নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা থেকে রেমিটেন্স পাঠানো - আমার কিছু ভাবনা

২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫৬


বাংলাদেশের মাটিতে আমার জন্ম, বাবা মুক্তিযোদ্ধা। স্বভাবতই এই দেশটার জন্য কম-বেশী আমার আবেগ কাজ করে। দেশের আর দেশের মানুষের ভালো চাই, তাদের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করি। হ্যাঁ আইনগতভাবে আমি বাংলাদেশের নাগরিক নই (দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য এখনো আবেদন করিনি, তবে করার ইচ্ছে আছে), বাংলাদেশে যেতে আমার ভিসা লাগে, তদুপরি নাড়ির একটা যোগসূত্র সারাজীবনই থেকে যাবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তথা প্রশাসনের অদূরদর্শীতা, পরিকল্পনার অভাব আমার মতো ক্ষুদ্র মস্তিস্কের মানুষকেও বিচলিত করে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিয়ে শুরু করছি।

বিগত প্রায় এক দশক ধরে আমি বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা দেশে পাঠাচ্ছি। বিভিন্ন উৎসবের আগে কখনো কখনো লাখের মতো পাঠাতে হয়। যে টাকাগুলোকে আপনারা রেমিট্যান্স বলে থাকেন। ঠিক কত টাকা এ পর্যন্ত পাঠিয়েছি তার সংখ্যা দশমিকের পরের দু'ঘরের সংখ্যাসহ জানা আছে আমার। সংখ্যাটা নিতান্তই ছোট নয়। বাংলাদেশে জন্ম নেয়া বেশীরভাগ নাগরিক একক ভাবে খুব সম্ভবত তার জীবদ্দশায় এত টাকা সরকারকে ট্যাক্স হিসেবে দিবে না বা দিতেও পারবেন না। ভুলে গেলে চলবে না যে, বিগত দেড় দশকেরও বেশী সময় আমি দেশে বসবাস করছি না, তাই সরকারি কোন সুবিধাও আমি ভোগ করছি না। এত কথা বলার উদ্দেশ্য হলো যারা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারের সরকার তথা প্রশাসনের আরো সূক্ষ্ম দৃষ্টি দেয়া বা এ ব্যাপারে উদ্দ্যোগ নেয়া।

অসুবিধা
বর্তমান দুনিয়ায় যখন এ্যাপের জয়জয়কার চলছে, বাংলাদেশের মানুষ যখন নগদ, বিকাশ ব্যবহার করতে পারছে তখন আমরা প্রবাসে যারা আছি তাদের দেশে টাকা পাঠাতে হচ্ছে উপরে উল্লেখিত ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধমে। এটা একটা বিরাট সমস্যা বলতে পারেন বেশ কিছু কারনে। আমি তৃতীয় কোন এ্যাপ কি ব্যবহার করতে পারি না? অবশ্যই পারি, তাতে কমিশন পেয়ে লাভবান হচ্ছে অন্য কোন কোম্পানী। আমার লক্ষ্য বাংলাদেশকে সেই মুনাফাটা তুলে দেয়া। তাই পারা সত্ত্বেও আমি ঐভাবে টাকা পাঠাই না।

আজও আমি প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছি, সরকারী ঐ প্রতিষ্ঠানের রেট ৯৮টাকা আর তার নিচের তলায় অন্য ব্যক্তি মালাকানাধীন কোম্পানী রেট ঝুলিয়ে রেখেছে ৯৯.২৫ পয়সা। হুন্ডিতে পাঠালে ১০০ এর উপরের রেটে (বর্তমানে) পাঠানো সম্ভব। আমার লোকসান জেনেও সরকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠিয়ে কিছুটা ঠকে আসলাম। আমি জানি সবাই আমার মতো বোকা নয়। কিন্তু ঐ যে দেশ!

আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলি, সরকারী ঐ প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইট আছে কিন্তু ঠিক মতো কাজ করে না। দশবার করে কল দিতে হয়, এটা হচ্ছে না ওটা কাজ করছে না। ৯-৫ টা কাজ করে আবার তাদের ব্রাঞ্চে যাওয়া আমার জন্য কঠিন। ঘরে বসে তাদের ওয়েব সাইট থেকে টাকা পাঠাতে পারলে আমার না শুধু আমেরিকার বসবাসকারী সকল বাংলাদেশীদের উপকার হবে। একটা এ্যাপ বা একটা কার্যকরী সাইট বানানো কি বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব নয়?! সম্ভব, কিন্তু তারা ইচ্ছে করেই এটা করে না। সরকারী ব্যাংকের আমেরিকার এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্রাঞ্চে কম করে হলেও অর্ধশত বা তার বেশী বাংলাদেশী নাগরিক কাজ করে। বাংলাদেশ সরকার এদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিচ্ছে। এদের আচরণ খারাপ, কোন প্রফেশনালিজম নেই, কাস্টমার জানালায় দাঁড় করিয়ে ফোনে ব্যক্তিগত আলাপ করছে। আমার প্রশ্ন হলো "কেন?"

হোয়াই উই নিড দিস স্টুপিডস টু ওয়েস্ট পিপলস্ মানি? হোয়াই উই নিড দিস মেডিওকারস রিপ্রেজেন্টিং গভরমেন্ট ওউনড ব্যাংক ইন এ্যামেরিকা?

হ্যাঁ, আমি জেনে শুনেই পাঠাই। বলতে পারেন বিবেকের কারনে পাঠাতে বাধ্য হই। শত হলেও জন্মভূমিতো, মুখ ফিরিয়ে নেয়া আমার জন্য কঠিন। বাংলাদেশে বসে সরকার রেমিট্যান্স কমে আসছে, খরচের লাগাম ধরার চেষ্টা করছে বলে চিৎকার করছে। আমি একটা খরচের হিসেব কমানোর পথ বাতলে দিলাম। দয়া করে এসব অর্কমন্য লোকগুলোকে নিয়ে যান। এদের বসিয়ে রেখে বেতন দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

সমাধান
দয়া করে ফাংশনাল এ্যাপ বা ওয়েব সাইট বানান যা দিয়ে আমেরিকায় বাংলাদেশী লোকজন তাদের মোবাইল ডিভাইস থেকেই টাকা পাঠাতে পারে। দেশের লোক দিয়ে যদি না বানাতে পারেন তবে প্রবাসে অনেক মেধাবী বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত লোক আছে যারা এসব কাজ আপনাদের ছ'মাসের কম সময়ে করে দিতে পারবে, তাদের সহযোগিতা নিন।

মতামত
এর কোনটাই যদি সম্ভব না হয়, তবে দয়া করে এসব অকর্মণ্য, ইংরেজীতে কথা বলতে না পারা, লেইজি ডাম্বগুলোকে নিয়ে যান। সোজা কথায়, "ই্ফ ইউ ক্যান্ট আর্ন ইট, ইউ ডোন্ট ডিজার্ভ ইট। দিস ইজ এ্যাজ সিম্পল এ্যাজ ই্ট ক্যান গেট। সো, স্টপ ওয়াইনিং।" প্রবাসে থাকা বাংলাদেশীরা তাদের কষ্টার্জিত টাকা হুণ্ডিতে কেন পাঠায় তা বোঝার জন্য নিজেদের ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিন, সার্ভিস ভালো করুন এবং সর্বপোরি তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিন।

বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয় আজই বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্ণরকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন (সূত্র), আপনার কি মনে হয় কোন কাজ হবে?

ছবি কপিরাইট: ব্যাঙ্করেট

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




MoneyGram app থেকে মোবাইল এবং ল্যাপটপ দিয়ে ঘরে বসেই ট্র্যান্সফার করা যায় ।
যতটুকু জানি বাংলাদেশে এই সার্ভিসে প্রাইভেটের পাশাপাশি কিছু সরকারি ব্যাংকও সম্পৃক্ত।
ইফতি চেক করে দেখতে পারে ।


