নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
বছরটা দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে এলো। একটা বছর বেশ দীর্ঘ সময় হলেও ঠিক কি ভাবে যে এ বছরটা আমি প্রায় পার করে ফেললাম ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। জীবনের এই প্রথম এমন একটা বছর কাটলো যেটা কেবলই শূণ্যতায় ভরা বা বেশ ফাঁকা বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কি করলাম একটা বছর সে হিসেবটাও ঠিক গুছিয়ে বলতে পারবো বলে মনে হয়না।
জীবন থেকে আমার প্রত্যাশা খুবই অল্প। স্বাভাবিক আর দশটা মানুষের মতো, সুস্থ আর সুন্দর ভাবে কাছের বা দূরের সবাইকে নিয়ে নিভৃত জীবন-যাপন করা। নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারা, কাছের মানুষগুলোর মুখে ক'টা অন্ন, পরার মতো বস্ত্র এইতো। কোন গাড়ি, বাড়ী, ব্যাংঙ্ক ব্যালেন্স এর প্রয়োজন বোধ করি না। এভাবেই কোন একদিন হঠাৎই চলে যাওয়ার অজানা উৎকণ্ঠায় বেঁচে আছি।
ব্যাক্তিগতভাবে খুব কাছের বলতে এ বছর হারিয়েছি আমার বাবা-চাচা আর একজন দূর সম্পর্কীয় মামা কে। এটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য একটা অপূরণীয় ক্ষতি। এখনো এই শোক পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হয় না। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বাবা-কে ভীষণ মনে পড়ে। তবে বাবার এই চলে যাওয়া আমাকে বিভিন্ন ভাবে আরো ভালো মানুষ হওয়ার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেছে সেটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। সবচেয়ে ভালো যে পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয়, সেটা হলো নামাজের প্রতি আরো বেশী যত্নবান হওয়া, নিয়মিত নামাজ আদায় করা। আচরণের দিক থেকেও বেশ নমনীয়তা এসেছে সেটাও বুঝতে পারি তবে এ ক্ষেত্রে আমাকে আরো ধর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে হয়তো।
যাইহোক, পারিবারিকভাবে বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভালো একটা কিছু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, যাতে তার আত্মায় কিছুটা হলেও শান্তি মেলে। সন্তান হিসেবে তেমন কিছু একটা করার স্বাধীনতা হয়তো আমাদের আছে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও। বাবা বেঁচে থাকতেও এতিমদের প্রতি তিনি ভীষণ দরদি ছিলেন সেটা বিভিন্ন সময়েই আমরা বুঝতে পেরেছি তার বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে। আজ বাবা হারিয়ে আমারাও যখন এতিম তখন মনে হলো, গ্রামের এতিমখানার বাচ্চাগুলোর জন্য কিছু একটা করা যেতে পারে। খুব আশ্চর্যজনক ভাবে বাবা'র কবরস্থানের পাশেই একটা এতিম খানা আছে। তাই, ভাবছি এখন থেকে প্রতি বছরই ঐ বাচ্চাগুলোর জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করবো। রাব্বুল আলামীন আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াসকে কবুল করুন, বাবার আত্মাকে শান্তি দিন এটাই প্রত্যাশা করছি। আর আপনাদের সবার কাছেও বাবার জন্য দোয়া চাইছি।
বাবার কথা শুরু করতেই কথাগুলো কোথা থেকে যেন কোথায় এসে পড়লো।
বলছিলাম এই বছরের কথা। পরিচিত অনেক মুখকেই আমরা হারিয়েছি এ বছর। এ যেন এক মৃত্যুর মিছিল। সৃষ্টিকর্তার এই অমেঘ নিয়তিকে এড়িয়ে যাওয়ার সাধ্য মানুষের কোথায়? তবুও বিদায় জানানো আর নিজের বিদায়ের প্রস্তুতি নেয়া ছাড়া আর বেশী কিছু করার ক্ষমতা আমাদের নেই।
অনেক ঘটনা আর দুর্ঘটনায় আরো একটা বছর শেষ হতে চলেছে। নতুন বছরের আগামী দিনগুলো সবার জন্য সুন্দর আর সুখময় হোক, দেশ তথা দেশের মানুষগুলো আরো ভালো আর সুস্থ থাকুক, শুভ চিন্তার উদয় হোক, সকল মতভেদ ভুলে একজন অন্যজনের দুঃসময়ে এগিয়ে আসুক এই প্রত্যাশাই করছি। পাশাপাশি আপনাদের সবার দোয়াও কামনা করছি।
নতুন বছর শুভ হোক সবার জন্য। সবাইকে নতুন বছরের অগ্রিম শুছেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সেটাই যেন হয় সবার জন্য।
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন: বাবা হচ্ছে পরিবারে বটবৃক্ষ । বাবার চলে যাওয়া কেমন যেন একটা অনুভূতি ।
পরিবারের কোন একজনকে হারানো মানে একটা বিশাল শূন্যতা । সময়ের সাথে জীবন চলতে থাকে কিন্তু কোথাও একটা ক্ষত রেখে যায় ।
নতুন বছর ভালো যাক । আনন্দে কাটুক প্রতি মুহূর্ত ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার কথাগুলো ভীষণ সত্য। অন্তত কাছের মানুষ হারানোর পর ব্যাপারটা বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছি। নতুন বছর আপনার জন্যেও মঙ্গলময় হোক, এটাই প্রত্যাশা থাকলো।
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন:
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
নববর্ষের শুভেচ্ছা, নতুন বছর বিশ্বের জন্য ভালো হবে।