নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চার জন্য কম্পিউটার কেনা হলো - কিছু ভাবনা

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১২


আমার ছেলের জন্য কিছুটা হুট করেই একটা কম্পিউটার কেনা হলো। এটা ছেলের জন্মদিনের জন্য মূল গিফট, যদিও ছেলেকে একটা নীল রঙের সাইকেল কিনে দেয়ার বায়নাও আছে। বেশ কিছুটা ঘাটাঘাটি করে ডেলের অপটিপ্লেক্স ব্র্যান্ডের ৩০৭০ মডেলের মাইক্রো কম্পিউটারটি কিনে ফেললাম। যদিও প্রাথমিক কনফিগারেশন তেমন আহামরি টাইপের কিছু নয়, তবে আমার ধারনা ওর কিম্পউটারের হাতেখড়ি এবং টুকটাক কার্টুন দেখা ছাড়াও যে কোনো অফিসিয়াল কাজের জন্য বেশ ভালোই হবে। খুব তাড়াতাড়ি একটা ডেলের মনিটরও কেনা হবে যাতে ওর মূল ব্র্যান্ডের পিসির সাথে সব কিছু মানিয়ে যায়।

আসুন পিসির কনফিগারেশনটা দেখে নেই।
প্রসেসরঃ ইন্টেল পেন্টিয়াম গোল্ড জি৫৪২০টি (৩৫ ওয়াট)
চিপসেটঃ ইন্টেল এইচ ৩৭০
মেমরিঃ ৪ গি.বা (ডিডিআর ৪, ২৬৬৬ মেগাহার্টজ)
হার্ড ড্রাইভঃ টোশিবা ৫০০ গি.বা (৭২০০ আর.পি.এম)
আকারঃ উচ্চতা ৭.২ x চওড়া ১.৪ x গভীরতা ৭ ইঞ্চি

কম্পিউটারটির সাথে ডেলের কেবি২১৬ ইউএসবি কীবোর্ড এবং ওপটিক্যাল মাউসও এসেছে। আসুন এর আইও পোর্টগুলো দেখে নেই।

কম্পিউটারটির সামনের দিকে দুটো ইউএসবি ৩ পোর্ট রয়েছে। সাথে আছে একটি হেডফোন পোর্ট এবং অন্যটি হেডফোন + মাইক্রোফোন পোর্ট কম্বো। আছে হার্ডডিস্ক এ্যাক্টিভিটি ইন্ডিকেটর এবং পাওয়ার বাটন। পেছনের দিকে আইওতে আছে ৪ টি ইউএসবি পোর্ট যার দুটো ইউএসবি ৩ এবং দুটো ইউএসবি ২ পোর্ট। মনিটরের সাথে কানেক্ট করার জন্য রয়েছে একটি এইচ.ডি.এম.আই. এবং একটি ডিসপ্লে পোর্ট। যদিও আরো একটি ডিসপ্লে পোর্ট এক্সপানশস হিসেবে যোগ করা সম্ভব। মূল কথা হলো এটি দিয়ে সর্বমোট তিনটি মনিটর একসাথে ব্যবহার করা সম্ভব। সর্বোচ্চ রেজুলেশন হিসেবে ৪কে বা ৪০৯৬ x ২৩০৪ পিক্সেলের মনিটর ব্যবহার করা যাবে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে ১ গিগাবাইট গতির আরজে ৪৫ ইথারনেট পোর্ট। যদিও ক্রয়ের সময় এটিতে কোন ওয়াই-ফাই কার্ড সংযুক্ত ছিলো না কিন্তু স্লট ছিলো। কম্পিউটারটির সাথে উইন্ডোজ ১০ প্রো এর লাইসেন্স এসেছে যা দিয়ে উইন্ডোজ ১১ এও বিনামূল্যে ভবিষ্যতে আপগ্রেড করা সম্ভব হবে।