২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৪৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি এই এ্যাপটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এটি একটি এ্যামেরিকান কোম্পানী। আসলে টাকা পাঠানো সমস্যা নয়, সমস্যা হলো আমি চাচ্ছিলাম বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশী কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান এ ধরনের উদ্যোগ নিক। যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স এর বিশাল একটা অবদান রয়েছে তাই সরকারী উদ্যোগ আশা করছিলাম। ইউনিফাইড একটা এ্যাপ বা ওয়েব সাইট থাকলে সরকার প্রবাসী এই টাকাগুলো এবং এর সার্ভিস ফিগুলো থেকে বেশ লাভবান হতে পারতো। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি বাংলাদেশী সরকারীভাবে টাকা পাঠালে কত টাকা তারা আয় করতে পারতো! আপনার মূল্যবান মতামত আর তথ্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানবেন।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো এখান থেকে ঘরে বসেই টাকা পাঠাই। মাধ্যম যে সরকারীই হতে হবে, এমনটা না। বেসরকারী বাংলাদেশী মালিকানাধীন কোম্পানী যদি হয়, যারা বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন করে, তাতেও হবে। আর আমাদের সরকারের লোকজনের আশায় বসে থাকলে কোন লাভ নাই। এদেরকে আমি অদক্ষ বলি না; এদের দক্ষতা আছে। শুধু বলি যে, এরা এদের সবটুকু দক্ষতা শুধুমাত্র দুই নাম্বার কাজে ব্যয় করে। :)

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলে বিদেশ থেকে বৈধ উপায়ে যত টাকা দেশে যায় তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি যায় অবৈধ হুন্ডি পথে। হুন্ডির রেট অনেক বেশি থাকায় অনেক মানুষ সেই পথেই টাকা দেশে পাঠায় বিশেষ করে ফরেন ওয়ার্কাররা। মুলত দেশ থেকে অবৈ্ধ টাকা হুন্ডি পথে বিদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যেই হুন্ডি ব্যবসা কখনও বন্ধ হবে না। আমাদের দেশের যে পরিমান মানুষ বিদেশে কর্মরত , তারা সবাই যদি বৈধ পথে টাকা পাঠাত এবং হুন্ডি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেত তাহলে এই দেশ অনেক বড় অর্থনীতির একটি দেশ হতে পারত।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩৫

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: সুন্দর।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৬

বিটপি বলেছেন: এই দেশে জন্ম, এই দেশের আলো বাতাস ফ্রি খেয়ে বড় হয়েছে - এরকম জারজেরা দেশের সম্পদ ছিঁড়ে খুড়ে খাচ্ছে, আর আপনি যে কিনা বাংলাদেশের নাগরিকই না - এসেছেন আলগা দরদ দেখাতে। আপনার যাতে লাভ হয়, সেটাই করুন - দেশের ভালো আপনার দেখতে হবেনা। এভাবে দেশের ভালো হবেনা।

যদি সত্যিই দেশের জন্য কিছু করতে চান, তাহলে ওখানে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। আমরা হাত তুলে আপনার জন্য দোয়া করব।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বৈধ পথে এসে থাকলে নিজেই নিজের ব্যবস্থা করতে পারবে। অবৈধভাবে এসে থাকলে আমি কোনদিনও তাদের সাহায্য করবো না।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি চাচ্ছেন যে, রেমিট্যান্সের সাথে জড়িত ফি'টুকু বাংলাদেশই পাক, অন্য জাতির কোন এজেন্সীকে আপনি দিতে চান না, যদিও অন্য জাতি, কিংবা প্রাইভেট কোম্পানীরা ঘরে বসেই রেমিট্যান্স পাঠানোর মতো সুবিধা দিচ্ছে! আপনি চান, ফি বাংলাদেশ পাক, কিন্তু তারা পাঠানোর সিষ্টেমকে উন্নত করুক; আমি কি আপনার লেখার অভিপ্রায় ঠিক মতো বুঝতে পেরেছি?

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, বুঝতে পেরেছেন।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঐযে বাংলাদেশী যারা কাজ করছে ওরা না জানে কোন ব্যাংকিং বা না জানে কোন সুন্দর আচরণ ওদের একটাই দক্ষতা ওরা আওয়ামীলীগে আত্নীয়-স্বজন অথবা তোষামদকারী; আপনি আমি না চাইলেও ওরা ওখানেই থাকবে। কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে ওদের আমলনামা লেখা হবেনা ওদের আমলনামা লেখা হবে কে কত তৈল মর্দনে দক্ষ!

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন। তাদের মাতা-পিতার ছবিও ওখানে ঝোলানো আছে।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


রেমিট্যান্সে সরকার দূর্ভোগ কমিয়ে আনতে পারেনি জোয়ারের সময়,ভাটার সময় আর পারবে না।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তাই মনে হয়? তাহলে ২.৫% করে প্রণোদোনা দেয়া কেন?

