নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে এলাম নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্ক (ভিডিওতে দেখুন)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৮


আজ শনিবার, দুপুরে আমার ডক্টরের সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিলো। ডক্টরের অফিস সেন্ট্রাল পার্কের পাশেই হওয়াতে প্রথম থেকেই প্ল্যান ছিলো সেন্ট্রাল পার্কটা আজ আবারও ঘুরে দেখবো। যদিও এর আগে বহুবার ঘুরে এসেছি, তবুও ইচ্ছে ছিলো আজ যাওয়ার। পার্থক্য হলো, প্রতিবারই গিয়েছি কংক্রিটের জঞ্জাল থেকে একটু প্রকৃতির কাছে গিয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়ার তাগিদে। তবে আজ গোপ্রো ক্যামেরাটা সাথে করে নিয়ে নিয়েছিলাম। ডক্টর প্রাথমিকভাবে আমার রিপোর্টে খুশি, তবে বললো সম্ভব হলে আজ ব্লাড টেস্টটা করিয়ে যেতে। শেষবার রক্ত দিয়েছি বছর খানেকেরও বেশী আগে। রোজা রাখার কারণে ইচ্ছে করেই আর সুঁচ ফোটাতে ইচ্ছে করেনি। তবে বলেছি আমার প্রাইমারি কেয়ার ফিজিশিয়ান-কে ভিজিট করে তার কাছেই ব্লাড টেস্ট এর জন্য রক্ত দিয়ে আসবো। সে-ই সময় করে আমার রিপোর্টটা তোমার কাছে পাঠিয়ে দেবে। ডক্টরও বললেন কোন সমস্যা নেই, সময় করে দিলেই চলবে। ক্যামেরা সাথে কেন জানতেই বললাম আজ পার্কে ঘুরবো অনেকক্ষণ, ডক্টরও উৎসাহ দিলেন।

এ্যাপয়েন্টমেন্ট শেষে ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পরলাম। ঘন্টা খানেকের বেশীক্ষণ হেঁটে যতটুকু ফুঁটেজ পাওয়া গেল তার সাইজ বিশাল হয়ে যাবে জানতাম তবে সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না মোটেই। আমার ক্যামেরায় ১২৮ গি.বা. এর মেমরি কার্ড রয়েছে, তবে চিন্তা হচ্ছিলো সাথে করে আরো একটা ব্যাটারী নিয়ে আসলে হয়তো ভালো হতো, তবে শেষ পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় নি। যাইহোক, রেকর্ডিং শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেছি বিকেল ৩/৪ টার দিকে। বাসায় এসে নামাজ শেষ করেই বসে পড়লাম ভিডিও নিয়ে। কেঁটে-ছেঁটে প্রায় এক ঘন্টার ভিডিও এডিট করে এনকোড করতে সময়ে লেগে গেলো প্রায় আরো এক ঘন্টা। আমার কম্পিউটার বাবাজির মাথা তখন ভীষণ গরম অবস্থা। কিছুটা ভয় ছিলো বৈ কি! ইউটিউবে যে কোন ভিডিও সর্বোচ্চ ১২৮ গি.বা. এর সাইজে আপলোড করা সম্ভব। এনকোডিং শেষে আমার ভিডিওর সাইজ হলো ৫০ গি.বা. এর কিছু বেশী। পুরো ভিডিওটি ৪কে রেজুলেশনে করা হয়েছে। এইচডি রেজুলেশনে করলে হয়তো সাইজ আরো অনেক ছোট হতো, তবে ইচ্ছে করেই ৪কে তে রেকর্ড করেছি। যাদের ভালো ই্ন্টারনেট কানেকশান আছে তারা হোম থিয়েটারে বা বড় কোন পর্দায় দেখলে হয়তো ভিডিওর কোয়ালিটিটা কিছুটা আঁচ করতে পারবেন। যাইহোক, ঘন্টাখানেক ধরে পুরো ভিডিওটা ইউটিউবে আপলোড করেছি আর ইউটিউব এখনো ভিডিওটা প্রসেসিং করছে। প্রসেসিং শেষ হলেই ভিডিওটা দেখতে পাবেন, সে পর্যন্ত অবশ্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। আগামীতে নিউ ইয়র্ক সিটির উপর আরো ভিডিও আসবে, যদিও ইতোমধ্যে বেশ কিছু আপলোড করেছি তবে সেগুলো বেশ ছোট আকারের। সময় করে ভিডিওটা দেখে আপনাদের মতামত জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: পুরোতা দেখার সময় হলোনা। বিশাল পার্ক!
ভিডিও কোয়ালিটি চমৎকার! ভিডিওটা কি পায়ে হেটে করেছেন না কি অন্য কোন উপায়ে?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, বিশাল পার্কতো বটেই! ইউটিউবে ভিডিও ৪কে তে এনকোডিং হতে প্রচুর সময় প্রয়োজন হয়। খুব আরো কয়েক ঘন্টা পরে ৪কে ভার্সনটা এ্যাভেলইবেল হবে। জ্বী পায়ে হেঁটেই করা হয়েছে। হাঁটাহাঁটিটা আমার বরাবরই ভালো লাগে তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন ভেদে ড্রোন ব্যবহার করার ইচ্ছে আছে। সমস্যা হলো নিউ ইয়র্কে ড্রোন ব্যবহারে যথেষ্ট রেগুলেশন মেন চলার প্রয়োজন পড়ে। দেখা যাক কি করা যায়। পুরো ভিডিওটা সময় করে দেখে নিতে পারেন, আশা করছি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কিছু অংশ দেখলাম ভালো লেগেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সময় করে দেখার আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:০০

রাজীব নুর বলেছেন: করোনার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?

০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, যেমনটা ভিডিওতে দেখতে পাচ্ছেন আমার মতো সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.