আপগ্রেড
কম্পিউটারটি ক্রয়ের পরপরই আমি ১৬ গি.বাইটের ডিডিআর৪ ২৬৬৬ মেগাহার্টজ গতির মেমরি অর্ডার করেছি। কারণ আমার জানা ছিলো যে ৬৪ বিটের অপারেটিং সিস্টেমে ৪ গি.বা. মেমরি দিয়ে খুব বেশী ভালো কিছু আশা করা সম্ভব নয়। যেহেতু কম্পিউটারটিতে ওয়াই-ফাই কার্ড ছিলো না তাই ইন্টেলের ৯৫৬০ এনজিডব্লিই মডেলের ওয়াই-ফাই কার্ড ক্রয় করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ ১ গি.বাইটের অধিক গতির ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি রয়েছে ব্লুটুথ ৫ ফিচার যা দিয়ে পরবর্তীতে ওয়ারলেস কী-বোর্ড, মাউস, হেডফোন এবং মাইক্রোফোন কম্বো ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে সরাসরি ফাইল আদান প্রদান করা সম্ভব হবে। ৫০০ গি.বাইটের প্রথাগত হার্ড ড্রাইভ খুলে ফেলা হয়েছে। সেখানে ২৫০ গি.বাইটের স্যাটা এস.এস.ডি দিয়ে আপগ্রেড করা হবে। মাদারবোর্ডে অবস্থিত এম.২ স্লটে ইতোমধ্যে ২৫০ গি.বাইটের এনভিএমই এসএসডি ড্রাইভ যুক্ত করে আপগ্রেড করা হয়েছে। এতে করে পাওয়ার অন করার ১০ সেকেন্ডের মধ্যে উইন্ডোজ ব্যবহারের উপযোগী হবে। সব মিলিয়ে বাচ্চাদের জন্য বেশ শক্তিশালী মানের কম্পিউটার হিসেবে দাঁড় করানো হয়ছে।

মোটামুটিভাবে সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ৫০০ ডলারের মতো খরচ পড়ছে। তবে উল্লেখ্য যে, প্রয়োজনে কম্পিউটারটির প্রসেসর আপগ্রেড করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আমার মূল টার্গেট হলো ইন্টেলের কোর আই ৫-৯৪০০টি বা ৯৫০০টি প্রসেসরটি। এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। তবে আপগ্রেড করতে চাইলে মোটামুটিভাবে আরো ২০০ ডলার যোগ করতে হবে। মনিটরের দামটা এখনো ভুলে গেলে চলবে না।

মতামতঃ
মনে রাখা প্রয়োজন বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে মূলত এই কম্পিউটারটি ক্রয় করা হয়েছে। মনিটর বাদ দিয়ে শুধু কম্পিউটারটি সর্বোচ্চ ৩৫/৪৫ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। বলতে পারেন ল্যাপটপের মতোই পাওয়ার এ্যাডাপটার ব্যবহার করা হবে এটি চালানোর জন্য বা কম্পিউটারটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ভোল্টেজ ওঠানামার কথা মাথায় রেখেই আমি একটি ব্যাকাপ পাওয়ার এ্যাডাপটার কিনে রেখেছি। আশা করছি সেটার প্রয়োজন পড়বে না, তবুও। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ছেলের জন্য আপাতত আমার কাছে বর্তমান কনফিগারেশনটি বেশ উপযুক্ত মনে হয়েছে। বাচ্চার পাশাপাশি বাসার যে কেউই এটিতে বসে তার প্রয়োজনীয় অফিস কাজও খুব সহজেই সম্পাদন করতে পারবেন নির্দ্বিধায়। ফটোশপ, টুকটাক ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব হবে এটি দিয়ে। ধন্যবাদ।

ছবি কপিরাইটঃ সার্ভদিহোম

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



ছেলের কথাইতো জানা হয়নি ।
কত বড়, দুষ্ট না শান্ত :)
বাবু জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা !



০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সামনে ওর তিন বছর হবে ইনশাআল্লাহ। সে পাইডার ম্যান (স্পাইডার বলতে পারছে না এখনো :``>> ) এর বিশাল ভক্ত। স্পাইডার ম্যান কি করে জিজ্ঞেস করলে দুটো হাত সামনে এগিয়ে বলবে, "পাপা পাইডার ম্যান থুস থুস করে"। মাঝে মাঝে সে খুব শান্ত, কোন কিছু করতে বারন করলেই সাথে সাথে "আচ্ছা" বলেই কিছুক্ষন পর সেটাই করা শুরু করবে :`> মাঝে মাঝে সে ভীষণ রেগে যায়। ওর জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০

বিটপি বলেছেন: এই দামে আপনি এর চেয়ে ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ কিনতে পারতেন। তা কা করে এই জিনিস কেনার কারণ কি?

হার্ডডিস্কে কি পাওয়ার বেশি খায়? আমি আমার কম্পিউটারে কেবল ও এস লোডের জন্য এসএসডি ব্যবহার করছি। বাকি সব ফাইল হার্ডডিস্কেই রাখি।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছেলেকে নিজের টাকা দিয়ে ল্যাপটপ কিনতে হবে খুব সম্ভবত। প্রথমত সে বেশ ছোট, ল্যাপটপ সতর্ককতার সাথে ব্যবহার করার মতো জ্ঞান তার এখনো হয়ে ওঠেনি। দ্বিতীয়ত মূলত কম্পিউটারের কীবোর্ড মাউসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে (পরিচয় আছে আরো আগে থেকেই) ছোট ছোট কাজ করতে শেখানো, খাবার সময় কার্টুন দেখা, শিক্ষামূলক কিছু সফ্টওয়্যার ব্যবহার শেখানো, আমার সাথে পিসি থেকে কথা বলা এগুলোর জন্যই পিসি কেনা। তবে এটা এক্সুসিভলি ও-ই ব্যবহার করবে এমন নয়, পরিবারের প্রয়োজনে জরুরী কাজে অন্য কেউ-ও ব্যবহার করতে পারবে। সেজন্যেই মূলত কিছুটা শক্তিশালী কম্পিউটার কেনা। তৃতীয়ত আমি ল্যাপটপের পক্ষপাতি নই নানাবিধ কারনে।

জ্বী, হার্ডডিস্কের মোটরের জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়ে, পাশাপাশি হার্ডডিস্ক দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে অনেকবেশী তাপ উৎপাদন করে। এই পিসিতেও ওস-এর জন্য ডেডিকেটে এনভিএমই এসএসডি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে আরেকটি স্যাটা বেউজড এসএসডি যোগ করা হবে কাজের ফাইলগুলো সেইভ করার জন্য। পারিবারিক ছবি, ভিডিও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, দলিলপত্রাদি সংরক্ষণের জন্য। তবে পিসিতে বেশ ক'টি ব্যবহারকারী একাউন্ট থাকার কারনে একে অন্যের ফাইল শেয়ার করতে পারবেন না। সবদিক চিন্তা করেই কেনা হয়েছে। স্বাভাবিক ডেস্কটপ কম্পিউটারের অর্ধেকেরও কম বিদ্যুতে এটি চলতে পারবে এবং খুব সহজেই এটি পরিবহনযোগ্য।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমি গতপরশু নিজের পিসিটা নতুন করে বিল্ড করেছি । আমার বর্তমান টা কোর আই ফাইভ টেন জেনারেশন । ১২০ জিবি এসএসডি আট জিবি র‌্যাম । গিগাবাইটের মাদারবোর্ড। ৩৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই । সব মিলিয়ে দাম পড়েছে ৩৭ হাজারের মত । আপনার খরচ ৫০০ ডলার । সেই হিসাবে দেশীয় টাকাতে সেটা ৪০ হাজারের উপরে ।
গোল্ড সিরিজের দিয়ে পিসি বানালে খরচ পড়তো ২২/২৩ হাজার টাকা । টাকাই যখন খরচ করলেন একই টাকা দিয়ে ভাল জিনিস কেন কিনবেন না? এমন কি এই টাকা দিয়ে কোর আই থ্রি সিরিজের একটা মোটামুটি লেভেলের ল্যাপটপ পর্যন্ত হয়ে যেত ।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: নতুন পিসির জন্য অভিনন্দন।
এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছি। আমি প্রথম থেকেই "কফি লেইক" বা ৯ম প্রজন্মের প্রসেসর লক্ষ্য করেই কম্পিউটার কেনায় হাত দিয়েছি। যার অন্যতম কারন ছিলো হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তি বিহীন প্রসেসর ব্যবহার করা। কেন আমি ইন্টেলের হাইপার থ্রেডিং-এর বিপক্ষে সে নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিতপূর্ণ লিখা আমি বেশ কিছুদিন আগে পোস্ট করেছিলাম। সেটা পড়ে দেখতে পারেন।