৯| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: বিদেশ থেকে বৈধ পথে টাকা বাংলাদেশে পাঠানোয় অনেক হ্যাপা। তবে আমাদের দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের স্বর্গরাজ্য! আবার আমাদের দেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে টাকা পাঠানোও অনেক হ্যাপা। অর্থাৎ আমাদের জন্য বৈধপথ রুদ্ধ, অবৈধপথ অবারিত!

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।

১০| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

জগতারন বলেছেন:
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আজ চার দশক (অগাষ্ট, ১৯৮২ সাল থেকে) যাবত ইউ, এস, $ ডলার পাঠাচ্ছি।
কত কোটী টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়েছি তার প্রকৃত হিসেব আমার কাছে জানা এখন নেই।
প্রথম দিকে পাঠাতাম যুক্তরাষ্ট্র পোষ্ট অফিস ও পরে বাংলাদেশে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে।
তার পর ১৯৯২ সাল থেকে সোনালী এ্যাকচেইন্স
(যাহা এই ব্লগার-এর বর্নিত যুবাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি)-এর মাধ্যমে।
সোজা সাপটা ভাবে বলতে গেলে একদম বৈধ উপায়।
ইউ, এস, $ ডলার উপার্জন করি ১০০ ভাগ বৈধভাবে, আবার দেশে ও পাঠাই ১০০ ভাগ বৈধভাবে।
.।.।.।
তবে এই ব্লগার-এর বর্নিত;
যারা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারের সরকার তথা প্রশাসনের আরো সূক্ষ্ম দৃষ্টি দেয়া বা এ ব্যাপারে উদ্দ্যোগ নেয়া।
সহমত ও এটা এখন সময়ের দাবী।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার অবদানের জন্য বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে বা হচ্ছে। শতাভাগ টাকা বাংলাদেশই পাচ্ছে বা পাক, আমি শুধু চাই প্রশাসন ব্যাপারটাকে আরেকটু সহজ করে দিক। আমি বাইরের দেশ/প্রতিষ্ঠান এমন কি দেশীয় কোন কোম্পানীকেও দিতে দ্বিধা বোধ করি। বাংলাদেশ পাক, দেশের কাজে আসুক। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি টাকা পাঠাই ঘরে বসেই। পেপলের সাবসিডিয়ারি জুমের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক টু ব্যাঙ্ক।
টাকা পাঠাতে কোন ফি নেয় না, ডলার রেট কিছুটা কমবেশী দেখিয়ে হয়তো কিছু পায়।
বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের ভাল সার্ভিস পেতে হলে সরকারি দিয়ে হবে না। বেসরকারি ব্যাঙ্ককে পারমিসন দিতে হবে বা বিকাশ রকেট।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, সঠিক বলেছেন। আমি মনে হয় অনেক আগে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওদের রেট অনেক কম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই বিষয়টি সম্পর্কে আমারো কোনো ধারনা নেই।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আচ্ছা। ধন্যবাদ।

১৩| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: It appears that you are more bothered with the pictures in their offices. We know the TRUE identity of those people who has problem with the picture.

২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: For the love of God, it's a financial institution not a worshiping place. I am bothered by those who thinks Bangladesh is their family owned business and more than that I am bothered by those who licks their political idol's feet day in and day out over serving the well being of the nation. We also know the true nature of these political slaves who are nothing but leeches that sucks the blood of this country. So, please back off.

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: বংগবন্ধুর ছবি এতই পাওয়ার ফুল যে ১৯৭১ এর পরাজিত 'সৈনিকরা' তার ছবির দিকে তাকালেও ভয়ে কাপতে থাকে..অবশ্য ১৯৭১ সনের কথা উঠলেই উনারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা...তবে সেইসব মুক্তিযোদ্ধারা যা কার নামে যুদ্ধ করেছিলেন সেটা বুঝা বড়ই
কস্টকর।
গো এহেড টু ব্লক মি

কথা বলছিলেন কর্মীদের দূর্নীতি, অদক্ষতা..তবে সরকারী অফিসের ছবি কি দোষ করল???? কার ছবি থাকলে খুশী হতেন না বললেও বুঝা যায়

