় রাখতে হবে। যাতে দূর্ঘটনাবশত একটি কপি নষ্ট বা হারিয়ে গেলেও বিকল্প কপি থাকবে। নিয়মিত ফ্ল্যাশ মেমোরিতে ব্যাকআপ করুন। বছর শেষে ফ্ল্যাশ মেমোরি থেকে ডিভিডিতে স্থায়ীভাবে কপি করুন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে আমি প্রথাগত ফ্ল্যাশ মেমরি (বাংলাদেশে পেন ড্রাইভ নামে পরিচিত) থেকে কিছুটা দূরে সরে এসএসডি বেইজড ড্রাইভগুলো বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি। অনেক স্থায়ী তথ্যের জন্য ডিডিডি আমার কাছে তুলনামূলকভাবে কম প্রাধান্য পাচ্ছে। আমি মূলত ব্লু-রে এম-ডিস্ক ব্যবহার করি যেটা ডিডিভডির চেয়ে অনেক বেশী তথী সংরক্ষণ করতে পারে। পাশাপাশি এম-ডিস্ক ফরম্যাটকে আমি নরমাল ডিস্কের চেয়ে বেশী পছন্দ করি কারণ তাতে তথ্য তুলনামূলকভাবে বেশীদিন সরংক্ষণ করতে পারে। এটা প্রমানিত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আগামী দিনের দুনিয়া হবে তথ্য নির্ভর।
যার কাছে যত তথ্য থাকবে সে তত এগিয়ে থাকবে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হুম কিন্তু ব্যাপারটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন হওয়ার পরেও অনেকেই বিষয়গুলোতে ততটা মনযোগ দিচ্ছে না। মনে রাখতে হবে, তথ্য নির্ভর হয়েই গুগল বা ফেইসবুক এত ধনী হয়েছে। আমরা তাদেরকে আমাদের সময় নষ্ট করে তথ্য দিয়ে ধনী করেছি আর এখনো করছি। ভেবে দেখার ব্যাপার আছে।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি সাধারনত পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ও গুগল ড্রাইভে রাখি।

সাধারন পোর্টেবল হার্ডডিস্ক কত বছর পর্যন্ত টিকতে পারে?
এসএসডি বেইজড ড্রাইভগুলো বেশী বড় পাওয়া যায় না, তবে লাইফ কত বছর?
একটা ব্লু-রে ডিস্ক কত জিবি হয়?