মূলত নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তি এড়িয়ে চলি। যে কারনে আমার মূল কম্পিউটারে ৮ম প্রজন্মের আই৭ প্রসেসর থাকলেও নিরাপত্তার ত্রুটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর, তা থেকে সরে এসে ৯ম প্রজন্মের আই৫-এর মাইগ্রেট করেছি। ৮ম প্রজন্মের প্রসেসর বাজারে থাকা কালীন সময়েই এই ত্রুটি ধরা পড়ে। ইন্টেল বিষয়গুলোকে সমাধান করার জন্য সাথে সাথে সাময়িকভাবে হাইপারথ্রেডিং প্রযুক্তি বিহীন ৯ম প্রজন্মের কিছু প্রসেসর বাজারে এনেছিলো যেটাতে হাইপার থ্রেডিং নেই। আমি ঐ প্রসেসরগুলোরই একটি ব্যবহার করছি। মজার বিষয় হলো, সময়ের সাথে অনেক ব্যবহারকারীই এই নিরাপত্তা ইস্যুগুলো ধীরে ধীরে ভুলে যায়। কিন্তু এন্টারপ্রাইজ লেভেলে হঠাৎ করেই ৯ম প্রজন্মের চাহিদা বাড়তে থাকায় বাজারে ৯ম প্রজন্মের প্রসেসর পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ১০ম, ১১তম প্রজন্মের প্রসেসরগুলোতে আবারও সফটওয়্যার জনিত বা ফার্মওয়্যার দিয়ে নিরাপত্তা সাময়িকভাবে বাড়ানো গেলেও নিরাপত্তা ত্রুটি পুরোপুরিভাবে চলে যায় নি। কারন এই নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সমাধান মূলত আসতে হবে হার্ডওয়্যার থেকে, নয়তো হ্যাকার বরাবরই নতুন পথ খুঁজে নেবে। আর এটার একমাত্র হার্ডওয়্যার জনিত সমাধান হলো হাইপার থ্রেডিং বন্ধ রাখা।

পিসি কেনার ক্ষেত্রে আমার অনেকগুলো রিকোয়ারমেন্ট ছিলো।

১। ইন্টেলের ৯ম প্রজন্মের প্রসেসর সাপোর্ট সমৃদ্ধ চিপসেট সমৃদ্ধ কম্পিউটার ব্যবহার করা।
২। প্রসেসরকে অবশ্যই ৩৫ ওয়াটের টিডিপি সমৃদ্ধ হতে হবে যা সবরকম স্বাভাবিক কাজে ব্যবহার করলেও কম বিদ্যুৎ খরচ হবে এবং পিসি তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকবে।
৩। পিসি-কে অবশ্যই মাইক্রো সাইজ হতে হবে বা সহজে বহনযোগ্য হতে হবে।
৪। একাধিক এসএসডি ড্রাইভ ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে। কারণ আমি কোন ভাবেই স্বাভাবিক হার্ড ড্রাইভের পক্ষপাতী নই।
৫। কয়েক বছরের গ্যারান্টী এবং জেনুইন উইন্ডোজ লাইসেন্স হতে হবে।