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বঙ্গবন্ধু একজন নির্ভীক, দেশ-প্রেমিক রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন যার অবদান এবং যার প্রতি বাঙালীর শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে প্রশ্নের বিন্দুমাত্র কোন অবকাশ নেই। আমার মনে হয় না, স্বাধীন দেশের কোন বাংলাদেশী নাগরিক এই ধৃষ্টতা দেখাবেন। তবে ভুলে গেলে চলবে না যে যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। সম্ভ্রম হারিয়েছেন বাংলার মা-বোনেরা, তিনি নন। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, স্বাধীন দেশের জন্য, মাটির জন্য, ভাষার জন্য। কোন জেনারেল বা কোন পরিবারের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য নয়। মনে রাখতে হবে, ব্যক্তির চেয়ে দল আর দলের চেয়ে দেশ বড়।

যে কোন সরকারি অফিসে শুধু মাত্র বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ছবি রাখার রেওয়াজ পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। কিন্তু বাংলাদেশে যখনই কোন দল ক্ষমতায় আসে তখনই সেখানে পারিবারিক ছবির এ্যালবাম ঝোলানোর রীতি বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে সরকারি অফিসে যোগ্যতার পরিবর্তে ক্ষমতাসীন দলের চাটুকার দিয়ে ল্যাদানো বন্ধ করতে হবে।

নোটঃ আগামীতে আমার ব্লগে না বুঝে কোন ধরনের ঢালাও মন্তব্য এবং ট্যাগিং করার চেষ্টা না করার অনুরোধ থাকছে অন্যথায় আপনাকে পারমানেন্টলি ব্লক করা হবে।

১৫| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: I will be honored if you permanently block me. This will allow me not to interact with you

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: Due time.

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বেশ আগে একবার সরকারী একটা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ লেভেলের কর্মকর্তার সাথে কথা বলার ভাগ্য হয়েছিলো। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনারা সার্ভিস সহজ করেন না কেন? যেমন ধরেন ডোমেইন কিনতে কেন অফিসে আসা লাগবে? তার উত্তর ছিলো, সার্ভিস সহজ করলে আপনাদের সুবিধা, না করলে আমাদের সুবিধা। আবার সার্ভিস সহজ করতে কষ্ট আমাদেরই করা লাগবে। তো কেন করবো? আমি কষ্টও করলাম না; আবার সুবিধাও ভোগ করলাম।

টাকা ট্রান্সফার সহজ করলে কার লাভ? সরকারের নাকি সরকারী কর্মকর্তার?

আচ্ছা, শুনেছিলাম পেপ্যালের প্রতিষ্ঠান জুম দিয়ে টাকা ট্রান্সফার করা যাবে। চেষ্টা করে দেখেছেন কখনও?

২১ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:২১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সেটা আমি যে বুঝিনি বা উল্লেখ করিনি তা নয়। তবে সবাই যদি "আমার" নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে দেশের কি হবে?
ওদের রেট ভালো নয়। ধন্যবাদ।

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আমি যদি আপনার পোষ্ট বুঝতে পারি, ব্লগার ভুয়া মফিজ ইহার মুল বক্তব্য কেন বুঝতে পারলো না? মনে হয়, উনি ১০/১২ বার পড়লে বুঝতে পারবেন।

২১ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:২২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এ ব্যাপারে আমার আসলে কোন সঠিক ধারনা নেই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: প্রথমত, আপনি বাংলাদেশের নাগরিক নন কেন এটা আমি বুঝলাম না। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে, আপনার জন্ম বাংলাদেশে এবং আপনি আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। কিন্তু আপনার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব তো বাতিল হয়ে যায় নি।
বাংলাদেশে যেতে আপনার ভিসা লাগে তার কারন বোধহয় আপনি আপনার আমেরিকান পাসপোর্টের জন্য নো-ভিসা সীলের জন্য আবেদন করেন নি। আমি কি ভুল বুঝলাম?

আপনি আমেরিকায় বসে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান জেনে একটু অবাক হলাম। কানাডাতে আমরা রেমিটলি বলে একটা অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা পাঠাই, ৪ ডলার করে ফি দিতে হয়। কিছু অ্যাপে কোন ফি ছাড়াই টাকা পাঠানো যায়। আর এই ফিটা আসলে বেশ সামান্য, এটা দেশের প্রতিষ্ঠান পেলে ভাল হতো সন্দেহ নেই, তবে না পেলেও খুব বেশি ক্ষতি নেই। সমস্যাটা আসলে হুন্ডিতে - বাইরে থেকে মানুষের পাঠানো টাকা দেশে যাচ্ছে না, বিদেশেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। উপরে ঢাবিয়ানের মন্তব্যে যা তিনি উল্লেখ করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.