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৫৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভের তুলনায় গুগল ড্রাইভ অনেক বেশী বিশ্বস্ত। পোর্টেবল হার্ডডিস্ক টেকার ব্যাপার নির্ভর করছে অনেকগুলো বিষয়ের উপর যেমন ব্র্যান্ড, ব্যবহারের ধরন, ব্যবহারের পরিবেশ (ইন্ডাস্ট্রিয়াল/পারসোনাল) ইত্যাদি। এসএসডি এখন ৪ টেরা বাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আমি স্যামস্যাং এর ১ টেরা বাইটের এমস্যাটা এসএসডি ব্যবহার করছি পোর্টেবল ড্রাইভ হিসেবে । মাদারবোর্ডে এম.২ এসএসডি ব্যবহার করছি মূলত উইন্ডোজ এর ইন্সটলেশন এবং সফট্ওয়্যার এর জন্য। আর ডকুমেন্ট কম্পিউটারে রাখার জন্য রেগুলার স্যাটা এসএসডি ব্যবহার করছি। এসএসডি এর লাইফ রাফলি ৫/৬ বছর ধরে নেয়া যেতে পারে যদিও বিষয়টা অনেকগুলো ভ্যারিয়েবল এর উপর নির্ভর করছে। যেমন ড্রাইভের ধরন (এসএলসি, এমএলসি, টিএলসি), রাইট সাইকেল ইত্যাদির ওপর। আমার ব্যক্তিগত স্যাটা বেজড এসএসডি টি ৬ বছরের বেশী ব্যহার হয়েছে এবং সফটওয়্যারের হিসেব অনুযায়ী ড্রাইভটি ৭৫% ভালো আছে। বাকি ২৫% খুব সম্ভবত ব্যাড ব্লক বা অব্যবহারযোগ্য স্পেস যেটা সফটওয়্যার আলাদা করে ব্লক করে দিয়েছে এবং ওখানে আর ডাটা লিখা বা পড়া সম্ভব নয়। ব্লু-রে ডিস্ক সর্বোচ্চ ১২৮ গিঃবাঃ এর হতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২৫ এর ডিস্ক ব্যবহার করছি। তবে সাধারণ ব্লুরে ডিস্ক এর তুলনায় এম-ডিস্ক টাইপ কেনা উচিত। বলা হয়ে থাকে এগুলো ১০০০ বছর পর্যন্ত ডাটা সংরক্ষণ করতে সক্ষম, তবে বাস্তবিক অর্থে ধরে নেয়া যেতে পারে আমার জীবনের সময়কাল অনায়াসেই পার করতে পারবে। তদুপরি বলবো ডিস্কগুলো অত্যন্ত যত্ন করে ব্যবহার করতে হবে। আমি পরীক্ষা করার জন্য শার্প বস্তু দিয়ে একটা ডিস্ক নষ্ট করেছি শুধু বোঝার জন্য যে এটা কতটা প্রেশার নিতে পারে। সাধারণ সিডি বা ডিভিডির তুলনায় এম-ডিস্ক অনেক বেশী রাফ পরিবেশে ডাটা ধরে রাখতে পারে। ফুটন্ত পানিতে ৪/৫ মিনিট রাখা বা তীব্র রোদ বৃষ্টিতে রেখে দেয়া বা বরফে ২/৩ সপ্তাহ ফ্রিজ করে রাখার পরেও এর ডাটা সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে, যেটা সাধারণ সিডি বা ডিভিডি টেস্টে পারে নি। বলা হয়ে তাকে আমেরকিার কোন একটা আর্মড ফোর্স (নেভী সম্ভবত) এটাকে তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করছে। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে। =p~

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রয়োজনিয় পোষ্ট। পোষ্টে প্লাস।
ভালো থাকুন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ। দীর্ঘ মন্তব্য দিয়ে প্রয়োজনিয় তথ্যগুলো জানানোর জন্য।
আর একটা কথা -
একটা ভাল ভিডিও এডিটিং সফট দরকার ছিল, কোনটা ভাল হবে? ফ্রী বা অল্প দাম হলে ভাল হয়। ধন্যবাদ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি আসলে এডিটিং এর জন্য সিরিয়াস কোন সফট্ওয়্যার ব্যবহার করছি না। আপাতত ক্যমটেসিয়া ৯ ব্যবহার করছি। পাশাপাশি ওবিএস স্টুডিওটাও ব্যবহার করছি, শেখার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২২

বিজন রয় বলেছেন: আমার ওসব করার দরকার নেই।
আমি কেবল কবিতা লিখতে পারি।

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তাহলেতো মাক্ষী কপাল আপনার। আমিতো ব্যাকআপ করতে করতে শেষ। :(

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনেক দিন পর, ভাই নতুন কোনো পোষ্ট দিন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আসলে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কিছু সমস্যাজনিত কারণে একটু ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি সামনে কিছু একটা লিখবো। ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ইফতেখার ভাই,
আপনি কি অনলাইনে থাকবেন কিছুক্ষণ? তাহলে আপনার জন্য ছোট একটি সারপ্রাইজ আছে!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আজ কিছুটা থাকা হবে। :)

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





পাহাড়ি মেয়ে লিংকে ক্লিক করুণ। আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিঙ্কটা কাজ করছে না। তবে লিখা খুঁজে পেয়েছি। ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লেখায় নীল রঙে “পাহাড়ি মেয়ে” লিংক আছে সেখানে ক্লিক করুন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হুম সেটা থেকেই দেখেছি। ধন্যবাদ।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান প্রয়োজনীয় পোষ্ট প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.