সমস্যার বিষয় হলো অন্যান্যদের মতো ডেল কোম্পানী-ও নতুন প্রসেসর দিয়ে কম্পিউটার বিক্রি করছে। তাই এক দুই জেনারেশন পুরোনো প্রসেসর সমৃদ্ধ নতুন পিসি পাওয়া কঠিন বা বেশী দামে কিনতে হয়ছে। যে কারণেই প্রসেসর আপগ্রেড করতে হলেও আমার আপত্তি ছিলো না। যে ধরনের কাজের জন্য পিসিটা কেনা হয়েছে সেখানে দামের চেয়ে অন্যান্য বিষয়গুলোকে আমি প্রাধান্য দিয়েছি। এই কম্পিউটারটিতে ৬৫ ওয়াটের ডেস্কটপ প্রসেসর ব্যবহার করা সম্ভব হলেও আমি তা ইচ্ছে করেই নেই নি কারণ সেটার প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে বড় কথা ও যে ধরনের কাজ করবে বা বাসায় টুকটাক অফিসিয়াল কাজের জন্য ঐ প্রসেসরগুলো প্রয়োজন পড়বে না। সবশেষে আমি বাচ্চাদের ল্যাপটপ ব্যবহারের বিরোধী কারণ আমার কাছে মনে হয় সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে এটাই আমার কাছে উপযোগী মনে হয়েছে। ব্র্যান্ডটাও আমার পছন্দের যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে ডেলের পিসি ব্যবহার করছি না। ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বয়স অনুযায়ী আপনার ছেলে টেকনোলজিকালি অনেক এ্যাডভান্সড, মা শা আল্লাহ!
ভালো লাগল, ছেলের মানসিক বিকাশের প্রতি আপনার এতটা গভীর আগ্রহ এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গাইডেন্সের পরিচয় পেয়ে।
ভেবে চিন্তে যেটা কিনেছেন, সেটাকেই সঠিক মনে করে ছেলেকে আপডেট করতে থাকুন। আশাকরি, বড় হয়ে সেও একদিন আপনার মত একজন "টেকি" হবে।
ছেলের "শুভ জন্মদিন" এর জন্য অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আসলে বাচ্চাদের এ্যানালিটিক্যাল বুদ্ধিমত্তা ছোট বেলা থেকে গড়ে ওঠানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষার বেশ কিছু ও আয়ত্ত্ব করে ফেলেছে, এবিসিডি বলা, লিখতে পারা ছাড়াও বিভিন্ন বাংলা শব্দ শেখানোর পাশাপাশি ওর কিছু ধারনা বা ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োজন বলে মনে করছি। যেমন কম্পিউটার নিজে নিজে অন অফ করা, ড্রইং টুল দিয়ে সমান্তরাল, বক্র, ত্রিকোন দাগ আাঁকতে শেখা, ছোট ছোট বাচ্চাদের গেইম, বিভিন্ন অবজেক্টের ব্যাপারে শেখানো ইত্যাদির জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোর সাথে ও পরিচয় ঘটানো জরুরী। তবে সবকিছু হতে হবে ব্যবহারিক এবং আনন্দময়। পাশাপাশি স্ত্রীকেও কিছু কাজ শেখানোর প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে যাতে সেও পিসিতে আমার সাথে যোগাযোগরে পাশাপাশি আমার কাজেও আমাকে সহযোগীতা করতে পারে এবং কিছু আয়ও করতে পারে। সবকিছু মিলিয়েই কম্পিউটারটি বেশ জরুরী মনে হয়েছে।

আর আমি এখনো শিখছি প্রতিনিয়ত। আপানার দোয়া আর শুভকামনা ওর কাছে পৌঁছে যাবে অবশ্যই। সময় করে মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার। আপনিও ভালো আর সুস্থ থাকুন এটাই প্রত্যাশা।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লেগেছে জনাব।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়েও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

রায়হান চৌঃ বলেছেন: সময়ের সাথে তুলনা করলে দাম বেশি পড়েছে, তারপর ও বলব আপনার ছেলের জন্য এটা কে পারফেক্ট মেশিন বলা যায়। যদি পারেন পাজেল কেটাগরির গাইম গুলো কালেক্ট করে শিখিয়ে দিবেন কি ভাবে সমাধান করতে হয়।
ভালো থাকবেন ভাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী সেটাই মূল উদ্দেশ্য। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.