নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ্যাপলের কীবোর্ড কাহিনী

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২২

মোটামুটিভাবে নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে কম্পিউটারের সাথে সম্পর্ক আমার। এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের কীবোর্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিছু কীবোর্ড বেশ ভালো লেগেছে আর কিছু অতটা ভালো লাগে নি। তবে যে কীবোর্ড আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো সেটা হলো এ্যাপলের ওয়্যারর্ড কীবোর্ড। দীর্ঘদিন ব্যবহার করে একটা অন্যরকম ভালোলাগা তৈরী হয়েছিলো। বন্ধুরা বেশ অবাক হতো যে আমি উইন্ডোজ কম্পিউটার ব্যবহার করে কেন এ্যপালের কীবোর্ড ব্যবহার করছি! আসলে বিষয়টা যতটানা ব্র্যান্ডের বিষয় ছিলো, তার চেয়ে বহুগুনে ছিলো ব্যবহারিক সুবিধা এবং ভালো লাগার বিষয়।

এ্যপলের কীবোর্ডগুলো বরাবরই তুলনামূলকভাবে বেশ ফ্ল্যাট হওয়াতে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করলেও আমার হাতে কোন সমস্যা হতো না। তবে অসুবিধা ছিলো যে উইন্ডোজ কম্পিউটারে, কীবোর্ডের ডান পাশের নম্বরের অংশগুলো আমি কখনোই কাজ করাতে পারিনি। তাতেও তেমন কোন সমস্যা হয়নি। সবচেয়ে ভালো যেটা লেগেছিলো সেটা হলো শব্দ বেশ কম হতো এবং কী চাপতে খুব কম চাপ দিলেই হয়ে যেত। এই ইস্যুতে বেশ আগে আমার ব্যক্তিগত ব্লগে একটা লিখাও লিখেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত এই কীবোর্ডগুলো এখন আর নতুন কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ ক'বছর আগেই এ্যাপলের ওয়্যারলেস কীবোর্ড বাজারে এসেছে। তারপর থেকে এ্যাপল আর ওয়্যার্ড কীবোর্ড বানায় নি।

দীর্ঘদিন ধরেই ইচ্ছে ছিলো নতুন কীবোর্ড ব্যবহার শুরু করবো কিন্তু ঠিক ব্যাটে বলে হচ্ছিলোনা। স্বাভাবিক কীবোর্ড ২০-৩০ ডলারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে সেখানে এই কীবোর্ড প্রায় ১০০ ডলারের মতো। এত দাম দিয়ে কেনার তেমন কোন প্রয়োজনও ছিলো না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়োজন পড়েছে। বেশ কিছুদিন হলো নতুন জবে জয়েন করেছি। আপাতত বাসা থেকেই কাজ করতে হচ্ছে, খুব সম্ভবত আরো দীর্ঘদিন করতে হবে। ইন্টিলেকচুয়াল প্রপার্টি এবং কপিরাইট সংক্রান্ত কাজ করার কারনে অফিসের প্রয়োজনেই ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করা নিষেধ। অগত্যা অফিস থেকেই পাঠানো হলো ২০২০ এর ১৬ ইঞ্চি ম্যাকবুক প্রো ল্যাপটপ। এই কম্পিউটার কেনার বা ব্যবহার করার মতো কোন যুক্তিগত কারণ আমার ব্যক্তিগতভাবে নেই। এত দাম দিয়ে ল্যাপটপ কম্পিউটার কেনা আমার কাছে নিতান্তই বোকামী। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এত ছোট স্ক্রীনে কাজ করে অভ্যস্ত নই্। তাছাড়া যে ধরনের কাজ তাতে ৪০-৫০ ইঞ্চি মনিটর হলেও আমার সমস্যা নেই বরং ভালো হয়। যাইহোক, সমস্যা হলো এই ল্যাপটপে কাজ করে আমার পোষাচ্ছে না। একেতো স্ক্রীন অনেক ছোট তার উপর ল্যাপটপের ট্র্যাকপ্যাড ব্যবহার করে আমার হাতের কব্জিতে ব্যাথ্যা ধরে গেছে।

অনেক ভেবে চিন্তে নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম নতুন কীবোর্ডটাই কিনবো। কারণ টেবিল আমার একটাই এখানে দুটো কীবোর্ড রাখার জায়গা নেই। ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের জন্য একটাই কীবোর্ড হবে। দুটোতেই ব্লুটুথ থাকাতে সমস্যা হবে না। তাছাড়া নতুন কীবোর্ডটি স্বাভাববিকভাবেই ইউএসবি কেবল দিয়ে এর ব্যাটারি চার্জ করার পাশাপাশি স্বাভাবিক কীবোর্ডের মতোও ব্যবহার করা যাচ্ছে। চোখ বুজে অর্ডার দেয়া হলো। অফিসে বলা হলো আমাকে ম্যাকের জন্য একটা মাউস আর একটা এইচডিএমআই কেবল পাঠিয়ে দিতে যাতে আমি আমার ডেস্কটপ মনিটরকেই ল্যাপটপের সাথে ব্যবহার করতে পারি। যথা সময় তাও বাসায় চলে আসলো।

এ্যাপলের নতুন ম্যাজিক ২ কীবোর্ড কোন নিউমেরিকাল প্যাড নেই, তাতে কিছুটা জায়গাও বেঁচে গেল টেবিল থেকে। প্রথমে অবশ্য উইন্ডোজে ব্লুটুথের সাথে যুক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিলো, তবে দিন শেষে সেটাও কাজ করেছে। এই লিখাটাও ঐ কীবোর্ড দিয়ে লিখছি, বেশ ভালোই লাগছে। অনেকদিন পর লিখতেও বেশ ভালো লাগছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম। ধন্যবাদ।

০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আশা করছি কোন একদিন কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.